নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৮ ফেব্রুয়ারীর হরতালের রাস্তায় লিখা চিরকুট (উৎসর্গ কবি - পাগলা জায়েদ)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

প্রতিদিন একটু একটু করে মরেছি বহু বছর । খাবার থালা ভর্তি হয়েছে আজম্ম নোংরায় ।



অথচ দোষ কি ছিল আমার বা বাংলাদেশের । আমি বা দেশ কেউই কথা বলতে পারতাম না ।



শুধু চেয়ে থাকা পূবের দিকে ।



বাংলাকে আমার বলা হয়নি কিছুই । কি বা বলবো? ক্যামিক্যাল বৃষ্টিতে ভিজেছে মাথা - তাই বুঝি কম ।



ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঝড় তোলা তারাদের রাতে একলা আধারে ।



কে কাকে সান্তনা দিব? আমি বা ধর্ষিত স্বদেশ?



আজ তো জেগেছি বহু বছর পর । ঘুম থেকে জেগে উঠি, তারপর ঘুমাই ।



যুদ্ধের কাল । খাবারের থালায় থাকবে খাবারই। কোন নোংরা নয় ।



মাঝখানে প্রজম্মের সময়- আমার জেগে থাকার ঋতু ।



তুমি কে? আমি কে?



বাঙালী বাঙ্গালী ।



আমি যদিও কখনও কোন মিছেলে যাইনি-



তবুও এবারের জেগে থাকা সন্ধ্যা শ্লোগান শুনে শুনে বানিয়েছি কিছু শ্লোগান ।



যদিও আমি জেগে থাকা মাইকের সাথেই শ্লোগান দেই-



পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা ।



ফাসি চাই ফাসি চাই - রাজাকারের ফাসি চাই ।



তবুও একটু সুযোগ পেলেই নিজের ভিতর কয়েকটা নিজে মিলে গোপন লজ্জাতুর মিছিল করি



“জামাত- শিবিরের ঠিকানা- পাকিস্তানের নর্দমা” জয় বাংলা- জয়-বাংলা” ।



কখনও বা সন্ধ্যার আলো আর প্রজম্মের মোমবাতি বা মানুষে চোখের সরল উজ্জলতায় শ্লোগান ধরি



“পাকিস্তনের বিড়ালেরা-পাকিস্তানে ফিরে যা” ‘পাকিস্তনের প্রেতাত্তারা পাকিস্তানে ফিরে যা” ।



আমি কোন জীবনের জন্য শ্লোগান দেই নি । দিয়েছি মৃত্যুর জন্য ।



দানবদের মৃত্যুর জন্য ।



যদিও কোন কোন সূধী সমাজ আমাকে বলেছিল কসাই-এর লাইসেন্স নিতে ।



এরই মাঝে একদিন একটুকরো বাতাস ধুলোর সাম্পানে এসে বলেছিল-



তোমার শরীর, কন্ঠ আর ঘাম থেকেই জম্ম নিচ্ছে নতুন এক বর্ণীল সবুজ ।



তুই/তুমি/আপনি আমার মতই এসেছিস/এসেছিলে/এসেছিলেন পজম্মের পরিচয়ের যুদ্ধে ।



তারপর হয়তো যারা চলে গেছেন ,



প্রজম্ম চত্বরের পাশে দাড়ানো বট ঘাছটার মত নুয়ে থেকে বলি -



অভিবাদন । আমি না ফেরার দলে ।



বইয়ের মোড়ক উম্মচোন, গায়ে হলুদের আনন্দ সরলতা,



বসন্ত উচ্ছাস কোন সমুদ্র জোছনায় ঢেউ-এ পা ডুবিয়ে বসে থাকার সময় আটকে গেছে ঘড়ির কাটায় কাটায় ।



“তীর হারা এ ঢেউ-এর সাগর পাড়ি দেবরে”



আপনার পা পরিষ্কার হয়েছেতো সমুদ্র জলে অথবা



দামী কাপড়ে লাগেনিতো কিশোরীর উচ্ছল আনন্দের কাচা হলুদের দাগ ?



আমার ও আরও কয়েক জনের সময় এখন বন্ধী কাটার কাটায় ।



গনিতের হিসাবে অনেকেই বলতে পারেন -



সামাজিকতায় তো যেতে হবেই ।



আমিতো এসেছিলাম, আছিই ।



আপনার মুষ্টি বদ্ধ দুহাত খুজেছিল শাহবাগের আকাশ ।



কন্ঠ খুজেছে জেলখানার ভিতরে দানবদের কাছে বয়ে যাওয়া বাতাস ।



কাল ঘন আনন্দ বা বেদনার কাল ।



দানবেরা ল্যাম্পপোষ্টের কাছে বাতাসে লিখে গেছে হরতাল নামের এক আগুন্তকের নাম ঠিকানা ।



তারা কোথায় যায় না , তারা খুড়ে নিয়েছে নিজের শিকড় -



আপনার অবশ্য যেতেই হবে- সৌখিনতা বা সামাজিকতায় ।



ল্যাম্প পোষ্টগুলো নাকি আর জ্বলবে না ।



আপনি বাড়ী ফিরবেন । আলোহীন ?!



আলোহীন । অন্ধকারে কি পথ দেখা যায়?



গায়ে হলুদের আলোক বাতি, সমুদ্র জোছনার মাতা-মাতি সবই নিভে যাবে ।



বিশ্বাস করুন আমিও প্রকৃতি বড় ভালোবাসি ।



অর্থাভাবে বহু বছর আমি দেখিনি কোন ধান ক্ষেত, বড্ড বেশী গাড়ী ভাড়া ,



পোশাকের অভাবে যাওয়া হয়নি বন্ধুর বিয়ে বা আনন্দ উৎসবে ।



আপনিতো আজও সেখানে । যদি আপনার আলো ঢেকে দেয় দানবেরা !



আপনি প্রজম্ম চত্বেরে এসে চলে গেছেন । এসেছিলেনতো ।তবুও এসেছিলেন-



মনের গোপনে এখনও জেগে ডুবু ডুবু একটা চর-



সেখানে বড় অট্টালিকা বানানোর ভাবনা আপনার মাথায়



অথবা



কোন অরণ্যে জম্মাবে সেই ডুবু চরে - সুন্দর একটা বাড়ী ।



কেউ কেউ আসেই নি । যেমন আমি যাইনি ঘরে- আলোরা আসবে ।



আজ হরতাল নামক আগুন্তকের অভিবাদন থামাতে আমি রাস্তায় আছি হেলাল হাফিজের কবিতার মত ।



হয়তো আর কখনও লেখা হবে না ।



দানবেরা নাকি লাল তরলে তৃষ্ঞা মিটাবে ? ক্যামিকেল বৃষ্টি নাকি মুছে দেবে আলোর যত উৎস এবং শরীরের লাল সমুদ্র।



অতঃপর অন্ধকারে নিজের মাংস নিজেই খুবলে খেয়ে বেচে থাকা ।



আর যদি দেখা না হয় প্রিয় নারী ঠোট, প্রিয় কবিতার উৎসব-



আমি পড়ে থাকতে পারি যে কোন রাস্তার মোড়েই , নিঃস্তব্দ এবং নিথর ।



তখন আমার কথা না ভেবে না হয় গভীর ভাবে মনে মনে একবার বলবেন আলো আসুক আলো আসুক,



আমার সম্মান বা অসম্মানে ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.