![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
শরীর ভর্তি জ্বর আর ব্যাথা নিয়া কাল বিএনপির আন্দোলন খুজতে দীর্ঘ দিন পর টিভির সামনে বসলাম। মেলা ক্ষণ । এর ভিতর জননী এসে মাঝে মাঝে বাইন মাছের মতন মোচড়া মুচড়ি করা শুরু করে সিরিয়াল দেখার জন্য । আমিও নগদে রিমোর্ট উনার হাতে দিয়ে দেই । পরে বাথরুম টাথরুমে গেলে ফিরে এসে যদি রিমোর্ট খুজে না পাই তখন লাগাতার সিরিয়াল।
যাই হোক রির্পোটাররা যতই গলা কাপাক বা আকাশের সিড়ি বেয়ে আন্দোলন নিয়ে নেমে আসার মহেন্দ্র ক্ষনের ফাদ পাতুক আমি সেই ফাদে পা দেওয়ার মত বেরাইজ্জা না, দ্রুত রিমোট হস্তান্তর।
এর ভিতর বিএনপি’র ঘোষনা শুনে বেরাইজ্জা হয়ে গেলাম ।
নেতার বক্তব্য, বানী শোনার জন্য জনগন এক জায়গায় জড়ো হয় । বিশেষ মুহূর্তে , সংকটে নেতা যে খানে অবস্থান করে ততক্ষনাৎ জনগন সেখানে জড়ো হয় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু বিএনপি থেকে ঘোষনা আসলো “যেখানে জনসমাগম পাওয়া যাবে সেখানেই চেয়ার পার্সন চেয়ারে বসিয়া জাতিকে নির্দেশনা দিবে” ।
কেমনে কি?
টিভি পর্দায় দেখলাম জনগন খোজার জন্য গাড়ী উইথ গ্যানম্যান রেডি। জননী কি গাড়ীতে করে খুজে বের করবেন তার অবাধ্য সন্তান, ভক্ত, ফলোয়ারদের?! তাহলে আন্দোলন না বলে বলা ভালো ছিল “জ্ঞান বিতরণ” ।
মির্জা ফখরুল সহ বিএনপি নেতাদের, বিষ দলীয় নেতাদের রাস্তায় থাকার কথা । পল্টন এলাকা বিক্ষোভে ফেটে পড়ার কথা । তা না দেখে দেখলাম পল্টনে ২ে জন মাওলানা সহ ৪/৫ জন্য রাস্তার পাশে রাখা দুইটা বাইক পুড়িয়ে গনতন্ত্র ও কঠোর আন্দোলন করলো ।
এর আগের এমনকি বিএনপির সময়কার আওয়ামী লীগের আন্দোলনে পুলিশের লাঠি চার্জ, জল কামান, গুলি সবই চলেছে । এরশাদের সময় কালীণ আন্দোলনে পুলিশ , বিডিআর এমন কি আর্মি পর্যন্ত নেমে ছিল । এরশাদের ট্রাক উঠে গিয়েছিল মিছিলের উপর । তারপরও কি আন্দোলন থেমেছিল । ৫২, ৬৬, ৬৯, ৭১ এর দিকে নাই গেলাম ।
নেতারা যেখানে আসে জনগন সেখানে আসার জন্য যুদ্ধ শুরু করে । নেতারাও এগিয়ে যায় সমর্থক কর্মীদের বাচানোর জন্য । কিন্তু কাল যখন পিপার স্প্রে মারা হয় তখন বেগম জিয়া গাড়ীতে আরামে বসে ছিলেন । তার একটু পেশীও কাপেনি । তিনি গাড়ী থেকে নেমে প্রতিবাদ করতে আসেন নি, এমনকি সাথে সাথে আক্রান্তদের খবরও নেন নি । পটের বিবি পাটে বসে ছিলেন গাড়ীর ভিতর ।
গাড়ীতে বসে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার গাড়ী রেকারে তোলা হয়, শেখ হাসিনার গাড়ী আটকে দিলে পায়ে হেটে রওনা দেওয়ার ইতিহাস খুব বেশি পুরানো নয় । মতিয়ার অর্ন্ত বাস, মেননের উপর পুলিশের বাড়ী কত কি! অান্দোলন মানে এমনই পুরা পৃথিবীতে । কিন্তু হায় বিএনপি। আমি বেরাইজ্জা। দলের মহা-সচিব রাজনিতী ছেড়ে পেশা জিবী হয়ে গেলেন প্রেস ক্লাবের ভিতরে । তারপর নেতা কর্মীদের রাস্তায় নামার উদাত্ত আহ্ববান জানিয়ে, সরকারকে ফ্রাই করার বাণী দিয়ে স্বভাব সুলভ ভাবে তিনি গায়েব ( মাঝ রাত পর্যন্ত জানতাম তিসি বাথরুমের কমোডের পাইপে বসে পিতা চোখা মিয়া রেজাকারকে গালি গালাজ করছিলেন) ।
বিিএনপি তোমরা কি ইতিহাস একটুও পড়ো নাই ? আবার যে ইতিহাসের সঙ্গী তোমরা সেইটাও ভুলে গেলা?!!!!
এখন বিএনপি মানে কি বেইল নাই পার্টি অথবা বাংলাদেশ নৃত্য পাটি?
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
যোগী বলেছেন:
পটের বিবি ব্যাপক পাট লইয়া বসে ছিলেন গাড়ীর ভিতর।
মেকআপ দেখে তব্ধা খাইছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ইটের স্তুপ, বালির ট্রাক, সর্বোপরি পুলিশ ভ্যান দিয়ে পটের বিবিকে যে ব্যাপক নিরাপত্তা (!) দেওয়া হয়েছে, সে নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কি করে উনি বের হবেন, এটা কি আপনার পক্ষিসম মস্তিষ্কে এতটুকুও এসেছে?