| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জহিরুলহকবাপি
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
যাদবপুরের “হোক কলরব” আন্দোলন নিয়া আমাদের দেশীয় কিছু বন্ধুর লাফালাফি দেখে বেআক্কেল হয়ে গেলাম । যে কোন পজেটিভ আন্দোলনকে বুদ্ধিমান, মানবিক মানুষমাত্রই সমর্থণ করবে । কিন্তু হোক কলরব নিয়া মাতা মাতি দেখে খুবই বাড়াবাড়ি লাগলো ।
কয়েকজনকে পেলাম পারলে তারা ঐ খানে গিয়ে আন্দোলন করে । পারছে না বলে অন লাইনে লিখে ভরিয়ে ফেলছে । আমার জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই মনে প্রশ্ন জাগছে --- কেন?! কেন এত বিপ্লবী হওয়া যাদবপুর নিয়ে? যেখানে আমাদের সমস্যাই মিটছে না! কাঙ্খিত ফল পাইনি সাঈদীর রায়ে । আইনের মার প্যাচ বুঝি না । রিভিউর কি হবে এখন পরিস্কার না । আরও রায় আসবে, কিন্তু আসছে না । অথচ “শাহবাগ” আজ কাগজের টুকরার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে শাহবাগে, জাদু ঘরের সামনে, পাবলিক লাইব্রেরীর গেটে । শত শত কর্মী চাকরী খুইয়েছে তারা আসছে কিন্তু উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমের গোলক ধাধা । চেষ্টা করেও গণ জাগরণ কে এক করানো যাচ্ছে না । বিদেশী ডিস্ট্রিবিউটরদের ( বাংলাদেশ বিরোধী) জয় উৎসব । সবাই একাই এক”শ । এরই ফাকে আপন ভাই হয়ে গেছে ভাবীর অপদার্থ জামাই । সবই পরিস্কার । দোকান হলে চলন্ত ঘটনাকর খেরো খাতায় বিকৃতিে এনে মহান নেতা বা সংগঠক হওয়ার চেষ্টা । কিন্তু ফলাফল শূণ্য । উহদেরই জয়জয় কার, নিজেদের কর্ম ফলে । অন্যকে নমশুদ্র ভাবার প্রতিযোগীতায় সব অন্ধকার, চুরি করে শেষ খাবার টুকুও খেয়ে নিতে চায় শত্রুর পোষা কুকুর ।
এর ভিতরে যাদবপুর নিয়া কি ভাবে এত মাতা-মাতি সম্ভব । আমাদের ঐক্যের কোন খবর নেই , কঠিনতম শক্তি ছাড়া ছাড়া হয়ে সবাই মাথা ঘুরানি রোগী !! এ সমস্যারতো সবার আগেই সমাধানের দরকার । আমরা খন্ডিত বলে বিশাল নিরাপত্তহীনতায় আছি । সবাই সব জেনে বুঝেও কোন এক বিচিত্র কারণে ঐক্য বধ্য হচ্ছে না , হতে পারছে না- এর চেয়ে বড় বিপদ আর কি হবে?! সেইটা বাদ দিয়ে “যাদবপুর”? নাহ , বুঝলাম না । প্লিজ গালি দিবেন না । আগেই বলেছি জ্ঞান কম । বুঝার চেষ্টা করছি ।
আর একটা কথা -- মমতা দেবীর ঘটনাতো সবাই বুঝতে পেরেছেন? জেনেছেন? ইমরান সাব, সারদা, জামায়ত, জঙ্গী রাষ্ট্র ইত্যাদি । সেই সময় ( যা এখনও চলমান তবে কিছুটা নিকট অতীত) এ বন্ধুদেরকে এটা নিয়ে তেমন একটা সরব হতে দেখিনি । বিপ্লবী হতে দেখিনি ।
আমাদের দেশে একদল বিজাতীয় প্রানী আছে - যারা ইরানে/ফিলিস্তিনে/পাকিস্তানে কেউ বোম খেয়ে মরলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে , প্রতিবাদে প্রতিবাদে কি বোর্ডের আঙ্গুল ক্ষয়ে ফেলে, সিগারেট ফিল্টারে চায়ের কাপ ভর্তি হয় প্রতিবাদী থুতুতে । কিন্তু বাংলাদেশে যখন বোমায় মানুষ মরে তখন তাদের কোন বিকার নেই ।
আমরা সবাই কি সেই পথে হাটছি?
©somewhere in net ltd.