নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কিছু কথা .......... হেফাজতে ইসলামের কাছে জিঞ্জাস্য (পর্ব ৩)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

হেফাজতে ইসলাম আসসালামুআ লাইকুম । আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । আপনারা চোখ খুলে ইসলামকে দেখুন । আপনাদের কাছে নিয়মিত প্রশ্ন করে যাচ্ছি কিন্তু কোন উত্তর পাচ্ছি না । আজ আরও কিছু প্রশ্ন করি ।

আশা করি প্রমাণ করবেন আপনারা ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন না, প্রমাণ করবেন আপনারা জামাত-ই-ইসলামের বি টিম না, আপনারা ভিন্ন নামে জামাতশিবিরও না , প্রমাণ করবেন আপনাদের নামে যে মোট ২৫৩ কোটি টাকা ঘুষ খাওয়ার খবর এসেছে তা মিথ্যা ।



** বুদ্ধিজিবী ফরহাদ মজহার কি তওবা করে ইসলামের পথে ফিরে এসেছেন? ইসলাম উম্মুক্ত আকাশ ও ক্ষমাশীল ধর্ম । ফরহাদ মজহার আত্নস্বীকৃত নাস্তিক । তার লিখা কবিতা



বিবি খদিজা

---------------------------------

বিবি খদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি:

বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খদিজার নাম নেবো।

প্রভু, অনুমতি দাও। গোস্বা করিও না, একবার

শুধু তাঁর নামে এ পদ্যখানি লিখিব মাবুদ ।



নবীজীর নাম? উঁহু, তার নামও নেবোনা মালিক

শুধু খদিজার নাম- অপরূপ খদিজার নামে

একবার দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব

তোমাকেও ভুলে যাব ভুলে যাব নবীকে আমার।

এ কবিতা লিখার পর মূখে স্বীকার করলেও কেউকি মুসলমান থাকতে পারে ? আর ফরহাদ মজহারতো এ কথা লিখে, মূখেও স্বীকার করেছেন । তাহলে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিকই যে আপনারা উনার বিচার চান না, বরং উনার সাথে আপনাদের অনেক দোস্তি, উনি আপনাদের সমাবেশে গেলে আপনারা সরবত খাওয়ান, হাত মেলানোর পিকচার তুলেন । এর পিছের কারণ কি? যদি বলেন যে উনি তওবা করে আবার ইসলামের উম্মুক্ত আকাশের নিচে এসে দাড়িয়েছেন । যদি আরও বলেন যে উনি কখনও প্রচার করবেন না, মনেও আনবেন না, কোন কবিতায় লিখবেন না “নবীজীর নাম? উঁহু, তার নামও নেবোনা মালিক”

“বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খদিজার নাম নেবো।

প্রভু, অনুমতি দাও। গোস্বা করিও না, একবার

শুধু তাঁর নামে এ পদ্যখানি লিখিব মাবুদ ।” ।

ভাই হেফজতীরা উনি কি কোথাও এমন কিছু বলেছেন?



জিনাত মোশাররফ, নিশাদ কামাল, শাকিলা অনেক অনেক নারী একদা হীরু ছিল । অনেকের নিজস্ব পেশা ছিল , কিছুটা ক্ষাতিও ছিল, অনেকের কোন পরিচয়ই ছিলনা স্বামীর পরিচয় ছিলনা । কিন্তু তাহারা একদা ছিল প্রভাব,আলোচনা কেন্দ্র বিন্দুতে । কি ভাবে , কোন সময় তাহারা এমন দাপুটে ছিল তাহাকি আপনারা হেফজতী ভাইরা বিস্মরণ হয়েছেন? যদি তা হন তাহলে আপনাদের চিকিৎসা হওয়া দরকার । আপনারা কি হোসেনেো মোহাম্মদ এরশাদের লাম্পষ্ট্যর কথা ভুলে গেছেন? ভুলে গেছেন তিনি এক এক শুক্রবার এক এক মসজিদে জুম্মা পড়তে যেয়ে বলতেন তিনি নাকি আগের রাতে স্বপ্নে দেখেছেন তিনি এই মসজিদে নামাঝ পড়েছেন? তিনি কি তওবা করে ভালো হয়ে গেছেন? তার চুরির সব টাকা ফেলত দিয়ে সাদামাটা জীবনে গিয়ে নিজের অপরাধের জন্য অনুতাপ করে আল্লাহর সানিধ্যে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন ? কম পাপতো আর তিনি করেননি চুরি, খুন, অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল, নারী লিপ্সুতা, মসাজিদে মিথ্যাচার ! কিন্তু অনুতপ্ততো মনে হলোনা উনাকে । এখণও প্রেসিডেন্ট হওয়ার খায়েশ ! বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু উনি পার হয়ে গেছেন অনেক আগেই কিন্তু এখনও মূখে নবীল সুন্নত মেনে দাড়ি দেখিনা, কপালে দেখিনা নামায পরার দাগ । উনি আপনাদের কাছে এত সমাদৃত কেন?

“ কেউ কাউকে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ কিংবা দুনিয়ায় ফাসাদ সৃষ্টি করার কারণ ছাড়া হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল, আর যে কেউ কারো জীবন রক্ষা করল, সে যেন সব মানুষের জীবন রক্ষা করল। তাদের কাছে তো এসেছিল আমার অনেক রাসূল স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে। কিন্তু এরপরও তাদের অনেকেই দুনিয়ায় সীমা লঙ্ঘনকারীই রয়ে গেল।’ (সূরা মায়িদাঃ ৩২)”এই আয়াতে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে, একজন মাত্র নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা মানেই হলো যেন দুনিয়ার সব মানুষকে মেরে ফেলা। এরশাদের সময়ে মিছিলে ট্রাক উঠানোর কথা কি ভুলে গেছেন? ভুলে গেছেন গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টার জন্য শহীদ নূর হোসেন, ড. মিলন সহ আরও অনেকের খুন হওয়ার কথা । কোরান অনুযায়ী এরশাদতো সমগ্র মানব জাতিকে খুন করেছেন ! পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৪৫ নং আয়াতে এবং সূরা বাক্বারা আয়াত নম্বর ১৭৮, ১৭৯ থেকে জানা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিগ্রস্থের পরিবার অপরাধকারীকে ক্ষমা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীর গুনাহ মাফ হচ্ছে না এবং অপরাধীর বিচার করতে হবে ক্ষতিগ্রস্হদের উপর কৃত অপরাধের ভিত্তিতেই। আর যারা এই বিচার মানবে না তারা গণ্য হবে জালিম হিসেবে। এরশাদের চুরির বিচার হয়েছে । কিন্তু এতগুলো খুনের বিচার হয়নি, খুন হওয়া ব্যাক্তিরা আজও অশ্রু ফেলে । এরশাদকে মাফ করার বিষয়তো তাদের কাছে অবান্তর ।

কোরান অণুযায়ীই এরশাদ সমগ্র মানব জাতিকে খুন করার সম অপরাধে অপরাধী । প্রশ্ন আসাকি স্বাভাবিক নয় - েএই অপরাধী আপনাদের কাছে জামাই আদর পায় কেন? আপনারা বলছেন আপনারা রাজিনিতী করতে আসেননি । তাহলে এরশাদ নামক এ খুনি রাজনৈতিকের সাথে আপনারা কোন স্বার্থে আছেন? কোন স্বার্থে জায়গা দিচ্ছেন নিজেদের মঞ্চে । কোরণ মেনে সেটা কি সম্ভব ?

প্রথম পর্বের লিঙ্ক

দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-১)
Click This Link

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: হা হা পগে

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

রুশন বলেছেন: সরকার বরাবরে হেফাজতের ১১৯ দফা দাবী
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৩ |
শেয়ারঃ 0 0



সরকার বরাবরে হেফাজতের ১১৯ দফা দাবী

১.আম-জাম-কাঁঠাল-লিচু-শিরিষ-বট এই সকল মালাউন বৃক্ষ হত্যা করিয়া খেজুর আখরুট জাতীয় মুসলমান বৃক্ষ রুপনে সরকারকে উদ্যোগী হইতে হইবে।

২. সরকারের একমুখী নীতির কারণে মুক্তিযোদ্ধা-ভাতা প্রণীত হইলেও রাজাকার ভাতা প্রণীত হয় নাই। অবিলম্বে রাজাকার ভাতা ঘোষনা করিতে হইবে।

৩. বিদেশ হইতে টিস্যু আমদানী বন্ধ করিয়া ঢিলা ও কুলুপ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করিতে হইবে এবং এ-প্রজন্মকে কুলুপ ব্যবহারে (নুনুতে ধরিয়া চল্লিশ কদম হাঁটা.......) উদ্ধুদ্ধ করিতে প্রতি বছর বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে কুলুপ উৎসবের ব্যবস্থা করা সরকারের ঈমানী দ্ধায়িত্ব বলিয়া মনে করি।

৪. বেশি লেখাপড়া করিয়া ছেলে মেয়েরা শয়তানের ওয়াছওয়াছায় পড়িয়া নাস্তিক হইয়া যায়। তাই উচ্চশিক্ষা বন্ধ করিয়া ছেলে মেয়েকে নিম্নশিক্ষায় অনুধ্যায়ী হইতে হইবে। ( চলবে)


Click This Link




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.