![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
আমার কিছু কথা ..........
হেফাজতে ইসলামের কাছে জিঞ্জাস্য (পর্ব ২)
-------------------------------------------------
"কোনো ব্যাক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শুনে তাই যাচাই না করে বিশ্বাস করে এবং অন্যের কাছে প্রচার করে।" (সহীহ মুসলিম ১ম/হাঃ ৫)
হেফাজতে ইসলামের নেতাদের টিভি সাংবাদিকরা যত বারই জিজ্ঞেস করেছেন - আপনারা কি ব্লগ দেখেছেন, ততবারই তারা র্নিদ্ধিধায় স্বীকার করেছেন যে তারা দেখেন নি! ২/১ জন বলেছেন তাদের বড় হুজুররা / নেতৃস্থানীয়রা দেখেছেন । সেই বড় হুজুরকেও আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি । হেফজতে ইসলামের কেউ ব্লগ দেখেছে এমন তথ্য কারো জানা থাকলে প্লিজ আমাকে জানাবেন ।
ইসলামে যাচাই, বাছাই করে বিশ্বাস ও প্রচার করার কথা বলা আছে । কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বদর যুদ্ধের ৩১৩ জন শহীদের কথা মাথায় রেখে তৈরী করেছিল সুইসাইড স্কোয়াড । যারা ধর্মের নামে শহীদ হতে চেয়েছিল, যারা এদের শহীদ হওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল তারা কেউই ব্লগ দেখেনি !! পরম করুনাময় আল্লাহকি এমন মৃত্যুতে খুশি হতেন? আর সত্যি সত্যি যদি ঐ সুইসাইড স্কোয়াডের কয়েকজন নিহত হতো তাহলে তা হতো খুন । কিছু না জেনেই, যাচাই না করে, ইসলামের নির্দেশনা না মেনে হেফাজত কেন এমন সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করলো । চিলে কান নিয়েছে বলে সব তছনছ করার পর দেখা গেল কান নিজের জায়গা্য়ই আছে । ব্লগার মানে নাস্তিক, ধর্মের প্রতি কটুক্তিকারী, নবী করিম (সঃ)-প্রতি বিদ্বেষ পোষনকারী এমন তথ্য তারা যত জোরে প্রচার করেছে তত জোরে তারা বলতেই পারেনি যে তারা যাচাই, বাছাই করেছে । হেফজতে ইসলাম এমন ইচ্ছা অন্ধ হয়ে আছে কেন?
৬ এপ্রিল ২০১৩ মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের জন সভায় আমরা দেখেছি- হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন “ব্লগ দিয়ে নেট চালানো হয় । এটা ক্ষতিকর, বেদাত ও অপসংস্কৃতি । তারা যে টিভি চ্যানেলের সামনে এসে বক্তিতা দেয় এ সম্বদ্ধে ইসলামে কি বলা আছে?!
** একটা প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক । কিছু না বুঝে কিছু না জেনেই , যাচাই-বাছাই না করেই হেফাজত এমন একরোখা ক্ষেপলো কেন?! নাকি ধরে নিব তাদের এই ক্ষ্যাপামি টা লোক দেখানো ? হাজার হাজার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাদ্রাসার ছাত্রকে তারা প্ররোচিত করে রাস্তায় নামিয়েছে বিশেষ কোন স্বার্থে ?
হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্নিত, রাসুল সা: বলেছেন-
"যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ সে তা নয়, তখন তার কথা নিজের দিকে ফিরবে"।
মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রি ঢালাও ভাবে শাহবাগের সকল আন্দোলনকারীকে “নষ্ট ও নাস্তিক” বলেছেন । শাহবাগে আমি প্রচুর ধার্মিক লোক দেখেছি । এদের ভিতর বয়স্ক লোক জনের সংখ্যাও অনেক । মাথায় টুপি, গালে সুন্নত মেনে দাড়ি । এমনকি অনেক আলেম ওলামাও এসে একাত্নতা প্রকাশ করে দোয়া করে গেছেন । এ ভাবে ঢালাও ভাবে “নাস্তিক ও নষ্ট “ বলে বেগম জিয়াকি মানুষের ব্যাক্তিগত ধর্মনুভূতীতে আঘাত অনুভুতিতে আঘাত করেননি? ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধাচারন করেননি ? এত বড় ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিয়ে হেফাজতের কোন পতিক্রিয়াতো নেই উপরন্ত তারা সাদরে বরণ করে নিয়েছে বিএনপিকে ।
** (ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য যথেষ্ট” –আল কোরআন (সুরা হিজরঃ৯৫)
** তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর। তাঁর (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন” – আল কোরআন (সুরা নাহলঃ১২৫)
** তোমাদের কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ” –আল কোরআন (সুরা রাদঃ৪০)
উপরোক্ত কোরানের আয়াতগুলো থেকে আমরা কি দেখতে পাই ? এগুলো বোঝার জন্য কি অনেক বড় ইসলামি স্কলার হতে হবে ? আল্লাহ নিজেই বলেছেন ইসলাম নিয়ে বিদ্রুপকারীদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট । কিন্তু হেফাজতে ইসলামের কর্ম কান্ডের সাথে এ আয়াতের আমি কোন মিল খুজে পাচ্ছিনা।
কে যে কি? কার হজ্ব, নামায, যাকাত, দোয়া কবুল হয়েছে তা কেবল আল্লাহই জানেন! আল্লাহ কেবল বলেছেন প্রচার করো, আর বাদ বাকী সব কিছুর হিসাব তিনি নিজে করবেন । তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে ফাসি চেয়ে হেফজতীরা কিসের হিসাব কষছে?
মসজিদকে আমরা ধরি পবিত্রতম স্থান হিসাবে । জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান যা ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে আছে । এখন পর্যন্ত শুনিনি এই পবিত্র মসজিদ ইহুদীরা কখনও অপবিত্র করেছে । ইসলামে মিথ্যকে নিষেধ করা হয়েছে কঠোরভাবে, বলা হয়েছে মিথ্য থেকেই পাপের উৎপত্তি । অপবিত্রতম শব্দ হচ্ছে মিথ্যা । মসজিদের মাইক থেকে মিথ্যা ঘোষন দিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করিয়ে থানা আক্রমন, পুলিশ আক্রমন, হরতাল বিরোধী, জামাত শিবির বিরোধী মিছিলে আক্রমন করিয়েছে জামাত-শিবির । এতে নিহত হয়েছে শতাধিক মানুষ । মসজিদের মত পবিত্র স্থানে বারবার মিথ্যা বলার জন্য কেন জামাত-শিবিরের বিরোদ্ধে একটি শব্দও করছেনা হেফাজতীরা ? মসজিদের মাইক থেকে মানুষকে ডাকা হয় নামাযে আসার জন্য । সেই মসজিদের মাইক দিয়ে মিথ্যা ঘোষনা!!!! ব্লগারদের মত লিখে নয় , মূখ দিয়েও নয় এক্কেবারে বাস্তবেই করা হয়েছে ইসলামের চরম অবমাননা । নিরীহ মানুষজন খুন হয়েছে । হেফাজতীরা কেন এ ইস্যুতে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করছে না ? এর কারণ কি?
Click This Link target='_blank' >প্রথম পর্বের লিঙ্ক
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৬
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: !!!!!!!! ekhane khawa-khawir bepar aschhe kn?
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০১
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: সোজা আঙ্গুল বলেছেন: মুনেঅচ্ছে পাব্লিক এই লেকা খাবেনা।তবে স্টিকি হয়ে যেতে পারে !
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০২
মাসুম বাবু বলেছেন: খুবই সুন্দর তথ্যবহুল লেখা। যারা জেগে জেগে ঘুমান তাদেরকে জাগানো খুব কষ্টের
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৭
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: thnx
৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
সৌমেন্দ্র বলেছেন: again+++++
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২
সোজা আঙ্গুল বলেছেন: মুনেঅচ্ছে পাব্লিক এই লেকা খাবেনা।