নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সন্ত্রাসী তালিকায় "বিএনপি"

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২





আর কত ছোট হোতে হবে জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে!কতইবা কলংক তিলক জুটবে আমাদের কপালে?
===================================================================
শেষ পর্যন্ত কি জঙ্গীদের দেশ হিসেবে পরিচয় মিলবে সমগ্র বিশ্বে? জামাতের ছাত্র সংগঠন বহু পুর্বেই যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত জঙ্গী হিসেবে স্বিকৃতি পেয়েছে ছাত্র শিবির।এখন সেই তালিকায় যুক্ত হলো তথাকথিত জাতিয়তাবাদের সৈনিক ছাত্র দলও।অবশ্য তারেক জিয়ার এক মায়ের পেটের ভাইয়ের মধ্যে যে মিল থকবে সেটাই স্বাভাবিক।কিন্তু এই জঙ্গীবাদের কালিমার জন্য প্রতিটি নিরিহ বাঙ্গালীকে মাশুল গুনতে হবে অপরিসীম।একটানা ৯৫দিন সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে এই অর্জন আজকের ছাগিয়তাবাদিদের।এতে যে তাদের কোন সমস্যা নেই সেটা আমরা জানি।কারন তাদের প্রিয় মাতৃভুমি অপ-পাকিস্তানের পদাংক অনুসরন তারা ৭১সাল থেকেই করে আসছে।যা আজো অব্যাহত আছে।

জামাত /বিএনপির গভীর প্রেম ৭৫-এর পর থেকেই চলছে ।যা আজো সেই প্রথম দিনের মত চির সবুজ আছে।মাঝখানে জাস্টিফাই করার জন্য বার বার ৯৬ সালের আওয়ামি লীগ ও জামাতের দোহাই দিয়ে থাকে।এর সূচনা নাকি আওয়ামি লীগ শুরু করেছে বলেই বিএনপি সেই পথ অনুসরণ করছে শুধু।তাদের সেই কিন্তু ,যদি তবের প্রেম তর তড়িয়ে বেড়েই চলেছে।যে জামাত শহ সকল যুদ্ধাপরাধী দলের রাজনীতি করার কোন অধিকারই ছিলোনা।তাদেরকে পুনরুজ্জিবিত করার একমাত্র দাবিদার বিএনপি।গো.আজমকে এই দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়া থেকে হেনো কোন সহযোগিতা নেই যা করেনি ।জিয়াউর রহমান দল করেছিলো রাজাকার পুনর্বাসনের জন্যই তাই শুরু হয়েছিলো শাহ আজিজ নামক বরাহ শাবককে প্রধানমন্ত্রী করে।খালেদা জিয়াতো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ করেছিলো আঃ রহমান বিশ্বাস নামক শান্তিবাহিনির চ্যায়ারম্যানকে।এবং চমকের পর চমক দিয়ে সর্বশেষ সংযোজন হলো মইত্যা ও মুজা বরাহ শাবকদ্বয়।

বাংলাদেশের এমন কোন বিভাগ নেই যেখানে জামাত/শিবির রোপন করেনি তথাকথিত ছাগিয়তাবাদিরা।আর এর ফলশ্রুতিতে আজ সমগ্র বিশ্বে আমরা হোচ্ছি নিগ্রিহিত।নিত্য নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইতেছি আমরা।দূর্ণিতিতে চ্যাম্পিয়নের পর এখন জঙ্গীদের দেশ হিসেবেও পরিচিতি অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছি।বিএনপি জামাতের গাটছড়া জনম জনমের/এর দ্বায় নাকি আওয়ামি লীগের ।কারন আওয়ামি লীগ কেনো জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছেনা।তাহোলেইতো বিএনপির আর জামাতকে ছাড়ার প্রশ্ন উঠবেনা।তার মানে যত দোষ নন্দঘোষ।কিন্তু বিএনপি কি ভুলে গেছে জামাতের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধই ছিলো।তাই আবারো নিষিদ্ধ করলে আবারো যে বিএনপি এই রাজাকারের দলটির ত্রানকর্তা রুপে আবির্ভুত হবেনা তার নিশ্চয়তা কি?

বিএনপি এমন একটি কুৎসিত ব্যাশ্যাদের রাজনৈতিক দল.।যারা হেনো কোন কাজ নেই যা করতে পিছপা হবে ক্ষমতার জন্য।যে দলের নেত্রি চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে পরাশক্তিকে।বিদেশি পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে নিজের দেশকে হেয় করার জন্য।সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে কালো টাকা সাদা করে।তার কি কোন অধিকার আছে এই দেশে রাজনীতি করার।তার মুখে কি গণতন্ত্রের কথা মানায়?

এখন বাংলাদেশের মানুষকে ভেবে দেখতে হবে তারা কি আবারো দেশকে পাকিস্তানের মত জাহান্নাম বানাতে এই অপশক্তিকে ফিরিয়ে আনতে চায় কিনা।নাকি অলায়কুম সালাম বলে চিরতরে বিদায় জানাবে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

মিথুন আহমেদ বলেছেন: দেশ অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানের মত জাহান্নাম হবে না এইটা গ্যারেণ্টেড। কিন্তু ভারতীয়দের মত জাহান্নামি হয়ে যাচ্ছি, পুরোপুরি জাহান্নামি হতে অল্প একটু বাকি আছে এই যা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

রাফা বলেছেন: কেেনো দেশ কি ভারতের কাছে বিক্রি হোয়ে গেছে.।!ফেনি কি দখল হয়ে গেছে নাকি -তাইলেতো খালেদা জিয়া ও মিথুন আহমেদরা ভারতের নাগরিক হয়ে গেছে।কোন মসজিদে উলুধনি দিতেছে একটু লিষ্ট-টা দেনতো ।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: এটা কতদিন আগের পত্রিকা জানিনা না। আর পত্রিকাটির নাম ঢেকে রেখেছেন কেন? উদ্দেশ্যটা কি? এটা তো কোন ব্যাক্তিগত ব্যাপার নয় যে সমস্যা হবে কিংবা জঙ্গিরা একে আক্রমন করবে। আর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে মানুষ কে জানানোর জন্যই তাহলে নামটি ঢেকে রেখেছেন কেনো? আর পত্রিকাটি দেখে মনে হচ্ছে এটি বাংলাদেশের নয় এবং আমেরিকা থেকে প্রকাশিত। আর পত্রিকাটির খবরগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম এটা খুব সম্ভবত বিএনপিবিরোধী পত্রিকা।

যাই হোক খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে এটা কোন পত্রিকা। তবে খবরটি খুব নতুন মনে হচ্ছে কারণ সেখানে বিএনপির মেয়র মনোনয়োন নিয়েও লেখা হয়েছে তার মানে এটা নভেম্বরের ১৫ তারিখের পরে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিএনপি কে সন্ত্রাসি সংগঠনের আবেদন যে আমেরিকার হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে এবং বলেছে বিএনপি কোন সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এই খবরটি বাংলাদেশের দ্যা ইনডিপেন্ডেন্ট নিউজ ২৯শে অক্টোবর প্রকাশ করেছে!!!!!!! লিঙ্ক দিয়ে দিলাম দেখে নিন। এর পরে আর কিছু বলার নাই।
বিএনপি কে কিংবা আওয়মীলীগ কে সাপোর্ট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। এই তথ্যটি যে উদ্দেশ্যমূলক এবং মিথ্যা সেটাই জানাচ্ছি।
দেখুন এখানে

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

রাফা বলেছেন: কোন কারন নেই পত্রিকার নাম লুকিয়ে রাখার।এটা ১১ই ডিসেম্বর শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত "বর্ণমালা" পত্রিকার সংবাদ।নিউজটা বাংলাদেশের "এখনই সময়" পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে আমার তারিখটা মনে নেই।তারপর ফরেন মিনিস্টার শাহরিয়ার আলমও ফেসবুকে "এখনই সময়ের" লিংক দিয়ে স্টাটাস দিয়েছে।
এটা কোন দলিয় বিষয় হতে পারেনা।এটা বাংলাদেশের সমগ্র মানুষের সমস্যা সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

রাফা বলেছেন: আর কোর্ট ওভাররুলড দিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টের উপরে ।তারমানে কিন্তু হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের লিস্টে বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠণ।আমার পোষ্টেও সেটাই উল্লেখ করেছি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

রাফা বলেছেন: আমাদের সময়-এর লিংক-http://www.amadershomoys.com/newsite/2015/12/09/461396.htm#.Vm5vyngrJ1v

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

রাফা বলেছেন: মাথায় মনে হয় মাছির মস্তিস্ক আপনার অক্টোবরের নিউজ পেপার দেখিয়ে ডিসেম্বরের নিউজকে চ্যালেন্জ করছেন আপনি।আপনাদের জগতে কি সব উল্টাদিকে যায় নাকি @ভোরের সূর্য..?

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই আমি কি আপনাকে ব্যাক্তিগত কোন আক্রমন করেছি? কোন গালাগালি দিয়েছি?খারাপ কিছু বলেছি?
তাহলে আপনি এসব কি বলছেন? কি শিক্ষা পেয়েছেন পরিবার থেকে?
আপনার লেখার সাথে আমি একমত হতে পারিনি আমি আমার মতামত দিয়েছি। কিছু তথ্য উপাত্ত দিয়েছি।আপনারোও আমার লেখা পছন্দ নাও হতে পারে বা আপনি কোন ব্যাপারে আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন কিন্তু এসব কি বলেছেন আপনি?

যাইহোক। আমাদের বলতে আপনি কাকে বুঝিয়েছেন।আমার মাথাও ভাই ঠিক আছে কিন্তু আপনি মনে হয় বুঝতে ভুল করেছেন।
আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
২৯শে অক্টোবরের নিউজ পেপারের খবর আপনাকে দেখিয়ে আপনার ডিসেম্বরের নিউজ কে চ্যালেঞ্জ করেছি এই জন্য যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিএনপি কে যদি সন্ত্রাসী সংগঠন বলেও থাকে কিন্তু সেটার আর কোন ভিত্তি নাই কেননা সেটাই আমেরিকার হাইকোর্ট আগেই খারিজ করে দিয়েছে। তাই ঐ রায়ের পর বিএনপি কে সন্ত্রাসী সংগঠন বলার কিছু নাই তাহলে কিভাবে এখনও ঐ পত্রিকাগুলো বিএনপি কে হোমল্যান্ডের সন্ত্রাসী সংগঠন বলছে? এটাতো অর্ধেক খবর। যদি লিখতেই হয় তাহলে সাথে এটাও উল্লেখ করা উচিৎ ছিল যে আমেরিকার কোর্ট হোমল্যাণ্ড সিকিউরিটির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে বিএনপি কোন সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।

এবার আসল কথায় আসি। এত যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সন্ত্রাসী সংগঠনের লিস্টের কথা বলা হচ্ছে কেউ কি সেই লিস্ট দেখাতে পারবে? পারবে না কেন না আদতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এরকম কোন লিস্ট তৈরি করে না এবং নাই।
বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের লিস্ট তৈরি করে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট(যারা মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে কিংবা অন্য দেশে তাদের দেশের নাগরিকদের ভ্রমন বিষয়ে সাবধান করে দেয়) সেখানে দুনিয়ার তাবত সন্ত্রাসী সংগঠনের লিস্ট আছে।
এখানে দেখুন
সেখেনা বিএনপিতো বিএনপি এমনকি জামাত-ই- ইসলামের নাম পর্যন্ত নাই।

আর এসব কথা বাদ দিলাম কিছু কমন সেন্স খাটালেও বোঝা যায় এটা সত্যি নয়। তার কারণ এমন একটা বড় খবর বাংলাদেশের আর কোন নিউজ চ্যানেল কিংবা আর কোন খবরের কাগজে আসলো না? আর বিএনপি যদি সন্ত্রাসী সংগঠন হয় তাহলে কিভাবে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত, এইতো গত দুইদিন আগে জার্মানির রাষ্ট্রদুত,ভারতের হাইকমিশানের খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করছেন?
ভাই গালাগালি না করে তথ্য প্রমান দেখান।তাহলেই আপনার জিত হবে। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

রাফা বলেছেন: কারন পত্রিকাগুলোরসাংবাদিকরা মনে হয় একেবারে মূর্খ নয়।বিচারটি এখনও চলছে।এটা ঠিক বিচার বলা চলেনা -সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপার এটা..এই গ্রাউন্ডের উপর ৮০ জনের রাজনৈতিক আশ্রয় নাকচ করে দিয়েছে।আপনি ঠিকই বলছেন স্ট্যাট ডিপার্টমেন্ট লিস্ট পাবলিশ করে।কিন্তু ইনভেস্টিগেশন করে এফবিআই/সিআইএ /এনওয়াইপিডি সহ সব নিরাপত্তা সংস্থা।তারাই এস্টাবলিস্ট করছে বিএনপি ৩য় শ্রেনির জঙ্গী সংগঠণ।তারমানে তাদের লিষ্টে আছে ব্যাপারটা।এখানেও বিএনপির লবিস্টরা চেষ্টা করছে এই তালিকাতে বিএনপি যাতে না আসে।
আর এর পুর্বে কোর্ট রুল জারি করলেই পরবর্তিতে কোন সংগঠণ জঙ্গী বলে লিস্টে আসবেনা এটা কোন যুক্তিতে বলছেন? মনে করুন- আজকে পর্যন্ত আপনি নিরপরাধ আছেন ,কালকে যদি আপনি কোন অপরাধ করেন তাহোলে কি আপনি গতকাল নিরপরাধী ছিলেন বলে সেটাই প্রযোজ্য হবে?এই জন্য আমার সেই উক্তি।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: আর এর পুর্বে কোর্ট রুল জারি করলেই পরবর্তিতে কোন সংগঠণ জঙ্গী বলে লিস্টে আসবেনা এটা কোন যুক্তিতে বলছেন?

ভাই রুল জারি করা করা আর overrule দুটি একদম উল্টা বিষয়।
রুল জারি মানে বিষয়টিকে আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষের কাছে উত্তর চাওয়া। আর overrule মানে হচ্ছে বিষয়টি খারিজ বা reject বা disallow। পূর্বে কোন রুল জারি হয়নি। এসাইলামে ২৫বছরের ভিক্টিম যিনি ছিলেন তিনি বলেছেন যে তিনি বিএনপির সাপোর্টার ছিলেন এবং এই বিষয়ে কেসটি যখন আদালতে উঠেছে তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বলেছে যে বিএনপি কে ৩য় শ্রেণীর সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষনা দেয়ার জন্য। কিন্তু হাইকোর্ট বিষয়টিকে overrule( আদলতের একটি টার্ম যায় অর্থ reject বা disallow)। কেসটি চলছে যে ২৫বছরের ছেলেটি আশ্রয় পাবে কিনা কিন্তু বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন নয় সেটি আদালত নাকচ করে দিয়েছে এবং কি কি কারনে বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হতে পারেনা সেটাও আদালত বলেছে। এর পরেতো বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন কিনা এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই।
আর হ্যা সংবাদপত্র বলতে পারে যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষনা দেয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছিল কিন্তু আদালত সেটা নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু সংবাদপত্র দুটি( দুটি এই জন্য বল্লাম যে আমেরিকার ঐ ১টি এবং বাংলাদেশের ১টি ছাড়া আর কোন নিউজ বা টিভি চ্যানেলে এই সংবাদ আসেনি) ঢালাও বলেদিলো যে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা "বিএনপির কর্মীরা আমেরিকায় আশ্রয় পাচ্ছে না। কিন্তু এটা খন্ডিত খবর।পুরো না। আর আদালত যখন নাকচ করে দিয়েছে তখন কি বিএনপির নাম কোন লিস্টে থাকবে? না থাকবেও না। আর আপনাকে আগেই বলেছি যে এদের কোন লিস্ট নাই যতক্ষন পর্যন্ত না প্রমাণিত এবং আদালত কৃতক স্বীকৃত হবে। আর আপনি বলেছেন যে বিচার এখনও চলছে। হ্যা চলছে ছেলেটি রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে কি না সেটা নিয়ে,বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন কিনা সেটা নিয়ে নয়।

কিন্তু ইনভেস্টিগেশন করে এফবিআই/সিআইএ /এনওয়াইপিডি সহ সব নিরাপত্তা সংস্থা।তারাই এস্টাবলিস্ট করছে বিএনপি ৩য় শ্রেনির জঙ্গী সংগঠণ।তারমানে তাদের লিষ্টে আছে ব্যাপারটা।
আবার বলছেন লিস্টের কথা। ভাই এফবিআই/সিআইএ /এনওয়াইপিডি এদের কারো লিস্টেই কিংবা প্রাথমিক লিস্টেও বিএনপির নাম নাই। আর এফবিআই এবং এনওয়াইপিডি শুধু দেশের সন্ত্রাসীদের নিয়ে মাথা ঘামায়।বিশেষ করে এনওয়াইপিডি শুধু নিউইয়র্কের অপরাধ নিয়ে মাথা ঘামায় এবং এদের লিস্টে ওয়ান্টেড কিছু নাম আছে যারা ভয়ংকর সন্ত্রাসী কিন্তু কোন সংগঠনের নাম না। আর সিআইএর সন্ত্রাসী সংগঠনের লিস্টে ক্লিক করলে সেটা স্টেট ডিপার্টমেন্টের লিস্ট এ চলে যায় যেটা আপনাকে আগের উত্তরে বলেছি।

আপনাকে আরো একটু বুঝিয়ে বলি। সাকা চৌধুরীর ফাইনাল রিভিউয়ের সময় আসামীপক্ষ পাকিস্তান থেকে ৪জন সাক্ষীর কথা বলেছিল যারা বলবে যে সাকা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে ছিল কিন্তু কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বা আদালতের ভাষায় overrule। তাহলে এর মানে কি এই যে সাকা চৌধুরী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে ছিল? কিংবা সংবাদ পত্রগুলো কি শুধু লিখবে যে সাকা চৌধুরীর ৪জন সাক্ষী আছে যারা বলছেন তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে ছিলেন? নাকি আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু কোর্ট সেটা খারিজ করে দিয়েছেন এটা বলবে? এবং খারিজ করে দেয়া মানে সেটা নিস্পত্তি হয়ে যাওয়া।
সাংবাদিকরা মূর্খ না কারণ কোন খবর ইচ্ছা করলেই একটু এপাশ ওপাশ করে লিখলেই খবরের ধরনটা বদলে যায়। আবার এমন মূর্খ সাংবাদকের প্রমাণ আপনাকে দিতে পারি যার লেখা শুনলে হাসি পাবে অথচ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি লিখে যাচ্ছেন কিন্তু ভুলভাল লিখছেন। ও হ্যা যদি সন্ত্রাসী সংগঠনের লিস্ট করতেই হয় তাহলে সবার আগে জামায়াত কিংবা শিবিরের নাম প্রথমেই করা উচিৎ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

রাফা বলেছেন: বুঝতে পারছি আপনি আমার থেকে অনেক জ্ঞানী।আমি বিএনপি সন্ত্রাসী দল এটা এসটাবলিস্ট হোক কখনই চাইনা।এটা বুঝতে হলে আপনাকে আমার যায়গায় থাকতে হবে।বিশেষ করে ইউএসএ-তে।নাফিস যখন স্ট্রিংরে অপারেশনে গ্রেফতার হয়েছিলো বাংলাদেশি হিসেবে অনেককেই এখানে অনেক কিছু ফেস করতে হয়েছে।ইভেন যে কোন মুসলমান কোন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত থাকলে সমগ্র মুসলমানদের উপর কমবেশি ইফেক্ট পড়ে।আমার কথা হলো আমাদের দেশের একটা দল কেনো সন্দেহের তালিকায় আসবে?

আপনাকে বুঝাতে পারি নাই আমার ব্যার্থতা।হোমল্যান্ড সিকিউরিটি হইতেছে সকল বাহিনীর মিলিত একটি টাস্ক ফোর্সের মত বলতে পারেন।সেটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম।দ্যাট মিনস তারা বিএনপির ব্যাপারটা প্রাথমিকভাবে আমলে নিয়েছে।আর আপনি বলছেন ১জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এটা হয়েছে।অথচ আমি এই নিউজটার ফলোআপ অনেক আগে থেকেই দেখতেছি।টেক্সাসে ১৫জন মুক্তি পেয়েছে -আরো ৮০ জন অনশন চালায়িেছিলো অনেকদিন যাবত।তারপর নিউজার্সির আদালতেও রিজেক্ট হয়েছে সেইম গ্রাউন্ডে।
শিবিরের নামতো ছিলো এটা আবার রিমুভ হয় সেটা জানেনতো?নাকি বলবেন এটা আমার বানানো কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.