নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন "বাস" মার্কায় ভোট দিয়ে পেট্ট্রোল বোমাকে জয়যুক্ত করি!!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:২৪



২৮ শে এপ্রিলের নির্বাচনের লিটমাস টেষ্ট হোচ্ছে আমরা আসলেই কতটা সচেতন নাগরিক।



আমরা কি আসলেই বদলাতে পেরেছি নিজেদের ? নাকি যেই তিমিরে ছিলাম সেখানেই ঘুরপাক খাচ্ছি।মানুষ কি আসলেই বাস্তবতা বুঝতে পারে নাকি এখনও অন্ধের মত অনুসরন করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।মিয়ার ব্যাটা বলছে তাই কলাগাছ মার্কায় ভোট দিতে হবে।সেখান থেকে কি আমরা বেড়িয়ে আসতে পারলাম নাকি আরো কুটিলতার ভেতরে নিজেদেরকে সমর্পন করলাম।

টাকা ও মাসল শক্তির বাইরে আরো একটি বিষয় নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।এবং এটাই সবচাইতে বেশি ইফেক্টিভ প্রমানিত সত্য।সেটা হোচ্ছে নির্বাচন এবং রাজনিতীতে ধর্মের অপব্যাবহার।যার ১০০% প্রতিফলন ঘটেছিলো বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে।এই নির্বাচনেও তার পরিলক্ষিত হোচ্ছে।অর্থাৎ কোরআন শরিফ ছুয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করা হোচ্ছে ভোট দেওয়ার জন্য।টাকা নিয়ে আমরা হয়তো ভোট নাও দিতে পারি ।মাসল শক্তিকেও হয়তো ফাঁকি দিতে পারি।কিন্তু ধর্মের প্রতি আমরা এতটাই অনুগত যে সেখানে কোন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেই না।এবং এই সুযোগটাই গ্রহণ করে থাকে এক ধরনের ভন্ড প্রতিদ্বন্ধি।আশা করি বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।



আরো একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।সরকার বিরোধী ক্যান্ডিডেডরা অনবরত অভিযোগ করেই যাচ্ছে তাদের অনিয়ম গুলো আড়াল করার জন্যই।সরকার সমর্থক প্রতিনিধিরা কেনো জানি শতভাগ নিয়ম লংঘন হোতে দেখলেও কোন প্রতিকার চাইছেনা নির্বাচন কমিশনে।বিষেশ করে খালেদা জিয়া চরম অনিয়ম করেই নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।নিকট অতিতে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার যে মহোৎসব চললো তারপরে আবার ভোট চাইতে হলো সেই নিরিহ মানুষের কাছেই।এটাকে শুধু প্রহসন বললে অন্যায় করা হবে জনগণের প্রতি।এই নির্বাচনে আমরা কিছুটা হোলেও অনুভব করবো প্রকৃতপক্ষে কতটা সচেতন আমরা ।



পেট্ট্রোল বোমার জয় জয়কার নাকি তা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জয় হবে এই নির্বাচনে।সেটাই মূল পর্যবেক্ষন করার বিষয়।নিরব ভোটাররাই নাকি বি,এন,পির শক্তি ।আমরা এবার দেখতে চাই আসলেই কি নিরব ভোটাররা সঠিক রায় দেয় কিনা।মানুষকে পুড়িয়ে মেরেও জয়ী হওয়া যায় কিনা সেই পরিক্ষাই হবে এই নির্বাচনে।প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া নির্বাচনি প্রচারে নয়, নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করাই তার মূল লক্ষ।কারন এই সিটি নির্বাচনটি জাতিয় নির্বাচনেই রুপ নিয়েছে।যতদিন খালেদা জিয়া নির্বাচনের বাইরে ছিলেন ততদিন কোন অঘটন ঘটেনি।যখনি তিনি প্রচারনার নামে নির্বাচনের মাঠে নেমে এলেন তখনি শুরু হলো বিশৃংখলা।যে খালেদা জিয়া শহিদ মিনারে গেলেন-না ভাষা দিবসে।স্বাধীনতা দিবসেও শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন-না সৃতিসৌধে সেই খালেদা জিয়া নেমে এলেন সামান্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনতো হবেইনা এমনকি কোন মন্ত্রনালয়ের বিন্দুমাত্র কিছুই হবেনা।আসলে তিনি পানি ঘোলা করে তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করাই মূল লক্ষ।

তার অংশ গ্রহণের পুর্ব পর্যন্ত তেমন কোন বিশেষ অনিয়ম এই পর্যন্ত লক্ষ করা যায় নাই।সকল প্রার্থিই যথাযথ প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।অথচ এই পরিবেশটা নষ্ট করাই মূল লক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে।এখন দেখার বিষয় মানুষ পুড়িয়ে মারার জবাব মানুষ কিভাবে দেয়।



সকল ভোটারের জন্য একটি অগ্নি পরিক্ষা এই নির্বাচন।যদি অসচেতনভাবেও ভুল করে তাহোলে এর খেসারত জনণকেই দিতে হবে।সঠিক সিদ্ধান্ত খুলে দিতে পারে রাজনিতীর নব দিগন্ত।কাজেই সবাই মিলে আসুন আমরা পরিবর্তনটা নিয়ে আসি এই নির্বাচনের মাধ্যমে।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগ নিজকে বুঝার জন্য এই ভোটকে ব্যবহার করা উচিত।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

রাফা বলেছেন: আমি পুরো বাংলাদেশটাকেই বুঝে নিতে চাই এই নির্বাচনের মধ্যে।দেখি নতুন দিগন্তের সুচনা হয় কিনা এই নির্বাচনে।

ধন্যবাদ,চাঁদগাজী।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০৩

বটপাকুড় বলেছেন: বাসে গান পাউডার দিয়ে আগুন জালানো কারা শিখিয়েছে যেন? আঃর ভাই শুনেন, এত বোমা মারা হইলো, এক জন ধরা পরলো না কেন। বোমাবাজরা কি আকাশ থেকে উড়ে আসছে আবার আকাশে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ নিজেই এই সব বোমাবাজির হোতা।

যে দেশের প্রধান মন্ত্রী এই রকম লাগামহীন কথা বলে। নববর্ষের নারী নির্যাতনের বিচার করে না, তাকে কেন ভোট দিবে। অবাধ নির্বাচন দেন, দেখেন কি হয়। আওয়ামী লীগের লোক জন পালানোর জায়গা পাবে না

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

রাফা বলেছেন: গান পাউডার দিয়ে কে আগুন দিয়েছিলো ! যদি আপনার কাছে কোন প্রমাণ থাকে তা হাজির করেন কথা দিচ্ছি তার বিচারের জন্য আন্দোলনে নামবো।কিন্তু এখানেও হাজির করা হয়েছিলো আরেকজন জজ মিয়াকে সেটা কি আপনি জানেন?পুর্ব থেকেই জেলে বন্দি থাকা এক পকেট-মারকে দিয়ে স্বিকারোক্তি আদায় টেকেনি আদালতে।
বোমাবাজরা আকশ থেকে আসেনি আবার আকশেও উড়ে যায়নি।তারা জেলখানায় আছে ।৬৬৫ জন বি,এন,পি/জামাত ও শিবির সহ ক্রিমিনালকে ধরা হয়েছে ।যাদের বিচার চলছে ,অপেক্ষা করুন ফলাফল দেখতে পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেন বলেই আপনাদের গাত্রদাহ হোচ্ছে।শুধু নববর্ষের নয় সকল নারী নির্যাতন-কারীর বিচার চাই।অবাধ নির্বাচন দেওয়ার আমি বা সরকার কেউ নই।মানুষ অবাধে ভোট দিয়েই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে ইনশাহ-আল্লাহ।আওয়ামি লীগের লোকজন যদি পালিয়ে থাকারে মত কাজ করে তাহোলে পালাবেইতো।কিন্তু আপনাদের মত কাপুরুষরা যেনো এই কথা না বলে।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

মুজিব আলম বলেছেন: এরা নিজেরাও বিশ্বাস করে মানুষ ভোট দিতে পারলে ভোটের ফলাফল কি হবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

রাফা বলেছেন: এরা বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন ?
ভোট-তো মানুষই দিবে আমার বিশ্বাস।জ্বিন পরি এসে ভোট দিয়ে যাবে নাকিরে ভাই!

আমি শুধু দেখতে চাই বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতার উন্নতি কি সত্যিকার অর্থেই হয়েছে নাকি এখনও সেই একই পর্যায়ে আছে।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

তিক্তভাষী বলেছেন: আওয়ামীদের 'না' বলুন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫১

রাফা বলেছেন: But what is the reason....?

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনারা নিশ্চয়ই জর্জ মিয়ার কাহিণী জানেন যাকে ২১ অগাষ্টের গ্রেনেড হামলার স্বাক্ষী করা হয়েছিল । আজ শুনুন আরেক জর্জ মিয়া নাম কালু মিয়া কাহিণী। এই কালুকে আসামি করা হয়েছিল শেরাটন হোটেলের সামনে আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়ে ১১ জন হত্যা করার মামলায়। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল কালু মিয়া আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গির কবির নানক এবং মির্জা আজমের কাছে থেকে টাকা নিয়ে বাসে আগুন দিয়েছে যার ফলে ১১ জন আগুনে পুড়ে মারা যায় । তারপর ১/১১ তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জানা যায় সেই কালু বাসে আগুন লাগানোর ঘটনার তিন দিন আগে আটক হয়ে জেলে ছিল একটা ছিনতাই ঘটনায় এবং ঘটনার সাপ্তাখানিক পরে সে ছাড়া পায় !! এই হোল শেরাটন হোটেলের সামনে আওয়ামী লীগ নেতার বাস পোড়ান কাহিণী এবং এই ঘটনাকে দিয়ে বর্তমান বিএনপি জামাতের পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাকে নিয়ে ১/১১ সরকার শেখ সেলিমকে দিয়ে বলপুর্বক ভাবে রিমান্ডে স্বীকারোক্তি আদায় করে পরে যা আদালতে টিকে নি । বিএনপির এই মামলার মুল এজাহারে ছিল কালু মিয়ার নামে আরেক জর্জ মিয়া কাহিনী।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

মুজিব আলম বলেছেন: এ আর ১৫ কে বলছি মানুষ কিন্তু মুখ দিয়েই খাওয়া দাওয়া করে। কোনটা জজ মিয়া নাটক এবং কোনটা সত্য ঘটনা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: সিটি নির্বাচনে যদি বিএনপি প্রার্থী জিতেও যায়, তাতে কি হবে? ঘোড়ার ডিম ছাড়া তো আর কিছুই দেখিনা। চট্টগ্রামে মনজুর সাহেবের কোনো উন্নয়ন তৎপরতা কেউ দেখেছে বলে কেউ কি হলপ করে বলতে পারবে? সত্যি কথা হলো, যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের প্রার্থী যদি না জেতে সেটা জনগনের জন্যই দূর্ভাগ্যজনক। কারণ, বিরোধী দলে থেকে আর যাইহোক সরকারীদলের কাছ থেকে উন্নয়নের জন্য কোন বাজেটই পাওয়া যায়না, এটাই আমাদের দেশের রেওয়াজ।
পেট্রোলবোমার ডেইলি সোপ তো জনগন নিজ চোখেই প্রত্যক্ষ করেছে।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: কমেন্ট ৬ (মুজিব আলম)-- ঠিক বলেছেন মানুষ মুখ দিয়ে খায় নাক বা কান দিয়ে নয়। শেরাটনের সামনে বাস পুড়িয়েছিল বিএনপি তাই তারা কালু মিয়া কাহিণী সাজিয়ে ছিল-- সেই কালু মিয়া কাহিণী ও ফাস হয়ে গেল । ১--১১ ত্বত্তাবধায়ক সরকার এসে সব বের করে ফেললো যদিও তারা শেখ সেলিমকে দিয়ে বলপুর্বক স্বীকারোক্তি আদা্য় করেছিল কিন্তু কালু মিয়েকে যখন দেখা গেল ঘটনার দিন তিনি জেলে তখন মামলা খতম। যে পুলিশ ইন্সপেক্টর মামলাটি সাজিয়েছিল তার নাম কাওসার পরে সে বিএনপিতে যোগ দেয় । ২১ শে অগাষ্ট ২০০৪ গ্রেনেড হামলার পিছনে বিএনপি জামাতের হাত আছে তাই তারা জর্জ মিয়া শৈবাল সাহা কাহিণী সাজিয়ে ছিল । একই ভাবে বিএনপি জামাত শেরাটনের সামনে বাস পুড়িয়ে ১১ জন হত্যা করেছিল তাই তারা কালু মিয়া কাহিণী সাজিয়ে ছিল । মানুষ তো মুখ দিয়ে খায় আপনারা কি ভাবে খান ???

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

বটপাকুড় বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেন বলেই আপনাদের গাত্রদাহ হোচ্ছে।

ঠিক আছে , আপনি আর আপনার প্রধানমন্ত্রী ভয়ানক সত্য বাদী, আমার খালি মিথ্যা কথা বলি। আসেন আপনাকে একটা ভিডিও দেখাই। কয়দিন আগে তো রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ার এক বছর হলো। দেখি আপানার প্রধান মন্ত্রী সিএনএন এ কি বলছিলেন। আপনি কান পরিষ্কার করে শোনেন :D

১০| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সংসপ্তক_২০১১ বলেছেন: টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট দিয়েছেন ঠিকমত?

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩

ক্ষুদে লেখক বলেছেন: যার গাড়ি পুড়ছে একমাত্র সেই টের পাচ্ছে :(

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মিতক্ষরা বলেছেন: আওয়ামী লীগ সব আসনে জয়ী হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও তাই হবে। কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.