নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিরকূট

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মক্কা বিজয়ের পর সাধারন ক্ষমা নিয়ে জামাতিদের মিথ্যাচার

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:২৪

একটা বিষয় পরিষ্কার করা জরুরী মনে করছি - তা হলো মক্কা বিজয়ের পর সাধারন ক্ষমা। বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে প্রচরিত হয় এই বিষয়টি - যাতে বলা হয় মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ (সঃ) কোরাইশের সাধারন ক্ষমা দিয়েছিলেন - এই রেফারেন্স দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের ক্ষমা করার জন্যে একটা চাপ তৈরী করা হয়। দুঃখজনক হলো - এই সাধারন ক্ষমার বিষয়ঙটা আংশিক ভাবে উপস্থাপিত হয় - বলাই বাহুল্য রাজাকার-আলবদর এবং তাদের সমর্থক গোষ্ঠী সাধারন মুসলমানের আংশিক বর্ননার সুবাদে বিভ্রান্ত করে রেখেছে - অনেকে এই ফাঁদে পড়ে আছে।

প্রকৃত ঘটনা ছিলো - নিশ্চিত পরাজয় জেনে আবু সুফিয়ান মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে নিরাপত্তা চায় এই শর্তে যে তারা যুদ্ধ করবে না - রসুল (সঃ) উনাকে শুধু নিরাপত্তা দেননি সাথে উনার বাসস্থানকে নিরাপদ আবাস হিসাবে ঘোষনা দিলেন।

বাংলাদেশের বর্ননা এখানে থেমে যায় - কিন্তু দশজন কোরাইশকে যে মৃত্যদন্ড ঘোষনা করা হয়েছিলো এবং তাদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো - তা বলা হয় না। কারনটা সহজেই অনুমেয়।

দশজন লোককে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হল:

১) ইকরিমা ইবনে আবু জেহেল,
২) আবদুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবি সারহ,
৩) হাবার ইবনে আসওয়াদ,
৪) মিক্বাস সুবাবাহ লাইসি,
৫) হুয়াইরাস বিন নুকাইদ,
৬) আবদুল্লাহ হিলাল ও
৭-১০) চারজন মহিলা

এরা হত্যার বা অপরাধের দায়ে দোষী ছিল অথবা যুদ্ধ উস্কে দিয়েছিল অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।

এই ঘটনা প্যারালাল যদি ৭১ এর যুদ্ধের সাথে করি - তা হলে দেখবো -

১) রাজাকার-আলবদর বা পাকবাহিনী কখন ক্ষমা চায়নি;
২) এরা ১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি
৩) তদুপরি বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষমা করেছিলো কিন্তু চার ধরনের সুস্পষ্ট অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের জন্যে টাইবুন্যাল তৈরী করেছিলেন

এই ক্ষেত্রে পরিষ্কার - রাজাকার-আল বদর এবং তাদের সমর্থখ গোষ্ঠী দুইবার দুইবার তথ্য গোপন করে এবং দুইটা বিষয়কে তাদের সুবিধামতো প্রচার করে -

১) মক্কা বিষয়ের পর সুস্পষ্ট (যুদ্ধাপরাধের) অভিযুদ্ধকে মুত্যদন্ড দেওয়া হয়েছিলো
২) কোরাইশের নেতা নিরাপত্তা চেয়েছিলো
৩) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের বিরোধীদের ক্ষমা করেছিলেন কিন্তু চারটা অপরাধে (যুদ্ধাপরাধ) অভিযুক্তদের বিচারে নির্দেশ দিয়েছিলে

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জামায়াতী বেজন্মাদের কথা বলে লাভ নেই। এই ব্লগে এখনো ২/৪ জন আছে।
এদের শেষ করতে হলে এদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করতে হবে আগে।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: জামাত শিবিরকে নিরাপত্তা দেয় বিএনপি।তাদের হাতে তুলে দেয় জাতিয় পতাকা।যেটা খুবই দুঃখ জনক।এই অপরাধে বিএনপির বিচার হওয়া প্রয়োজন।জামাতের নিবন্ধন যেমন বাতিল হয়েছে তেমনি করে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে কেস হওয়া দরকার।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


উনাকে যতটা মহান দেখানো হয় আদতে উনি ততটা মহান নন।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উনাকে যতটা মহান দেখানো হয় আদতে উনি ততটা মহান নন।
আমরা বিশ্বাষীরা ওনাকে মহান বলি এবং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব বলি। আপনার কাছে মতামত চাওয়া হয় নাই। আর আপনি ওনার ব্যাপারে মতামত দেয়ার মতো যোগ্য কিনা ? সেটাও বিবেচ্য্য বিষয়।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

আমি নই বলেছেন: আমি যেটা বুঝলাম আপনি বলতে চাচ্ছেন মুহাম্মাদ (সাঃ ) মক্কা বিজয়ের পর সাধারন ক্ষমা ঘোসনা করেন নাই, এটা জামাতি মিথ্যাচার।

ভাই, বাংলাদেশে ইসলামের সুচনা ৭১এর পরে জামাতিদের দারা হয় নাই এবং তারা কি বলল না বলল তাতে মুহাম্মাদ (সাঃ ) সাধারন ক্ষমার মাহাত্যে কেমনে প্রভাব পরে বুঝলাম না। মুহাম্মাদ (সাঃ ) সাধারন ক্ষমাই ঘোষনা করেছিলেন এ ব্যপারে কোনো সন্দেহ নাই। যে দশজন বা ১৪ বা ১৫ জনের কথা বলতেছেন তাদের নাম ধরেই বলা হয়েছিল এরা বাদে অন্য সকল কোরাইসদের জন্য সাধারন ক্ষমা। ঐতিহাসিক বিষয়ে এই যুগে জামাতিদের বাপ মউদুদি কবর থেকে উঠে চাইলেও সহজে মিথ্যাচার করতে পারবেনা।

আর যেখানে পাবে সেখানেই হত্যার নির্দেশ সম্ভবত দেয়া হয় নাই, আপনিও আবেগে জামাতিদের মত একটু বেশি বলে ফেললেন। ১৪ জনের মাঝে ৬ জনকে হত্যা করা হয় আর বাকিরা মুসলিম হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাদেরকেও ক্ষমা করা হয়। যেখানে পাবে সেখানেই হত্যার নির্দেশ দিলে কোনোভাবেই একটাও বেচে থাকার কথা নয়।

তৎকালিন সময়ে একজন কাফের যে সুযোগ পেয়েছিল অর্থাৎ মুসলিম হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা সেই সুযোগটাও জামাতিদের নাই, ওদের কৃতকর্মের জন্য কঠিন বিচার হওয়াই উচিৎ, তাইবলে জামাতিদের বাস দিতে গিয়ে ঐতিহাসিক বিষয়কে অস্বীকার বা মোডিফাই করাও মেনে নেয়া যায় না।

মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ঐতিহাসিক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে মক্কার কাফিরদের ক্ষমা করেছিলেন। কিন্তু কিছু কাফির সেই সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত ছিল না। তারা ছিল ১৪ জন, মতান্তরে ১৫ জন। তারা হলো, (১) আবদুল্লাহ ইবনে খাতাল, (২) ফারতানা, (৩) কারীনা (এরা দুজন ছিল আবদুল্লাহ ইবনে খাতালের বাঁদি), (৪) সারাহ, (৫) হুয়াইরিস ইবনে নুকাইদ, (৬) মিকয়াস ইবনে সুবাবা, (৭) আবদুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবি সারাহ, (৮) ইকরামা ইবনে আবি জাহল, (৯) হাব্বার ইবনে আসওয়াদ, (১০) কাব ইবনে যুহাইর, (১১) ওয়াহশি ইবনে হারব, (১২) হারিস ইবনে তুলাতিল, (১৩) আবদুল্লাহ ইবনে জিবারা, (১৪) হুবাইরা ইবনে আবি ওয়াহাব, (১৫) হিন্দ বিনতে উতবা।

এদের মধ্য থেকে শুধু ছয়জনকে হত্যা করা হয়। তারা হলো, (১) আবদুল্লাহ ইবনে খাতাল, (২) আবদুল্লাহর দুই বাঁদি থেকে একজন, (৩) সারাহ (তার সম্পর্কে ভিন্নমতও রয়েছে), (৪) হুয়াইরিস ইবনে নুকাইদ, (৫) মিকয়াস ইবনে সুবাবা, (৬) হারিস ইবনে তুলাতিল। এবং এই ১৪ জনের মধ্যে কেউ কেউ যেমন—ইকরামা ইবনে আবি জাহল, ওয়াহশি ইবনে হারব মুসলমান হয়েছিলেন।

(সূত্র : ফাতহুল বারি : ৭/৬৪৮, সিরাতে ইবনে কাসির : ৩/৪৬৩, ইদরিস কান্দলভি রচিত সিরাতে মুস্তফা : ৩/১০০৫)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.