নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Comment Banned

সাবধান!! এখানে সিআইএ-র গোপন ক্যামেরা আছে

বিদগ্ধজন

আপাতত সবচেয়ে বড় হরিদাস পালের কুনজরে আছি।

বিদগ্ধজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর বিয়েপূর্বক প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে কিছু আপাত (প্রকৃত) প্রলাপ

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৫

আজকাল সিনেমা দেখে এবং নিম্নস্তরের উপন্যাস পড়ে আমরা প্রেম বা ভালোবাসার নামে কেমন জানি পাগল হয়ে পড়েছি। প্রেম-ভালোবাসার উচ্চস্তরের বিষয়ে। এটা মানুষের জীবনের কাম্য হওয়া উচিত, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসার নামে বিশেষ করে আধুনিক সমাজের যে অভিশাপ আমাদের জীবনে নেমে এসেছে তা সত্যিই ভয়াবহ। আমাদের বর্তমান সমাজ অত্যন্ত অবিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত। এর ফলে নারীরাই বেশী কষ্ট ভোগ করতে বাধ্য হয়; বিশেষ করে প্রেমের ব্যাপারে।



নারী-পুরুষের আকর্ষণ স্বাভাবিক। বিয়ের আগে কৈশোরে ও যৌবনের প্রথম অবস্থায় মন থাকে অত্যন্ত রোমান্টিক ও আকর্ষণশীল। ফলে যে কোনো পুরুষের প্রতি এই সময়ে আকর্ষণ বোধ করা অস্বাভাবিক নয়। সিনেমা, পত্রিকা, উপন্যাস ও অন্যান্য মাধ্যম এই আকর্ষণকে অন্ধ করে তোলে। ফলে বিচার করে হৃদয় দান করবার মতো শক্তি ও অবস্থা তার থাকে না। সমাজে সৎ লোকের সংখ্যা খুব বেশী নয়। ফলে শতকরা বহু ক্ষেত্রে অসৎচরিত্র ও অবিবেচক পুরুষের প্রলোভনে সরলমতি মেয়েরা তাদের হৃদয় দান করে সর্বনাশ ডেকে আনে।



এই হৃদয়দানের ফলে পবিত্র ও অপবিত্র যাই হোক না কেন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এটা অসাফল্যে পর্যবসিত হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে পুরুষরাই এই হৃদয়দানকে তুচ্ছ করে অন্য নারীর দিকে আকৃষ্ট হয়। বহু ক্ষেত্রে পুরুষরাই একে সামাজিক খেলা মনে করে একের পর এক বহু মেয়ের সর্বনাশ করে। আবার বহু মেয়েই বুঝতে পারে, অল্প বয়সের প্রেম মোহ ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বভাব, চরিত্র, আদর্শ, অবস্থা, শিক্ষা ইত্যাদি বহু বিষয়ে মিল না থাকলে প্রেম হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিশাপ। ফলে পুরুষের নিষ্ঠা সত্ত্বেও অনেক নারী মন উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয়। আবার বহু ক্ষেত্রে বিজ্ঞ অভিভাবকগণ তাদের মিলনের অযৌক্তিকতা বুঝতে পেরে বাধা হয়ে দাঁড়ান।



কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকগণও অবিবেচনা ও হৃদয়হীনতার পরিচয় দেন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপাত্রে প্রেমদান বা নিবেদন করার জন্যে নারী যে প্রথম বয়স থেকেই অভিশপ্ত হয়, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এরূপ প্রেমগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীর লেখা-পড়ার-যে সর্বনাশ ঘটে তাও সর্বজনবিদিত। এই প্রেমযজ্ঞে পুরুষের চাইতে নারীর ক্ষতি বেশী হয়। পুরুষ দুশ্চরিত্র হলেও সমাজে অপাংক্তেয় নয়। তার বিবাহ বা পুনঃপ্রেম ঠেকে না। কিন্তু নারীর বেলায় এটা মারাত্মক। একবার যদি সে হৃদয় দান করে, পবিত্র হোক কিংবা অপবিত্র হোক, তার আর কোনো উপায় থাকে না। বাইরে তার অফুরন্ত বদনাম হয়। অন্য কোনো পুরুষ তাকে বিয়ে করতে এগিয়ে আসে না। শতকরা ৯৫ টি ক্ষেত্রে বাল্য বা কিশোর কালের প্রেম অসফল হয় বলে শতকরা ৯৫ টি প্রেমেপড়া নারীরই জীবন হয় অভিশপ্ত ও অপমানকর।



হৃদয়ে একবার দাগ কাটলে সে দাগও সহজে মোছে না। বিশেষ করে সারল্য যার আছে। অসফল প্রেমের পর তেমন কোনো মেয়ের বাইরে বিয়ে হলে সেই বিয়েও জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করে। পূর্বে অন্যদিকে আকৃষ্ট মন নতুন স্বামীকে আপন করে নিতে অনেক ক্ষেত্রেই অপারগ হয়। পুরুষ হয় সন্দেহশীল। অমিল ও তাচ্ছিল্যে ঘর হয় বিষময়। এর মারাত্মক ফল সন্তান সন্ততি পর্যন্ত গড়ায়। অসন্তুষ্ট স্বামী হয়ত চরিত্রহীন হয়ে বাইরে ঘোরে, নয়তো অন্য বিয়ের জন্য পাগল হয়ে ওঠে। নারীরও শেষ পর্যন্ত নিজের সত্তা পংকিল আবর্তে বিলীন করে দিতে বাধ্য হয়। নিজের জীবনের উপরও সে শ্রদ্ধা ভালোবাসা হারিয়ে ফেলে তিলে তিলে মরণের দিকে এগিয়ে যায়।



নারী-পুরুষের সম্পর্ক যেমন স্বাভাবিক, তেমনি জটিল। মানুষের শান্তির প্রায় ৮০ ভাগই নির্ভর করে এই সম্পর্কের উপর। এজন্য বিভিন্ন বয়সে এবং বিভিন্ন পরিবেশে পরষ্পর সম্পর্কের রূপ কি হবে তা নির্ধারণ ও অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যকরণীয়। অথছ এমন একটি বিষয়ে আমাদের স্কুল-কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দেবার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে অনকেটা আনাড়ীর মতোই হাতড়াতে হাতড়াতে আমাদের তরুণ-তরুণীরা ঘর সংসার পাততে অগ্রসর হয়। এমন গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয়ে অশিক্ষিত থাকার দরুন পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে তারা ভুল করে বসে। ভুল না করলেও বিবাহিত জীবনে পরস্পর সমঝোতার অভাবে স্বামী-স্ত্রী এবং গোটা পরিবারের পরিবেশ দারুণ তিক্ততায় ভরে ওঠে। ফলে, যে কারণে পরিবার শান্তির নিকেতন রুপে বিরাজ করতে পারত, তাই হয়ে ওঠে অশান্তি ও তিক্ততার কেন্দ্র। এই তিক্ততা যে শুধু নিজ পরিবার বা পার্শ্ববর্তী পরিবারেও প্রভাব বিস্তার করে তা নয়- ছেলে-পিলের মারফত ভবিষ্যত বংশধরদের মধ্যেও একটা খারাপ উদাহরণ রূপে এটা কাজ করে থাকে। আর এজন্যেই তো প্রায় পরিবারে অনেক নারী-পুরুষকে বলতে শোনো যায়: বিয়ে না হলেই ভালো হত; আগে যদি বিয়েকে এত ঝামেলা ও অশান্তি বলে বুঝতে পারতাম, তাহলে বিয়েই করতাম না। জীবনের সর্ববিষয়ে মানুষকে শিক্ষিত ও উপযুক্ত করে তোলাই তো শিক্ষার উদ্দেশ্য। কিন্তু জীবনের শান্তি-অশান্তি, উন্নতি-অবনতি, এমন কি চরিত্র পর্যন্ত যে বিয়ে ও পারিবারিক জীবনের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে সে বিষয়ে আমরা কোনো শিক্ষাই দেই না। শিক্ষাজীবনে এর চাইতে লজ্জাকর প্রহসন আর কি হতে পারে।



আমাদের সমাজে প্রেমের পাত্র নির্বাচন অত্যন্ত দুরূহ বিষয়। বিশেষ করে নারীর পক্ষে। আগুনের দিকে পতঙ্গের আকর্ষণের মতো এটা অধিকাংশ মেয়েকে পুড়িয়ে মারে। রূপ দেখে বা দেহ-ভঙ্গি দেখে হৃদয় ও গুণগত বিষয়ের দিকে লক্ষ্য না করে তথাকথিত অন্ধ প্রেম করার ফল যে সমাজে কত মারাত্মক হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত প্রায় প্রতিটি পরিবারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই বুঝতে কষ্ট হবে না।



অনেকে প্রেমের ব্যাপারে হয়তো পাশ্চাত্যের নজির আনবেন। প্রেমে পড়ে বিয়ে হওয়া ভালো। কিন্তু পাশ্চাত্যে শতকরা ৭০ ভাগ প্রেমে পড়া বিয়ে যে কার্যত অসফল হয়, তা কারো অজানা নয়।তথাকথিত প্রেমে গুণের বাছ-বিচার নেই বলে দেহের চাইতে গুণের প্রতি আকর্ষণ কম বলে আমাদের দেশে সামন্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রেমের বিয়ে সাধারণত ঘৃণায় ও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।



তবে একথা ঠিক যে, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কিছু নারী আছেন, যাদের জীবন আদর্শস্থানীয়। যারা অন্য নারী ও পুরুষদের সম্মান ও মর্যাদা দেন, যারা পরানুকরণ ও প্রদর্শনীবাতিকগ্রস্থ নন। সমাজে নারী শিক্ষিত হবে, পর্যাপ্ত স্বাধীনতা ভোগ করবে, দেশের ও সমাজের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেবে। অবশ্যই তার মনের শান্তি ও মর্যাদা রক্ষা করে । এটাই সকলের মনের কাম্য হওয়া উচিত। সত্যিকার শিক্ষার সঙ্গে নারী নিজের শক্তি যোগ না করলে আমাদের কল্যাণ নেই।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২১/-১৭

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৯

লুথা বলেছেন: ++

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৩

বিদগ্ধজন বলেছেন: সম্পূর্ণটা পড়ে থাকলে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫১

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: "অনেকে প্রেমের ব্যাপারে হয়তো পাশ্চাত্যের নজির আনবেন। প্রেমে পড়ে বিয়ে হওয়া ভালো। কিন্তু পাশ্চাত্যে শতকরা ৭০ ভাগ প্রেমে পড়া বিয়ে যে কার্যত অসফল হয়, তা কারো অজানা নয়।"

বাংলাদেশে শতকরা প্রায় একশ' ভাগ বিয়ে অসফল। একসাথে দু'জন প্রায়-অপরিচিত মানুষ থাকে, সঙ্গম করে সমাজ ও ধর্মের তাগিদে। ভালোবাসা দেখি না কারো চোখেমুখে।

নারীজাতির উন্নতিকল্পে ক্ষান্ত না দেয়ায় বাহবা দিচ্ছি। আশা করি সারাটা জীবনই আপনার "রসাতলে গেল, পাছা দেখা যায়" বলে কাটুক।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫২

যুগান্তকারী বলেছেন: বহুত বড় পোস্ট।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:২০

বিদগ্ধজন বলেছেন: পড়েছেন তো ভাই?

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৪

অরণ্যদেব বলেছেন: নারী ছাড়া আরকিছু পান্না?নারী আপ্নেরে লৈয়া কয়ডা লিক্ছে? মাইনাচ।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৫

অরণ্যদেব বলেছেন: ভাই "সোজা কথা", ইদিকে এট্টু আসেন্তো, বিদগ্ধর আবার্মৃগি উটছে..

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৬

ঋফায রহমান বলেছেন: সত্যি ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০২

বিদগ্ধজন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৮

dvWfu বলেছেন: ভালো একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখায় চিন্তার খোরাক আছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:১৮

বিদগ্ধজন বলেছেন: সেটা যারা আপনার মতো তাদের জন্য।পাগল-ছাগলদের জন্য নয়।পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৮

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: @অরণ্যদেবঃ ইহাকে কি ইরিটেটিং ইরোটোপিলেপ্সি বলা যাইতে পারে?

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:১৩

অরণ্যদেব বলেছেন: @ট্র্যানজিস্টার। হ, তা বলা যাইতেইপারে। তয় মোক্ষমৈতারে ইরিটেটিং ফাঙ্গিসাইটেশনিকস্ বা মর্যকামীনারীআস্বাদনেচ্ছাপোষনকারী বিকৃতাকাঙ্খি বলা!

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৫০

বিবাগী পুরুষ বলেছেন: আপনার এই পোস্টের বিরুদ্ধে লুচ্চাগুলো কিছু বলতে পারবে না। তাহলে লুচ্চাগুলোর স্ববিরোধী আচরণ করতে হবে।অবশ্য ওই হালাগো সবই পারে।

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৫৬

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @ট্রাঞ্জিস্টার

লেখকের পোস্টটা কেন বুঝলেন না, বুঝলাম না।
উনি প্রেমের বিয়ের বিপক্ষে যান নি বোধহয়।
উনি "মেয়েদের কম বয়সে অকাল্পক্ক্ব প্রেম" এর কথা বুঝিয়েছেন।

প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ প্রেমে পড়লে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের মধ্যে এমন স্মপর্ক করে নেয় যেন ভবিষ্যতে ভাল থাকতে পারেন। কিন্তু, কিশোরী বয়সে একটা মেয়ে সেটা বোঝেনা। হিন্দী ছবির অন্ধ অনুকরণে সিগারেটে বড়ো করে টান দেয়া হেলেটার প্রেমে হাবুডুবু খায়। ছেলেটা সম্পর্কে কিছু না জেনেই।

আর প্রদর্শনীমূলক চিন্তাধারার কথা আশা করি বলতে হবেনা।

স্কুলে সামনের রোলের ছেলেটার সাথে প্রেম করে মেয়েটা বুঝল সে ভুল করছে, ছেলেটা অযোগ্য। এখনও বাচ্চা। তাই কলেজে উঠেই এলাকার বড় ভাইয়ের সাথে প্রেম করল। কিন্তু, সেও ভাল না। সে নাকি বেকার। এটার ভবিষ্যত নাই। ভার্সিটিতে উঠে বাইক নিয়ে আসা ছেলেটার প্রেমে পড়ল। এবার কয়েকদিন পড়ে, ছেলেটাই তাকে ছেড়ে গেল। মেয়েটা নাকি বেহায়া।

মেয়েটা এবার প্রাপ্ত বয়স্ক হল।
এই বয়স পর্যন্ত এভাবে নষ্ট না হয়ে কীভাবে মূল্যবোধ বজায় রাখা যায়, সেটা আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় শেখানো হয় না। এটা আমাদেরই পশ্চাতপদতা।


পোস্টটায় চিন্তার খোরাক আছে। ভাল লেগেছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:০৯

বিদগ্ধজন বলেছেন: কাকে কি বলেন?আপনি যদি শূয়োরকে ডাকেন গোলাপের সৌন্দর্য দেখার জন্য শূয়োর কিন্তু আবর্জনার ঘ্রাণই নিবে।

অনেক ধন্যবাদ মূলবক্তব্য বুঝার জন্য।

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:১৩

মোহাইমেন বলেছেন: ভালো লিখছেন +
তবে নৈতিকতা, সামজিকতা, মুল্যবোধ টিকিয়ে রাখতে হলে সবারই উচিত নিজের গন্ডী থেকে চেষ্টা করা। নিজের বোন, ভাগ্নীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমাদের সমাজের গোড়ায় পচন ধরেছে, এবং এটি খুব অল্প সময়ে অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে :(

নৈতিকতায় ছেলেরাও অধ:পতনে নেমেছে। এটাও কিন্তু একটা গুরুতর ব্যপার।

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:২৭

বিদগ্ধজন বলেছেন: ধর্মীয় মূ্ল্যবোধ জাগ্রত না হলে এই অধঃপতন ঠেকানো সম্ভব নয়।

চুতিয়ারা আবার তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল কি না।

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:১৭

মামু২ বলেছেন: সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রেম কইরোনা দেহের শনে
আত্বার শনে ছাড়া....

১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:০৯

অচেনা সৈকত বলেছেন: আপ্নেরে সোয়াত প্রদেশের নারী বিষয়ক মন্ত্রী করা দরকার।

১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৩৭

মোতাব্বির কাগু বলেছেন:

ভাই আমি কিন্তু বিবর্তনবাদী ও নাস্তিক কিন্তু মেয়েদের বেল্লাপনা সহ্য হয় না। নারি মুক্তি মানেই কি নারীকে পন্য বানানো?? আজকাল নারীরা যেহারে মাংসের দলা(স্তন) দেখায়া ঘুরে তাতে ধর্ষন বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আপনেরে অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৩৮

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: নারি মুক্তি মানেই কি নারীকে পন্য বানানো?

১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৪৯

দিগন্ত বলেছেন: কিন্তু পাশ্চাত্যে শতকরা ৭০ ভাগ প্রেমে পড়া বিয়ে যে কার্যত অসফল হয়, তা কারো অজানা নয়।

-- কে বলেছে? আর আমাদের দেশে অনেক বিয়ে টিঁকে থাকে শুধুমাত্র একপক্ষ (সাধারণত মেয়েরা) মুখ বুজে সব মেনে নেয় বলে। আমাদের সমাজে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধার সম্মুখীন হতে হয় আর বিবাহ-বিচ্ছেদ অসম্মানজনক বলে মনে করা হয়। আবার ছোটো থেকে পড়াশোনা না করিয়ে মেয়েদের চাকরি করার পথও পঙ্গু করে রাখা হয়। তাই মেয়েদের হাতে উপায়ও থাকে না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪৫

বিদগ্ধজন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৫৫

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: আকাশ_পাগলা, ১৮+ পোস্ট দিয়ে ম্যাডামের শরীরের বর্ণনা দিয়ে এইখানে ফোপরদালালি মারতে আইসো না। মানসিক চিকিচ্ছে নাওগে।

১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:০৮

রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: বড়ই জটিল ব্যাপার.................................

২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০৪

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন:
পোষ্টটি........গুরুত্বপূর্ন.....ও শিক্ষনীয় যাহা...পুরো পোষ্টটি পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবে!! কিন্তুু.....এটা থেকে কতটুকু শিক্ষা এবং সচেতনতা অর্জন করা যায় তাই আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত!!
তবে কিছু মন্তব্যের মধ্যে পোষ্ট বহিঃর্ভূত যুক্তি প্রকাশ পাচ্ছে !
যা আসলেই দুঃখজনক ছাড়া আরকি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

বিদগ্ধজন বলেছেন: এইগুলো হলো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা।ওদের কাজই শুধু লম্ফ-জম্ফ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬

নাজনীন১ বলেছেন: "নারী-পুরুষের সম্পর্ক যেমন স্বাভাবিক, তেমনি জটিল। মানুষের শান্তির প্রায় ৮০ ভাগই নির্ভর করে এই সম্পর্কের উপর। এজন্য বিভিন্ন বয়সে এবং বিভিন্ন পরিবেশে পরষ্পর সম্পর্কের রূপ কি হবে তা নির্ধারণ ও অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্যকরণীয়। অথছ এমন একটি বিষয়ে আমাদের স্কুল-কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দেবার কোনো ব্যবস্থা নেই।"

খুব ভাল বলেছেন। অপরিণত বয়সের প্রেম শুধু নারীরই না , পুরুষদেরও অনেক ক্ষতি করে মানসিকভাবে। অনেক ছেলেরা তাদের জীবনের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে মেয়েদের পিছনে ঘুরঘুর করে, রাস্তায় রাস্তায় ইভ-টিজিং করে, মেয়েদের উত্যক্ত করে, এসিড-সন্ত্রাস করে, মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করা.........ইত্যাদি আরো নানাভাবে।

তাই নারীদের যেমন ব্যক্তিত্ব-সম্পন্ন, বুদ্ধিমান, সৎ, নিজের সম্মান, নিজের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত, নারী-পুরুষ পারস্পরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়া উচিত,.................................

ঠিক তেমনি পুরুষদেরও উচিত সমানভাবে ব্যক্তিত্ব-সম্পন্ন, বিবেচক, সৎ হওয়া এবং নারীকে যথার্থ সম্মান দেখানো। তাদেরও উচিত শুধু রূপ দেখে নয়, গুণগত দিক বিবেচনা করে জীবনসংগী নির্বাচন করা।







প্রোফাইলে লেখা, "আসলে নিজের সম্পর্কে তেমন বলার কিছু নেই।শুধু এটুকু বলতে পারি আমি একজন 'মানুষ'।"

------- আপনি মানুষ ???? আর নারীরা শুধু নারী?????



দুর্ভাগ্য, আমরা নারী আলাদা প্রজাতি!!!!!!!!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫৫

বিদগ্ধজন বলেছেন: এই পোস্টে আমি কোথাও কি নারীদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করেছি? আমার কথাগুলোই আপনি কিছুটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেছেন।

আমি একজন নারীকে একজন মানুষ হিসেবেই দেখি। আপনি শব্দ প্রয়োগের মারপ‌্যাঁচে খামোখা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।

২২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩২

আকাশ_পাগলা বলেছেন: @নাজনীন
যে পুরুষগুলোর কথা বলেছেন, ওগুলা বখাটে। ওদেরকে সাধারণ পুরুষদের হিসাবে ধরলে ত হবে না। মেয়েদেরকে যারা বিরক্ত করে, তাদেরকে কেউ কখনই ভাল বলে না।

কিন্তু, এই লেখায় কিন্তু একেবারে সাধারণ মেয়েদের কথাই বলা হয়েছে।
আমি যতটুকু বুঝেছি, এই পোস্ট সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দেয়া হয়েছে। কাউকে অপমান করার জন্য না।

সচেতন হলে সমস্যা কী ???


@ট্রাঞ্জিস্টার

কোনটা ফান আর কোনটা সিরিয়াস টপিক সেটা যে বুঝেনা , তারই মানসিক চিকিতসা নেয়া উচিত।

মেয়েদের টপিক উঠলেই মনে হয় ফান ??? আর কিছু ভাবা যায় না ???

এমনভাবে কমেন্ট করছে, যেন ম্যাডামকে আমি হামলা করসি ??? আজব।

তর্ক করলে বিষয় বস্তু অনুসারে করেন। নইলে অফ যান। ফালতু প্যাঁচালের টাইম নাই।

২৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩

আকাশ_পাগলা বলেছেন: বেশির ভাগ কমেন্টে লোকজন লেখকের সাথে একমত, তাহলে এত মাইনাস দিল কে ???
একেজন কয়টা নিক থেকে মাইনাস দিছে ???

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪২

বিদগ্ধজন বলেছেন: যেগুলো বিরোধের খাতিরে বিরোধিতা করে সেই চুতিয়ারা।

২৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: "এমনভাবে কমেন্ট করছে, যেন ম্যাডামকে আমি হামলা করসি ??? আজব।

তর্ক করলে বিষয় বস্তু অনুসারে করেন। নইলে অফ যান। ফালতু প্যাঁচালের টাইম নাই।"

তোমার লেখা পড়লে পাগলেও বুঝবে এটা একটা নিচুমাত্রার ফ্যান্টাসিপ্রবণ লেখা, যেমনটি এই পোস্ট। সম্ভবত কখনো মেয়েদের সাথে সেভাবে (সাধারণ মানুষ হিসেবে) মেশার সুযোগ পাওনি, তোমার ছবিটা হা-ভাতে এবং পোস্টগুলোতে একটা চটকদারিতাপূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা আছে।

মানসিক চিকিৎসাবিষয়ক উপদেশ আর না দিই, যথেষ্টই পেয়েছ ইতোমধ্যে। জিনপরী দেখা শুরু করলে মনে রেখ, ওগুলো নেই।

আমারো ক্যাচালের তেমন সময় নেই, তবুও মাঝেমাঝে তোমাকে জ্বালাতে ভালো লাগে।

পুনশ্চ: চিকিতসা নয়, চিকিৎসা।

২৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:১২

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: অন্যান্য ভাইবেরাদরদের উদ্দেশেঃ

নিচের অংশটুকু পড়ুন।

"আমি ত পুরা হিট। আর সবাই ঐ মেয়েকে নিয়ে বলা শুরু করল। এই মেয়েটা দারুণ সুন্দর। স্লিভলেস ড্রেসে আর টাইট ট্রাউজার্সে মেয়েকে চরম লাগতেছে। কী সুন্দর তার সুডৌল বাহু, কী সুন্দর তার চোখ,আর ফিগার! বাইরে থেকে ত ভালই লাগে, খাঁজগুলা কত সুন্দর। শরীরের গাঁথুনিও চরম। ওরে চরম!! সৌন্দর্যের আরো কত খোলামেলা বর্ণনা!"

আলোচ্য অংশের লেখক জনৈক ফ্যাকাস-ছ্যাঁতলা, এবং লেখক দাবি করেন, উক্ত অংশ কেবলি "ফান" ছিলো, সিরিয়াস নয়। সিরিয়াসলি তিনি নারীশরীরের ডিসপ্লের বিরুদ্ধে।

মেয়েরা যখন দেখায়, তখন কিন্তু "সিরিয়াসলি" দেখায়, "ফান" করে না ;)

২৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:১২

রাতমজুর বলেছেন:
ব্যাপক ঝালেমার পোষ্ট, ডাইরেক প্রিয়তে।

২৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:২২

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: সেইরকম পুষট এ ১৩ নং মাইনাচ

২৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৬

নাজনীন১ বলেছেন: লেখক বলেছেন, "সমাজে সৎ লোকের সংখ্যা খুব বেশী নয়। ফলে শতকরা বহু ক্ষেত্রে অসৎচরিত্র ও অবিবেচক পুরুষের প্রলোভনে সরলমতি মেয়েরা তাদের হৃদয় দান করে সর্বনাশ ডেকে আনে।"


আকাশ_পাগলা বলেছেন, "যে পুরুষগুলোর কথা বলেছেন, ওগুলা বখাটে। ওদেরকে সাধারণ পুরুষদের হিসাবে ধরলে ত হবে না। মেয়েদেরকে যারা বিরক্ত করে, তাদেরকে কেউ কখনই ভাল বলে না।"


তো, এইসব অসৎচরিত্র, অবিবেচক, বখাটে পুরুষদের বাদ দেয়ার পর আর কয়জন ভাল পুরুষ থাকে? তাহলে নারীকে যদি একপক্ষীয়ভাবে সমাজের পুরুষদের ব্যাপারে সচেতন হতে হয় তাহলে তো বেশীর ভাগ পুরুষদেরকেই এড়িয়ে যেতে হবে, বিয়ে না করে একা জীবন কাটাতে হবে।




আকাশ_পাগলা আরো বলেছেন, "সচেতন হতে সমস্যা কোথায়?"

আমি কি বলেছি মেয়েদের সচেতন হবার প্রয়োজন নেই? বরঞ্চ আমি বলেছি নারী-পুরুষ সবাইকেই সৎ এবং সচেতন হতে হবে। ভাল হবার দায় শুধু মেয়েদের একার না, ছেলেদেরও।

এ সমাজে বেশীর ভাগ সময়ে শুধু মেয়েদের দোষগুলো নিয়ে আলোচনা হয়, ছেলেদেরকে ছাড় দেয়া হয়, এই পোস্টেও সে কথাগুলো বলা হয়েছে।



আমি এই দৃষ্টিভংগীর প্রতিবাদ করছি।


২৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৯

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: তা যা বলেছেন মাইরি!

৩০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫

নাজনীন১ বলেছেন: *** এ সমাজে বেশীর ভাগ সময়ে শুধু মেয়েদের দোষগুলো নিয়ে আলোচনা হয়, ছেলেদেরকে ছাড় দেয়া হয়, এই পোস্টেও সে ব্যাপারটা নিয়ে বলা হয়েছে।

৩১| ০৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ৮:০৩

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: আপনার পোষ্টের পুরোটাই জুড়ে দেখি পুরুষের উপর আঘাত।
নারীরা আমাদের সমাজে কষ্ট করে এটা ঠিক। অনেক কিছু তাদের ভেবে চিন্তে চলতে হয় এটাও ঠিক। প্রেম ঘটিত অঘটনগুলোতে নারীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় এটাও ঠিক।
তবে শুধু যে সেখানে পুরুষের দোষ দিচ্ছেন এটা কতটা ঠিক তা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত মতামত।
তবে আমার মতে, সর্ব ক্ষেত্রে দু'পক্ষেরই একটা অপরাধ থাকে। এবং ঐ যে বললেন না, সরলমতি মেয়েদের পুরুষরা সাম হাউ কনভিন্স করে প্রেম করে ফেলে। এটা তো এখন উল্টাও হতে পারে। তার মানে, একটি ছেলেকে একটি মেয়ে সাম হাউ কনভিন্স করে প্রেম শুরু করে দেয়। তারপর কোনো একটা পর্যায়ে এসে ছেলেটা জানতে পারে ঐ মেয়েটার অন্য একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে।
এরকম ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে। ঘটছে। আপনার আশেপাশেই হয়তো ঘটছে। কিন্তু আপনি সেগুলো তুলে আনতে চান না।
আমাদের সমাজে এখন নারী বিষয়টা এতটাই শক্ত হয়ে গেছে আলোচনার জন্য যে পুরুষদের নিয়ে ভাববার অবকাশটুকুও কিন্তু পায় না। কারণ, নারীর পক্ষে দাড়ালেই যেনো সবাই মহান হয়ে যায়! সেটা অন্যায় হোক আর না হোক।
---------------------------------------------------------------------------
তবে আপনার লেখাটা ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।

৩২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮

রাফাত সাদাত বলেছেন: +
কিন্তু এই পোষ্টে এত মাইনাস পড়ল কেন?

৩৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪

লালসালু বলেছেন: লুলী আলমগীরকে নিয়ে লেখা কোবতে Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.