![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
##
১৯৭১ :আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কী অন্যায় করেছিলাম?
২০১৫: আপনার টিভিতে, পত্রিকায় সবই দেখছেন। আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে যেতে জীবন দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ সারা বাংলাদেশে আমার মানুষের পোড়া মাংসের গন্ধ। বাংলার মানুষ এ নাশকতা থেকে মুক্তি চায়, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চায়, আরও ভালো থাকতে চায় । কী অন্যায় করেছিলাম?
##
১৯৭১ :নির্বাচন হলো। আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি, শুধু বাংলা নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাকে অনুরোধ করলাম, ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলিতে বসবো। আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো- এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজনও যদি সে হয় তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।
২০১৫: নির্বাচন হলো । আমি তাকে নির্বাচনে যোগ দেওয়ার আহ্ববান জানালাম বারবার । তিনি আসলেন না । তিনি সংবিধান, দেশবাসী কারো কথা শুনলেন না , তিনি শুনলেন আই.এস.আই এর কথা । বিদেশী ষড়যন্ত্রিদের কথা । তাকে আমি এ পর্যন্ত বললাম আপনি নির্বাচনে আসেন। নির্বাচনকালীণ সরকারে সমতার ভিত্তিতে সরকার গঠনকরী। সবচেয়ে সেনসেটিভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত তাকে দিতে চেয়েছিলাম ।
##
১৯৭১ : জমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্র“র আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে- তার বুকের ওপরে হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু- আমরা বাঙালীরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
২০১৫: জনগনের টাকায় আমরা পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন কিনছি দেশের অর্থ নিতীর চাকাকে আরও দ্রুত, নির্ভুল করার জন্য। কিন্তু বিএনপি-জামাত, স্বাধীণতা বিরোধীরা এ পেট্রোল ব্যাবহার করছে দেশকে পুড়িয়ে অঙ্গার বানানোর জন্য। তারা দেশের বিরুদ্ধে, দেশের মানুষকে পুড়িয়ে শেষ করে ফেলার খেলায় নেমেছে। বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখনই দেশ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধীরা উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। আজ তা সবচেয়ে বেশী প্রকট । বিশ্বের দররবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য রোল মডেল।
##
১৯৭১ : রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি, ওই শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে। প্রথম, সামরিক আইন- মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে।
২০১৫: পোড়া মানুষের মিছিল কমে নাই। আমি বলে দিয়েছি, ওই পোড়া মানুষের, পোড়া শিশু চিৎকার, আর্তনাদের উপর দিয়ে কোন সংলাপ হতে পারে না। সকল ধরনের নাশকতা, পেট্রোল বোমা, ককটেল মারা বন্ধ করতে হবে।
##
১৯৭১ : আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারী, আদালত-ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
২০১৫: আমরা এদেশকে শিক্ষিত, সুন্দর, ধনী মানুষের দেশ করতে চাই । আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিতে চাই, প্রয়োজনে কঠিন থেকে কঠিন হবো কিন্তু দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারতে দিব না। দেশের উন্নয়ন বন্ধ করতে দিব না।
##
১৯৭১ :প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু - আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না।
২০১৫: এলাকায় এলাকায় গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। আর নাশকতা করতে দেওয়া হবে না । আমি বেচে থাকতে এ দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র করতে দেবনা। দেশের উন্নয়ন, যুদ্ধপরাধীর বিচার কোন ভাবে আটকানো যাবে না । দেশের উন্নয়ন আটকানো যাবে না। ১৬ কোটি বাঙ্গালীর ৩২ কোটি হাত । কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না । পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র আমাদের সাথে না থাকলেও আমাদের কিছু আসবে যাবে না । ৭১ এও ছিল না । বিরোধীতা করেছে স্বাধীণতার।
# পরিস্কার যুদ্ধ এখনও শেষ হয় নাই যে ? এইবার না পারলে আরও অনেক কাল সূর্য
ডুবে থাকবে পরিত্যাক্তদের থাবার নিচে ।
প্রধান মন্ত্রী একটু মাথায় রাখবেন বঙ্গবন্ধু সময় মোস্তাক ছিল, আজকেও আছে । মোস্তাকরা কৃমির মতন বংশ বিস্তার করে।
১২ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: ারা চরম করছে । আর ফাকে এ নিয়া একটা ব্লগ লিখে ফেললাম
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪২
মাহমুদ তূর্য বলেছেন: চরম হইছে