নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামূদ জাতি ছিল আরবের প্রাচীন জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। আদ জাতির পরেই ছিল তাদের স্থান। এরা ছিল হযরত নূহ (আ)-এর অধঃস্তন পুরুষ ছামূদের বংশধর। ছামূদের নামেই উক্ত জাতির নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর পশ্চিম আরবে আল-হাজার নামক স্থানে ছিল তাদের বসতি। সেখানে এখনো তাদের ধ্বংসস্তুপের নিদর্শনাবলী বিদ্যমান রয়েছে। পাহাড় খোদাই করে তারা তাদের গৃহ নির্মাণ করেছে। উক্ত নিদর্শনাবলী থেকে এটা অনুমান করা যায় যে, একটা সময় এখানে লক্ষ লক্ষ লোকের কোলাহল ছিল।
তারাও এক আল্লাহর এবাদত ভুলে শিরক, মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়েছিল। তাদেরকে হেদায়েত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরই ভাই হযরত সালেহ (আ) কে নবী হিসেবে পাঠালেন। সালেহ (আ) তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন। মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন। বহুদিন দাওয়াত দেওয়ার পর অধিকাংশ দরিদ্র লোকই তার উপর ঈমান এনেছিল। কিন্তু নেতৃস্থানীয় ও অধিকাংশ কায়েমী স্বার্থবাদীরা কোনো মতেই তার উপর ঈমান আনল না। তারা হযরত সালেহ (আ)-এর নিকট মু'জিযা তলব করল। তারা হযরত সালেহ (আ)-কে একটি পাথর দেখিয়ে বলল, এটা হতে একটা উটনী বের করতে পারলে তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে। হযরত সালেহ (আ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানানোর পর উক্ত পাথর থেকে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে একটি উটনী বের হয়ে আসল। হযরত সালেহ (আ) তাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, কোনো অবস্থাতেই যেন তারা উক্ত উটনীর সাথে দুর্ব্যবহার না করে। কেননা এর সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ মু'জিযা দেখে একদিনেই চার হাজার লোক ঈমান আনল। কিন্তু পরবর্তীতে কায়েমী স্বার্থবাদীদের প্ররোচনায় তারা মুরতাদ হয়ে গেল।
কাফেররা উক্ত উটনী কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল। এক ব্যক্তিকে তারা এ কাজ সমাধা করার জন্য নিযুক্ত করল। লোকটি অত্যন্ত শোচনীয় ও নির্মমভাবে উটনীকে হত্যা করল। আল্লাহ তায়ালা তাদের কে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আল্লাহর আদেশে হযরত সালেহ (আ) তাঁর অনুসারীদেকে তিন দিনের মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিলেন। মুমিনগণ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করলেন। ওদিকে আল্লাহ তায়ালা সামূদ জাতিকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিলেন। তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এক শুক্রবারে তাদের সকলের চেহারা হলুদ বর্ণ, দ্বিতীয় শুক্রবারে লাল বর্ণ এবং তৃতীয় শুক্রবারে কালো বর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিব্রাইল (আ) বিকট ধ্বনি দিলেন– যাতে তারা হৃদপিণ্ড ফেটে সকলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। আজো তাদের বিরান আবাসে ধ্বংসস্তূপের নিদর্শন বিদ্যমান।
সামূদ জাতি ছিল আরবের প্রাচীন জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। আদ জাতির পরেই ছিল তাদের স্থান। এরা ছিল হযরত নূহ (আ)-এর অধঃস্তন পুরুষ ছামূদের বংশধর। ছামূদের নামেই উক্ত জাতির নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর পশ্চিম আরবে আল-হাজার নামক স্থানে ছিল তাদের বসতি। সেখানে এখনো তাদের ধ্বংসস্তুপের নিদর্শনাবলী বিদ্যমান রয়েছে। পাহাড় খোদাই করে তারা তাদের গৃহ নির্মাণ করেছে। উক্ত নিদর্শনাবলী থেকে এটা অনুমান করা যায় যে, একটা সময় এখানে লক্ষ লক্ষ লোকের কোলাহল ছিল।
তারাও এক আল্লাহর এবাদত ভুলে শিরক, মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়েছিল। তাদেরকে হেদায়েত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরই ভাই হযরত সালেহ (আ) কে নবী হিসেবে পাঠালেন। সালেহ (আ) তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন। মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন। বহুদিন দাওয়াত দেওয়ার পর অধিকাংশ দরিদ্র লোকই তার উপর ঈমান এনেছিল। কিন্তু নেতৃস্থানীয় ও অধিকাংশ কায়েমী স্বার্থবাদীরা কোনো মতেই তার উপর ঈমান আনল না। তারা হযরত সালেহ (আ)-এর নিকট মু'জিযা তলব করল। তারা হযরত সালেহ (আ)-কে একটি পাথর দেখিয়ে বলল, এটা হতে একটা উটনী বের করতে পারলে তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে। হযরত সালেহ (আ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানানোর পর উক্ত পাথর থেকে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে একটি উটনী বের হয়ে আসল। হযরত সালেহ (আ) তাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, কোনো অবস্থাতেই যেন তারা উক্ত উটনীর সাথে দুর্ব্যবহার না করে। কেননা এর সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ মু'জিযা দেখে একদিনেই চার হাজার লোক ঈমান আনল। কিন্তু পরবর্তীতে কায়েমী স্বার্থবাদীদের প্ররোচনায় তারা মুরতাদ হয়ে গেল।
কাফেররা উক্ত উটনী কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল। এক ব্যক্তিকে তারা এ কাজ সমাধা করার জন্য নিযুক্ত করল। লোকটি অত্যন্ত শোচনীয় ও নির্মমভাবে উটনীকে হত্যা করল। আল্লাহ তায়ালা তাদের কে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আল্লাহর আদেশে হযরত সালেহ (আ) তাঁর অনুসারীদেকে তিন দিনের মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিলেন। মুমিনগণ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করলেন। ওদিকে আল্লাহ তায়ালা সামূদ জাতিকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিলেন। তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এক শুক্রবারে তাদের সকলের চেহারা হলুদ বর্ণ, দ্বিতীয় শুক্রবারে লাল বর্ণ এবং তৃতীয় শুক্রবারে কালো বর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিব্রাইল (আ) বিকট ধ্বনি দিলেন– যাতে তারা হৃদপিণ্ড ফেটে সকলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। আজো তাদের বিরান আবাসে ধ্বংসস্তূপের নিদর্শন বিদ্যমান।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাথর থেকে উটনী হওয়া, সাগরের পানি সরে যাওয়া, ইত্যাদি রূপকথা একদিন ধর্মের মুল বিষয় ছিলো, এগুলো এখন ধর্মের জন্য সমস্যা হয়ে গেছে।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
পাথর থেকে উটনী হওয়া, সাগরের পানি সরে যাওয়া, ইত্যাদি রূপকথা একদিন ধর্মের মুল বিষয় ছিলো, এগুলো এখন ধর্মের জন্য সমস্যা হয়ে গেছে।
কি ধরণের সমস্যা হচ্ছে বলে আপনার মনে হয়?
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
@ইব্রাহীম আই কে ,
পাথর থেকে একটা উটনী জন্ম নিতে পারে না; ফলে, যারা বলেছে যে, পাথর তেকে উটনী জন্মেছিলো, তারা মিথ্যা কথা বলেছে; বাকীটুকু হলো, মানুষ মিথ্যা থেকে দুরে সরে যায় সব সময়।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪০
অগ্নিবেশ বলেছেন: কেউ যদি নিরাকার ইশ্বরের ইবাদত করে আনন্দ পায় তাতে কার সমস্যা?
কেউ যদি মূর্তিপুজা করে আনন্দ পায় তাতে কার সমস্যা?
কেউ যদি পুজা টুজা না করেই আনন্দ পায় তাতে কার সমস্যা?
মূর্তিপুজার কারনে মানুষ খুন করা ইশ্বরের কাজ হতে পারে না।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: এদের কোনো প্রমানিদি আছে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
তারেক ফাহিম বলেছেন: পোষ্টটি দুইবার আসলো।