![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলফ এক্সপ্রেশান আমার জন্যে খুব ইম্পরট্যান্ট। www.facebook.com/zia.hassan.rupu
শাহবাগ থেকে পাওয়া একটা শিক্ষা হলো, নৈতিকতার জায়গায় সামান্যতম ছাড় দিলে সেইটা পরে ব্যাক ফায়ার করে এবং একটা নৈতিক ইসুতে সামান্য অনৈতিক অবস্থান আপনার জাস্ট কজ কে কালিমা লিপ্ত করবে ।
একই সাথে আর একটা লেসন হইলো, রাজনৈতিক কারনে বিচার ব্যাবস্থার অব্জেকটিভিটি এবং ফেয়ারিটি এবং ইকুয়ালিটি যদি সাব্জেকটিভলি প্রয়োগ করা হয় তো সাধারন মানুষ সেইটা ধরতে পারে এবং একটা জাস্ট কজ ও কলঙ্কিত হয়।
স্কাইপ কেলেঙ্কারিতে ক্লিয়ারলি আসছিল, বিচারক এর সাথে চিফ প্রসিকিউটার এর প্রত্যক্ষ যোগসাজশ হচ্ছে এবংবিচার এর রায় উপর বিচারকদের আপিল কোর্ট এ নিয়োগ পাওয়া নির্ভর করছে।
এমন সব চরম অনৈতিক বিষয় ফাস হওয়ার পরেও , আমরা কালেক্টিভ্লি নিশ্চুপ ছিলাম। দুই একজন কিছু বলতে গেলে আমাদের ছুপা ছাগু ট্যাগ দিয়ে ইন্টিমিডেটকরা হইছে। তখন বলা হইছিল ট্রাইবুনাল এর কোন সমালোচনা করা যাবেনা কারন ট্রাইবুনাল যদি বিতর্কিত হয় তো যুদ্ধাপরাধীদের হাত শক্ত হবে। গ্রেটার ইন্টেরেস্ট এর স্বার্থে আমরা তা মেনে নিছিলাম।
শেষ পর্যন্ত এরফলাফল কিহইছে আমরাদেখছি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজাকারদের শিরোমনি গোলাম আজম- যে ছিল প্রধান যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকার দের প্রধান মাস্টার মাইন্ড,যার শাস্তির অপেক্ষায় এই জাতি ৪০বছর ধরে উন্মুখ হয়ে ছিলএবং যার বিচার নিয়ে বিগত ৪০বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষ এক্টিভিজম করছে, কোটি কোটি কথা বলা হইছে,এডিটরিয়াল লেখা হইছে, অজস্র মানুষ প্রাণ দিছে-তাকে সরকার কেমন একটা সিস্টেম করে ফাসির দড়ি থেকে বাঁচিয়ে দিছে।
এই রায় এর মাধ্যমে শহীদ দেরর ক্তের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সব চেয়ে বড় প্রতারণা করা হইছে।
সেই অভিজ্ঞতার আলোকে,জামাত এ ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়টা নিয়ে আমি যথেষ্ঠ সন্দিহান বোধ করতাছি।
কারন, নিবন্ধন এর সময়কার একটা ক্লজকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সাথে সাংঘর্ষিক দেখিয়ে জামাত এর নিবন্ধন বাতিল করাটা অনেক গুলো প্রশ্নের জন্ম দেয়।
এই রায়টা কিন্ত একটা টেকনিকাল রায় এবং যুদ্ধাপরাধের সাথে জামাত এর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে এর কোন সম্পর্ক নাই।
এই রায়ের এসেন্সটা হইলো , একবার আপনি যেই গঠন তন্ত্রদিয়ে এনলিস্ট হইছে ওই গঠনতন্ত্র আপনি কোনো মতেই চেঞ্জ করতে পারবেননা। ফলে জামাত পরবর্তিতে তাদের গঠনতন্ত্র চেঞ্জ করতে চাওয়ার পরেও,তাদের পরিবর্তিত গঠনতন্ত্র এক্সেপ্ট করা হয় নাই এবং নিবন্ধনের সময় জমা দেয়া গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে তাদের নিবন্ধন বাতিল হইছে।
নির্বাচন কমিশনের যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয় নাই,সেই খানে এই পরিবর্তনটা গ্রহন না করাটা গায়ের জোরি দেখানোর মতই মনে হইছে।
আর সেকেন্ড প্রবলেমটা, আরো একটা পান্ডোরার বাক্স খুলে দেয়, যা বন্ধ রাখাই উত্তম।
কিন্তু, আমরা যেন আমাদের ভুল থেকে শিখি নাই। নিবন্ধন বাতিলের অন্যতম একটা কারন হইলো, জামাত জনগনকে ক্ষমতার উৎস মনে করেনা, সৃষ্টিকর্তাকে ক্ষমতার উৎস মনে করে।এই ধরনে রবিতর্ক যার কোন সমাধান নাই এবং যা দেশকে দুই ভাগে ভাগ করবে, এবং ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান ঘটাবে তেমন একটা বিতর্ককে কোর্ট এর রায়ের মাধ্যমে আবার সামনে নিয়ে আসাটা এই দেশের জন্যে খুব অমঙ্গলজনক। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে একটা বিভাজিত রাষ্ট্র হয়ে গেছে গত কয় এক মাসের ঘটনা প্রবাহে এখন দেশের মানুষের বুকে আরও এক দফা ছুরি চালিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করাটা কাম্য নয়।
এই দেশের রাজনৈতিক যে স্ট্যাটাস কো আছে, তার দুরবাত্তায়িত রাজনিতির স্ট্যাটাস কো, এই খানে ধর্ম কে টেনে এনে বিশাল একটা ইস্যু বানিয়ে আরও এক দফা আইডিওলজিকাল বিভেদ করার সকল চেষ্টা বর্জনীয়। এবং এই কাজে কোর্ট এর মত একটা সেক্রেড ইন্সটিটিউশানকে ব্যবহার করা টা চরম নিন্দনিয় একটা কাজ।
এইটার জন্যে একটা গনভোট হতে পারে, এইটার জন্যে সংসদ আছে। যেহেতু এইটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এইটা রাজনৈতিক ভাবেই হওয়া উচিত।
এই টার আরও একটা সমস্যা হইলো,
জামাত যেই সময় জনগণ খমতার উৎসনা বলে তার গঠনতন্ত্র লিখছে, সেই সময় আমাদের সংবিধানেও সৃষ্টিকর্তাকে ক্ষমতা উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ছিল।ফলে, সংবিধান নিজেই তার সাম্যতার নীতির সাথে সাঙ্ঘরষিক ছিল।
বাংলাদেশে ইতি পুরবে আমার জানা মতে কোন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয় নাই।
আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তাতে গঠনতন্ত্র থেকে ক্লয খুজে বের করে, তার নিবন্ধন বাতিল করে দেয়াটা একটা ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর উদাহরন সৃষ্টি করলো। বাজি ধরে রাখেন, আগামি তে এই উদাহরনকে ব্যবহার করবে কোন স্বৈরশাসক । এবং এই যুক্তিতে বাকিদল গুলোর গঠন তন্ত্র থেকে ক্লয খুঁজে বের করে, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক দেখিয়ে প্রতিটা দলের নিবন্ধ নবাতিল করা সমভব।ফর একজাম্পল,আমি যত দুর জানি ইসির বর্তমান আইনে দল গুলোর কোনো ছাত্র সংগঠন থাকার কথা না। কিন্তু প্রতিটা দলেরই ছাত্র সংগঠন আছে।এই ধরনের অনেক স্ববিরোধিতা যাকে সংবিধানের সাথে সাঙ্ঘরসিক হিসেবে দেখানো যাবে , এমন ক্লজ প্রতিটা দলের গঠনতন্ত্রে পাওয়া যাবে।
এই খানে ঘুরে ফিরে সবচেয়ে বড় প্রবলেম হইলো,চেঞ্জ করতে চাইলেও চেঞ্জ একসেপ্ট না করা।
ফলে, এরমধ্যে জামাতকে সিঙ্গেল আউট করে তার নিবন্ধনবা তিল করাটা একটা সিলেক্টিভ জাজমেন্ট হইছে এবং তার উপর এনফোরস করা হইছে।
এইটা পরিষ্কার যে, এইটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত,যা কোর্ট এর মাধ্যমে অর্জন করা হইছে।
আমি মনে করি,রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবেই নেয়া উচিত।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কোর্ট এর মাধমে একজিকিউট করলে,শুধু মাত্র কোর্ট বিতর্কিত হয়না - রাষ্ট্রের একটা পিলার এর ভেঙ্গে পরে। কোর্ট রাস্ট্রের সরবোচ্চ সেক্রেড প্রতিষ্ঠান। কোর্টকে বিতরকিত করাটা এবং কোর্ট এর মাথায় পলিটিকাল কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া যে কি ভয়ঙ্কর তা, আমরা বুঝতে অক্ষম। পৃথিবীর কোন দেশ এইটা করেনা, দেশের নাগরিক এইটা করতে দেয়না।
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের রাজনইতিক যুক্তি থাকে,আবেগ থাকে,জন মতামতের বিষয় থাকে। সেইটার সব সময় অবজেক্টিভ আর ফেয়ার না হইলেও চলে। কিন্তু,কোর্ট এর সিদ্ধান্ত হতে হয়, নিঃস্পৃহ এবং শুধু মাত্র নৈতিকতা ও সাম্যাতার ভিত্তিতে। কিন্তু, এই কেসটাতে দেখা যাচ্ছে খুবি টেকনিকাল কিছু ইস্যু দেখিয়ে সিলেকটিভলি জাজমেনট দেয়াহইছে।
তাছাড়া, রাজনৈতিক ভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার একটা ফ্রেমওয়ার্ক ও স্ট্রাকচার আমাদের দেশে অলরেডি আছে। সেইটা হইলো সংসদ।
এবং সংসদকে এই ধরনের একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হইছে এবং বাংলাদেশের জনগণ এই সিদ্ধান্তটা নেয়ার মেন্ডেট ও দিছে আওয়ামী লীগ কে ২০০৮ এর ইলেকশানে।
কিন্তু, সরকার ওই লাইনে আগায় নাই।
এখন যেইটা করা হইছে সেটা সরকারের একটা চিপ ট্রিক।
এরশাদ এর সাথে যেমন সরকার ট্রিক খেলে,তার কেস গুলোর দড়ি টানাটানি করে তার সাপোর্টে ধরে রাখে,কাছে আনে আবার দুরে ঠেলে- সেইরকম কিছু।
আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের ভূমিকার জন্যে যুদ্ধাপরাধের এর দায়ে জামাত এ ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতি।
এইটা একটা নৈতিক অবস্থান।জামাত স্বাধীনতা যুদ্ধের শুধু বিরোধিতা করেনাই, সেই সময় হত্যাযজ্ঞে পার্টিসিপেট করছে। এবং এই ব্যপারে তাদের কোন এপলোজি নাই।তাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দে আছে সেই সব লোকজন যারা যুদ্ধের সময় রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিল এবং যারা হত্যাজজ্ঞে অংশ নিছে । গোলাম আজম নিজে,স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরে, মিডল ইস্ট এরদেশে দেশে ঘুরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার মুভমেন্ট করছে।
ফলে, এই দলের আসলেই এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই বা নৈতিক ভাবে থাকা উচিতনা।কিন্তু, এই অবস্থান টা নৈতিক হলেও তাদের রাজনিতির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্তটা সরকার , গেম প্লান করে পোষা কোর্টএর মাধ্যমে চাপিয়ে দিচ্ছে,তার পলিটিকাল কনভেনিয়েন্স এর জন্যে।
তাই এই রায়কে,শাহবাগের পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে ইলেকশন এর গেম প্লান এর একটা গুটি চাল বাদে আর বেশি কিছু রমর্যাদা দিতে পারছিনা বলেদু ক্ষিত।
এই পোস্টটা দেয়ার পর, আমার মনে হচ্ছে,হয়ত আমি আওয়ামী লিগ এর উপরবেশি হার্শ হচ্ছি।কিন্তু, বিগত২০ বছরের ইতিহাস বাদ দিলাম।বিগত ছয় মাসে আমরা দেখছি শাহবাগের গণজাগরণের পর, আওয়ামী লিগ কিভাবে যুদ্ধাপরাধ, শাহবাগ, ট্রাইব্যুনাল ,ব্লাসফেমি, ইসলামিক দল, জামাত, গোলাম আজম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব কিছু কে গুলে চটপটি বানাইছে এবং সেই চটপটি যখন বদহজম হইছে তখন তাকে আলাদা করে যখন যাকে দরকার তাকে বুকে নিছে, যখন যাকে দরকার তাকে বর্জন করছে -শুধু মাত্র ইলেকশনের বৈতরিনি পার এর কাল্কুলেশানের আলোকে।
এখন, এই ইমিডিয়েট অভিজ্ঞতার আলোকেই আওয়ামী লিগ এর সব একশনকে জাজ করতে হচ্ছে।এবং সেই নিক্তিতে আওয়ামী লিগ এর পোষা বিচার বিভাগ এরএই একশেনটা কে,সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকছেনা।
কারন, এই সেই আওয়ামী লিগ যে একদিকে জামাত থাকার অজুহাতে,বিএনপির ইফতার বর্জন করে আবার তারপর দিনই শেখ হাসিনা পুত্র জয় নিজেই আমেরিকান এম্বেসেডার এর বাসায় জামাত এর সাথে ইফতারে যোগ দেয় এবং আওয়ামী লিগ এর শীর্ষনেতৃবৃন্দ সেই একই লোক এর অফিসে গোলাম আজম এর রায় এর আগে মিটিংকরে।
ফলে, হাইকোর্ট দিয়ে রায় দেওয়াই,তার মাধ্যমে প্রেসার সৃষ্টি করে, আবারসু প্রিম কোর্ট দিয়ে আপিলক রিয়ে আবার সেইটা কান্সেল করিয়ে সরকার জামাতের সাথে গোপন অতাত করে, ইলেকটরাল এলায়েন্স করলে আমি অবাক হবোনা, বরং এইটাই আমিস্বা ভাবিক মনে করবো।
তাছাড়া, নিবন্ধ বাতিল করা আর যুদ্ধাপরাধের অপরাধের জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা জিনিষ।
একটা হইলো টেকনিকাল একটা ইস্যু এবং ভোট এর রাজনিতির হিসাব আর একটা দেশের স্বাধীন বিচার, আইন, রুল অফ ল এবং নীতির ভিত্তিতে একটা নৈতিক অবস্থান ।
একটা নীতির বিষয়ে তার নৈতিকতা বিবর্জন করে ইলেক্টোরাল গেম এর হিসেব অনুসারে যে টেকনিকাল চালবাজি ,তার বিপক্ষে যদি এখন আমরা না থাকি,তাহলে দেখা যাবে যেইদিন সরকার এর চালটা আমাদের পছন্দ হবে সেই দিন আমরা সরকার কে ভালো বলবো আর যেইদিন পছন্দ হবেনা সেইদিন সরকার বা বিচারবিভাগ এর পিন্ডি চটকাবো। এইটা একটা ভুল অবস্থান।এই ধরনের এত নৈতিকভাবে শক্তিশালী একটা আদর্শের বিষয়ে ন্যয় বিচার এবং সাম্যতা হওয়া উচিত সকল সিদ্ধান্তের মূল বেসিস।
ফলে আমি এইসব পলিটিকাল বুগিযুগির রায় এর প্রতি সমর্থন বা প্রত্যাখ্যান কোনো স্ট্যান্ড নিতে চাইনা। এবং আওয়ামী লিগএর গুটি চালে বিভ্রান্ত হতে চাইনা।
ইতিহাসের ভিত্তিতে অবিশ্বাস হলো আমার অবস্থান।এবং এইটা সেইটা টেকনিকাল পয়েন্ট ধরে, এত সিরিয়াস একটা ইস্যুতে কোর্ট দিয়ে গুটি না চেলে যুদ্ধাপরাধের এর দায়ে সংসদের মাধ্যমে আইন করে,জামাত ইসলামীকে বাংলাদেশ থেকে পার্মানেন্টলি নিষিদ্ধ করাই আমার দাবি।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হুম