নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'আদ সম্প্রদায়, আদ এবং এরাম উভয় নামেই পরিচিত ছিল। কারণ এ সম্প্রদায়ের একজন উর্ধ্বতন পুরুষের নাম ছিল 'আদ'। আর আদের পিতামহ ছিল এরাম। কুরআনে এদের কিছুটা পরিচয় যায়। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহাসিকদের মতে এ জাতি হযরত ঈসা(আ)-এর দুই হাজার বৎসর পূর্বে আহকাফ নামক স্থানে বসবাস করত। আদ জাতি প্রাচীন আরবের একটি গোত্র অথবা হযরত নূহ (আ)– এর পুত্র শাম-এর বংশধর। প্রাচীন আদ সম্প্রদায় কে আদে এরামও বলা হতো। কারণ শামের পুত্র এরামের নামানুসারে তারা পরিচিত ছিল। তৎকালীন পৃথিবীতে তাদের মত উন্নত ও শক্তিশালী আর কোনো জাতি ছিল না। এরা অবয়বের দিক থেকে অত্যন্ত বৃহদাকার এবং দৈর্ঘের দিক দিয়ে অনেক লম্বা ছিল। কথিত আছে যে, তাদের একজন একবারেই একটি উটের মাংস ভক্ষণ করত। এরা ধন-সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল। উচু স্তম্ভের উপর ছাঁদ বিশিষ্ট ইমারত তারাই পৃথিবীতে প্রথম নির্মাণ করেছিল। কারো মতে কুরআনে 'যাতুল ইমাদ' এ জন্যই তাদের উল্লেখ করা হয়েছে।
পথভ্রষ্ট আদ জাতিকে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা হযরত হুদ (আ)-কে তাদের কাছে নবী হিসেবে প্রেরণ করলেন। হযরত হুদ (আ) তাদের শিরক পরিত্যাগ করে আল্লাহর উপর ঈমান আনার জন্য আহ্বান করলেন। ইহ ও পরকালে আল্লাহর আযাবের ভয় প্রদর্শন করলেন; কিন্তু দুর্বৃত্ত আদ জাতি আল্লাহর নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল এবং নিজেদের শক্তি ও সম্পদের গর্বে হযরত হুদ (আ)-কে আযাব এনে দেখাতে বলল। শাস্তি স্বরূপ আল্লাহ তাদের উপর তিন বছর বৃষ্টি বন্ধ রাখলেন। ফলে দেশময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিল।
তৎকালীন আরবের মধ্যে একটা প্রথা ছিল যে, কোনো বিপদ-আপদ দেখা দিলে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মক্কায় আল্লাহর ঘরের নিকট বিপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করত অথবা কোনো সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে একদল লোক পাঠাত, তারা প্রতিনিধি হিসেবে কা'বা ঘরের সামনে সমবেত হয়ে সকলের জন্য প্রার্থনা করত। ফলে সকলেই বিপদমুক্ত হতো।
আদ জাতির লোকগণও অনাবৃষ্টিজনিত বিপদ মুক্তির জন্য তাদের প্রাচীন রেওয়াজ মত ফায়ীল ইবনে আনয-এর নেতৃত্বে ৭০ জন লোকের একটি কাফেলা মক্কার উদ্দেশ্যে প্রার্থনার জন্যে পাঠাল। তারা কা'বা ঘরের নিকট উপস্থিত হয়ে কা'বা ঘরের সেবক মুয়াবিয়া ইবনে বকরের বাড়িতে অতিথি হলো এবং পরদিন কা'বার কাছে গমন করে কাকুতি-মিনতি করে বৃষ্টি প্রার্থনা করল। তখনই আকাশে তিন খণ্ড মেঘ দেখা দিল; সাদা, কালো ও লাল। আর অদৃশ্য হতে আওয়াজ আসল ফায়ীল এদের মধ্যে যে খণ্ড চাও গ্রহন করতে পার। আনন্দে আটখানা হয়ে ফায়ীল বেশি পানির আশায় কালো মেঘ খণ্ডকে পছন্দ করল। মেঘ খণ্ডটি ইয়ামেনের আহকাফ এলাকার আদ জাতির উপর গিয়ে থামল। এটা ছিল গজবের মেঘ। সর্বপ্রথম মেহনী নাম্নী এক মহিলা আগুনে লেলিহান শিখা দেখে চিৎকার করে বলল- হে লোকেরা! তোমরা হুদের প্রতি ঈমান আনো, নতুবা তোমাদের ধ্বংস অনিবার্য। আগুন সংকেতের পর-পরই তাদের উপর প্রবল ঘূর্ণিঝড় শুরু হলো। অনবরত সাত রাত আট দিনের ভীষণ ঘূর্ণিঝড়ে আদ জাতির বেইমান লোকেরা এবং তাদের লোকালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো; কিন্তু অসীম দয়ায় হুদ (আ) এবং তার মুমিন সঙ্গিগণসহ সুস্থ ও অক্ষত থাকলেন, তাদের কোনো ক্ষতি হলো না। এভাবেই আল্লাহ তায়ালা জালিম ও পাপাচারী জাতিকে ধ্বংস করে থাকেন।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্ট !
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আদ জাতি যিশু জন্মের গত বছর আগের?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
যুবায়ের আলিফ বলেছেন: ২ হাজার বৎসর আগে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি আমার আগের মন্তব্যটা ডিলিট করেছেন এবং আদ জাতীর কংকালের যে ছবি গুলো দিয়েছেন সেগুলো ডিলিট করেছেন , এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আরেকটা জিনিস আপনি এডিট করেন নি , সেটি হোল আদ জাতির মানুষের উচ্চতা নাকি ৩০ গজ বা ৯০ ফুট ছিল । পৃথিবী মিলিয়ন মিলিয়ন বৎসর আগের অবলুপ্ত প্রাণীর ফসিল পাওয়া গেছে কিন্তু ৯০ ফুট লম্বা কোন মানুষের ফসিল পাওয়া যায় নি । পৃথিবীতে যত মানব সাদৃশ্য প্রানীর ফসিল পাওয়া গেছে তাদের উচ্চতা বর্তমান অধুনিক মানুষ হোমোসেফিয়ান্সদের থেকে কম ছিল ।
৩০ গজ বা ৯০ ফুট লম্বা মানুষ কি সম্ভব সেটা নিয়ে অনেক সাইনটিফিক গবেষনা হয়েছে । নীচের লিংকটি পড়ুন --
সমাজের অন্ধ বিশ্বাস ০১ ( আদম আ: বা আগের নবী/রাসুলরা কত লম্বা ছিলেন???)