নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শখের সাহিত্য\nবই বলতে আমি পাঠ্যবই এর বাইরে কিছু বুঝি না। বোঝাই যাচ্ছে গল্পের বইয়ের সাথে দা কুমড়ার সম্পর্ক। যা লিখি নিতান্তই মনের কথা প্রকাশ করতে। এতটুকুই আজ।

জিহাদ ফারুক

এই বিশাল দুনিয়ার একজন ক্ষুদ্র মানুষ আমি । তাই আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের মানুষের সম্পর্কে বলার মত কথাও ক্ষুদ্র ।পৃথিবীর এই বিশালত্বে আমি আমার ক্ষুদ্রতা নিয়ে এগিয়ে যাই হাটি হাটি পায়ে ।

জিহাদ ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিচ্চির চকলেট

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১

সকাল ১১.৩০ টা বাজে , মানে এখন আমার দ্বিতীয় ধাপ ঘুমের সময় । কম্বল এর নিচে যেই না ঢুকতে যাব তখনই পর্দার ভিতর দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে পাশের বাসার পিচ্চি মেয়েটা ফিস ফিস করে বলল

জিহাদ ভাইয়া ।

এই পিচ্চি আসা মানে দুনিয়ার সব ঝামেলা সাথে নিয়ে আসা । তাই একে উপেক্ষা করেই কম্বল এর নিচে ঢুকলাম ।

কিন্তু পিচ্চি গুলো কি আর ক্ষান্ত হয় । অনবরত ডাকতেই লাগল ,

-জিহাদ ভাইয়া , জিহাদ ভাইয়া ।

-ঐ পিচ্চি তোমাকে না বলছি ঘুমের সময় dstrb করবা না?

-এখন কি ঘুমের সময়?

-হ্যাঁ ঘুমের সময় । বড় মানুষরা এখন ঘুমায় , যাও ।

-ভাইয়া শোনেন না ।

-উফফ ... বল কি হইছে ?

-হুমায়রা আপু কই?

-স্কুলে গেছে ।

-আপনার আম্মু কই?

-আমার আম্মুকেই রান্নাঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস কর যে উনি কই ।

-ভাইয়া বলেন না

-আরে বাবা রান্নাঘরে , কেন ? কি হয়েছে ?

পরে বলব , আন্টি গেলে ।

-হায়রে অবস্থা , যাও ।



একটু পর আম্মু ছাদে যাচ্ছিল , আম্মু যাওয়ার ১ মিনিটের মধ্যে আবার দৌড়ায়ে আসছে ।

-ভাইয়া , ভাইয়া

-কি হইল আবার ?

এইটা নেন ।

এই বলে আমাকে একটা চিঠি ধরায়ে দৌড় দিল । আমি হা করে তাকায়ে রইলাম চিঠির দিকে । এই পিচ্চি ক্লাস ওয়ানই পার করল না আর এখনই চিঠি দেয় , তাও আবার লুকায়ে । আমি থতমত খেয়ে চিঠি খুললাম । চিঠির শিরোনাম ছিল “কথা বলা ” । শিরোনাম দেখে তো আরো টাস্কি ।নানা চিন্তার ঘুরপাক পেরিয়ে চিঠি পড়তে লাগলাম –

“কি করেন,

ভাল থাকেন ,হ্যালো হাই বাই বাই ।

খোদাহাফেশ ।

চকলেক চাই , ঐ যে শিলেট থেকে আনছেন ।

৫টা ভাল দেখে , পিলিশ ।

কুছু মনে করবেন না, আমার আম্মুকে বলবেন না ,পিলিশ ।

হ্যালো , হাই বাই বাই । ”

আমি চিঠি পড়ে হাসতে হাসতে শেষ । আম্মু এসে বলে কি হইছে ?

আমি বললাম , আগে ঐ পিচ্চিরে চকলেট দিয়ে আস নাইলে হাসাতে হাসাতে মেরে ফেলবে sure ।

এই পিচ্চিগুলোই আমাদের শত ব্যস্ততার মাঝে একটু আনন্দের স্পর্শ এনে দেয় । কখন যে কি করবে বুঝে উঠতে পারি না, কিন্তু সব শেষে হাসাবে ঠিকই । পাথরের বুক চিরে পানি বের করতেও এদের বিন্দুমাত্র বিলম্ব হবে না ।আল্লাহ তুমি সত্যিই মহান যে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন একটি সময় দিয়েছ , তোমাকে ধন্যবাদ ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

In2the Dark বলেছেন: মজা পেলাম :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.