![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জিয়া হক এমএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখালেখি শুরু ২০০৫ থেকে পেশা: সাংবাদিকতা
বিধান না মেনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: মাহমুদুর
রহমানকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ
হাবিবুর রহমান
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান সঠিকভাবে অনুসরণ না করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করায় আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। একই কারণে মরহুম ফজলুল হক আমিনীকেও গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
সূত্র বলছে, এই দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৯৯৮-এর ১৯৬ ও ১৯৬ (ক) ধারা অনুসরণ করেনি।
পুলিশের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পর আসামি গ্রেফতার ও আদালতে মামলায় জটিলতা তৈরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধারা দুটি যথাযথভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা স্বাক্ষরিত নির্দেশপত্রটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে। তারা হলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক, সব পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার।
ওই চিঠিতে বলা হয়, “দণ্ডবিধির কিছু কিছু ধারায় মামলা রজু করার আগে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৯৬ ও ১৯৬-ক ধারা মোতাবেক সরকারের অনুমোদন গ্রহণের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এসব ধারার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরকারের অনুমোদন ছাড়াই দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হচ্ছে।”
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, “মামলার পরে তদন্ত পর্যায়ে বা আদালতে চার্জশিট দাখিল করার পরে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৯৬ ও ১৯৬-ক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ধারায় সরকারের অনুমোদন গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেন। মামলার ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির উল্লিখিত বিধান অনুসরণ না করায় আসামিরা সহজেই জামিন লাভ করেন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হয়।”
চিঠিতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার আগে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৯৬ ও ১৯৬-ক ধারার বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে সরকারের অনুমোদন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালত জামিন না দিলেও ওই মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। একই কারণে এর আগে সংবিধান ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেয়ার হুমকির অভিযোগে ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হলেও তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। এসব বিষয় আমলে নিয়েই মূলত নির্দেশনাটি জারি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “বিদ্যমান আইনটি আরো কঠোর করা উচিত। কারণ অনেকে আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে আইনের ফাঁক-ফোকর রেখে মামলা করে।”
মাহমুদুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরো বলেন, “আইন অনুযায়ী তাকে আটক করা উচিত ছিল। কিন্তু কী কারণে তাকে সেদিন গ্রেফতার করা হয়নি, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই ভালো বলতে পারবে।”
একটি সূত্র জানায়, একজন রাজনীতিবিদের নির্দেশে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়টিও আমলে নেয়নি পুলিশ।
নতুন বার্তা/এইচআর/জবা
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: Click This Link
যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে "দৈনিক আমারদেশ" পত্রিকার নির্লজ্জ মিথ্যাচার। ইসলামকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার