নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অল্প জ্ঞানের মানুষ.....\n\nফেসবুক লিংকঃ https://www.facebook.com/zakaria.mobin

জাকারিয়া মুবিন

"প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম-গোত্রহীন, ফুটিয়াছে ছোট ফুল অতিশয় দীন। ধিক ধিক করে তারে কাননে সবাই, সূর্য উঠি বলে তারে, ভাল আছ ভাই।"

জাকারিয়া মুবিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইব্রাহীম আঃ কি মুসলিম? কুরআন কি বলে?

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:৩৭



শাহবাগী যোদ্ধা অমি রহমান পিয়ালের এক পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে সাংবাদিক জ.ই. মামুন প্রশ্ন তুলেছেন, "হযরত ইব্রাহিম কি করে মোছলমানের জাতির পিতা হন, তিনি তো অমুসলিম!"

প্রথমত পুরো প্রশ্নটাই ইসলাম বিদ্বেষী, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে করা।
দ্বিতীয়ত মুসলমান শব্দটাও ব্যাঙ্গ করে ভুল বানানে লেখা।

উত্তরে পিয়াল এই সম্পর্কে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে এবং পোস্ট দেয়, "যদি ইব্রাহীম (আঃ) মানব জাতির পিতা হন তাইলে হযরত আদম (আঃ) কি? তারপর এবং ইব্রাহিমের আগের নবীদের স্ট্যাটাস কি?

তিনি যদি মুসলিম সম্প্রদায়ের (মুসলমান কোনো জাতি না) পিতা হন তাইলে ইসলাম অবতরনের এতো আগে তিনি পিতা হইলেন ক্যামনে? তারে তো কোনো কিতাব দিয়া রাসুলও বানানো হয় নাই আল্লাহর তরফে। হইলেনই যখন তারপর আল্লাহ আহলে কিতাব কম দেন নাই। মুসলমানরা তাদের স্বজাতি না মাইনা খারিজ কইরা কতলের মিশন নিলো ক্যান?

আর যদি তিনি আরব জাতির পিতা হন তাইলে আমরা বাঙালি জাতি তারে পিতা মানুম ক্যান! আমরা তো আরব না।

লিংকঃ https://goo.gl/fF9TWf

সমস্যা হচ্ছে তার পোস্টে পাবলিকের কমেন্ট অফ করে রেখেছে, নাহয় সেখানেই উত্তর দেয়া যেত।

চলুন আমরা দেখি কুরআন কি বলে...

"আল-বাকারাহ ২:১৩২

এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।

And Abraham instructed his sons [to do the same] and [so did] Jacob, [saying], "O my sons, indeed Allah has chosen for you this religion, so do not die except while you are Muslims."

"আল-বাকারাহ ২:১৩০

ইব্রাহীমের ধর্ম থেকে কে মুখ ফেরায়? কিন্তু সে ব্যক্তি, যে নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করে। নিশ্চয়ই আমি তাকে পৃথিবীতে মনোনীত করেছি এবং সে পরকালে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।

And who would be averse to the religion of Abraham except one who makes a fool of himself. And We had chosen him in this world, and indeed he, in the Hereafter, will be among the righteous."

"আল-আন‘আম ৬:১৬১

আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন একাগ্রচিত্ত ইব্রাহীমের বিশুদ্ধ ধর্ম। সে অংশীবাদীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।

Say, "Indeed, my Lord has guided me to a straight path - a correct religion - the way of Abraham, inclining toward truth. And he was not among those who associated others with Allah ."

"আন নিসা ৪:১২৫

যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে সৎকাজে নিয়োজিত থাকে এবং ইব্রাহীমের ধর্ম অনুসরণ করে, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন, তার চাইতে উত্তম ধর্ম কার? আল্লাহ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।

And who is better in religion than one who submits himself to Allah while being a doer of good and follows the religion of Abraham, inclining toward truth? And Allah took Abraham as an intimate friend."

"আল-হাজ্জ ২২:৭৮

তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।

And strive for Allah with the striving due to Him. He has chosen you and has not placed upon you in the religion any difficulty. [It is] the religion of your father, Abraham. Allah named you "Muslims" before [in former scriptures] and in this [revelation] that the Messenger may be a witness over you and you may be witnesses over the people. So establish prayer and give zakah and hold fast to Allah . He is your protector; and excellent is the protector, and excellent is the helper."

সেই পোস্টে একজন দেখলাম উপরের আয়াতটির রেফারেন্স দিয়েছে। সেখানে পিয়ালের নতুন ভ্রান্ত যুক্তি, "এই বানী আরবদের উদ্দেশ্যে..."



কুরআনে এর উত্তরও আছে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না...

"সাবা ৩৪:২৮

আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।

And We have not sent you except comprehensively to mankind as a bringer of good tidings and a warner. But most of the people do not know."

মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত আঘাত হানার অপরাধে পিয়াল ও জ.ই.মামুনের মত নাস্তিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

N. B: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই এবং বাঙ্গালী জাতির পিতা হিসেবে তাঁকে মেনে নিতেও আপত্তি নেই। বরং কথাটা এভাবে বলা যায়, "বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের (বঙ্গবন্ধু সহ, কারন তিনিও মুসলমান ছিলেন) জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)।"

কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে, 'আপনি মুসলমান নাকি বাঙ্গালী?'
উত্তরে আমি বলবো, 'আমি মুসলমান এবং বাঙ্গালী।'

Zakaria Mobin
18/06/17

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"শাহবাগী যোদ্ধা অমি রহমান পিয়ালের এক পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে সাংবাদিক জ.ই. মামুন প্রশ্ন তুলেছেন, "হযরত ইব্রাহিম কি করে মোছলমানের জাতির পিতা হন, তিনি তো অমুসলিম!"

-শাহবাগে কোন কোন রাজা, বা কোন কোন দেশের মাঝে যুদ্ধ হয়েছিল? কারা জয়ী হয়েছে? এখনও কি যুদ্ধ চলছে? আমাদের কি যুদ্ধে ডাকবে?

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: Was waiting for your comment =p~ =p~ =p~

ব্যাপক বিনোদন =p~

২| ২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন," Was waiting for your comment "

-আমি কমেন্ট করবো আপনি জানতেন? আপনি ভবিষ্যতও জানেন? আপনি একক ও অদ্বিতীয়?

২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:২৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: =p~

৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি ইমোর মানে বুঝি না; আপনি কিসের ইমো দিয়েছেন? আপনি কি শাহবাগে যুদ্ধ করছেন এখন?

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০২

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: =p~

৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৪৩

স্বপ্ন কুহক বলেছেন: চাদ্গাজী বলেছেন---- শাহবাগী যোদ্ধা অমি রহমান পিয়ালের এক পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে সাংবাদিক জ.ই. মামুন প্রশ্ন তুলেছেন, "হযরত ইব্রাহিম কি করে মোছলমানের জাতির পিতা হন, তিনি তো অমুসলিম!"

-শাহবাগে কোন কোন রাজা, বা কোন কোন দেশের মাঝে যুদ্ধ হয়েছিল? কারা জয়ী হয়েছে? এখনও কি যুদ্ধ চলছে? আমাদের কি যুদ্ধে ডাকবে?


উহা ছিল পলাতক যুদ্ধ তাই আজ শাবাগীরা সব পলাতক আর নাটের গুরু ইমরান ঘর জামাই রুপে পলাতক =p~

স্যালুট চাদ্গাজী সেরা মন্তব্যের জন্য ।

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০১

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: Ignore them brother.

৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৬:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইব্রাহিম (স) ৬ হাজার বছর আগে ইহুদি ধর্মের নবী।
ইসলাম ওনাকে পয়গম্বর হিসাবে মানলেও কোরান আসার পর ওনার ওল্ডটেষ্টামেন্ট সহ সব আসমানি কিতাব বাতিল। কোন ধর্মপুস্তকেই ওনাকে মুসলিম বলা হয়নি।

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ...তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও... 22:78

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: তিনি (ইব্রাহিম আঃ) ইহুদি বা খৃষ্টান ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠরুপে আল্লাহের নিকট আত্নসমর্পনকারী একজন মুসলিম এবং তিনি অবশ্যই মূর্তি পুজারিদের অর্ন্তভুক্ত ছিলেন না।
-আলে ইমরান: ৬৭

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ওকে?!

৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

মেমননীয় বলেছেন: আল কোরানে আল্লাহ বলেছেনঃ

তিনি (ইব্রাহিম আঃ) ইহুদি বা খৃষ্টান ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠরুপে আল্লাহের নিকট আত্নসমর্পনকারী একজন মুসলিম এবং তিনি অবশ্যই মূর্তি পুজারিদের অর্ন্তভুক্ত ছিলেন না।
-আলে ইমরান: ৬৭

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

সাকিব মুসতানসির বলেছেন: জাতির পিতা প্রসঙ্গে
আবুল কাসেম আদিল
অমি পিয়াল ও জ. ই. মামুনসহ শাহবাগী সম্প্রদায়ের জাতির পিতা বিষয়ক আলোচনা পড়ে মনে হলো, তারা মূলত বিভ্রান্ত। কোনো বিষয়ে না জেনে অথবা আংশিক জেনে মন্তব্য করতে গেলে যা হয়, তা-ই হয়েছে। জ. ই. মামুন বুঝতে পারছে না ইবরাহীম আ. কীভাবে জাতির পিতা হন। তার জানামতে ইবরাহীম ছিলেন অমুসলিম। অমুসলিম তো 'মোছলমান' জাতির পিতা হতে পারে না।
জাতির পিতা বিষয়ে আংশিক ধার্মিক পূর্ণ শাহবাগী, এই ধরনের মানুষের কিছুটা অস্বস্তি আছে। ইবরাহীমও জাতির পিতা আবার মুজিবও জাতির পিতা এই দ্বন্দ্ব বোঝার মতো ঘিলু যাদের নেই, তারা জ. ই. মামুনের মন্তব্যে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান নেই কিন্তু পৈত্রিক সূত্রে মুসলমান হওয়ার কারণে পৈত্রিক ধর্মের প্রতি এদের কিছুটা মমতা আছে। কিন্তু জাতে তো শাহবাগী। এরা ইবরাহীমকে পিতা মানতে বাধ্য আবার শেখ মুজিবকেও। একজনকে ছাড়তে পারলে বাঁচে। জ. ই. মামুনের 'যৌক্তিক' মন্তব্য তাদেরকে ইবারাহীমকে মানার ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দিল।
জ. ই. মামুনের মন্তব্যে আংশিক ধার্মিক পূর্ণ শাহবাগীদের মধ্যে যারা কুরআনের জাতির পিতা বিষয়ক ভাষ্য জানে না, তারা নাহয় ঝামেলামুক্ত হলো। কিন্তু যারা কিছুটা জানে বা শুনেছে, তাদের ঝামেলা রয়েই গেল। কারণ কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, মিল্লাতু আবীকুম ইবরাহীম— তেমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত। যারা এই আয়াত জানে, তারা জ. ই. মামুনের মন্তব্যে চিন্তামুক্ত হতে পারে নি। এই শ্রেণির সংশয় দূর করার জন্য কতক শাহবাগী-গুরু বলতে শুরু করেছে ইবরাহীম আরব জাতির পিতা। মিল্লাত দ্বারা আরব জাতি উদ্দেশ্য, মুসলিম জাতি নয়।
শাহবাগী তো শাহবাগীই, তারা কুরআন আংশিক জানে। ভালোভাবে জানলে তো শাহবাগী হতো না। আল্লাহ তো কুরআনে মিল্লাতের ব্যাখ্যা করেই দিয়েছেন। বলেছেন, হুয়া সাম্মাকুম আলমুসলিমীন— ইবরহীম তোমাদেরকে মুসলমান নামকরণ করেছে। মুসলিম জাতির নাম মুসলিম রেখেছেনই ইবরাহীম। এভাবেই ইবরাহীম মুসলিম জাতির পিতা। যারা বুঝতে পারছে না ইবরাহীম জাতির পিতা হলে আদম আ. কী? তাদের জবাবও এই আয়াতে আছে। ইবরাহীম মুসলিম জাতির পিতা হলে আদম মানবজাতির পিতা।
আংশিক ধার্মিক ও পূর্ণ শাহবাগীরা ইবারহীম আ.-এর পিতৃত্ব খারিজ করেছে এজন্য যে, তারা মনে করেছে এতে শেখ মুজিবের পিতৃত্ব হুমকির মুখে পড়বে। ইবরাহীমকে জাতির পিতা মেনেও শেখ মুজিবের পিতৃত্ব রক্ষা করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে শেখ মুজিবকে বাংলাদেশি জাতির পিতা বলতে হবে। সমস্যা করেছে সংবিধান। ৭২ এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশি জাতি বলতে কোনো বস্তুর অস্তিত্বই নেই। সংবিধান বলছে, এই ভূখণ্ডের মানুষ জাতি হিসেবে বাঙালি। যে জাতির অস্তিত্ব নেই, সেই জাতির পিতা হয়ে শেখ মুজিবের লাভ কী? শেখ মুজিবকে বাঙালি জাতির পিতা বলা মুশকিল। কারণ তিনি বাঙালি জাতির জন্মদাতা নন, বাঙালির নামকরণও তিনি করেন নি।
বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হওয়ার পথে অন্তরায় ইবরাহীম আ. নন। অন্তরায় হলো সংবিধান। মজার ব্যাপার হলো, শেখ মুজিবের পিতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ফিরতে হবে জিয়াউর রহমানের সংবিধানে। জিয়াউর রহমান বাহাত্তরের সংবিধান থেকে আমাদের জাতি-পরিচয় বাঙালি উঠিয়ে দিয়ে বাংলাদেশি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানতে হলে জিয়া-সরকারের প্রণীত সংবিধানে আস্থা রাখতে হবে।

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১০

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ভালো বলেছেন +

৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে কি নূহ ও আদম কি মুসলিম ছিলো না? এরা কি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলো? তাহলে তাদেরকে নবীর সম্মান কেন দেওয়া হয়? কোরানে নূহের বর্ণনায় জানা যায় সে মানবকুল রক্ষা করেছে আল্লাহর নির্দশনায়, তাহলে আল্লাহ তারে বাদ দিয়া ইব্রাহীমকে জাতির পিতা বনালো কেনো? আসলে সব ভেজালের গোড়া হলো আল্লাহ। এই ব্যাটাই আইসা সব ভেজাল শুরু করছে। নিজে থাকে গোপনে, আর মানুষের মধ্যে লাগায় ভেজাল, বাধে গণ্ডগোল হাতাহাতি মারামারি খুনাখুনি। আর ঐ ব্যটায় আন্ধারে মুচ ভাইবা বাতাসে তাও দেয়।

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আল্লাহর আপনাকে সৃষ্টি করাটাই ছিলো বড়ো ভুল।

৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: কিছু মনে কইরেন না, একটা কথা জিগাই। আপনে কি আপনার মনডারে দেখছেন? মনডারে চিনেন? মনডা দেখতে কেমন? দেহে কোথায় থাকে ব্যাটায়?

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: দেখিনাই তো!

১০| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: এইবার আর একটা প্রশ্ন। যিনি নিজের মনডারে দেখেন নাই কোনদিন, তিনি কিভাবে রহস্যময়ী আল্লাহরে দেখতে চান?

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আল্লাহকে দেখতে চাই না তো!

বাতাস, শব্দ, তড়িৎ এসব দেখেছেন কখনো?! তাহলে এদের যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁকে দেখার প্রশ্ন আসে কোত্থেকে?!

আমি অনুভব করি এবং না দেখে বিশ্বাস করি আল্লাহ আছেন। এটাই আমার মুসলিম হবার শর্ত।

"আল-বাকারাহ ২:৩

ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ

যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে

Who believe in the unseen, establish prayer, and spend out of what We have provided for them"

১১| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাগুরা শাহাবাগ আনন্দলনকারিদের দুচোখে দেখতে পারে না।
জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির ... এদেরকেও দু চোখে দেখতে পারে না
এদের অপছন্দের কারন অষ্পষ্ট। মুল কারনটা ওরা কখনোই উচ্চারন করে না।
উনি দৈনিক পাকিস্তান/দৈনিক বাংলা সাংবাদিক, অতচ বলে বলে মুরগী বেচত,
একবার বলে শাহাবাগে ফ্রী বিরানি খাইত ... আবার বলে গাঞ্জা খাইতো .. বলে "হাস্যকর আন্দোলন" ইত্যাদি অষ্পষ্ট কথাবার্তা।
হাস্যকর? কানতে কানতে তো নর্দমা ভরায়ে ফেলেছে।

মুল কারন (দাড়ীওয়ালাদের ঝুলানো) কখনোই বলত না। কথাভিন্ন প্রসংগেও শাহাবাগ আনোলনকারিদেরকে অকারনে গালাগাল করবে।
আসলে ফ্রী বিরানী-ফিরানি ব্যাপার না।
সরকার যুদ্ধাপরাধ বিচার বদ্ধপরিকর হলেও আমেরিকা ও সৌদিদের চাপে একটা সমঝোতায় 'হালকা শাস্তিতে' বাধ্য হয়েছিল।

কিন্তু শাহাবাগে আন্দোলন,
একমাত্র এই প্রবল আন্দোলনের কারনেই সরকার গা ঝাড়া দিয়ে যুদ্ধাপরাধ আইন নতুন ভাবে সংশোধন করে ধারা যোগ করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
যার দ্বারা ওদের বাবা ছাগুচিফদের চুলের মুঠি ধরে ফাঁসিকাষ্ঠে নেয়া সম্ভব হয়েছিল।
নইলে নামমাত্র শাস্তি দিয়ে ছাড়া পেয়ে যেত খুনিগুলো।
তাই ছাগুদের প্রচন্ড গাজ্বালা!
কোন যুক্তি খুজে না পেয়ে অকথ্য গালাগাল করে, মুরগি মুরগি .. বিরানি বিরানি করে গাজ্বালা মিটায়।
ক্ষোভের মুল কারনটা কোনদিনও উচ্চারন করতে পারবে না, নির্লজ্জ বেহায়া গুলো ...

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কোন যুক্তি ছাড়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা দূর্বল চরিত্রের এবং জ্ঞানহীনতার লক্ষণ।

ইসলাম কখনোই তা সমর্থন করে না।

১২| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: জ ই মামুন, অমি রহমান পিয়ালরা ইসলাম সম্পর্কে বা*টাও জানে না, আর এমন ভাব মেরে কথা বলে যেন এটা সম্পর্কে এত জেনে শুনে কথা বলার কি আছে! ইসলাম সেকেলে একটা জিনিস!

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: কোন অবস্থাতেই মুখ খারাপ করা যাবে না।

আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দিন।

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: বাতাশ শব্দ ও তড়িৎ নিয়ে তো মানুষ লাফালাফি করে না তবে আল্লাহকে নিয়ে এতো লাফালাফি করে কেনো?

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আপনার জ্ঞানের পরিধি একটু বাড়ান। বাতাস, শব্দ ও তড়িৎ নিয়ে অনেক লাফালাফি হওয়াতেই এখন আপনি আধুনিক জীবন যাপন করছেন।
আর আল্লাহকে নিয়ে লাফালাফির কিছু নেই। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ইন্নী ওয়াজজাহুতু ওয়াজহিয়ালিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতে ওয়াল আরদা হানীফাওয়ামা আনা মিনাল মুশরেকীন।
কুরআন অনুয়ায়ী ইব্রাহীম (আ) এর দোয়া । আর আল্লাহ নিজে কুরআনে ইবরাহীম (আ), ইসমাইল (আ), ইসহাক (আ), ইয়াকুব (আ), মুসা (আ) ও ঈসা (আ) কে মুসলমান ঘোষণা দিয়েছেন, আর ইবরাহীম (আ) কে মুসলমানদের পিতা ঘোষণা করেছেন।
সুতরাং মুসলমান হিসেবে এমন মন্তব্য করা উচিৎ নয়।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তাহলে ইহুদি ধর্মের নবী কে?

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: হযরত মুসা আঃ, যার উপর তাওরাত কিতাব নাযিল হয়েছিলো। তাওরাত ই ইহুদীদের ওল্ড টেস্টামেন্ট নামে পরিচিত।

১৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এদের অজ্ঞানতা দেখবার মতো!

আর আপনি শুরুতেই ভুল করেছেন। মূল ইস্যু যদি ইসলামের তাত্ত্বিক জ্ঞানের অভাব এটাকে হাইলাইটস তরতেন ভিন্ন উপস্থাপনায় লেখাটা আরো শক্তিশালী হতো।
একদিকে ইসলঅম, অন্যদিকে শাহবাগ সাথে কিছু ট্যাগিংয়ের কারণে মূল ইস্যু থেকে আলাপ সরে যাচ্ছে ।
পারলৈ লেখাকে সংশৌধন করে একটা ট্র্যাকে রাখূন।

কোরআনে আরও ষ্পষ্ট আয়াত আছে- যেখানে আদম আ: কে মুসলিম বলা হয়েছে।
যেহেতু আদ আ: এর বংশধর সকল মানুষ শৈশবে ফিতরাতে সকলেই মুসলিম। পরে তাদের অর্জিত জ।হান বুদ্ধি পারিবারিক পরিবেশ সামাজিকতায় তারা প্রচলিত বিভিন্ন অভিধায় অভিহিত হয়। তাই সকলকেই আবার মুসলিম হয়ে মরতে বলা হয়েছে। এবং তা কিন্তু প্রচলিত মুসলমানদের জন্যও প্রয়োজ্য।

অংশীবাদীতা, মূর্খতা, অজ্ঞানতা, সত্য অস্বীকার করা এসবকে আল্লাহ অন্রায় বলেছেন। অপছন্দ করেছেন।

অমি রহমানকে আগেও বলেছি আপনি ইসলাম পরিচয়ে এতটা এলার্জি থাকলে দয়া করে এফিেভিট করে নামটা বদলে ফেলুন! নিজের নামে আল্লাহর রহমান নাম লাগায়া রঙ্গ করার কি মানে!???
জই মামুন ও অজ্ঞতা আর মূর্খতার এত বড় পরিচয় দিল! আরে আগেতো একবার অনন্ত পড়। অনুভব কর। বোজার চেষ্টা কর!

না কেবলই বাতাসে গুলী করে নিজেকেই হেয করা! একি অবিমৃষ্যকারীতা!!!!!!অদ্ভুত!

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।

তবে এখন আর পোস্ট এডিট করবোনা। আপনার কাছ থেকে আরো বিস্তারিত পোস্ট আশা করছি।

১৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ইব্রাহীম (আঃ) এর পূর্ববর্তী নবী ও রাসুল গন তবে কি মুসলিম নয় ?

সাকিব মুসতানসির @ কোরআন অর্ধেক জাইনা শাহাবগি হইছে , পুরা জানলে কি জামাতি হইয়া রাজাকারদের কাছা ধইরা নাচত?

কোরআনকেও দলিয় করন করে ফেলছেন ভাইজান? আর মিয়া ভাই বাঙ্গালী জাতির যদি অস্তিত্বই না থাকে ভাইজান আপনি পাকিস্থান গিয়া ডেরা বাঁধেন। পাইক্ক্যা রাখার মতো জায়গা এই দেশে নাই। বিদায় হন।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ...তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও... 22:78

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে কি নূহ ও আদম কি মুসলিম ছিলো না? এরা কি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলো? তাহলে তাদেরকে নবীর সম্মান কেন দেওয়া হয়? কোরানে নূহের বর্ণনায় জানা যায় সে মানবকুল রক্ষা করেছে আল্লাহর নির্দশনায়, তাহলে আল্লাহ তারে বাদ দিয়া ইব্রাহীমকে জাতির পিতা বনালো কেনো?
সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনারা না জেনেই ধর্ম নিয়ে বা মানুষের ধর্মীয় অনুভীতী নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছেন।
অসংখ্য বীর্যের মধ্যে একটি বীর্যের দ্বারা আপনার উৎপত্তি কেনো? অন্য বীর্য গুলো নষ্ঠ হলো কেনো? বলতে পারেন আপনার উৎপত্তির জন্য ঐ বীর্যটি যোগ্য ছিলো।
আধুনিক মানুষ হিসেবে আপনার তো সহজেই বোঝা উচিত। নূহ ও আদম মুশরিক ছিলো এ কথা কোথাও বলা হয় নাই। আসল ইব্রাহীম (আঃ) ছিলো মানবজাতির মধ্যে আপডেট সৃষ্টি। তাই স্রষ্টা চেয়েছিলো ইব্রাহিমের বংশধরদের মধ্য থেকে আগামীর মানুষ সৃষ্টির প্রক্রীয়া চালাতে।
অার মুসলিম শব্দের অর্থ “আত্মসর্মপণকারী”। অথাৎ যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে এককথায় যারা আল্রাহর উপর আত্মসর্মপন করে।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ফলোয়িং...

১৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

বিষাদ সময় বলেছেন: শাহবাগীরা ভাল বা মন্দ সে বিতর্কে আমি যাবনা। তবে আপনার এই পোস্টের একটা ভুল দিক আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। যদি কোন ব্যক্তি হযরত ইব্রাহিম (আঃ) মুসলিম জাতির পিতা কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তবে বুঝতে হবে তিনি মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ বা বিশ্বাস সব কিছু সম্পর্কেই সন্দিহান। তাকে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করাটা অযৌক্তিক এবং বোকামী। তাকে বুঝাতে হবে লজিক , সাইন্স বা নিরপেক্ষ কোন গবেষণা গ্রন্থ দারা।

অনেকেই এই ভুলটা করেন, একজন বিধর্মী বা ইসলাম ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসীকে বুঝাতে চেষ্টা করেন কোরআন এবং হাদিস দ্বারা অথচ তিনি বেসিক এই ব্যাপরটাই বুঝেন না যে কোরআন এবং হাদীসের প্রতি সেই ব্যক্তি আস্থশীল নয় বলেই তিনি বিধর্মী বা অবিশ্বাসী। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিচ্ছি।

আপনি চেষ্টা করে দেখুন সঠিকভাবে বোঝানো যায় কিনা। শেখার অপেক্ষায়...

আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দিন।

২০| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার জ্ঞানের পরিধি একটু বাড়ান। বাতাস, শব্দ ও তড়িৎ নিয়ে অনেক লাফালাফি হওয়াতেই এখন আপনি আধুনিক জীবন যাপন করছেন।
আর আল্লাহকে নিয়ে লাফালাফির কিছু নেই। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।


বাতাস শব্দ তড়িৎ নিয়ে যে লাফালাফির কথা বলছেন তাতে তো মানুষ মানুষকে খুন করে না, কিন্তু আল্লাহকে নিয়ে লাফালাফিকারীরা মানুষ খুন করে। দুটো লাফালাফি তো এক হলো না। একটা লাফালাফিতে মানুষ জীবনের আলো পাচ্ছে, আর একটা লাফালাফিতে মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে। যার জন্য লাফালাফিতে মানুষের জীবন নিধন হচ্ছে তিনি কি করে মানুষের জন্য মঙ্গলময় হতে পারেন? তিনি কি করে মানুষের উদ্ধারকারী হতে পারেন? তিনি কি করে মানুষের পরিত্রাণকারী হতে পারেন? তিনি কি করে মানুষের পালনকর্তা হতে পারেন?

ঠিকই বলেছেন, তাঁর জন্য কার জীবন গেলো আর না গেলো তাতে কি যায় আসে?! কারণ তিনি তো কারো মুখাপেক্ষী না!! কিন্তু তাঁকে নিয়ে যারা লাফালাফি করলো তারা তাঁকে যে হন্তারক বিশেষণে বিশেষায়িত করলো, এতে তো কোন ভুল নেই। তাই তো বলি সব ভেজালের মূলে ঐ ব্যাটা

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: পৃথিবীতে ধর্মযুদ্ধের চেয়েও আরো বেশী মানুষ মারা গিয়েছে ক্ষমতার যুদ্ধে। ইতিহাস ঘাটুন, জানতে পারবেন।

বুঝতে পারছি আপনার মনে ধর্ম নিয়ে অনেক প্রশ্ন এবং ভুল ধারনা আছে।

পড়ুন।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়তে পারেন। জাকির নায়েকের ভিডিও দেখতে পারেন। নোমান আলী খানের লেকচার শুনতে পারেন।

আরবি ভাষা শিখে কুরআন শরীফ বুঝে পড়ুন, ব্যাখ্যার জন্য হাদীসগ্রন্থ বুখারী, মুসলিম পড়ুন। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

মনে রাখবেন কাউকে খারাপ বলতে হলেও সে কেন খারাপ বা কতটুকু খারাপ তা জেনে নেয়া ভালো।

আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন।

২১| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যার জন্য লাফালাফিতে মানুষের জীবন নিধন হচ্ছে তিনি কি করে মানুষের জন্য মঙ্গলময় হতে পারেন? তিনি কি করে মানুষের উদ্ধারকারী হতে পারেন? তিনি কি করে মানুষের পরিত্রাণকারী হতে পারেন? তিনি কি করে মানুষের পালনকর্তা হতে পারেন?

পৃথিবীর ভালো পক্ষে যারা আছে যুগে যুগে আল্লা তাদের পক্ষে। আল্লাহ মঙ্গলময় যাদের দ্বারা পৃথিবীর মঙ্গল হয়। যাদের দ্বারা পৃথিবীতের অশান্তির উৎপত্তি হয় কখনই আল্লা তাদের পক্ষে ছিলেন না। আল্লাহকে শুধু মঙ্গলময়, পরিত্রানকারী বলছেন কেনো? আল্লাহ তো “কাহারু” কঠোর শাস্তিদাতাও বটে। আল কোরআন পড়েন দেখবেন যুগে যুগেই আল্লাহ ব্যপক ধ্বংশের কারন হয়েছেন। ধ্বংশ করেছেন অসংখ্য জাতিসত্বা। যাদেরকে ধ্বংশ করে আল্লা নতুন জাতির সুত্রপাত করেছেন। নতুন সভ্যতা গড়েছেন।

আল্রা পালনকর্তা তাদের যারা আল্লার উপর ভরসা রাখে। যারা তার উপর আত্মসমর্পন করে। অথাৎ যারা মুসলিম পূর্বে ছিলো এখনও আছে। আল্রা তাদের পালনকর্তা।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: সুস্থ আলোচনা সবসময়ই উপভোগ্য...

২২| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: যারা অবিশ্বাসী তারা কখনো বিশ্বাস করবেনা, আল্লাহ্ তাদের অন্তর সমূহ মোহর ধারা আটকিয়ে রেখেছেন, যদি না আল্লাহ্ এদের হেদায়াত নসিব করেন ।


আর, এই জ ই মামুন, পিয়াল এর মত সবাই হলো বীর্যের অপচয়!!

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: কোন ধরনের গালাগালি এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।
X(

২৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: পৃথিবীতে ধর্মযুদ্ধের চেয়েও আরো বেশী মানুষ মারা গিয়েছে ক্ষমতার যুদ্ধে। ইতিহাস ঘাটুন, জানতে পারবেন।

বুঝতে পারছি আপনার মনে ধর্ম নিয়ে অনেক প্রশ্ন এবং ভুল ধারনা আছে।

পড়ুন।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়তে পারেন। জাকির নায়েকের ভিডিও দেখতে পারেন। নোমান আলী খানের লেকচার শুনতে পারেন।

আরবি ভাষা শিখে কুরআন শরীফ বুঝে পড়ুন, ব্যাখ্যার জন্য হাদীসগ্রন্থ বুখারী, মুসলিম পড়ুন। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।


এক আল্লাহরে জানতে এতো কিছু পড়ছেন? এতো কিছু পইড়াও নিজের মনডারে আজও চিনতে পারেন নাই?! নিজের মনডারে না চিইনা, নিজেরে চিনবেন কেমনে? আপনি মুসলমান না হিন্দু না বৌদ্ধ না খ্রিষ্টান। কারণ তারাও নিজেদেরকে আস্তিকভাবে। কোন না কোনভাবে তারা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে। আপনারা আপনাদের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আপনাদের ঈশ্বরকে ভক্তি করেন, তারা তাদের বিশ্বাসে তাদের ঈশ্বরকে ভক্তি করে। আপনাদের মধ্যে মূলত কোন পার্থক্য নে, পার্থক্য যা তা হলো কিছু প্রথাগত। এখানে ধর্ম পালনে বিখ্যাত হওয়ার তো কিছু নেই।

কিন্তু মন চিনলে জানতে পারবেন আপনি কোন স্তরের মানুষ। মন না চিনে নিজেরে চিনবেন কি করে? নিজেরে না চিনে জগত চিনবেন কি করে?

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আর কোন তর্ক নয়, যার যার বিশ্বাস তার কাছে থাকুক।

২৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ধ্রুবক আলো বলেছেন: যারা অবিশ্বাসী তারা কখনো বিশ্বাস করবেনা, আল্লাহ্ তাদের অন্তর সমূহ মোহর ধারা আটকিয়ে রেখেছেন, যদি না আল্লাহ্ এদের হেদায়াত নসিব করেন
আপনি কি কারনে ওদের গালাগলি করছেন !!!!! :) :)
আল্লাহ যদি তাদের অন্তর সমূহ মোহর দ্বারা আটকিয়ে রাখে তাহোলে দোষটা তো ওদের নহে , আল্লাহ যদি মোহর দ্বারা আটকিয়ে না রাখতো তাহোলে তারা ঠিক থাকতো , যিনি মোহর মেরে রেখেছেন তিনি ব্যথিত কেহই মোহর খুলতে পারবে না এবং তিনি যদি মোহর না খুলে হেদায়েত করতে না চান তাহোলে আপনার মন্তব্য অনুযায়ি আল্লাহকেই কি দায়ি করছেন না আপনি ??? ( নাউযুবিল্লাহ ) । তারা তো হাসরের ময়দানে শেষ বিচারের সময় বলতে পারে হে আল্লাহ আপনি নিজে আমাদের অন্তরে মোহর বেধে রেখেছিলেন তাই আমরা পাপ করছিলাম , এই মোহর না বাধলে আমরা কোন পাপ করতাম না , তাহোলে কেন আমাদেরকে শাস্তি দিবেন ????

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: পড়ুন।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়তে পারেন। জাকির নায়েকের ভিডিও দেখতে পারেন। নোমান আলী খানের লেকচার শুনতে পারেন।

আরবি ভাষা শিখে কুরআন শরীফ বুঝে পড়ুন, ব্যাখ্যার জন্য হাদীসগ্রন্থ বুখারী, মুসলিম পড়ুন। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

২৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

বরিষ ধারা বলেছেন: এই চরিত্রের মানুষের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কি জ্ঞান আশা করেন? এই চরিত্রের মানুষের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কি জ্ঞান আশা করেন?

অমি রহমান পিয়াল শাহবাগ আন্দোলনে তরুণদেরকে আকৃষ্ট করা শুরু করে তার পর্ণ সাইট 'যৌবনজ্বালা'র মাধ্যমে - যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যেটি একসময় 'যৌবনযাত্রা' নাম নেয়। পর্ণ সাইটের এডমিন ইসলামী জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয়তা বুঝবে কি করে?

২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: এই বিষয়ে আমার জ্ঞান কম। জানা ছিলো না।

২৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

আশরাফুল করিম খান বলেছেন: জই মামু কি নিশ্চিত যাহাকে তিনি নিজের পিতা বলিয়া জানেন উনি আসলেই তাহার পিতা??? যেদিন উনি এই সত্য উদঘাটন করিতে পারিবেন সেইদিন তিনি বুঝবেন ইব্রাহিম আঃ কাহার পিতা।

২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: +

২৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) হানাফী মিল্লাত
আল্লাহ বলেছেন,‘ ক্বুল ইন্নানি হাদানি রাব্বি ইলা সিরাতিম মুসতাকিম, দ্বীনান কিয়ামান, মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- বল, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালকতো আমাকে সীরাতুম মুসতাকীম (সৎপথ), কায়েম (প্রতিষ্ঠিত) দ্বীন, ইব্রাহীমের হানাফী (একনিষ্ঠ) মিল্লাতের (জাতির) দিকে হেদায়েত প্রদান করেন, আর তিনি মুশরিক ছিলেন না।– (আল-ক্বোরআন, সূরা আনআম, ১৬১ আয়াত)।
*উপরোক্ত আয়াতে কারিমা দ্বারা বুঝাগেল যারা হানাফী তাদেরকে হানাফী মিল্লাতে হেদায়েত করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। সুতরাং তাদের ব্যাপারে উল্টা-পাল্টা কথা বলার কোন সুযোগ নেই, বরং যারা বিভ্রান্ত তারাই শুধুমাত্র তাদের বিরোধীতা করে।
* আল্লাহ ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতকে বলেছেন কায়েম দ্বীন ও সীতাতুম মুসতাকীম, বাস্তবতাও তাই পৃথিবীর মোট মুসলমানের শতকরা দুই তৃতিয়াংশের বেশী হানাফী, আর বাকী এক তৃতীয়াংশের কম অন্য সব মুসলমানদের দল। সুতরাং হানাফী মিল্লাত কায়েম দ্বীন বা সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন হিসেবে আল্লাহর বাণীর সাথে শতভাগ মিলেগেছে। সুতরাং আল্লাহর বাণী অনুযায়ী হানাফী মিল্লাতই হলো সীরাতুম মুসতাকীম। যা আমরা প্রতি রাকাত নামাজে কামনা করি।
আল্লাহ বলেছেন,‘ ওয়ামান আহসানু দ্বীনান মিম্মান আসলামা ওয়াজহাহু লিল্লাহি ওয়াহুয়া মুহসিনুন, ওয়াত্তাবায়া মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়াত্তাখাজাল্লাহু ইব্রাহীমা খালিলা- যে মুহসীন (সৎকর্ম পরায়ন) হয়ে ইসলাম পালন করে এবং ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতের অনুসরন করে, তার চেয়ে দ্বীনে কে বেশী উত্তম? আর আল্লাহ ইব্রাহীমকে খলিল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করেছেন।–(আল-ক্বোআন, সূরা নিসা, ১২৫ আয়াত)।
* আয়াতে কারিমা অনুযায়ী আল্লাহ হানাফী মিল্লাতের শ্রেষ্ঠত্ত্বের ঘোষণা প্রদান করেছেন। সুতরাং তাদের চেয়ে আর কারো উত্তম হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আল্লাহ বলেছেন,‘ মা কানা ইব্রাহীমু ইয়াহুদিইয়ান ওয়ালা নাসরানিইয়ান, ওয়ালাকিন কানা হানিফাম মুসলিমা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- ইব্রাহীম (আঃ) ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান ছিলেন না, বরং তিনি হানিফাম মুসলিমা (একনিষ্ঠ মুসলমান) ছিলেন এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।–(আল-ক্বোরআন, সূরা আলে ইমরান, ৬৭ আয়াত)।
*আয়াতে কারিমা অনুযায়ী মুসলমানদের প্রকৃত পরিচয় হলো, হানিফাম মুসলীমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম।
আল্লাহ বলেন,আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়াক্বালু কুনু হুদান আও নাচারা তাহতাদু, ক্বুল মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন-তারা বলে ইহুদী ও খ্রিস্টান হও হেদায়েত পাবে, বল বরং আমরা ইব্রাহীমের হানাফী(একনিষ্ঠ) মিল্লাত (জাতি) হব, এবং তিনি মুশরীক ছিলেন না।–আল ক্বোরআন, সূরা বাকারা ১৩৫ আয়াত।
*আয়াতে কারিমা অনুযায়ী হানাফীরা হানাফী হয়েছে আল্লাহর নির্দেশে এবং এটা প্রত্যেক মুসলমানে জন্য ফরজ।

আল্লাহ বলেছেন,‘ মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহীম, হুয়া সাম্মাকুমুল মুমলিমিন- তোমরা তোমোদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত, তিনি তোমাদের মুসলীম না রেখেছেন- (আল-ক্বোরআন, সুরা হজ্জ্ব, ৭৮ আয়াত)।
*কিন্তু দুঃখ জনকভাবে হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) ছোট ছেলে হজরত ইসহাকের (আঃ) বংশের লোকেরা নিজেদের নাম রেখেছে ইয়াহুদী বা বনি ইসরাঈল। তাদের একটি শাখা হলো খ্রিস্টান। আর হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) বড় ছেলে হজরত ইসমাঈলের (আঃ) বংশের লোকেরা তাদের নাম রেখেছে কুরাইশ। ইব্রাহীমের (আঃ) মুসলীম নাম কেউ বজায় রাখেনি বিধায় শব্দটাই বিলুপ্ত হয়ে যায়, কিন্তু হজরত ইসমাইলের (আঃ) বংশের কিছুলোক নিজেদের হানিফ পরিচয় বজায় রাখে, যারা ছিল মুষ্ঠিমেয়। নবুয়তের পূর্বে সেই দলে ছিলেন মহানবী (সঃ) ও হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) সহ আরো অনেকে। সুতরাং মহানবী (সঃ) হেরাগুহায় দ্যান করতে গেছেন হানিফ বা হানাফী হিসেবে এবং হানাফী হিসেবেই তিনি নবুয়ত লাভ করেছেন এবং সূরা বাকারার ১৩৫ আয়াতে আল্লাহ তিনি ও তাঁর উম্মতে হানাফী হতে আদেশ করেছেন। সুতরাং মহানবী (সঃ) নবুয়তের আগে ও পরে হানাফী ছিলেন, তাঁর সাহাবায়ে কেরাম হানাফী ছিলেন। আর আয়াতে কারিমা অনুযায়ী যারা হানাফী বা একনিষ্ঠ নয় তারা মুসলীম নয় বরং মুনাফিক। কারণ দু’দিল বান্দাকে মুনাফিক বলে। আমাদের এলাকায় একটা প্রবাদ আছে,‘দু’দিল বান্দা কালিমা চোর, না পায় শ্মশান না পায় গোর’।আর এরাই কপট বা মুনাফিক।
আলেমুল গায়েব আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রিয় নাম হানিফাম মুসলিমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম ফিরিয়ে আনার জন্য হজরত আলীকে (রঃ) একদল সাহাবায়ে কেরাম সহ ইরাকের কূফায় নিয়ে এলেন। খোলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রঃ) ইরাকের কূফায় খোলাফায়ে রাশেদার রাজধানী স্থাপন করলেন। কূফাবাসী পুরুষেরা ইবাদতের নিয়ম শিখল সাহাবায়ে কেরামের (রঃ) থেকে আর মহিলারা ইবাদতের নিয়ম শিখলেন সাহাবায়ে কেরামের ঘরের মহিলা সাহবায়ে কেরামের (রাঃ) থেকে। সাহাবায়ে কেরামের এসব অনুসারীর সবাই ছিলেন তাবেঈ (রঃ)। তাঁদের ইবাদত ছিল ইসলামের চলমান ইবাদত, যা ছিল মহানবীর (সঃ) সর্বশেষ আমল থেকে উৎসারিত।কিন্তু হাদীস ছিল দু’প্রকার যথা জারী ও মানসুখ। মানসুখ হাদীসের বিধান মূলত রহিত। যা নামাজে আমল করলে আমলে কাছিরের দায়ে নামাজ বরবাদ হয়।
সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) ও তাবেঈনে কেরামের (রঃ) জারী বা চলমান ইবাদতের বিপক্ষে কোন হাদীস উপস্থান করা চরম বেয়াদবী। কারণ এসব হাদীস উপস্থাপন করা দ্বারা বুঝানো হয় সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) হাদীস খেলাফী ছিলেন- নাউযুবিল্লাহ।সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের চলমান ইবাদতের বিপক্ষে হাদীস বোখারী, ছিয়াছিত্তা অথবা যে কোন হাদীস গ্রন্থ থেকে উপস্থাপন করা হোক তা চরম বেয়াদবী বলে গন্য হবে।আর আল্লাহ বেয়াদবকে হেদায়েত প্রদান করেননা বিধায় এসব লোক গোমরাহ হয়ে যায়।
সাহাবায়ে কেরামের জারী বা চলমান ইবাদতের বিপক্ষে যত্তবড় ছহী হাদীস থাকুক না কেন তা’মানসুখ সাব্যস্ত হবে এবং এর আমল নিষিদ্ধ হবে। কারণ সাহাবায়ে কেরাম হাদীসের প্রথম অনুসারী তাদের ইবাদতের বিপরীত হাদীস জারি হাদীস বা ছহী হাদীস কোন মতেই হতে পারেনা। যদি তা’ ছহী হয় তবে তা’ অবশ্যই মানসুখ হবে, কিছুতেই তা’ জারি হাদীস হবেনা।
মহান আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের এ জারী বা চলমান ইবাদত লিপিবদ্ব করার দায়িত্ব দিলেন মেধাবী ও ফরহেজগার ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ)। যার প্রুফ দেখে ভুল মুক্ত করেছেন মেধাবী ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ), ইমাম মোহাম্মদ (রঃ) ও ইমাম জুফার (রঃ) সহ চল্লিশ সেরা ইমামের পরিষদ।এভাবে আল্লাহ তাঁর ইবাদতের নিয়মকে বিশুদ্ধ করিয়ে নিয়েছেন। যা হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলামানেরা পালন করে। আর হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলমানদের নাম স্বয়ং আল্লাহ রেখেছেন হানিফাম মুসলীমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম, যাদেরকে সংক্ষেপে হানাফী বলে। অবশ্য হানাফীরা শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকীদেরকেও তাদের একই দলের শাখা মনে করে। তবে আমার মতে সবার হানাফী হয়ে যওয়াই উত্তম কারণ এ নাম আল্লাহর অনেক পছন্দ। হানাফী মুসলীম ও তাদের শাখা মিলে মোট মুসলীমের শতকরা সাতাশি ভাগ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতে রয়েছে।
এ দিকে ফেতনাবাজ আহলে হাদীস মতের লোকেরা ক্বোরআনের সাথে বেয়াদবী করে নিজেদের নাম রেখেছে আহলে হাদীস। তারা সাহাবায়ে কেরামের চলমান বা জারি ইবাদতের বিপরীতে ছহী মানসুখ হাদীসের আমল করে নিজেরা পথ ভ্রষ্ট হয়েছে আবার অন্যদেরকেও পথ ভ্রষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যারা ওয়ালী আল্লাহ, আইম্মায়ে মুসতাহিদিন ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে বেয়াদবী করে তারা আহলে হাদীসদের দলভুক্ত হবে। ওটা মূলত গোমরাহ লোকদের মিলিত হওয়ার প্লাট ফর্ম। ছহী মানসুখ হাদীসের আমলের কারণে এদের নামাজ হয়না, তাই আল্লাহ এদেরকে সীতাতুম মুস্তাকীমের পথেও হেদায়েত দান করেননা। কেউ যদি বলে সে দলে অমুক তমুক আছে, তবে আমি বলব তাদের অবস্থা আবু তালিব, আব্দুল মুত্তালিব ও মহানবীর (সঃ) মা-বাবার মতো।এরা আমাদের যতই প্রিয় হোকনা কেন, সূত্রমতে এরা গোমরাহ। এ এসব গোমরাহ লোকদের থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন-আমিন।

২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: আল কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরী থেকে দূরে থাকুন।

২৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটি আমার চলমান পোষ্ট আপনার পোষ্টের সাথে কিছুটা মিল থাকায় মন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করলাম।

২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: পোস্টের লিংক দিতে পারতেন, এত বড় কমেন্ট না দিয়ে

২৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

বালাম সিটিকে বলেছেন: অনেক শুনলাম--দুটি কথা বলি
ছোটবেলায় স্কুল জীবনে একটি প্রশ্ন আসতো --" নামকরনের স্বার্থকতা লেখ"
আজ প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় -- মুসলিম নামধারী ওনারাও নামকরনের স্বার্থকতা লিখুক।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০১

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: প্রশ্ন করে দেখতে পারেন

৩০| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি স্বতু সাইকে বলেছেন-
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়তে পারেন। জাকির নায়েকের ভিডিও দেখতে পারেন। নোমান আলী খানের লেকচার শুনতে পারেন।
আরবি ভাষা শিখে কুরআন শরীফ বুঝে পড়ুন, ব্যাখ্যার জন্য হাদীসগ্রন্থ বুখারী, মুসলিম পড়ুন। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। "

আপনি কি জানেন আপনি পাল্লায় ওজন হয়ে গেছেন?

স্বতু সাইকে কতটুকু জানেন? কিংবা ফরিদ আহমেদ চৌধূরীকে???

অথচ আপনার প্রতি মন্তব্যের ভাষা ঔদ্ধত্য পূর্ন! যা মূর্খতার আরেক পরিচয় প্রকাশ করে। কারণ জ্ঞানীরা বিনয়ী হয়।
ইসলাম, মুসলিম, নবী রাসূল নিয়ে পোষ্ট েবার আগে অনেক অনেক জ্ঞান সাধনার প্রয়োজন। তা একপাক্ষিক হলে হবেনা বহুপাক্ষিক হতে হবে।

আপনি কি ধরেই নিয়েছেন সবাই মুসলমান। মুসলমানতো একপিস খুঁজে পেতে কষ্ট হয়! অন্ধ বিশ্বাসী প্রচুর আছে কিন্তু তারা মুসলমান হয়নি। মুসলমান হতে হয়। আপনার উদ্ধৃক আয়াতের শেষাংশে দেখুন কি বলছেন আল্লাহ- মরার আগে মর, মুসলমান না হয়ে মরো না। কত গুরুত্বপূর্ন বিষয় মুসলমান হওয়া
না রহিম হলেই সে মুসলমান এই ঘেরাটোপ থেকে না বেরোলে জ্ঞানের স্পর্শ পাবেন না!

ভাল থাকুন। অসীম কে পেতে চাইলে সসীমের উদ্ধৃতি বন্ধু থেকে মুক্ত হোন। নয়তো বাকী সব পনডশ্রমই হবে বৈকি!
শুভকামনা সবসময়।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: কেউ আমাকে মূর্খ বললে রাগ হয় না।

কারন আমি জ্ঞানী নই। মুসলমান হওয়ার চেষ্টায় আছি।

৩১| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরী থেকে দূরে থাকুন। ভুল বের না করে ভুল বল্লেন কি ভাবে? আর বিভেদ আসলে কারা তৈরী করছে, চোক খুলে ভাল করে দেখে তারপর বলুন। আপনার অনুমানের কথা কে শুনতে চাইবে?

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২২

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: এই ব্যাপারে আপনার সাথে তর্কে যাওয়ার ইচ্ছে নেই।

আমার মন্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি। দুঃখিত।

৩২| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫০

আল ইফরান বলেছেন: মাহফুজের ভাড়াটে দালাল মামুন আর চটি পিয়ালের কমেন্টস নিয়ে আস্ত একখান পোস্ট দিয়ে ফেললেন ? ? ?
এই কীটগুলোকে ফেমাস করার পেছনে আপনার দায়ও দেখা যাচ্ছে কম না।


আর বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে সহমত।

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ওকে

৩৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:২৬

দেশী পোলা বলেছেন: মুসলমানেরা এক জাতি হইলে আরব ছাগলগুলা বাংলাদেশী লেবারদের মিসকিন কয় কেন? X(

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:১০

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: কারন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য নেই।
আমরা মুসলমানেরা তারাবি ৮ না ২০ রাকাত, হাত বুকে না নাভির উপরে, সুন্নি না শিয়া, এসব নিয়ে ব্যাস্ত আছি।

৩৪| ২১ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৩

দেশী পোলা বলেছেন: কথা সেইটাই, আরব ছাগুগুলারে হেদায়েত না কইরা অমি পিয়ালের ফেসবুক ফলো করলে কি মুসলমান জাতি এক হইয়া যাইবো? =p~

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: প্রথমত, হেদায়েতের মালিক আল্লাহ।

দ্বিতীয়ত, মুসলমান জাতিকে এক করার ঠিকাদারী নেই নাই ভাই।

পোস্টের উদ্দেশ্য পোস্টেই লেখা আছে, আরেকবার দেখেন।

৩৫| ২৬ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মুসলামানের সংজ্ঞা হলেন ইবরাহীম আঃ ।
তিনি কুরবানী করেছেন। তিনি মুসলমানিত্ব অর্জন করেছেন ।
আল্লাহ তাকে খুশি হয়ে ইবরাহীম খলিলুল্লাহ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন ।

২৬ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.