নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেইতো নথ খসালি , তবে কেনো পেট্ট্রল বোমায় এত মানুষ খুন করলি?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৮



সেইতো নথ খসালি , তবে কেনো পেট্ট্রল বোমায় এত মানুষ খুন করলি?

গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর রোডে কি কোন মাফিয়া নেত্রির বসবাস আছে নাকি!আজকে সেই বাড়িটিতে প্রবেশ করলেন পেট্ট্রোল বোমার জননী খালেদা জিয়া।ইতিহাসে তার নামটি পেট্ট্রল বোমার কারনে স্বরনিয় হয়ে থাকবে।কথিত আছে এই নেত্রীর সুযোগ্য পুত্র মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাথে নাকি ভালো সখ্যতা আছে।সেই সুত্রেই হয়তো নিশ্চয়তা পেয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার।

গত ৬ই জানুয়ারি থেকে পেট্ট্রোল বোমার যে মহোৎসব শুরু হয়েছিলো ।আজকে কি তথাকথিত দেশনেত্রীর বাসভবনে প্রবেশের মাধ্যমে তার আপাতঃ অবসান ঘটলো ।নাকি আরো কোন গভির চক্রান্ত দানা বাধছে এর অন্তরালে।

আজকে খবরে একটি খুব ভয়াবহ সংবাদ অবগত হয়ে আমি খুব ভীতির মধ্যে আছি।বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে ম্লান করে দেওয়ার জন্য নাকি জামাত শিবির ও ছাত্রদল সহ তথাকথিত ২০ দলের নেতা কর্মিরা নতুন মিশন হাতে নিয়েছে।দেশের গুরুত্বপুর্ণ বিদ্যুত স্থাপনা গুলোতে নাকি তারা হামলা করবে।এই কাজে স্যাবোটাজ করার জন্য বিএনপি/জামাতের প্রতি অনুগত কর্মকর্তা কর্মচারিদের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।এই ডিপার্টমেন্টেই সব চাইতে বেশি লোক নিয়োগ রয়েছে বি,এন,পি /জামাতের।এই কারনেই আমি খুব বেশি সংকিত।



আশা করি সরকার এই দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবে।আমরা মানুষ হত্যার মত জঘণ্য কাজকে যেমন ঘৃণা করি।ঠিক তেমনি দেশের ধ্বংস করার কাজকেও অনুরুপ ঘৃণা করি।কাজেই এখানে যেনো পেট্ট্রোল বোমার ব্যাবহার না দেখতে হয়।সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে অযথা কাউকে হয়রানি না করে অপরাধীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স যেনো সত্যিকার অর্থেই প্রয়োগ করা হয়।বিন্দুমাত্র শিথিলতা গ্রহণযোগ্য নয়।সাধারণ মানুষের টাকায় চলে সরকার কাজেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্য কর্তব্য সরকারের।সরকারের ব্যার্থতায় অনেক নিরিহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই পর্যন্ত।আর কোন জান মালের ক্ষতি আমরা চাইনা।তাই ক্ষমতার নিশ্চয়তা নয় মানুষের জিবনের নিশ্চয়তা দিন।তারাই তাদের প্রয়োজনে আপনাদেরকে বার বার দেশের দায়িত্ব তুলে দিবে আপনাদের হাতে।

বি,এন,পি নামক দলটির কাছে আমাদের কোন প্রত্যাশা নেই।কারন এই দলটি এখন জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যাস্ত।জামাত যেভাবে পরিচালিত করছে আন্দোলনকে তারা সেই পথেই হাটছে।তাদের অস্তিত্য বিলিন হয়ে গেছে যুদ্ধাপরাধী দলটির মাঝে।খালেদা জিয়া এখন জামাতের বি,এন,পি নামক শাখার মহিলা আমির ছাড়া কিছুই নয়।কাজেই তার কাছে আমাদের কোন চাওয়া নেই।আমরা চাইবো তার ঐ জেলখানা সমতুল্য বাড়িতে তিনি তার মত নিরাপদ থাকুন।জনগণের নেত্রীর কোন বাড়ি কাঁটা তার দিয়ে ঘেরাও করা থাকতে পারেনা।সেটা থাকতে পারে জঙ্গীনেত্রী অথবা মাফিয়া ডনের জননীর বাড়িতেই।



আশা করি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়ার আন্দোলনের সঠিক জবাব দিবে।বাংলার মানুষ ভুল করলে তা আবার সংশোধনও করতে জানে।প্রত্যাশা রইলো সত্য ও সুন্দরের পক্ষেই থাকবে সাধারন জনগণ।কারন দিন শেষে দেশটা আমাদেরই।২য় কোন হোম কান্ট্রি নেই আমাদের।মরি আর বাচি এই দেশটা আমাদের, আমাদেরকে এখানেই থাকতে হবে।লড়াই সংগ্রাম করে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আপনার মনে হয়, এই অথর্ব, অপদার্থ, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন মহিলার এত ক্ষমতা সত্যিই আছে?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৫

রাফা বলেছেন: মূল সমস্যাতো সেখানেই.....বাচ্চাদের হাতে আগুন দিয়ে দেখুন ,তারা সেটা নিয়ে খেলতে চাইবে কিছু না বুঝেই।উনিও ঠিক স্বার্থাণ্বেসি মহলের হাতের ক্রিরনকে পরিনত হয়ে কলের পুতুলের মত নাচছেন।আর ভাবখানা সেই সামান্য ক্ষতি কবিতাটির রানীর মতই ভাবছেন এ আর তেমন কি ক্ষতি।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মিতক্ষরা বলেছেন: পেট্রোল বোমা হাসিনার লোকেরা মেরেছে বলে কাদের সিদ্দিকি দাবী করেছেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:১১

রাফা বলেছেন: আপনিও কি তাই মনে করেন নাকি?
কাদের সিদ্দিকিকেই প্রমাণ করতে হবে...হাসিনার লোকেরা মেরেছে।
উনি কি খালেদা জিয়ার অর্জন উপলব্দি করেই মতিঝিল ছেড়ে পালালেন !!

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৫

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: ''বি,এন,পি নামক দলটির কাছে আমাদের কোন প্রত্যাশা নেই''
'আমাদের' বলতে আপনি কি বোঝাতে চাইছেন? ১৭ কোটি জনতা নাকি ৫% বা ১৫% এর কথা বোঝাচ্ছেন জনাব রাফা?

''বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে ম্লান করে দেওয়ার জন্য নাকি জামাত শিবির ও ছাত্রদল সহ তথাকথিত ২০ দলের নেতা কর্মিরা নতুন মিশন হাতে নিয়েছে।দেশের গুরুত্বপুর্ণ বিদ্যুত স্থাপনা গুলোতে নাকি তারা হামলা করবে''

এতোকিছু আপনি জানলেন কোথা থেকে? নাকি এই মিশন আপনাদের নতুন নাটকের খসড়া পান্ডুলিপি!!

''প্রত্যাশা রইলো সত্য ও সুন্দরের পক্ষেই থাকবে সাধারন জনগণ।কারন দিন শেষে।কারন দিন শেষে দেশটা আমাদেরই ''


সত্যের কথা আপনাদের মুখে!! সাধারন জনগণ মানে কি ঐ ৫ বা ১৫%!!!

''দিন শেষে দেশটা আমাদেরই'' কোন আমাদের ! ৫ তারিখ নির্বাচনের ৫% বা ১৫% নাকি বাকি ৮৫% বা ৯৫% কোন আমাদের??

''আশা করি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়ার আন্দোলনের সঠিক জবাব দিবে।''
হ্যাঁ জনগণ সঠিক জবাব ঠিকই দিবে শুধু ভোট প্রদানের নিশ্চয়তা দেন। ৫ তারিখের মতো না সুষ্ঠ নিরপেক্ষ ভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ যদি দেন তবে জনগণ সঠিক জবাব ঠিকই দিবে, তবে সেই জবাব কতোটুকু সহ্য করতে পারবেন সেটাই ভাবনার বিষয়।
ধন্যবাদ, সবার শুভবুদ্ধীর উদয় হোক...

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩

রাফা বলেছেন: ১৭ কোটি বললেতো নিজেও ঐ দলে চলে যাই।বি,এন,পি নামক দলটির অন্ধ অনুরাগি ও ভক্তরাতো নয়ই সাথে জামাত শিবিরের ৩% থেকে ৪% যোগ করে যা হবে এদেরকে বাদ দিয়েই আমি আমাদের মত সাধারণ মানুষের কথা বলছি।সব মিলিয়ে ৩০%-এর বেশি হবেনা।

আমাদের মানে যারা আমরা বুকের রক্ত ঢেলে দেশটা স্বাধীন করেছিলো তাদের উত্তরশুরীরা।সংখ্যায় আমরা তখনও বেশিই ছিলাম এখনও তাই আছি।৭০% এর বিপরীতে ৩০% পালাবার পথ খুজে পাবেনা।বাংলাদেশে রাজনীতি ,ব্যাবসা ,চাকুরি যাই করুক করতে হবে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে সেই চেতনায়।এই দেশের সরকারি দল বিরোধীদল বা যে সংস্থাই হোকনা কেনো সবাইকে হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।এর বাইরে কারো বেইল নাই।আশা করি সব কিছু জলের মত পরিস্কার বুঝে গেছেন।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৫৮

যোগী বলেছেন:
আমি বলবো এই বেশরম মহিলার এতটুকু লজ্জা থাকলে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করা তার উচিৎ না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০০

রাফা বলেছেন: যা করা উচিত না....সেটাই করে থাকেন উনি।যেদিন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় দেশের ট্যাক্স পে করেননা।সেদিন থেকেই তার রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া জায়েজ ছিলো।কিন্তু হয় নাই।
সাধারণ মানুষ হত্যা করে এখন আবার এদের কাছেই ভোট চাইবে।এর চাইতে বড় ধরনের কোন জোকস মনে হয় আর হোতেই পারেনা।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৩

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: হ্যাঁ পানির মতো (জলের মতোনা) পরিস্কার। আমার মরহুম বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আপনি শিওর যে এই ৭০% মানুষ আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে?
''বাংলাদেশে রাজনীতি ,ব্যাবসা ,চাকুরি যাই করুক করতে হবে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে সেই চেতনায়''
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনায় বর্তমান বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল আছে কি? আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুনতো যে, মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা এসব এখন ব্যাবসার পণ্য হয়ে গেছে কিনা!! ভুল বুঝবেন না, এখন এসব ব্যাবসায়িক পণ্য কিনা!!
আর মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি শুধু একটা দলের সম্পত্তি? কোন মুক্তিযোদ্ধার কি অন্যকোন দল সাপোর্ট করার অধীকার নেই? অন্য দল করে বলে কোন মুক্তিযোদ্ধা কি রাজাকার হয়ে যাবে? আর কোন রাজাকার যদি বর্তমানে আলীগ সাপোর্ট করে সে কি চেতনাধারী মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবে (বর্তমান সরকারের রয়েছে এমন লোক)??
কিছুদিন আগে পত্রিকায় ফলাও করে নিউজ ছেপেছিলো যে, জামায়াতের কিছু নেতা ও কর্মী জনাব মাহবুবুল আলম হানিফের হাতে ফুলের তোরা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন !! এরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বনে গেছেন?? এরকম আরো অনেক উদাহরন পেপার/পত্রিকায় উঠে এসেছে।
এবার বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সত্যিকারে বুকে ধারন করে এমন দল বাংলাদেশে রয়েছে, নাকি সবাই কোন না কোনো ভাবে চেতনা নিয়ে ব্যাবসা করছে !!

আমার কাছে সব দলকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাবসায়ী বলে মনে হয়, কোন দলই সত্যিকারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করেনা, যা করে তাহলো ভন্ডামী ।
অনেক ধন্যবাদ রাফা, ভাল থাকবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

রাফা বলেছেন: হুমম....শুদ্ধ বাংলা বলতেও ভয় পান।আপনার কি ধারনা আওয়ামি লীগ না করলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা যায়না? এভাবেই বিভ্রন্তের সৃষ্টি শুরু হয়েছে।আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।
এখন আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুনতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আপনি কয়দিন মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান উচ্চারণ করেছেন ?সবাই যখন মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুর নাম তখন কতবার নিয়েছেন এই নামটা।পাকিস্তানি হানাদার শব্দটা যখন নিষিদ্ধ ছিলো এই দেশে তখন কতবার উচ্চারণ করে শ্লোগান দিয়েছেন বলুনতো?
আওয়ামি লীগ কি কখনও দাবি করেছে যে মুক্তিযুদ্ধ তাদের একার!বরং আওয়ামি লীগ একাই বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বললে কি ভুল বলা হবে?এই জন্যই কি আওয়ামি লীগের নাম নিতে ঘৃণা হয় আপনাদের?মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মানেই আওয়ামি লীগের সব অন্যায়কে মেনে নেওয়া নয়।আওয়ামি লীগকে বাধ্য করা যায় সংশোধনের জন্য ।কিন্তু অন্য কোন দলকে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ১টি কাজও করানো যায়না।এটাই হোচ্ছে আজকের বাস্তবতা। হানিফের ঐ কাজকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি।খেলাফতের সাথেও চুক্তি করেছিলো আওয়ামি লীগ।কিন্তু চাপ প্রয়োগ করে সেখান থেকেও ফিরিয়ে আনা গেছে আওয়ামি লিগকে।

আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুনতো খালেদা ক্ষমতায় থাকলে কি এই রাজাকারদের বিচার হইতো কিংবা হবে।যদি হয় আমি নিজের বর্জ খাবো আমি ওয়াদা করলাম।বি,এন,পি ক্ষমতায় আসা মানে প্রথমেই,সাকা,নিজামি,মুজাহিদ ও দৈল্লা রাজাকার সহ সব রাজাকারকে সসন্মানে মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করা।মনে মনে সেই কামনাই করছেন কিনা কে বলবে?

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: জ্বীনা জনাব শুদ্ধ বাংলা বলতে আমি ভয় পাইনা। পানি শব্দটাও বাংলা এবং বাংলাদেশে প্রায় ১০০% মানুষ শব্দটা ব্যাবহার করেন, তাই বলা।
প্রথমত, ঐ সময়টাতে শ্লোগান দেয়ার মতো বয়েস আমার ছিলোনা। দ্বিতীয়ত কারা সেই সবাই যারা ঐ নামটা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলো? তখনতো আওয়ামী সরকার দেশ চালাচ্ছিলো!! অন্য কেউ নয় বরং আওয়ামী লীগই তখন বঙ্গবন্ধু নামটা মুছতে চেয়েছিলো যাদের অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা/নেত্রী!!!

পাকিস্তানি হানাদার শব্দটা যখন নিষিদ্ধ ছিলো এই দেশে তখন কতবার উচ্চারণ করে শ্লোগান দিয়েছেন বলুনতো?

পাকির পক্ষ হয়ে এই শ্লোগান দেয়ার প্রশ্নইতো আসেনা, বরং শব্দটা মনে হলেও একদলা থুথু এমনি চলে আসে।

আওয়ামি লীগ কি কখনও দাবি করেছে যে মুক্তিযুদ্ধ তাদের একার!
এখনতো সভা/সমাবেশে হরহামেশাই এ কথা বলা হয়ে থেকে, আপনি শোনেননি? খেয়াল করে শুনে নিবেন আশাকরি।

আওয়ামি লীগ একাই বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বললে কি ভুল বলা হবে?এই জন্যই কি আওয়ামি লীগের নাম নিতে ঘৃণা হয় আপনাদের?[/sb
]
বাচিয়ে রাখা মানে কি ঘোষনা দিয়ে দখলে নেয়া? বাঁচিয়ে রাখার মানে কি নিজঘরে রাজাকার লালন, পালন করা?

আমি কাউকেই ঘৃণা করিনা যদি ঘৃণা করে থাকি তবে তা তাদের 'কর্মকে'।

আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তবে কাগুজে(সনদধারী) মুক্তিযোদ্ধা তিনি নয় আর বাবা মারা যাবার আগ পর্যন্ত কোন সরকারের কাছ থেকে চার পয়সার সুবিধা তিনি নেয়নি। তাই এই জন্যই কি আওয়ামি লীগের নাম নিতে ঘৃণা হয় আপনাদের? ''আপনাদের শব্দটা আমার ক্ষেত্রে ব্যাবহার না করলে খুশি হবো।

আলহামদুলিল্লাহ্ আজ একটা রাজাকারের ফাঁসি হলো। কিন্তু এই রাজাকারকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করা রাজাকার প্রধানকে ''কদমবুচি'' করার সময় কথিত চেতনা কি কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে ছিলো, বা গণতন্ত্র কণ্যার ঘড়ে এখন স্বৈরাচার বসত করে এখনো চেতনা কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমুচ্ছে??

আর চুক্তির কথা বলছেন দাদাদের যে বিনাবাক্য ব্যায়ে সব দিয়ে দিচ্ছেন তার কোন প্রতিবাদ করছেন জীবনে?

রাজাকারের বিচার হচ্ছে ভাল কথা কিন্তু ঘরের 'রাজাকারের' বিচার কি করবেন কোনদিন? বিচারতো সবারই হওয়া উচিত কি বলেন??
ধন্যবাদ রাফা, ভাল থাকবেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫০

রাফা বলেছেন: আপনি মনে হয় নিতান্তই শিশু,তাই এমন প্রশ্ন করলেন!কারা তখন দেশ পরিচালনা করছিলো!তখন দেশ পরিচালনা করছিলো মুক্তিযুদ্ধের ১জন সেক্টর কমান্ডারকে সামনে রেখে ৭১-এর পরাজিত শক্তি।
পাকি হানাদারদের পক্ষে শ্লোগান দেওয়ার কথা আপনার মনে আসলো কেনো!এখানেও হতবাকই করলেন আমাকে।
আপনি ভালো করে শুনে দেখবেন দয়া করে।তারা বলে তাদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে।এবং এটা দিবালোকের মত সত্য।আপনি কি এই সত্যকে অস্বিকার করে নতুন কোন ইতিহাস বলতে চান নাকি?

বাচিয়ে রাখার অর্থ হোচ্ছে যখন বিকৃত ইতিহাস গেলানোর চেষ্টা করেছে কেউ ।তখন দৃপ্তকন্ঠে বার বার প্রতিবাদ করেছে ,আর সত্যটা উচ্চারণ করেছে।
সনদধারি মুক্তিযোদ্ধারা কি তাহোলে মুক্তিযোদ্ধা নয়!আমার অসংখ্য আপনজন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছে।এমনকি তাদের কখনই কোন সনদের প্রয়োজন হয়নি।তাই বলে কি সনদ গ্রহণ করবেনা!

আপনার প্রতিটি প্রশ্নই আমার মনে এই ঘৃণার সন্দেহ জাগিয়ে দেয়।আপনি ভুল ইতিহাস বলছেন আওয়ামি লীগ কখনই জামাতকে নিয়ে আন্দোলন করে নাই।জামাত তার অস্তিত্য রক্ষার জন্যই আওয়ামি লীগের প্যারালাল কর্মসূচি দিয়েছে।আওয়ামি লীগের সমর্থন নিয়ে রাজাকার তোষামদকে প্রচন্ড ঘৃণা করি।ঐটার জন্য কখনই সাফাই গাইবোনা আমি।

অবশ্যই সৈরাচার বসত করছে ,এর জন্য দায়ি আমাদের জোটের কুৎসিত রাজনিতী।যার পথপ্রদর্শক হোচ্ছে বি,এন,পি।আমি সৈরাচারকে কখনই সাপোর্ট করিনি,কিন্তু রাজাকার আর সৈরাচারকে এক পাল্লায় মাপতেও রাজি নই।তারা অন্তত বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্র ধরেনি।

সব বিচার যদি আওয়ামি লীগ করে ,তাহোলে আওয়ামি লীগকেই অনন্তকাল দেশ পরিচালনা করতে দিন।সেটাও তাহোলে আদায় করে নিবো আমরা।

আমিতো আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।কিন্তু আপনিতো আমার ১টা প্রশ্নের উত্তরই দিলেননা।আওয়ামি লীগ ছাড়া আর কাকে মনে হয় আপনার রাজাকারের বিচার করবে।এবং তার স্বপক্ষে যুক্তি কি সেটা জানতে চাই আপনার কাছে।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:০৪

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: মি.রাফা হয়তো আমি শিশু । ''আপনি ভুল ইতিহাস বলছেন আওয়ামি লীগ কখনই জামাতকে নিয়ে আন্দোলন করে নাই।

আপনি যে আমার চেয়েও শিশু! প্রমান কথায় নয় ছবির মাধ্যমে দিচ্ছি জনাব...

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৩১

রাফা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনা কি? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এবং যার ভিত্তিতে আমরা স্বাধীনতা পাইছি, তার বিরুদ্ধচারিতা। তারে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস। শুরুতে লোকজন এদের রাজাকার কইতো। পরে তারা চেচামেচি শুরু করলো যে তাদের প্রত্যেকের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে , তাদের অনেকের বাপ মুক্তিযোদ্ধা , নানা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের কেনো রাজাকার বলা হবে! তখন বাংলা ব্লগ অভিধানে যুক্ত হইলো সেই যুগান্তকারী বিশেষণ : ছাগু। ছাগু মানে যে ব্লগার কোনো না কোনো ভাবে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী চেতনা ধারণ করে, সেগুলা প্রচারও করে। যখন সামহোয়ার ইন ব্লগ আন্তর্জালে একমাত্র বাংলা ব্লগ ছিলো, তখন এই ছাগু বনাম এ-টিম যুদ্ধের শুরু। নানা ফ্রন্টে এই যুদ্ধ চলছে, সেই যুদ্ধে আমরা কোনো নিয়মনীতির বালাই করি নাই। ফলশ্রুতিতে ছাগখোয়ারের নীতিমালায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পোস্টের ব্যাপারে একটা আইন যুক্ত হইছে। তাদের প্রচুর পোস্ট ডিলিট হইছে। প্রচুর ব্লগার ব্যান হইছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪২

রাফা বলেছেন: Click This Link

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩

রাফা বলেছেন: প্রথম ছবিটির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন তোফায়ে আহমেদ। শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলিয় নেত্রী ,জামাত /জাতিয় পার্টি সহ সবাই বিরোধী দলে।পার্লামেন্টের বিরোধী দলিয় নেত্রীর কার্যালয়ে একটি সাধারন মিটিং-এর ছবি।
বাকি ছবি গুলোর ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজনিয়তা আমার কাছে মূল্যহিন।মনে করুন জামতের সাথে বসে আলোচনা করেছিলো।আওয়ামি লীগ কি কথা দিয়েছিলো যে যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেনা।আর ৯৬ করেনি বলে এখন কেনো করা যাবেনা।প্রত্যেক দলেরই প্রতিটি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও সময় থাকতেই পারে।যখন শক্তিশালি অবস্থান তৈরি করতে পারবে স্বভাবিক ভাবে বিচারতো তখনি করবে।নাকি সব কিছু একসাথে করতে গিয়ে লেজে-গোবরে করে ফেললে খুব খুশি হইতেন?

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫

হাসানস০০৭ বলেছেন: ামি ভোট দিবো না।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২১

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন:
হুম যা বলেছেন মি.রাফি। আপনি বলেছিলেন যে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে কখনো একসাথে আন্দোলন করেনি! তাই যাষ্ট প্রমান দিলাম আন্দোলন করেছে নাকি করে নাই।
আমি আগেই বলেছি রাজাকারের বিচার হচ্ছে এতে আমি অবশ্যই খুশি। লেজে-গোবরে করার প্রশ্ন উঠালেন কোন কারনে?
আমি একজন সাধারন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি বা কি ছিলো (এখন আবার চেতনার বহু সংজ্ঞা তৈরি করছেন) তা না জানা আমার অন্যায়। তাই চেতনার সংজ্ঞা আমাকে না বোঝালেও চলবে বড় ভাই।

''প্রথম ছবিটির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন তোফায়ে আহমেদ। শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলিয় নেত্রী ,জামাত /জাতিয় পার্টি সহ সবাই বিরোধী দলে।পার্লামেন্টের বিরোধী দলিয় নেত্রীর কার্যালয়ে একটি সাধারন মিটিং-এর ছবি''
রাফা, আমি কি বলেছি সাধারন-অসাধারন কোন বিষয়ে? বলিনি ''আপনি বলেছিলেন যে আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে কখনো একসাথে আন্দোলন করেনি!''
আমি শুধু প্রমান উপস্থাপন করলাম যে, আলীগ-জামাত একসাথে আন্দোলন করেছে। এখনো বলবেন যে জামাতের সাথে আলীগ কোন আন্দোলন ইহ জনমে করেনি!! অবশ্য নিজ স্বার্থে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল হেন কাজ নেই যা করতে পারেনা।
ধন্যবাদ রাফা, ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.