![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
প্রতিদিন একটু একটু করে মরেছি বহু বছর । খাবার থালা ভর্তি হয়েছে আজম্ম নোংরায় ।
অথচ দোষ কি ছিল আমার বা বাংলাদেশের । আমি বা দেশ কেউই কথা বলতে পারতাম না ।
শুধু চেয়ে থাকা পূবের দিকে ।
বাংলাকে আমার বলা হয়নি কিছুই । কি বা বলবো? ক্যামিক্যাল বৃষ্টিতে ভিজেছে মাথা - তাই বুঝি কম ।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঝড় তোলা তারাদের রাতে একলা আধারে ।
কে কাকে সান্তনা দিব? আমি বা ধর্ষিত স্বদেশ?
আজ তো জেগেছি বহু বছর পর । ঘুম থেকে জেগে উঠি, তারপর ঘুমাই ।
যুদ্ধের কাল । খাবারের থালায় থাকবে খাবারই। কোন নোংরা নয় ।
মাঝখানে প্রজম্মের সময়- আমার জেগে থাকার ঋতু ।
তুমি কে? আমি কে?
বাঙালী বাঙ্গালী ।
আমি যদিও কখনও কোন মিছেলে যাইনি-
তবুও এবারের জেগে থাকা সন্ধ্যা শ্লোগান শুনে শুনে বানিয়েছি কিছু শ্লোগান ।
যদিও আমি জেগে থাকা মাইকের সাথেই শ্লোগান দেই-
পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা ।
ফাসি চাই ফাসি চাই - রাজাকারের ফাসি চাই ।
তবুও একটু সুযোগ পেলেই নিজের ভিতর কয়েকটা নিজে মিলে গোপন লজ্জাতুর মিছিল করি
“জামাত- শিবিরের ঠিকানা- পাকিস্তানের নর্দমা” জয় বাংলা- জয়-বাংলা” ।
কখনও বা সন্ধ্যার আলো আর প্রজম্মের মোমবাতি বা মানুষে চোখের সরল উজ্জলতায় শ্লোগান ধরি
“পাকিস্তনের বিড়ালেরা-পাকিস্তানে ফিরে যা” ‘পাকিস্তনের প্রেতাত্তারা পাকিস্তানে ফিরে যা” ।
আমি কোন জীবনের জন্য শ্লোগান দেই নি । দিয়েছি মৃত্যুর জন্য ।
দানবদের মৃত্যুর জন্য ।
যদিও কোন কোন সূধী সমাজ আমাকে বলেছিল কসাই-এর লাইসেন্স নিতে ।
এরই মাঝে একদিন একটুকরো বাতাস ধুলোর সাম্পানে এসে বলেছিল-
তোমার শরীর, কন্ঠ আর ঘাম থেকেই জম্ম নিচ্ছে নতুন এক বর্ণীল সবুজ ।
তুই/তুমি/আপনি আমার মতই এসেছিস/এসেছিলে/এসেছিলেন পজম্মের পরিচয়ের যুদ্ধে ।
তারপর হয়তো যারা চলে গেছেন ,
প্রজম্ম চত্বরের পাশে দাড়ানো বট ঘাছটার মত নুয়ে থেকে বলি -
অভিবাদন । আমি না ফেরার দলে ।
বইয়ের মোড়ক উম্মচোন, গায়ে হলুদের আনন্দ সরলতা,
বসন্ত উচ্ছাস কোন সমুদ্র জোছনায় ঢেউ-এ পা ডুবিয়ে বসে থাকার সময় আটকে গেছে ঘড়ির কাটায় কাটায় ।
“তীর হারা এ ঢেউ-এর সাগর পাড়ি দেবরে”
আপনার পা পরিষ্কার হয়েছেতো সমুদ্র জলে অথবা
দামী কাপড়ে লাগেনিতো কিশোরীর উচ্ছল আনন্দের কাচা হলুদের দাগ ?
আমার ও আরও কয়েক জনের সময় এখন বন্ধী কাটার কাটায় ।
গনিতের হিসাবে অনেকেই বলতে পারেন -
সামাজিকতায় তো যেতে হবেই ।
আমিতো এসেছিলাম, আছিই ।
আপনার মুষ্টি বদ্ধ দুহাত খুজেছিল শাহবাগের আকাশ ।
কন্ঠ খুজেছে জেলখানার ভিতরে দানবদের কাছে বয়ে যাওয়া বাতাস ।
কাল ঘন আনন্দ বা বেদনার কাল ।
দানবেরা ল্যাম্পপোষ্টের কাছে বাতাসে লিখে গেছে হরতাল নামের এক আগুন্তকের নাম ঠিকানা ।
তারা কোথায় যায় না , তারা খুড়ে নিয়েছে নিজের শিকড় -
আপনার অবশ্য যেতেই হবে- সৌখিনতা বা সামাজিকতায় ।
ল্যাম্প পোষ্টগুলো নাকি আর জ্বলবে না ।
আপনি বাড়ী ফিরবেন । আলোহীন ?!
আলোহীন । অন্ধকারে কি পথ দেখা যায়?
গায়ে হলুদের আলোক বাতি, সমুদ্র জোছনার মাতা-মাতি সবই নিভে যাবে ।
বিশ্বাস করুন আমিও প্রকৃতি বড় ভালোবাসি ।
অর্থাভাবে বহু বছর আমি দেখিনি কোন ধান ক্ষেত, বড্ড বেশী গাড়ী ভাড়া ,
পোশাকের অভাবে যাওয়া হয়নি বন্ধুর বিয়ে বা আনন্দ উৎসবে ।
আপনিতো আজও সেখানে । যদি আপনার আলো ঢেকে দেয় দানবেরা !
আপনি প্রজম্ম চত্বেরে এসে চলে গেছেন । এসেছিলেনতো ।তবুও এসেছিলেন-
মনের গোপনে এখনও জেগে ডুবু ডুবু একটা চর-
সেখানে বড় অট্টালিকা বানানোর ভাবনা আপনার মাথায়
অথবা
কোন অরণ্যে জম্মাবে সেই ডুবু চরে - সুন্দর একটা বাড়ী ।
কেউ কেউ আসেই নি । যেমন আমি যাইনি ঘরে- আলোরা আসবে ।
আজ হরতাল নামক আগুন্তকের অভিবাদন থামাতে আমি রাস্তায় আছি হেলাল হাফিজের কবিতার মত ।
হয়তো আর কখনও লেখা হবে না ।
দানবেরা নাকি লাল তরলে তৃষ্ঞা মিটাবে ? ক্যামিকেল বৃষ্টি নাকি মুছে দেবে আলোর যত উৎস এবং শরীরের লাল সমুদ্র।
অতঃপর অন্ধকারে নিজের মাংস নিজেই খুবলে খেয়ে বেচে থাকা ।
আর যদি দেখা না হয় প্রিয় নারী ঠোট, প্রিয় কবিতার উৎসব-
আমি পড়ে থাকতে পারি যে কোন রাস্তার মোড়েই , নিঃস্তব্দ এবং নিথর ।
তখন আমার কথা না ভেবে না হয় গভীর ভাবে মনে মনে একবার বলবেন আলো আসুক আলো আসুক,
আমার সম্মান বা অসম্মানে ।
©somewhere in net ltd.