![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
ইহুদী ধর্মবলম্বীরা প্রায় প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থেই অভিশপ্ত । ইসরাইল রাষ্ট্রটি জম্মের পর থেকেই পৃথিবীকে যেমন অশান্ত করে রেখেছে তেমনি নিজেরাও আছে অশান্তিতে । সব সম্পদ ও শক্তি নিয়েও তারা পায়নি একটি নিশ্চিত সকাল । বন্ধু হিসাবে তাদের ডাকেনি কোন রাষ্ট্র । যতটুকু ডাকা-ডাকি তা কেবল তাদের ব্যাবহার করার জন্য, ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য । তাদের বলা যায় একধরনের লাঠি যা যে কোন স্থানেই যত্নহীন ভাবেও ফেলে রাখা যায় । তারা কিন্তু লাঠিয়াল নয় শুধূ মাত্র লাঠি ।
পঞ্চাশের দশকে সি.আই.এ সহ আরও কতগুলো বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজনে (প্রয়োজনটা সরল নয়) তৈরী হয় “জামাত-ই-ইসলাম” । সি.আই.এ প্রথমে খুজতে থাকে এ উপমহাদেশের সবচেয়ে ঝামেলার লোকটি কে । তারা খুজে পায় জনাব আবু আলা মোওদুদীকে । তৈরী হয় জামাত-ই-ইসলাম ।
বৃটিশরা ভারত বর্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় মওদুদী ছিল অখন্ড ভারতবর্ষের পক্ষে । তারপর চলে আসে পাকিস্তানে । পুরো দস্তুর ধর্মীয় রাজনিতী শুরু করে । ইসলাম ধর্মের নাম ব্যাবহার তিনি যে তত্ব দেওয়া শুরু করেন তাতে অস্বীকার করা হয় ইসলামের অনেক কিছুই । নিজের সুবিধামতন তিনি ইসলাম ব্যাবহার করতে থাকেন, শুরু করেন ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখা । এতে পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নী দাঙ্গা, কাদীয়ানী ইস্যু প্রভৃতিতে মারা যান প্রচুর মানুষ । মনগড়া কোরান ব্যাখার জন্য পাকিস্তানের ব্লাসফেমী আইনে তার মৃত্যুদন্ড হয় । সেই থেকে শুরু হয় তাদের “লাঠি” হিসাবে পরিচয় । “লাঠি” হিসাবে ব্যবহার করার জন্য কয়েকটি ধাপে তার মৃত্যুদন্ড মওকুফ করা হয় । বারবার জামাত-ই-ইসলাম “লাঠি” হিসাবে ব্যাবহৃত হয়েছে কিন্তু পাকিস্তানেও তারা কখনও ক্ষমতার কাছাকাছিও যেতে পারেনি ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তাদের অবস্থান একই । পাকিস্তনী সেনাবাহিনীর জন্য তাদের আচরন ছিল প্রভু ভুক্ত কুকুরের মত । প্রভুকে খুশি করার জন্য তাদের হিংস্রতা কখনও কখনও পাকিস্তানী সেনা-বাহিনীকেও হার মানিয়েছিল । অক্টবর, নভেম্বরের দিকে জামাত-ই-ইসলাম বাংলাদেশেকে পরিচালনার জন্য প্রভুদের কাছে আবদার, দৌড়াদৌড়ি শুরু করে । কিন্তু তাতে সায় মেলেনি । বরং প্রভুরা বেজার হয় – প্রভুদের ভিতরকার আলোচনা ছিল এমন “ পোষা কুকুর এখন ক্ষমতার ভাগ চায়” ।
বাংলাদেশে তাদের ঘাটি গড়ার, চলাচল শুরু করার ইতিহাস নতুন করে আবার বলবো না । গত ৩৭ বছরে তাদের উন্নয়ন গেল নির্বাচনের হিসাবে ৩% ভোট । ভোটের হিসাব করলে দেখা যায় তাদের ভোট নিয়মিত কমছে । বি.এন.পি ও আওয়মী লীগ জামাত-শিবিরকে রাজনৈতিক ভাবে (লাঠি হিসাবে)ব্যাবহার না করলে এত দিনে তারা বিলীণ হয়ে যেত হয়তবা ।
আপনারা অনেকেই বলছেন জামাত-শিবির নিপাত যাক । আরে ভাই ভুল কথা বলেন কেন ? তারাতো এখন পর্যন্ত “পাত”-ই পায়নি “নিপাত” যাবে কি ভাবে ?!
মনে রাখতে হবে এ উপমহাদেশের মাটির কথা । এখানকার মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নিয়েই খুশি । তারা ধর্ম প্রাণ । জামাত প্রবতৃত ধর্ম এখানে কোন ভাবে জায়গা পাবে তার সম্ভবনা মোটেও নাই । তবে তারা নোংরা আবর্জনা । আবর্জনা পরিষ্কার করতে হয় । তার আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই বা স্তম্ভ নেই । তাহলে “ নিপাত যাক” শব্দটি আমরা কেন, কি ভাবে তাদের বেলায় ব্যাবহার করবো । এতে তাদের সম্মান বাড়ানো হয় বলে আমার ধারনা ।
©somewhere in net ltd.