নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুষারের ব্লগ - ঐশী আলোর সন্ধানে

স্বপ্নের বাংলা

জাহেদুল হক তুষার

স্বপ্নের বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বৃত্ত-চিন্তা ও সত্য-জ্ঞান"

২৬ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

"বৃত্ত-চিন্তা ও সত্য জ্ঞান"


আমরা যা দেখি, শুনি কিংবা অনুভব করি, আমাদের চিন্তা-চেতনা-কল্পনা কিংবা জ্ঞান ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা সবাই বৃত্তের ভিতরে বসে বৃত্তের ভেতরের কথাই সাধারনত চিন্তা করি। হয়ত কেউবা এক ধাপ এগিয়ে ছোট বৃত্ত হতে বড় বৃত্তের কল্পনা করে। অথচ বৃত্তের বাহিরেও যে আরও অনেক বৃত্ত থাকতে পারে কিংবা বৃত্তহীনও কিছু থাকতে পারে তা সাধারনত চিন্তা করিনা বা চিন্তা করতে পারিনা। সেই ভিন্ন-বৃত্ত কিংবা বৃত্তহীন জগতটা হতে পারে আমাদের এই চিরচেনা বৃত্তের চেয়ে সম্পূর্ণ অন্য রকম। হতে পারে এই বৃত্তের চেয়েও হাজার গুন অভাবনীয় সুন্দর কিংবা অসুন্দর কিংবা অকল্পনীয়।

খুব নগণ্য কিছু মানুষ, যারা বৃত্তের বাহিরে চিন্তা করে কিংবা একসময় বৃত্ত ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে পারে। তাদের সাধারনত আমরা পাগল, মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রচলিত ধর্ম-রীতি অবমাননাকারী কিংবা সমাজের আইন লঙ্ঘনকারী বলে আখ্যা দিয়ে তুচ্ছ-জ্ঞান করি, অনেক ক্ষেত্রে অপরাধী আখ্যা দিয়ে তাদের সমাজ হতে বিতারিতও করি। অথচ শত-সহস্র বছরের ইতিহাসে মহাজ্ঞানী ব্যাক্তিদের নাম বলতে গেলে এমন পাগল কিংবা সমাজ হতে বিতারিত এমন মানুষদের নামই আগে চলে আসে। মুসা-যিশু-মুহাম্মদ এর মত বিভিন্ন ধর্মগুরু হতে শুরু করে বড় বড় কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানীসহ অনেক মহাপুরুষদেরই কোননা কোন সময় রাষ্ট্র কিংবা সমাজ-সংসার হতে বিতারিত হতে হয়েছিল, অপমানিত হতে হয়েছিল। সমসাময়িক আদালত কিংবা রাষ্ট্র কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিও পেতে হয়েছিল। অথচ আজকের এই আধুনিক সভ্যতা কিংবা অত্যাধুনিক পৃথিবী সব তাদেরই অবদানের ফসল। এ পৃথিবীর যতটা উন্নতি সাধন হয়েছে তার পেছনে ঐ সব বৃত্তের বাইরে চিন্তা করা জ্ঞানী মানুষদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশী।

আমাদেরও চেষ্টা করতে হবে বৃত্ত ভাঙ্গার, বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার। জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই, তবে তার আগে জরুরী নিজেকে চেনা, নিজেকে জানা। নিজেকে না জেনে নিজের স্রষ্টাকে জানা কিংবা স্রষ্টার স্বরূপ কল্পনা করা অসম্ভব। আর নিজেকে জানার জন্য প্রয়োজন একাগ্রচিত্ততা, একনিষ্ঠতা, কঠোর সাধনা এবং অধ্যবসায়।

সূর্যের আলো ছাড়া আমরা কিছুই দেখিনা। অথচ সূর্যও চিরস্থায়ী নয়। সুতরাং সূর্যের আলো নয়, বরং সূর্যহীন অন্ধকারই চিরস্থায়ী। সেই অন্ধকারেই মিশে আছে ঐশী আলো, চিরস্থায়ী আলো, যে আলো খালি চোখে দেখা যায়না। যে আলো দেখতে হলে প্রয়োজন দিব্যজ্ঞান, অন্তরচক্ষু।

হে মহান সৃষ্টিকর্তা, তুমি কোন নির্দিষ্ট দলের, গোত্রের, সমাজের, ধর্মের, জাতির কিংবা রাষ্ট্রের মানুষের সৃষ্টিকর্তা নও, বরং তুমি সকলের সৃষ্টিকর্তা, সকলের প্রভু। সবাইকে তোমার পরিচয় জানতে, সৃষ্টির রহস্য জানতে এবং সত্য-সুন্দর, প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের শক্তি, বুদ্ধি, চিন্তা ও চেতনা দান কর।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সার্বজনীনতা বুঝতে পারেনা যারা তারাই আবার নতুন করে বৃত্তাবদ্ধ হয়ে যায় ! যুগে যুগে নবী রাসূল, সমাজ সংস্কারক সকলেই বৃত্তের আগল ভেঙ্গে সত্যালোকে বিশ্বকে উদ্ভাসীত করে গেছেন।

হে মহান সৃষ্টিকর্তা, তুমি কোন নির্দিষ্ট দলের, গোত্রের, সমাজের, ধর্মের, জাতির কিংবা রাষ্ট্রের মানুষের সৃষ্টিকর্তা নও, বরং তুমি সবার সৃষ্টিকর্তা। সবাইকে তোমার পরিচয় জানতে, সৃষ্টির রহস্য জানতে এবং সত্য ও সুন্দর জ্ঞান অর্জনের শক্তি, বুদ্ধি, চিন্তা ও চেতনা দান কর। ++++++++++++++++

২| ২৬ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: সুন্দর বক্তব্য, শিরনামটাও সুন্দর হয়েছে। ভাল থাকুন।

৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

স্বপ্নের বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সত্যের অপরূপ না দেখা রূপ দর্শন করতে হলে বৃত্ত ভাঙতেই হবে, আর বৃত্ত ভাঙার নিরন্তর চেষ্টাই মানব সমাজের ব্রত হওয়া উচিত।

৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

স্বপ্নের বাংলা বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.