নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই রমাদ্বান টা খুব সম্ভবত মহামারিতেই হতে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ আমরা কোয়ারেন্টাইনে আছি। সেই অর্থে আমরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি যেন এই বরকতময় মাসটি আমরা কাজে লাগাতে পারি বিশেষত মসজিদগুলো যেহেতু বন্ধ।
১. পুরো পরিবারকে একত্র করে পরিকল্পনা করুন:
রোজা একটি ব্যক্তিগত ইবাদত। তবে রমাদ্বান নিয়মিত দলবদ্ধ কাজ করার এক দুর্দান্ত সুযোগ। কোয়ারেন্টাইনে রমাদ্বান কাটানোর ব্যাপারে পরিবার নিয়ে শলাপরামর্শের আয়োজন করুন। সম্ভব হলে আগামী শনিবার সেটার তারিখ নির্ধারণ করুন। আপনার পরামর্শ সভায় পরিবারের সবাইকে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করুন।
২. রমাদ্বানকে স্বাগত জানান:
ফ্রিজের উপর "কাউন্টডাউন টু রমাদ্বান" নোটিশ লাগান। সম্ভবত ২৪ এপ্রিল এই বছরের রমাদ্বানের শুরু হবে। চলুন রমাদ্বান আসার আগেই আমরা তাকে স্বাগত জানাই। এটা শুরু করা যেতে পারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ অনুসরণ করে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রেখে। যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে হয়তো এটা রমাদ্বানকে আমাদের হৃদয়ে জায়গা দিবে।
৩. রমাদ্বানে বাড়িতে মসজিদের জন্য জায়গা ঠিক করুন:
অনেক মুসলিম ভাইরা ইতিমধ্যে বাড়িতে মসজিদের (নামাজের জায়গা) জন্য জায়গা ঠিক করে ফেলেছেন। যদি আপনি এখনও এটা না করে থাকেন তবে পরিবারিক পরামর্শ সভায় সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। মসজিদটি কোথায় হবে এবং কে ইমাম হবেন? অনেকের ক্ষেত্রে নামাজের জন্য আলাদা ঘর নেই সেক্ষেত্রে একটি মাদুর বা পাটি পরিষ্কার করে রাখতে পারেন নির্দিষ্ট জাগায় বিছানোর জন্য যাতে সেখানে সালাত আদায় করা যায়।
৪. বাড়িতে আযান:
যেহেতু মসজিদে আযান হচ্ছে তাই বাড়িতে আযান দেওয়া জরুরি নয়। তবে যাদের ছোট ছোট বাচ্চা আছে তাদের আযান শেখান এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আগে তাদের দিয়ে আযান দিন।
৫. সুসজ্জিতকরণ:
অনেকে দীর্ঘ সময় বাড়িতে থেকে হয়তো বিরক্ত। তাই এখন থেকে বাড়ি সুসজ্জিত করার কাজে লেগে যান। হাতের কাছে ঘর সাজানোর যেকোনো জিনিস দিয়েই ঘর সাজাতে পারেন। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন যাতে সালাতে মন বসে। সুগন্ধিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সুসজ্জিতকরণ যেন ইসলামের বহির্ভূত না হয়।
৬. কুরআনের অনুষ্ঠান:
আমি প্রথমেই টিভি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। আপনি কুরআনের আলোচনা বা তেলাওয়াত শুনতে দয়া করে ইফতারের পূর্বে টিভির সামনে বসবেন না। কারণ, সেখানে অনুষ্ঠানের মাঝে বিরতিগুলোতে নারীদের দেখানো হয় যা শরিয়ত সম্মত নয়। এক্ষেত্রে আপনি পিসি বা মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত বা কুরআনের আলোচনা ডাউনলোড করে কাজে লাগাতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় আপনি নিজে বা আপনার পরিবারে যিনি কুরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞানবান তিনি যেন সবার সাথে কুরআনের তাজবিদ নিয়ে আলোচনা করেন। বাচ্চাদের বা যারা কুরআন তেলাওয়াত শিখেননি তারা এই সময়ে কুরআন তেলাওয়াত শিখে নিতে পারেন।
৭. দুয়ার জন্য সময়:
রমাদ্বান হচ্ছে দুয়া কবুলের মাস। তবে রমাদ্বানের জন্য অপেক্ষা করবেন না। বরং এখন থেকেই আল্লাহর কাছে দুয়া করুন আমরা যেন মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে পারি। একে অপরে মুসাফা করতে পারি। যে মহামারি আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে তা যেন আল্লাহ তাআলা দূর করে দেন এবং আমাদের তা থেকে রক্ষা করুন।
যারা হাসপাতালে দিনরাত পরিশ্রম করছেন, মানবসেবায় নিয়জিত আছেন তাদের জন্য দুয়া করুন, যারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তাদের জন্য দুয়া করুন ও যারা হাসপাতালে যেতে পারছে না তাদের জন্য দুয়া করুন। প্রতিটি দুয়ায় আল্লাহ কিছু না কিছু বরাদ্দ করছেন। দুয়ায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এর দরূদ যোগ করুন।
তারপর আমরা আমাদের গুনাহ ও ভুলগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো। এরপর আমরা যে যে সমস্যায় নিপতিত আছি তা থেকে পরিত্রাণের জন্য দুয়া চাইতে পারি। তিনি মহামহিম দয়ালু, তিনি সকল ভাষায় বোঝেন। সুতরাং, নিজের ভাষায় হৃদয় খুলে তাঁর ক্ষমা চান।
৮. যারা আমাদের মত ভাল নেই তাদের কথা স্মরণে রাখুন:
লক ডাউনের এই অবস্থায় দেশসহ সারা বিশ্বে করুণ অবস্থা। অনেক দিনমুজরের দু'মুঠ চালও জুটছে না। অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে তারা দয়া করে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবেন না। আপনি আপনার পাড়া প্রতিবেশীদের খোঁজ নিন। নিজে সাহস না পেলে যারা এই সময় জনসেবায় নিয়জিত আছে তাদেরকে অর্থ দ্বারা সাহায্য করুন। আপনার অল্প কিছু টাকা অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে পারে। আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করুন, হতে পারে আল্লাহ আপনার বড় কোন বিপদ কাটিয়ে দেবেন। যারা ব্যবসায়ী আছেন তারা দয়া করে এখন কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করবেন না। দেশ ও জাতির দুর্দশায় ব্যবসা করার অধিকার কেউ দেয়নি আপনাকে। দয়া করে,পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করুন । কেউ এখন মালামাল স্টক করে করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবেন না। মনে রাখবেন মজলুমের দুয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছাতে কোনো বাধা মানে না।
৯. কম খরচ করুন এবং ভাগ করুন বেশি:
রমাদ্বান কোনো খাদ্য বিলাসিতার মাস নয়। এই মাসে ধনীরাও যেন গরিবের কষ্ট অনুভব করে সে ব্যাপারটা লক্ষণীয়। বিগত বছরগুলোতে আল্লাহর ইচ্ছায় ভালোমন্দ খেয়েছেন আল্লাহ ইচ্ছায় সামনেও খেতে পারবেন। রমাদ্বান শুরু হওয়ার পূর্বে লক ডাউন ছেড়ে গেলেও একটা অর্থসংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই দয়া করে এই সময়ে প্রয়োজনের উপর খাদ্য বিলাসিতা করবেন না। বাড়তি টাকা বা খাদ্য সাদকা হিসেবে অভাবীদের দান করুন। চেষ্টা করুন গত রমাদ্বান থেকে এই রমাদ্বানে অর্ধেক খরচ কমাতে। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় অভাবীদের দান করুন।
১০.নবীজির লক্ষ্য: উদ্দেশ্যমূলক জীবন যাপন করা
রমাদ্বানের পরিকল্পনা করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন নবীজি ছিলেন দুনিয়ার সবচেয়ে সফলকাম ব্যক্তি। তাঁর উম্মত হয়ে আমাদের জীবনের কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না তা হবে না। আমাদের সকলের উদ্দেশ্যই জান্নাত লাভ করা। তাহলে জীবনটা এমনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন যাতে জান্নাত আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেয়।ইসলামের হুকুম আহকামগুলো পরিপূর্ণরূপে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। ইনশা আল্লাহ, আপনি দীনের পথে অগ্রসর হলে আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
যুবায়ের আলিফ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৫০
রাফা বলেছেন: বাসায় মসজিদ করা জরুরী নয়। সালাত আদায় করা জরুরি।ফ্যামিলি মেম্বার হলেও শারিরিক ডুরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করুন। জাকাত/ফেৎরা সবকিছুই এখন যাদের প্রয়োজন তাদের,কে দিয়ে সহযোগিতা করা যেতে পারে। ঈদের খরচের টাকাও দান খয়রাত করে দেওয়া যেতে পারে।
ভালোই লিখেছেন,ধন্যবাদ-যু.আলিফ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
যুবায়ের আলিফ বলেছেন: ভাই ফ্যামিলি মেম্বারদের দুরুত্ব বজায় রেখে চলাটা একটু কষ্টসাধ্য।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: বেশ সুন্দর টিপস,
ভালো লাগলো,
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফীক দিন,আমিন!
দোয়া করবেন সবাই সবার জন্য,
ভালো থাকবেন !
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
যুবায়ের আলিফ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
যুবায়ের আলিফ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Ok