![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন কাষ্ঠমঞ্চের এক আনাড়ি অভিনেতা
সাব্বির গাঁজা খেতো বলে মীরা ওকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো।
মাঝে মাঝে দেখা হলে হায়-হ্যালো হতো, তবে তা আর পুরোনো প্রেমে পরিনত হয়নি।
সেই হায়-হ্যালোর সুবাদেই মীরার বিয়েতে সাব্বির দাওয়াত পেলো।
বেকার ব্যচেলর লাইফে দাওয়াত পেয়ে তা মিস করা গুরু পাপের সামিল। হোক সে পুরোনো প্রেমিকার বিয়ের দাওয়াত!
সাব্বির আরো দুই সদাক্ষূধার্ত বন্ধু নিয়ে দাওয়াত খেতে গেলো।
বিয়ে বাড়ি ঢোকার ঠিক আগে এক বন্ধু পকেট থেকে দুটো গাঁজার স্টিক বের করে বললো, 'আয় এই দুইটা টেনে নেই। তারপর তিনজনে খেয়ে ওদের খাবারে টান ফেলায় দেবো।'
সাব্বির হেঁসে বলল, এই গাঁজার জন্য মীরা আমাকে ছেড়ে গেছিলো। আজ ওর বিয়ের খাবার খাবো গাঁজা খেয়ে! মন্দ হয় না। তবে থাক, তোরা খা। আমি একটু ঠিক থাকি। পুরোনো প্রেমিকার বিয়ে বলে কথা!
অতঃপর ওদের স্টিক টানা শেষ হলে তিনজনে বিয়ে বাড়ি ঢুকলো।
এলাহী কান্ড! খাবারের ব্যাপক আয়োজন।
তিনজনের চোখেই খাসির রেজালা, গরু ভুনা, মুরগীর রোস্ট, চিংড়ি ভুনার স্লাইড সো শুরু হয়ে গেলো।
সাব্বিরের চোখ গেলো মীরার দিকে।
বাহ! আজ ওকে সুন্দর লাগছে। শাড়িতে অবশ্য সব বাঙ্গালী মেয়েকেই সুন্দর লাগে। কিন্তু মীরাকে যেন একটু বেশিই সুন্দর লাগছে। স্টেজে দাঁড়িয়ে আছে বিয়ের সাজে।
হঠাৎ মীরার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে চোখ পড়তেই সাব্বিরের কপাল কুঁচকে গেলো।
ছেলেটা কে? চেনা চেনা লাগে!
মনে পড়তেই সাব্বিরের কপাল আরো কুঁচকে গেলো।
আরেহ! ও এখানে কী করে? মীরার পাশে ওভাবে দাঁড়ানো কেন? ও কী বর নাকি?
এসব ভাবতে ভাবতেই সাব্বিরের ধারণা ঠিক হলো।
ঐ ছেলেই বর। ওর সাথেই মীরার বিয়ে হচ্ছে।
কী ভেবে, মূহুর্তেই সাব্বিরের কপালের ভাজ মুছে গেলো। চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো আর শুরু হলো হাঁসি। অট্টহাসি। হো হো করে হাঁসতে লাগলো সাব্বির।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধু বলল, কী রে! স্টিক খাইলাম আমরা, আর পিনিক কী তোর হইছে?
এ শুনে সাব্বিরের হাঁসি আরো বেড়ে গেলো। হাঁসতে হাঁসতে সাব্বির হাঁটুতে ভর দিলো।
বন্ধুরা জানার জন্য তাড়া দিলো, 'আরে, হইছে টা কী? বলবি তো।'
সাব্বিরের হাঁসি থামছে না। ওরাও জানার জন্য হাসিহাসি মুখ করে তাকায় আছে ওর দিকে।
সাব্বির কোনো রকম নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
মীরা আমাকে ছেড়েছিলো মাঝে মধ্যে গাঁজা খেতাম বলে। আর ঐ দ্যাখ, ওর বর।
- হুম। তো?
আরে, এই ছেলেই সেসময়ে আমাকে গাঁজা সাপ্লাই দিতো। ও-ই ছিলো আমার গাঁজার ডিলার।
এবার তিনজনই হো হো করে হাঁসতে শুরু করলো।
©somewhere in net ltd.