নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসয়াত রহমান জিকো (Rashat Rahman Zico)

কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন।

জিকসেস

লেখালেখির কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)। বাক্য গঠন এবং বানান ভুল পাওয়া যাবে এ জন্য দুঃখিত। সেগুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেই। ফেসবুক - http://www.facebook.com/rrzico

জিকসেস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফয়সাল একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

(বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কিছু লিখব ভেবেছিলাম তারপর মনে হল একটা গল্পই লিখি। কাল্পনিক গল্প।)



একজন ক্রিকেটারের জীবনের সব থেকে বড় মূহুর্ত হল যখন সে নিজের দেশের হয়ে খেলে, নিজের দেশের মানুষের সামনে খেলে এবং নিজের দেশের মানুষের সামনে দেশকে জিতায়। মাঠে পারফর্ম করে দেশকে জিতানোর অনুভুতি কি সেটা একটা ক্রিকেটার ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। বিশ্ব ক্রিকেট এ বাংলাদেশ এমন একটা দল যারা খুব নিয়মিত ম্যাচ জিততে পারেনা। তারপরেও কিছু কিছু ক্রিকেটার আছেন যারা সেই বিশেষ মুহুর্ত গুলো অনুভব করেন। যখন আশরাফুল ১০১ করে ম্যাচ জিতান অস্ত্রেলিয়ার সাথে, যখন মাশরাফী ৪ উইকেট পান ইন্ডিয়ার সাথে।



অনেক ক্রিকেটার আছেন যোগ্যতা থাকলেও নিজের দেশের জন্য টেস্ট খেলা হয়ে উঠেনি। শহীদ জুয়েল এর ব্যাপারটা একটু বেশি ভিন্ন ছিল। যেই দেশের জন্য তার টেস্ট খেলার কথা, পাকিস্তান এর মত দলে খেলা ছিল শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার, সেই পাকিস্তান এর অন্যায়, অত্যাচার এর বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন ৯ মাস। যুদ্ধের অন্তিম কালে তিনি ধরা পরেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি তাকে হত্যা করে। পরম আদরে ও শ্রদ্ধায় তিনি এখন দেশের মাটিতে শুয়ে আছেন। তার চরম আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। যেই দেশের জন্য তিনি জীবন দিয়েছেন সেই দেশ পরে শত্রু মুক্ত হয়েছিল। সেই দেশের অনেক ছেলেই এখন টেস্ট ক্রিকেট খেলে। শহিদ জুয়েল এর সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী একজন জাহাঙ্গির তিনি শহিদ জুয়েল এর বন্ধু। জাহাঙ্গির এর ছেলের নাম ফয়সাল। গল্পটা ফয়সাল কে নিয়ে।





আর দশটা ছেলের মত ফয়সাল এর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে- এই কথাটা বলা তাও সহজ ব্যাপার আর ১০ টা ছেলের মত ফয়সাল ক্রিকেটার হবে এটা বলা এত সহজ নয়। কারন দেশের হয়ে খেলার জন্য , দেশকে জিতানোর জন্য হতে হয় সেরা ক্রিকেটার। ফয়সাল শুনেছে শচিন টেন্ডুলকার ১০ ঘন্টা প্র্যাকটিস করত। ফয়সাল ও করার চেস্টা করে। প্রতিটা শট বার বার প্র্যাকটিস করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০ কিলোমিটার এ বল আসে দেখে সে ২২ গজ নেট এ প্র্যাকটিস করেনা। ১৫ গজ এ করে। যাতে সাধারন বোলারের বল ও অনেক জোরে আসে। তার একটাই স্বপ্ন। সে দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলে বাংলাদেশ দলকে জিতাবে। গ্যালারীতে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে সবাই মেতে থাকবে। পতাকা একটা তার নিজেরও আছে। মাঝে মাঝেই মাথায় লাগিয়ে ব্যাট করে।





ফয়সাল এর ক্রিকেট ভক্ত বাবার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ এ খেলবে।

পুরা বাংলাদেশ জাতি যখন ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপ এ বাংলাদেশ কে দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিল তখনই কেনিয়া এর কাছে ১৩ রান এ হেরে জাতির স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়, স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা ফয়সাল এর বাবাকেও স্পর্শ করে। ফয়সাল তখন অনেক ছোট। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি তে বাংলাদেশ এর স্বপ্নপুরন হয়। আকরাম খান মাত্র ৬৭ রান এর একটা ইনিংস (হল্যান্ড এর সাথে) এর উপর দাঁড়িয়ে যায় পুরা বাংলাদেশ এর স্বপ্ন। ফাইনালে কেনিয়াকে হারাল বাংলাদেশ। সমগ্র বাংলাদেশ তখন আনন্দে মাতোয়ারা।



এর কিছু বছর পরে ফয়সাল এর বয়স যখন ১৭ তখন ঢাকাতে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ। কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে গড়ে তুলছে ফয়সাল। ৪ নম্বর পজিশনটা তার দারুন পছন্দ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোচ সব প্র্যাকটিস ম্যাচ এ তাকে ৭ নম্বরে নামায়। বল কম পায় সে। একটা খেলায় কোন বল ফেস করার আগেই রানআউট হয়ে গেল। ৪ নম্বর পজিশন এর জন্য ফয়সাল ছাড়া আরেকজন যে দাবিদার সে আবার সাবেক এক ক্রিকেটার এর ছেলে। দল ঘোষনা করার ৩ দিন আগে তার বাবা মারা গেলেন। সেই শোক কাটাতে না কাটাতেই ফয়সাল একটা অদ্ভুত কথা শুনল। টিম এ সুযোগ পেতে হলে নাকি তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি ইহলকের মায়া ত্যাগ করেছেন। ক্রিকেট খেলাটা ফুটবল খেলা না যে গোলাকার কোন বস্তু পাইলেই খেলা যায়। অনেক ব্যায়বহুল একটা খেলা। অল্প বয়স্ক কারো যখন বাবা মারা যায় তখন তার অভিভাবকের অভাব হয় না। ফয়সাল এর বেলাতেও তাই হল। যেহেতু সে টাকা দিতে না পারায় দলে সুযোগ পেলনা তারপরে তার চাচারা তাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলা শুরু করল। ঐসব ঢঙ্গের খেলা বাদ দিয়ে অন্য কিছু কর। ফয়সাল কি করবে বুঝল না। কিন্তু খেলাটা আপাতত বন্ধ করতে হল।



ক্রিকেট তার অনেক আগ্রহের ব্যাপার সেটার প্রতি আর কোন গুরুত্বই থাকলনা। পরিবারে আছে মা আর বোন। বাবার জমানো অল্পকিছু টাকা নিয়ে আর দশজনের মত তখন সে মালয়েশিয়া তে চলে গেল। মালয়েশিয়া তে তার নিজের প্রিয় ব্যাট আর বাংলাদেশ এর একটা পতাকা তার সাথেই ছিল। এই পতাকাই মাথায় লাগিয়ে ব্যাটিং এ নামার চেস্টা করত ফয়সাল। মালয়েশিয়াতে শ্রম জীবন শুরু হল। কষ্টের জীবন কিন্তু টাকা পয়সা উপার্জন হচ্ছে। টাকা দেশে পাঠালে মা বোন খেতে পারছে। এভাবে আরো বছর ঘুরার পর একদিন ক্রিকেট খেলার একটা সুযোগ পেল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে পাকিস্তান ভারত আর বাংলাদেশিরা মিলিত টিম হয়ে খেলবে। ফয়সাল যে কোনকালে ক্রিকেট খেলেছে সেটাও তখন কেউ জানেনা। হটাত করে একটা টিম এ প্লেয়ার কম ছিল তাই ফয়সাল কে নামিয়ে দেওয়া হল। শেষের দিকে ব্যাটিং এ নামল কিন্তু ব্যাটিং করে জিতিয়ে দিল দলকে। তার পরের দিন এ সে যে কম্পানিতে চাকরী করে তার মালিক মালয়েশিয়ার স্থানীয় একটা ক্লাব এ ফয়সাল কে খেলানোর ব্যাবস্থা করে দিল কারন মালিকেরই ক্লাব সেটা। মালয়েশয়া এমন কোন বড় শক্তি না কাজেই আসতে আসতে ফয়সাল মালয়েশিয়ার মুল দলে সুযোগ পেল।



পরের এশিয়া কাপ বাংলাদেশ মালয়েশিয়া আর পাকিস্তান যখন একই গ্রুপ এ পড়ল তখন ফয়সাল ছাড়া আর কারোরি ব্যাপারটা নিয়ে অতিরিক্ত খেয়াল ছিলনা। বাংলাদেশ পাকিস্তান এর আস্থে হারলেও জানা কথা মালয়েশিয়া কে হারাবে। বাংলাদেশ এর সাথে খেলার আগের দিন মাসুদ একবার তার ব্যাটটার দিকে তাকালো, প্রিয় ক্রিকেটার খালুদ মাসুদ পাইলট এর অটোগ্রাফ ব্যাট তে। খালেদ মাসুদ যে তার প্রিয় বাংলাদেশ কে জিতানোর জন্য একবার বলেছিল তার প্রিয় কাউকে জানি আল্লাহ তুলে নেন (১৯৯৭), সেটা আর সবার মত ফয়সাল এর মনেও গভীর দাগ ফেলেছিল। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া খেলায় আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ২৩০ রান করল। এটা বেশিও না কমও না। ফয়সাল যখন ব্যাট করতে যাবে তার আগ পর্যন্ত ড্রেসিং রুম এ তার বাংলাদেশ এর পতাকাটাই ধরে ছিল। মালয়েশিয়া এর ক্যাপ্টেন সেটা দেখলেও কিছু বলেনি। এই ছেলেটাকে সে চিনে। সে একটু এরকম ই। ফয়সাল ব্যাট করতে নামল। খুব অবাক করা ব্যাপার তার ব্যাটিং করতে খুব সমস্যা হচ্ছে না। সাকিব রাজ্জাক মাশরাফি সবাইকেই সে টাইমিং করতে পারছে। সবাই অবাক হয়ে দেখল আসতে আসতে শেষ ওভার চলে আসছে মালয়েশিয়া এর হাতে তখন মাত্র এক উইকেট রান লাগবে দশ। শাফিউল বল করতে আসলে চার বল এ চারটা ডাবল আর একটা মিস করার পর এখন শেষ বলে লাগে মাত্র ২ রান। ফয়সাল মনে মনে বিড় বিড় করতে লাগল। বাংলাদেশ হারলে তার পরকালে বাবা যে মনে অনেক কষ্ট পাবেন। গ্যালারীতে এত এত বাংলাদেশি দর্শক। সবাই লাল সবুজ পতাকা হাতে। শাফিউল বল করতে আসল। ফয়সাল গ্রিপ দেখল। হা শাফিউল স্লোয়ার দিবে। বল হল, ফয়সাল খেলল, ৬। অপ্রত্যাশিত ব্যাপার। মালয়েশিয়া এর কাছেই হেরে গেল বাংলাদেশ।



ফয়সাল টিম জিতানোর পর ড্রেসিং রুম এ যাওয়ার সময় অনেক বার বেইমান বেইমান শব্দটা শুনতে শুনতে গেল। ড্রেসিংরুম এ ২০ মিনিট বাংলাদেশ এর পতাকাটা নিয়ে ঝিম মেরে থাকল।



পরের দিন এ ফয়সাল মালয়েশিয়ান ক্রিকেট বোর্ড কে জানিয়ে দিল তার পক্ষে আর ক্রিকেট খেলা সম্ভব না। ফয়সাল তার পুরানো কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেল।









মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৭

ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: এইটা কি গল্প না সত্যি কাহিনী?

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

জিকসেস বলেছেন: বাংলাদেদশ তো কখনও মালয়েশিয়া এর কাছে হারেনাই।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

সাজিদ বলেছেন: এটা কি? বাংলাদেশ কি কখনও মালয়শিয়ার কাছে হারসে?

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

জিকসেস বলেছেন: না হারেনায়। সম্পুর্ন কাল্পনিক।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

জিনিয়া_ইসলাম বলেছেন: এত লেখা কবে পরব?

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫

জিকসেস বলেছেন: আফসুস।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: তা বুঝলাম। কিন্তু ফয়সালের কাহিনীটা কি আগাগোড়া সত্যি নাকি আপনি একটা গল্প লিখলেন বেসড অন আ ট্রু ইভেন্ট?

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫

জিকসেস বলেছেন: আমি একজনের কাছে শুনেছিলাম বয়স ভিত্তিক দলে দূর্ণীতি হয়। ব্যস ঐটা মাথায় রেখেই লিখে ফেললাম।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

রাজসোহান বলেছেন: সুন্দর গল্প , ব্যাপার হলো অনেকেই বিশ্বাস করে বসে আছে !

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

জিকসেস বলেছেন: হুম।

তাই তো দেখতেসি।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

রাজসোহান বলেছেন: ট্যাগ এ লিখে দেবেন গল্প , নৈলে অনেকে বিশ্বাস করে বসে :#)

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

জিকসেস বলেছেন: ওকে।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

এস.বি.আলী বলেছেন: ভাই এত সুন্দর আর বাস্তব করে লিখেছেন.........কি বলব। চোখে পানি এসে গেলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

জিকসেস বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

বাস্তব এর থেকেও কষ্টের।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

হা...হা...হা... বলেছেন: মনে হচ্ছে এটি একটি গল্প। কারণ সাকিব মাশরাফিরা মালয়শিয়ার বিপক্ষে কোন ম্যাচ খেলেছে বলে মনে পড়ে না।

যাই হোক। গল্প ভাল হইছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

জিকসেস বলেছেন: কাল্পনিক বললাম তো।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৪

অগ্নিলা বলেছেন: রাজসোহান বলেছেন: ট্যাগ এ লিখে দেবেন গল্প , নৈলে অনেকে বিশ্বাস করে বসে :#)

এই কথাটা আমিও বলছি জিকো। তুমি সত্যের খুব কাছ দিয়ে লিখ, একদম সত্য মনে হয়।

Anyways, Nice Job!

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৬

জিকসেস বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৬

অবিবর্তিত বলেছেন: আহারে আমাদের প্লেয়ার যেমন ব্লগার ও তেমন। বিশ্বাস কইরা বইসা আছে।

গল্পটা স্রেকম হইসে। সবাই সেজন্যই বাস্তব মনে করসে।

লেখকরে +

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৭

জিকসেস বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং প্লাস।

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৬

গুরুজী বলেছেন: ফাডালাইচেন ভস।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৮

জিকসেস বলেছেন: তোমারে নিয়া লেখা ৯ অগাস্ট। এর আগে ইমসশন আসবেনা।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৭

অ্যামাটার বলেছেন: গল্প! আমি তো সত্যি মনে করেছিলাম!
তবে ক্রিকেটের জন্য দেশান্তরি হওয়ার রেকর্ড আছে অনেক। গ্রায়েম হিক। আবার টাকার জন্যও হয়েছে অনেক; মারে গুডুইন, গাই হুইটাল, নিল জনসন...
এইদিক থেকে স্টিভ টিকোলো সৎ। টিকোলোর দূর্ভাগ্য, এত প্রতিভা সত্বেও টেস্ট খেলতে পারেনি।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৯

জিকসেস বলেছেন: গল্পের জনেরটা পুরাই ভাগ্যের পরিহাস। এবং পলিটিক্স।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১২

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: গল্প ভালোলাগলো। কোন খেলোয়াড় যদি নিজের দেশের জন্মভূমির বিরুদ্ধেও খেলে তার সর্বস্ব উজাড় করে খেলা উচিত কেননা তাকে বিশ্বাস করে দলে জায়গা দেওয়া হয়।


পুনশ্চঃ শফিউল এবং খালেদ মাসুদ কখনো একসাথে জাতীয় দলের হলে খেলেননি

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৩

জিকসেস বলেছেন: এইখানেও খেলতেসেনা। খালেদ মাসুদ তার আইডল এইযা। ঐ টিম এ খালেদ মাসুদ খেলতেসেনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৫

জিকসেস বলেছেন: খালেদ মাসুদ শেষ ওডিয়াই কেহ্লসে ২০০৬ এর নভেম্বর এ জিম্বাবুয়ে এর সাথে আমি নিজেই স্টেডিয়াম এ ছিলাম। শাফিউল তো আসলই সেইদিন।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৬

জিকসেস বলেছেন: ফয়সাল এর ব্যাপারটা ঐরকম ই । যেহেতু বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে খেলতে চায় না তাই খেলাই ছেড়ে দিল।

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:১০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন: সুন্দর গল্প, সুন্দর বিন্যাস ।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩

জিকসেস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

খেক খেক বলেছেন: ভাল লেগেছে

২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৩৪

জিকসেস বলেছেন: :)

১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৪

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ফয়সাল বেঈমানী করতে পারতো কিন্তু করে নাই, এইটাই তার পরিচয়। সে যে সত্যিকার বাঙ্গালী।+++

২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৪৯

জিকসেস বলেছেন: :)

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪১

একলোটন বলেছেন: ভয় ই পাইয়া গেছিলাম।তা যাউক গা =p~
নিচে দেহেন তো________________________________________
আবর্ত, মেঘপুষ্কর, মেঘদ্রোহা, মেঘসংবর্ত, মেঘসিদুরে, মেঘধূলি, মেঘবাদল, মেঘস্তর, মেঘপুঞ্জ :-P
পারছি?

২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৭

জিকসেস বলেছেন: আরে আমি তো ইংরেজি তে পড়ি। বাংলা ত দেখি তার থেইকাও কঠিন। আফসুস।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪৬

নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বলেছেন: গল্পটা অনেক অনেক সুন্দর।

++++++++++

ক্রিকেট কর্মকর্তাদের দূর্ণীতি এভাবে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আর কাল্পনিক ফয়সালের মতো ব্যক্তিদের স্যালুট।

২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৭

জিকসেস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৪৮

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: ভাল গল্প।আমাদের টেস্ট স্ট্যাটাস বাদ দেওয়া উচিৎ। আর কত লজ্জা!

২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:০০

জিকসেস বলেছেন: হে হে। এমনিতে নেদারল্যান্ড অবশ্য কালকে জিম্বাবুয়ে কে হারাইসে।

২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:০৯

শায়মা বলেছেন: আমি তো খেলাধুলা পোস্ট ভেবে চলে যাচ্ছিলাম। পরে দেখি গল্প।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:১৬

জিকসেস বলেছেন: খেলাধুলা নিয়েই গল্প।

২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:১২

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:১৬

জিকসেস বলেছেন: :)

২২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১১

বাদ দেন বলেছেন: আজ়াঈড়া গপ্প।

হেতে খেলা ছাড়ব কেন।

নভুন করে শেষ টা লিখেন নয়ত মাইনাস দিমু X( X( X( X( X( X( X( X( X( X( X(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

জিকসেস বলেছেন: :(

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

জুবায়ের হাসান বলেছেন: অনেকটা আমাদের আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মিল আছে, তবে গল্পের পরের দিকে। খেলা ছাড়ার পর বাংলা বোর্ডের কাছে পাত্তা না পেয়ে সে এখন চীনে কোচিং করাচ্ছে। পরে কি হয় জানিনা............

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩২

জিকসেস বলেছেন: হা হা হা

২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৩৮

লিলি বিন্‌তে সো্লায়মান বলেছেন: ..............ভালো লেগেছে গল্প, কষ্ট ও পেয়েছি পড়ে....

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৩

জিকসেস বলেছেন: :(

২৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৮

দ্যা ডক্টর বলেছেন: কলেজে আমার এক বন্ধু ছিল, ফরহাদ/ফয়সাল নাম (নামটাই ভুলে গেছি :) )। চময়য়কার বাঁহাতি ওপেনার, ডানহাতি সিমার। সে প্রায়ই খুব দুঃখ করে বলত তার কোন জ্যাক নাই বলে জাতীয় পর্যায়ে যেতে পারছেনা। নাইলে সমসাময়িক নাফিস এর আগেই সে চট্টগ্রাম থেকে বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে চান্স পেত। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাই এভাবে অযত্নে নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার গল্পটা সুন্দর।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪০

জিকসেস বলেছেন: সেই নষ্ট হওয়ার তালিকায় আমিও আছি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২১

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন: ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত যখন চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগের হয়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলতাম তখম দেখতাম স্বজনপ্রীতি আর দূর্নীতি কাকে বলে। প্রথমবার তো নিজ যোগ্যতায় ১৬ জনের দলে সুযোগ পাওয়ার পরও তিন ম্যাচের মধ্যে এক ম্যাচও একাদশে জায়গা পাইনি। চোখের সামনে দেখতাম অমুকের ছেলে, তমুকের ভাই বলে অনেকে একাদশে ঢুকছে। একবার তো দেখলাম দুইজন উইকেট কিপার রাখল একাদশে, একজনকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয় বলে। টুয়েলভ ম্যানের তকমা লাগিয়ে প্রথমবার পার করলেও দ্বিতীয়বার থেকে আর উপেক্ষা করতে পারেনি। পারিবারিক অনিচ্ছা আর পড়াশুনার চাপ মিলিয়ে সে জীবনটা ফেলে এসেছি বছর দুয়েক আগে। তবুও সেই জীবনটা মিস করি। সেই জার্সি গুলো আমার জীবনের পরম প্রাপ্তির অন্যতম।


আপনার গল্পটা দারুণ। পড়ার পর মনে হল ফয়সাল হতে পারলে ভাল হয়। ইসসস যদি আরেকটা জীবনের সুযোগ পাওয়া যায়!!!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:১৩

জিকসেস বলেছেন: )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.