নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়া ও জাতিয়তাবাদী সৈনিকদের কাছে প্রশ্ন।কেনো আপনাদের ডিকটেট করা যাবেনা যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্নে??

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১২

কে কাকে নিয়ে রাজনিতী করবে এটা ডিকটেট করার অধিকার যদি কারো না থাকে ,তাহোলে বলতেই হোচ্ছে আপনাদের কোন রাজনিতী করার অধিকারই নেই স্বাধীন -সার্বভৌম বাংলাদেশে।



আমাদের মত লক্ষ-কোটি বাঙ্গালীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ।আমাদের মা ,বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এই সোনার বাংলা।কারো দয়ায় কিংবা কোন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জন্ম নেয়নি রক্তস্নাত এই বাংলাদেশ।



আর কাউকে জবাব না দিলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি উত্তরশুরিকে জবাব দানে বাধ্য বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল।হোক সেটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু~ শেখ মুজিবুর রহমানের`~"আওয়ামী লীগ "কিংবা সেক্টর কমান্ডার "মেজর জিয়ার"~বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল~

কাজেই চোর ,ডাকাত,সন্ত্রাসী,দূর্ণিতীবাজ,রাজাকার,আলবদর,আল সামশ ও সর্বোপরি যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনিতী করার কোন অধিকার নেই কোন দলের।সোজা কথায় শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার।



খুব অতি নিকটের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবেনা।বাংলাদেশ আঃ লীগ যখন খেলাফত মজলিশের সাথে চুক্তি করে নির্বাচন করার কথা ভাবছিলো,তখন আমাদের মত সাধারণ মানুষেরা গর্জে উঠেছিলো।এমনকি আঃ লীগের ভেতর থেকেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিলো।

অথচ এখন বিএনপির অভ্যন্তরে থাকা মুক্তিযোদ্ধারাই রাজাকারের সাথে রাজনিতী করাকে চ্যালেন্জ করতে পারছেন-না।ধিক জানাই আমি সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ,যারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ৭১-এর সেই মা ,বোনদের যারা তুলে দিয়েছিলো পাক সেনাদের হাতে তাদের পক্ষে দাড়িয়ে কথা বলে।



বাংলার মাটিতে রাজনিতী,কিংবা ব্যাবসা বানিজ্য যা করতেই চান-না কেনো।বাংলার মানুষের দাবী মেনেই তা করতে হবে ,এর কোন বিকল্প বা আলাপ আলোচনার সুযোগ নেই।যদি তা না পারেন তাহোলে অলাইকুম সালাম বলে বিদায় নিতে পারেন।



আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে কোন রাজনিতী করার অধীকার কারো নেই।

পাকিস্তান কিংবা ভারতের পারপাস কিংবা স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য যদি কেউ রাজনিতী করতে চান তাহোলে সেই দেশে গিয়ে করুন।



বাংলার প্রতিটি ইন্চি মাটি রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।বাংলাদেশের স্বার্থে ,বাংলার মেহনতি জনতার স্বার্থেই সব কিছু সবাইকে করতে হবে। হোক সেটা জিয়া পরিবার কিংবা বঙ্গবন্ধু পরিবার।



জয় হোক মেহনতি মানুষের-জয় বাংলা।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৯

বিষক্ষয় বলেছেন: তাইলেতো শেখ হাসিনার আজকাই ভারত চইলা যাইতে হয়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

রাফা বলেছেন: দাবী উত্থাপন করে আন্দোলন শুরু করেন।আপনার দাবী যৌক্তিক হোলে শতভাগ সমর্থন থাকবে আমার পক্ষ থেকে।

ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৪৭

ফোর টোয়েনটি বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকেরা ...... খা চেতনা খাহ!!!!



বিএনপি একলাই দোষী।

স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনের নানা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে যোগাযোগ করে এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসে এসে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে তারা বৈঠকও করেছে।


তখন রাম-বামপন্থী নাস্তিক আর ভারতের দালালেরা কোথায় ছিলেন ?




এখন প্রশ্নঃ আমেরিকান এম্বাসিতে জামাত দাওয়াত পায় কেন???

সেই এম্বাসি স্বাধীন পবিত্র মাটিতে থাকে কি করে??? যখন চেতনাদন্ডের মলম বিক্রেতারা ক্ষমতায়!!!!




০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

রাফা বলেছেন: জামাতের সাথে বিএনপির সখ্যতা জিয়াউর রহমানের সময় থেকে।
অথচ তারা যৌক্তিকতা দেখায় ৯৬ সালের আওয়ামী লীগের যুগপত আন্দোলনের ধুয়া তুলে।
বিএনপি একটি রাজনৈতিক ব্যাশ্যার দলে পরিনত হোয়েছে।দেশ ধ্বংস হোয়ে গেলেও রাজনিতীর পতিতা জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করবেনা তারা।কারন মধুর স্বৃতি ভুলে থাকবে কি করে, জামাত যে তাদের শয্যা সঙ্গী।

ছবি দুইবার দিলে কি রাজাকারের সংখ্যা বেশি দেখা যায়।এখন আর অবাক হইনা দলকানা সমর্থক দেখে।আপনারাই জামাতকে সঙ্গে নিয়ে কোন একদিন মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করার দাবী নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে পারেন।

তারেক জিয়ার ভাইয়েরা তার দলের সঙ্গে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
ভবিষ্যতে হয়তো দেখবো জামাতে ইসলামি ঝাতিয়তাবাদি শাখার আমির খালেদা জিয়া।


৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫৪

ফোর টোয়েনটি বলেছেন:

মুজিবের চাম্রা উঠানোর ঘোষণা দিয়ে রাঝনিতি করা জায়েজ, ডুগডুগি বাজাইলে আরও জায়েজ।

সর্বহারা ক্রিমিনালরা আজকাল জঙ্গির ভয় দেখায়!!! গনতন্ত্র শিখায়!!!






প্রশ্ন ২, যারা ৭১ এ বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল। ২০১৪ তেও রাজাকারদের পক্ষে কথা বলে, সেই আম্রিকায় কোন স্বাধীন ও প্রকৃত চেতনাদন্ড ওয়ালা থাকতে পারে কিনা???

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

রাফা বলেছেন: স্টকে আর কিছু নাই.....!
এই রকম ছবি দিলে খালেদা জিয়ার চৌদ্দগুস্ঠির ছবির সাথে জামাতিদের ছবি ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা এই ব্লগে।

কুকুরের লেজ সোজা করা যায়না এটা জানি ,কাজেই নতুন করে সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।

রজাকারের ঔরষে জন্ম নিলে তার পক্ষেই থাকতে হবে এটা আমরা জানি।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: খালেদা বেগম ও বিএনপি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছেন।

খালেদা বেগম ২০১৩ সাল ও ২০১৪ সালের জানুয়ারী মিলে ১১০ বিলিয়ন ডলারের প্রাণ ও সম্পত্তি বিনস্ট করেছেন!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

রাফা বলেছেন: নিতীগত ভাবে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন যখন ট্যাক্স ফাকি দিয়েছেন তখনই বাংলাদেশে রাজনিিত করার অধিকার হারিয়েছেন।

কালো টাকার মালিক স্বয়ং সরকার প্রধানই

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

HHH বলেছেন: ্তোমার মত ৩য় শ্রেনীর বালের দালালরা জাতির বেয়াইএর শিশ্ন চুষে আসো যাও, তারপরে এসে বিএনপির পিছে লাইগো। তোমাদের আসলে লজ্জা বলে কিছু নাই। নিজের গায়ে পায়খানার গন্ধ নিয়ে অন্যের গায়ের গন্ধ খুজে বেড়াও। দালাল কোথাকার

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১০

রাফা বলেছেন: নিজের পরিচয় দিয়ে দেওয়ার জন্য খুশি হইলাম।

আমি কে এবং কি চাই সেটা আমই ভালো করেই জানি।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

ক্লিকবাজ বলেছেন: নিজের কণ্যারে আগে রাজাকার ছানার োদন থেকে রক্ষা কর তার পর খালেদার গুয়ের গন্ধ শুঁকতে আইসো। অপেক্ষায় থাকলাম........

এক্টা অঞ্চলিক কথা আছে ঃ
নিজের ুটকিতে আধমণ গু
্অন্যেরে কয় ুটকি ধুউ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

রাফা বলেছেন: ছাগিয়তাবাদের আদর্শ সৈনিক।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:


আপনে একটা থার্ড ক্লাশ হাম্বা। আপনেরে যতই বুঝাই আপনে হাসিনার মত তাল গাছটা আমার যুক্তিতেই অনড় থাকবেন।




অটঃ আইচ্ছা ভাই, হাসিনা-ওয়াযেদের কোন ডুয়েট ছবি দিতে পারবেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৪

রাফা বলেছেন: আমি যদি থার্ড ক্লাস হাম্বা হই।আপনার ক্লাস কি?

হাসিনা ও ওয়াজেদ মিয়ার ডুয়েট ছবি দিলে কি খালেদা যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করবে।যদি তাই করে তাহোলে খুজে দেখতে পারি।

বিশাল আতেল মনে হইতেছে আপনাকে।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২১

রায়হান০০৭ বলেছেন: বুঝিনা, মুক্তিজুদ্ধের মত মহান এক টি বিষয় নিয়ে আপ নারা আর কত চেতনার ব্যবসা করবেন ???

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৫

রাফা বলেছেন: অনুগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধ বানানটি ঠিক করে লিখবেন ভবিষ্যতে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কি আসলেই কোন ব্যাবসা করা যায়?

তাহোলে কি আপনি রাজাকারের চেতনা নিয়ে সেটার কাউন্টার ব্যাবসা করছেন?

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: জয় বাংলা

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

ফোর টোয়েনটি বলেছেন:



প্রশ্ন ২, যারা ৭১ এ বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল। ২০১৪ তেও রাজাকারদের পক্ষে কথা বলে,জামাতের আব্বা, সেই আম্রিকায় কোন স্বাধীন ও প্রকৃত চেতনাদন্ড ওয়ালা থাকতে পারে কিনা???

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

রাফা বলেছেন: আমেরিকাতে কিন্তু ৭১ সালেও বাঙ্গালীরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লড়াই করেছে।তখনও আমেরিকাতে বাঙ্গালী ছিলো।

আর্চার ব্লাড ও জর্জ হ্যারিসনের মত লোকও কিন্তু আমেরিকার লোক।

সিরাজ উদ, দৌলা ও মির্জাফর এই বাংলায়ই ছিলো।কাজেই আপনাদের দেখে আর অাবাক হইনা।
এটা মোকাবেলা করেই আমরা এগিয়ে যাবো।৭১-এ যে শক্তিকে পরাজিত করেছি সেই শক্তিকে আবারো পরাজিত করবো ইনশাহ আল্লাহ।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন:
১) জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল কোন সংবিধান বলে, কোন নির্বাচনের মাধ্যমে?
২) ৯১-৯৬ বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে স্থানীয় নির্বাচন, উপনির্বাচন গুলোতে ভোট কারচুপি, জ্বাল ভোটের মহোৎসবের কথা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলে? মাগুরা উপনির্বাচনের কথা মনে নাই?
৩) ২০০১-০৬ সময়কালে তৈরি ভোটার তালিকায় এক কোটি ভূয়া ভোটার কেন রাখা হয়েছিল? জানতে মুঞ্চায়।
৪) ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানাতে খন্দকার হাসানকে সিনিয়রিটি ভেঙ্গে প্রধান বিচারপতি বানানো হয়েছিল সে ইতিহাস জানা নাই?

আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
১) খালেদা জিয়া যখন ৭১এর নরঘাতক আলবদর, আলসামস, রাজাকার বাহিনীর শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চায় তখন চেতনা কোথায় যায়?
২) মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিবনগর সরকার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে গণপরিষদ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর একটি সংবিধান তৈরি করে। কিন্তু বাছাধন তারেক যখন বলে, ৭২এর সংবিধানে জনগণের আশা আকাংক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি, তখন চেতনা কোথায় যায়?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৮

রাফা বলেছেন: জিয়াউর রহমানই একমাত্র ব্যাক্তি সর্ট টাইমে এত প্রমোশন পেয়েছেন।
একজন মেজর থেকে একেবারে প্রেসিডেন্ট।গিনেজ বুকে রেকর্ড হয়ে গেছে।

১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

HHH বলেছেন: ১. লে.কর্ণেল (অব)
ফারুক খান: পর্যটন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ
নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়
পাকিস্তানীদের
পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু
হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহ
অপারেশন চালান এবং কয়েকজন
মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ
বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ধ” বই। ২.
হাসেম সরদার: অ্যাডভোকেট
দেলোয়ার হোসেন সরদারের
পিতা হাসেম সরদারের নাম
কোটালীপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর
তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন
রাজাকার ছিলেন। ৭১ সালে তার
নেতৃত্বে অনেক সাধারণ বাঙালির
বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ
করা হয়েছিল। ৩. আজিজুল হক:
গোপালগঞ্জ
কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আ.
সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই
আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট
কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক
স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের
যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯
নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮
সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১
এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ
করা হয়েছে সেখানেও তার নাম
রয়েছে। ৪. মালেক দাড়িয়া:
আওয়ামী লীগ নেতা ও গোপালগঞ্জ
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক
ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম
দাড়িয়ার বাবা মালেক
দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
তিনি ছিলেন আল বদরের একনিষ্ঠ
সহযোগী। গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট
কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক
স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের
যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০
নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮
সালের ১ আগষ্ট। ৫. মোহন মিয়া:
গোপালগঞ্জ
কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলী সভাপতি আমির
হোসেনের পিতা মোহন
মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের
দালাল ও রাজাকার ছিলেন। স্থানীয়
মু্ক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি লুটপাট
করে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট
কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক
স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম
ছিল ১৫৭ নম্বরে। ৬. ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার
মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩ আসনের
সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার
মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার
ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন
করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার জন্য
হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত
করেন। “দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের
রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ” বইয়ের ৪৫
পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার
বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ
হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল
নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম
নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার
ছিলেন। ৭. আডভোকেট দেলোয়ার
হোসেন সরদারঃ গোপালগঞ্জের এ
পি পি ও আওয়ামী লীগ
নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার
হোসেন সরদারের নাম গত ১ এপ্রিল
প্রকাশিত কোটালিপাড়ার
যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে।
তিনি পাকিস্তানীদের দোসর ও আল
বদর বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। আল বদর
বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ
গ্রহণ করতেন তিনি। ৮.
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী:
আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড
সংসদ উপনেতা ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ
সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক
গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন
নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের
নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত
মহিলা আসনে নির্বাচিতদের
মধ্যে থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের
সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ
মেম্বার অব ন্যাশনাল
এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১
সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য
অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই
তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর
নাম ছিল ৮৪ নম্বরে। জেনারেল
রোয়াদেদ খান ওই দিন
ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন
জানানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের
বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার
সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন
বলে জানা গেছে। ১৯৭১
সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ
তথ্য উল্লেখ আছে। ৯. সৈয়দ জাফরউল্লাহ:
আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য
সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময়
পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন।
মাসিক “সহজকথা” আয়োজিত
যুদ্ধাপরাধের বিচার: বর্তমান প্রেক্ষাপট
শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য
দিতে গিয়ে বঙ্গবীর কাদের
সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের
বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ
জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময়
পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর
উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন।
“মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির
অবস্থান” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ
আছে। ১০. মুসা বিন শমসের: গত বছরের ২১
এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের
নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ
সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের
রাজাকার মুসা বিন শমসেরের
মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার
কথা কেউ বলছেন না কেন? এ খবর ২২
এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত
হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের
গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য
শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের
বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস
ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ
হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের
নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে ফরিদপুর
জেলায়
গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের
নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ
বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেন
এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নির্মম
নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।
১১. মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর–
৩ আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের লীগের
সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ
মির্জা গোলাম আযমের বাবা। ১৯৭১
সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের
মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল
নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-
বদরদের গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের
বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। তার
বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের
একাধিক অভিযোগ আছে।
যা “জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধ ( ১৯৮১
সালের সংস্করণ)” বইয়ে উল্লেখ আছে।
মির্জা কাশেম জামায়াতের সাবেক
আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একনিষ্ঠ
ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার
নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন
মির্জা গোলাম আযাম। ১২. এইচ এন
আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ
সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ
সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১
সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত
পাকিস্তান সরকারের
অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময়
তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ
বিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা কর এস
এস এম শামছুল আরেফিন রচিত
“মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির
অবস্থান” বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব।
পাকিস্তানে কর্মরত
বাঙালি অফিসারদের তালিকায় তার
নাম প্রকাশিত হয়েছে। ৯
জানুয়ারি রাজধানীতে এক
অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের
সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন,
রাজাকার আশিকুর রহমান
আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে তার
বিচার করবেন না তা হয় না। আমরা সব
রাজাকারের বিচার চাই। মন্ত্রীসভায়
রাজাকার রেখে রাজাকারের বিচার
করা যায় না। ১৩. মহিউদ্দিন খান
আলমগীর: চাঁদপুর-১ আসনের সরকার দলীয়
সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন
খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ
হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত
ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশ
পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান
সরকারের
অধীনে চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের সময়
পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছে তার
বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ
সময় আরেফিন রচিত“ মুক্তিযুদ্ধের
প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান” বইয়ের
৩৫০ পৃষ্ঠার মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব
পাকিস্তানের কর্মরত
বাঙালি অফিসারদের
তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তাকে চিহ্নিত রাজাকার
হিসেবে আখ্যা দিয়ে গত ৯
ফেব্রুয়ারি তার বিচার দাবি করেন
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ১৪.
মাওলানা নুরুল ইসলাম: জামালপুরের
সাবেক সংসদ সদস্য ও ১৯৯৬-২০০১
মেয়াদকালে আওয়ামী লীগ সরকার
শেখ হাসিনা এই নূরুল ইসলামকে ধর্ম
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ
করেছিলেন। মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১
সালে জামালপুর
সরিষা বাড়ী এলাকার রাজাকার
কমান্ডার ছিলেন। তার
নেতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায়
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল কর্মকাণ্ড
পরিচালনা করেন।“ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ
শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ”
গ্রন্থের ৪৫ পৃষ্ঠায় এর বিবরণ দেয়া আছে।
এ ছাড়া গত ২৮ এগ্রিল দৈনিক আমাদের
সময় প্রকাশিত
একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল
ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার
রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ
করা হয়েছে। ১৫. মজিবর রহামান
হাওলাদার:
কুটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী ল যুগ্ন
সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান
হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায়
বসতবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ
নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন
তিনি। গোপালগঞ্জের
কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের
ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত
গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীর
তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে । এ
তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১
আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল
যে তালিকা প্রকাশ
করা হয়েছে সে তালিকায়ও
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তার নাম আছে।
১৬. অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম:
ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন
প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম
রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই
হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম
নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয়
প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার
বাহিনীকে সহযোগিতা ও
মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করার জন্য
তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম
শান্তি কমিটি গঠন হয়। একই
সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল
শাসম বাহিনীকে সর্বাত্মক
সহযোগিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট
কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই
স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড
চালানোর
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের
কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বড়
ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের
মালিকাধীন
প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার
হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে এ
দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন
জোরদার হলে নেজামের ইসলাম
পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের
অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর
জন্য “নেজামে ইসলাম”
নামে একটি সাপ্তাহিক
পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল
ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ
মজিবুর রহমান সহ পাকিস্তান
বিরোধী আন্দোলনকারীদের
নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় “ইবলিশের
দিনলিপি”
নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ
সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট
কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের
রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর
মধ্যে দিয়ে রাজাকার পরিবারের গন্ধ
হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার
ব্যাপারে “মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল”
শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
১৭. মুন্সি রজ্জব
আলী দাড়িয়াঃ উপজেলা আওয়াম যুগ্ন
সাধারণ সম্পাদক গোলাম
কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুন্সি রজ্জব
আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম
আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর
হিসেবে কাজ করতেন
এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের
গোপন খবর
পাকবাহিনীকে পৌঁছে দিতেন। ১৮.
রেজাউল
হাওলাদারঃ কোটালিপাড়া পৌর
মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ
নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের
ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদারের নাম
২০৩ জন রাজাকার, আল বদর, আলশামসসহ গত
১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার
যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে।
তিনি আল বদর সদস্য হিসেব স্থানীয়
মুক্তিযোদ্ধাদের
বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড
পরিচালনা করতেন। ১৯. বাহাদুর
হাজরাঃ কোটালিপাড়া স্থানীয়
আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র এইচ
এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর
হাজরার নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত
কোটালিপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর
তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয়
রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের
হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন।
২০. অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন:
ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও
আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট
মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১
সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও
শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত
বছরের ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম
ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক
ডা:এম এ হাসানের দেয়া যুদ্ধাপরাধের
তালিকায় (ক্রমিক নং-৭৩) উল্লেখ
করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈনিক
ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এ দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার
বিরুদ্ধে গত ৬ এপ্রিল
ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ শ্রম
বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের
ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের
ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন
বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র
জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট
আদালতে মামলা দায়ের করেন।
২১.বারেক হাওলাদার: গোপালগঞ্জ
কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আ.
সভানেত্রী রাফেজা বেগমের
পিতা আবদুল বারেক হাওলাদার ৭১-এ
দালাল ছিলেন। গোপালগঞ্জের
কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের
ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত
গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায়
তার নাম ৪১ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ
করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয়
বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ
করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার
নাম আছে। বারেক হাওলাদার
মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী নির্যাতনের
সাথে জড়িত ছিলেন। ২২. আবদুল কাইয়ুম
মুন্সি: জামালপুর বকশিগঞ্জ
আওয়ামীলীগ সভাপতি অবুল কালাম
আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর
বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময়
পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা ও
মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ
অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৬
এপ্রিল জামালপুর
আমলি আদালতে মামলা দায়ের
করা হয়েছে। মালিচর
নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী এ
মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম
মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত
বলে জানা গেছে। মামলার
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১
সালে মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কাউয়ুম
মুন্সী পাক হানাদার
বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য
বকশিগঞ্জে আল বদর
বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয়
ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর
সাথে থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের
হত্যা করেন। ২৩. নুরুল ইসলাম-নুরু মিয়া:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ
হোসেনের পিতা নুরুল ইসলাম নূরু
মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার
ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর
জেলা আওয়ামী লীগ
নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক
করেন। এ সময় তারা মন্ত্রী ও তার ভাই
খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের
বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ
তুলে ধরে বলেন, তার বাবা নূরু
মিয়া মু্ক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার
ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪
নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও
তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের
দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় এ
খবরটি প্রকাশিত হয়। নুরু মিয়ার অপকর্মের
বিষয়ে “মুক্তিযুদ্ধের
প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান”
বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়
জন প্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের
২৭ নেতা মুক্তিযুদ্ধের
বিরোধিতা করে পাক হানাদার
বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন।
তারা কেউ ছিলেন (এম এন এ) জাতীয়
পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এম
পি এ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত
সদস্য। মুক্তিযুদ্ধে তারা হানাদার
বাহিনীকে সব ধরনের
সহযোগিতা করেছেন। দেশের
মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, নারী ধর্ষণ,
লুটতরাজ
এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ
নানাধরনের
মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথেও
তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে। যুদ্ধ মুজিবনগরের
সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্ধাপরাধের
সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য
পাওয়া গেছে। এ সব নিয়ে বিভিন্ন সময়
গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।
আপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব
তথ্য পাওয়া গেছে। অপরাধীদের নাম,
অপরাধ ও প্রমাণ বিভিন্ন উতস হতে সহগ্রহ
করা। কার্টেসিঃ অনলাইন এক্টিভিটিস

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫০

রাফা বলেছেন: আপনার অবস্থা দেখে মনে হইতেছে আর কোন দল বাংলাদেশে কখনই ক্ষমতায় আসেনি।
এবং আগামি ১০০ বছরের জন্য আঃ লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
আগামিতে আমরা দেখতে চাই বিএনপি বাকি রাজাকারদের বিচার অব্যাহত রাখবে।
অন্য কোন অজুহাতে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সরকার যদি জামাতকে নিষিদ্ধ করে তাহলেই বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটে।

বিএনপি বলেছে যে তারা ৮৬ আর ৯৬ এর মত চায় না যে কামাত আওয়ামী লীগের সাথে গিয়ে রাজনীতি করুক। সেই জন্য তারা নিজে থেকে জামাত ছাড়তে চায় না। কারন তারা মনে করে বিএণপি জামাত ছাড়লে জামাত আওয়ামী লীগের সাথে চলে যাবে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৫৭

রাফা বলেছেন:
আইনি প্রক্রিয়ায় জামাত নিষিদ্ধ ছিলো।জামাতকে রাজনিতী করার
অধিকার দিয়েছে বিএনপির জিয়াউর রহমান সাহেব।

কাজেই খালেদা জিয়া যে একই কাজ করবেননা এটার গ্যারান্টি কে দেবে?

আইন করে নিষিদ্ধ করার পরও ঝুকি থেকে যাবে যদি বিএনপি জামাতকে ত্যাগ না করে।বিএনপির ছত্র-ছায়ায় রাজনিতী করার সুযোগ থাকছেই।'

কাজেই জামাতকে রাজনৈতিক,সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ বা বয়কট করতে হবে।এখানেই দায়িত্বটা শুধু সরকারের উপর বর্তায় না।

১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৪

ওয়ান ডাউন বলেছেন: এত্তগুলো ছাগুর দেখা পেলাম।

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

HHH বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় এসে যদি বিয়াইএর বিচার করে তখন ব্লগে এসে কান্না কাটি করবা না তো?

চামচা কোথাকার

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৭

রাফা বলেছেন: আসলেই জন্ম যে গো.আ.-ঔরষে এটা প্রমাণ করাই যদি মূল উদ্দেশ্য
হয় , তাহোলে কোন কিছু বলেই কাজ হয়না।

ভদ্রতা মানে কিন্তু দুর্বলতা নয়।তোদের মত খিন্জিরের পর্যায়ে নেমে আসার কোন ইচ্ছাই নেই।দুর্গন্ধ ছাড়া আর কোন কয়ালিটিই তোর নেই।।।

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১১

রায়হান০০৭ বলেছেন: সম্মানিত বিশিষ্ট চেতনা ব্যবসায়ী, B:-/ B:-/ B:-/
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি অই কমেন্ট টা মোবাইলের মাধ্যমে লিখে ছিলাম তাই ইচ্ছা থাকলেও শুদ্ধ লিখতে পারিনি :(
যাই হোক আপনার সম্পর্কে আমি আগে থেকেই সম্যক অবগত,
ব্লগে তো আর নতুন না #:-S #:-S 8-| 8-|

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩২

রাফা বলেছেন: আমিও রিপ্লাই করতেছি মোবাইলের মাধ্যমে।

আপনি কি রাজাকারের চেতনার ব্যাবসা করেন,যে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেই আপনার চুলকানি শুরু হয়।

বাপরে খুব সিরিয়াস ব্লগার মনে হইতেছে।

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪২

সান কিং-১ বলেছেন: ডিকটেট করেন। সরকারী বাহিনী আছে, চাপাতি লীগ আছে, র‍্যাব আছে, ক্রস ফায়ার আছে, ডাইরেক্ট ফায়ার আছে, চাপাতি বাহিনী আছে, ভারত মাতা আছে। চেতনা কচলাইয়া তিতা তো সেই কবেই বানাইছেন। চেতনা বেইচা দেড়/দুইশ/তিনশ গুণ সম্পদ বাড়াইছেন, জনগণের ভোটের অধিকার কাড়ছেন, ভারত মাতার কাছে নিজেগো সতীত্ব বিসর্জন দিছেন, ভারত মাতার কল্যাণে বিডিআর ধ্বংস করছেন, দেশ প্রেমেই সেনা অফিসার মারছেন, ভারতের স্বাধীনতাকামীদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এই দেশের ১৪ জনরে ফাঁসি দিছেন, ভারত মাতারে ফ্রি করিডোর দিছেন, মুক্তিযুদ্ধরে ধর্মের বিপক্ষে দাঁড় করাইছেন, মুক্তিযুদ্ধরে গণতন্ত্রের বিপক্ষে দাঁড় করাইছেন। আজ হয়তো পুলিশ র‍্যাব ভারত মাতার আশির্বাদের আপ্নাগো ডিকটেট করার কলিজা লাগাম ছাড়া হইছে। আফসুস মানুষ যেমন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না আম্লীগও তেমনি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না। আপনার পুর্বপুরুষরা রক্ষী বাহিনী বাকশাল এইসব ভুলে গেছে, ভুলে গেছে তার পরিণতির কথা। মনে রাইখেন, এই দেশের মানুষ যেইদিন বের হবে সেইদিনও পাখি গাছের ডালে ঠাই পাবে আম্লীগের গাছের পাতাতেও জায়গা হবেনা। নিজ জাতি বিরুদ্ধে গিয়ে যারা বিজাতীয়দের তাঁবেদারি করে ইতিহাসে তাদের কারো পরিণতিই সুখের হয়নাই, আপ্নাদেরও হবেনা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৬

রাফা বলেছেন: হুম....আসেন মওদুদীর আর আল জওয়াহারির ইসলাম কায়েম করতে জেহাদ ঘোষণা করি সরকারের বিরুদ্ধে।

নিজামি,গো. আজম,সা.কা.-মুজাহিদ, শহ সকল রাজবন্দী ও মুসলিম স্কলারদের মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ি।আসেন এইবার উপঢৌকন হিসেবে মা বোনদের তুলে দেই মুসলিমদের ঝান্ডাধারি আল কায়েদাদের হাত.।

আসেন পাকিস্তানের এজেন্ডা কায়েম করার স্বার্থে অস্র সাপ্লাইয়ের কড়িডর করে দেই বাংলাদেশকে।তা না-হোলে ইসলাম ধ্বংস হোয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে।
মসজিদে আমি প্রতিদিন উলুধ্বনি শুনতে পাই।

আর কত ভারত বেচা রাজনিতী করবেন?বাকশাল কি আগে জানেন তারপর লিখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.