![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাওস ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকদিনের। এক বন্ধুর উপহার দেয়া ছয় লক্ষ লাওশিয়ান কিপ পাওয়ার পর থেকেই ইচ্ছাটা মনে জাগে। কমদামে প্লেন টিকিটের অপেক্ষায় ছিলাম। বছরের শুরুর দিকে এয়ার এশিয়ার প্রমোশনাল অফার পেয়ে গিয়ে ষোলকলা পূর্ণ হল। নেট ঘেটে দেখলাম ভিয়েন্তিয়েন, মানে লাওসের রাজধানীকে বোলা হয় বিশ্বের সবচাইতে ধীরগতির শহর। এখানকার মানুষের তেমন একটা তাড়াহুড়া নেই বল্লেই চলে। সকাল ৯-১০ টার আগে কেউ বাইরে বের হয় না, সবকিছুতেই ধীরস্থিরতা। ভাবলাম আমার মত অলস মানুষের জন্য এর চেয়ে আনন্দের জায়গা আর কি হতে পারে?
যাই হোক, ভিসা টিকিট কোরা হয়ে গেলে যথারিতী উড়াল দিলাম। এয়ার এশিয়ার 'কাবালি বিরিয়ানি' আগেই বুকিংএর সময় কিনে নিয়েছিলাম, খেয়েদেয়ে ২ ঘন্টা ৫০ মিনিটেই ভিয়েন্তিয়েন এয়ারপোর্টে পৌছে গেলাম। যথারীতি বাংলাদেশী পাসপোর্টের জন্য ইমিগ্রেশানে হাল্কা ঝামেলা পোহাতে হল, ইমিগ্রেশানের যাবতীয় ফর্মালিটি শেষ করে বাইরে এসে অবাক হোয়ে দেখলাম, এতো ছোট এয়ারপোর্টও হয়?
এরাইভাল থেকে বেরোলেই ডিপার্চার, আর তারপরেই মূল এন্ট্রেন্স। বাংলাদেশের ছোটখাট একটা সরকারী অফিসের সাইজের এয়ারপোর্ট।
যাহোক, যেহেতু আগেই প্ল্যান করেছিলাম কোনরকম ট্যাক্সি বা প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করব না, তাই পাব্লিক ট্রান্সপোর্টের খোজে মূল রাস্তার দিকে এগুতে লাগলাম।
প্ল্যানমাফিক প্রথম কাজটি ছিলো ঐতিহাসিক মেখং নদীর ধারে যেকোন একটা হোটেলে উঠব, তাই বড় রাস্তায় গিয়ে টুকটুকে উঠে বসলাম। যারা থাইল্যান্ডে গিয়েছহেন তারা এই যানবাহনটার সাথে পরিচিত হয়েছেন। ট্যাম্পোর মত অনেকটা। এদের বেশীরভাগই ইংরেজী জানেনা, তাই হাতের ইশারায় কাজ করতে হয়।
এখানকার রাস্তাঘাটে তেমন ট্র্যাফিক জ্যাম নেই, যদিও বাংলাদেশের মত সবখানেই ধুলোবালি ।
যে গেস্ঠাউজে উঠছহিলাম, তার মালিক মনে হয় আগের জন্মে স্কুলের শিক্ষক ছিলো, সব কিছুতেই জরিমানার বিধান।
শেষ বিকেলে মেখং নদীর ধারে, নদীর ইপাড়ে লাওস, ওপাড়ে থাইল্যান্ড।
।
খুব অল্পদামে এরা রাস্তার উপ্রেই বডি ম্যাসাজ শুরু করে, সাথে ম্যানিকিউর,
এখানকার জাতীয় বিয়ার মনে হয় বিয়ার লাও। এরা বলে বেরলাও। দামে সস্তা, সবাই পানির মত খায়
ঘুরতে ঘুরতে একটা বাংলা এবং একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট পেয়ে গেলাম।
অচেনা শহরে সমুসা আর লাচ্ছি খাওয়ার মজাই আলাদা
পরেরদিন বুদ্ধা পার্ক, ঠাত লুআং সহ আরো গোটা কয়েক মন্দির দেখতে দেখতে চোখে খিল ধরে গেল। যেদিকে তাকাবেন মন্দির আর মন্দির
এখানে কেনাকাটার তেমন কোন ব্যাবস্থা নাই বল্লেই চলে। স্থানীয় লোকজন বড় কোন শপিং মলের ঠিকানাই জানেনা, ওরা স্থানীয় বাজার থেকেই সব কেনেকাটা করে। প্রচুর দরদাম করতে হয় সব জিনিসে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
সায়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল। পুরোনো আইডিটা লক হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ লেখার প্রতি অনীহা। আর বানান ভূলের ব্যাপারটা অনিচ্ছাকৃত। মোবাইলে রিদমিক কীবোর্ডে লেখার কুফল।
গেস্টহাউজের কাহিনী কি আর বলব ভাই, এ করা যাবেনা, ও করা যাবেনা, মোটকথা ঘুমানো ছাড়া আর কিছুই করা যাবেনা। এমন কি জোরে কথাও বলা যাবেনা, আর সবকিছুতেই ফাইনের ব্যবস্থা করা আছে, গেস্টহাউজ না, মনে হয় স্কুল হোস্টেলে উঠছিলাম।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে। ভার্সিটিতে লাওস নিয়ে একবার অ্যাসাইনমেনট করেছিলাম। তখন থেকে টুকটাক জানি দেশটা সম্পর্কে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৯
সায়া বলেছেন: ঘুরে আসুন আরো ভালো লাগবে, আর যৌবনে এমন দেশ ভ্রমনের মাহাত্ম অনেক..।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩০
পুলহ বলেছেন: আমার জানামতে সে দেশের একটা বড় অংশই অরণ্য !
নদীটাকে আমাদের দেশের কোন এক মাঝারী আকৃতির নদীর মতই লাগছে। সমুচাটা খুব ডিলিসিয়াস মনে হলো।
"লাওসের রাজধানীকে বোলা হয় বিশ্বের সবচাইতে ধীরগতির শহর"-- জেনে আনন্দ পেলাম, কারণ আমি নিজেও অলস টাইপ।
ভালো লাগলো আপনার লাওস কথন। আরেকটু বিস্তারিত লিখলে আরো ভালো লাগতো।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
সায়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পুলহ, মেখং নদীটা মাঝারী হলেও ঐতিহাসিকভাবে এর অনেক ট্র্যাজেডি নাকি আছে, বিস্তারিত যানিনা, তবে এ নদী নাকি পাচ ছয়টা দেশের মধ্যদিয়ে বয়ে চলেছে।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
জুন বলেছেন: সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি লাওসকে আর উঠতে দিলোনা । নাহলে তাদের বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ কম জনসংখ্যা আর দেশটির আয়তন সবই ছিল । আরেকটু বিস্তারিত লিখবেন আশা করি । ভালোলাগলো ছবি ও ক্যাপশন ।
+
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
সায়া বলেছেন: দুর্নীতর বিষয়টা জানতাম না, হয়তসমাজের উচুতলার মানুষেরা দুর্নিতীগ্রস্থ, তবে সাধারন মানুষগুলোকে দেখেছি রাস্তায় খুব আইন মেনে চলে, অমায়িক, গভীর রাতে একা রাস্তায় হেটে বেড়িয়েছি, কেউ ফিরেও তাকায়নি।
রাজধানীর কথা বলছি। অন্য প্রদেশগুলোর কথা জানিনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সায়া ,
সুন্দর আর চমৎকার সব ছবি ।
উপরে সহব্লগার "জুন" ইতিহাসবিদ বলে, তার করা একলাইনের লাওসের "না ওঠা"র ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো ।
তাঁর মতো আমিও বলি , ছবিগুলোর বৃত্তান্ত লিখলে পোস্টটি আরও মনোহারী হতে পারতো ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
সায়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। ভবিষ্যতে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৫
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সুন্দর ছবি। ভাল অার সুস্হ থাকুন।
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪
জুন বলেছেন: অবশ্যই উচু তালার এবং সরকারী কর্মচারীদের কথাই মিন করেছি সায়া। তবে সবাই হয়তো নয় । আর আমি জানি সেদেশের সাধারন জনগন খুবই নিরীহ যেমনটি সব দেশের সাধারন জনগনই হয়ে থাকে । এরা খুব বেশি হলে ছিচকে চোরই হতে পারে ।
মন্তব্যের উত্তরের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
আপনার চোখে লাওস দেখার অপেক্ষায়
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৫
কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: আমারও লোভ হচ্ছে এখন,
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ অনেক কিছু জানলাম ।
শুভ কামনা
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
মানস চোখ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট!!!
লাওসের ভিসা সম্পর্কে বলেন। বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার নিয়ম-কানন কি?
ধন্যবাদ !!!
ভালো থাকবেন !!
২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭
সায়া বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে মনে হয় ভিসা নেয়া যায় না, কারন বাংলাদেশে লাওসের ভিসা কনসালটেন্ট নেই। আমি মালায়শিয়া থেকে নিয়েছি। বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার বেশ কিছু দেশের জন্য অন এরাইভাল ভিসার সিস্টেম নেই। সুতরাং ভিসা নিয়েই প্লেনে উঠতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বানানগুলো ঠিক করে দিলে ভাল হতো।

ছবিগুলো সুন্দর। আরও বিস্তারিত লিখুন না একদিন!
যে গেস্ঠাউজে উঠছহিলাম, তার মালিক মনে হয় আগের জন্মে স্কুলের শিক্ষক ছিলো, সব কিছুতেই