নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩০ লক্ষের হিসেব চাওয়া কারো জন্য আমাদের শহীদ দিবস নয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬



পাকঅন্তপ্রান বেগম জিয়ার উচিত হয়নি জামাত/শিবিরের ভাই-ব্রাদারদের নিয়ে শহীদ মিনারে গমন।এই শহীদেরা কিন্তু সেই ৩০ লক্ষের হিসেবের বাইরে নয় মোহতারেমা খা.জিয়া।জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে যে শোকবার্তা প্রেরন করেন সেই একই অনুভুতি আমরা আমাদের শহীদদের জন্য কামনা করিনা।একের পর এক অবমাননা অব্যাহত রেখে শ্রদ্ধা জানানোর নাটকটা না করলেই পারতেন ।শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে দিয়ে উঠতে পারে একমাত্র পাকসার জমিন সাদবাদ পায়েন্দাবাদের সৈনিকরা।

যাদের রক্তের বিনিময়ে আপনি ও আপনার স্বামি এই দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন বার বার তাদেরকে অপমান না করলেও পারতেন।২০১৫সালে আপনার না যাওয়াটা সঠিক ছিলো সেটার প্রমাণ আপনি দিয়েছেন ২০১৪ সালে।সেই না যাওয়াটা অব্যাহত রাখলেই ভালো করতেন।আমরা জানি শহীদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অপমান করে আপনি বিকৃত আনন্দ লাভ করেন।যদি সম্ভব হতো হয়ত পৈশাচিক নৃত্যও আমরা দেখতে পেতাম আপনার অনুসারিদের মিছিলে।কিন্তু আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সাতেই এটুকু সংবরন করে রেখেছেন।ক্ষমতা লিপ্সু হয়েছেন আপনি উত্তরাধিকার সুত্রেই।সেনাবাহিনির একজন ডেপুটির কখনই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার কথা ছিলোনা।তেমনি একজন অষ্টম শ্রেনির শিক্ষিত মানুষ বাংলাদেশের ১৫কোটি মানুষকে নেতৃত্ব দিবে আমরা স্বপ্নেও ভাবি নাই।অথচ কি অবলিলায় তা ঘটে গেছে শহীদের রক্তে রন্জিত এই বাংলার মাটিতে।৭৫-এর পর থেকে এই দেশটাকে ৯৬ পর্যন্ত পুরো পাকিস্তান বানানোর অনেক চেষ্টা আপনারা করছেন।কারন আপনারা জানেন সেটা করতে পারলেই আপনাদের ক্ষমতার ভিত পাকাপোক্ত হবে।কিন্তু ভুলে গিয়েছিলেন যে এই দেশে ৩০লক্ষেরও অধিক শহীদের রক্ত মুছে যায়নি।বাংলা মায়ের বুকের গভীরে লাল রক্তের বিনিময়ে গ্রোথিত হয়ে আছে শহীদদের শেকড়।সেই শেকড় উপড়ে ফেলে এমন সাধ্য আছে কার!২১ নয় আরো ৪২ বছরও যদি জগদ্দল পাথরের মত আমাদের বুকের উপর চেপে বসে থাকতেন তবুও মুছে ফেলতে পারতেননা আমদের মত উত্তরাধিকারিদের দাবি।আমরা এই মশাল দিয়ে যাবো আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের কাছে ।যাতে আপনাদের কোন চেষ্টাই ফলপ্রসু না হয় বাংলার মাটিতে।বাংলাদেশের মাটির সাথে আমদের যে সম্পর্ক তা আপনি উপলব্দিও করতে পারবেননা আর ইহ-জনমে।যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে আমাদের একান্ত আপনজন সেই মাটির অবমাননা কিভাবে সইবো বলেন।আবারো যদি কখনও মাতৃভুমির প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দিতে হয় আমাদেরকেই দেখবেন ।

শহীদদের আত্মদান শুধু সংখ্যায় নিহিত নেই এখন।এটা মিশে আছে প্রজন্মের রক্ত কনিকায়।আপনার মত যারাই আমাদের বেদনা ও শোক নিয়ে উপহাস বা খেলা করতে চাইবেন তারা নিজেরাই নিক্ষিপ্ত হবেন আবর্জনার স্তুপে।রক্ত যখন দিতে শিখেছি আরো রক্ত দিবো এই জন্মভুমির তরে কিন্তু কোন অপমান আর সইবোনা।শরিরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আপনাদের প্রতিরোধ করবো আমরা ।অশ্রু নয় চোখের অগ্নি দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবো আপনাদের সকল ভবন ও মহল।কাজেই আমাদের অনুভুতি নিয়ে না খেলাটাই হবে আপনাদের জন্য মঙ্গলজনক।যত তিব্র হবে আপনাদের আঘাত তার চাইতে শতগুন বেশি প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আপনাদের।এই দেশের প্রতিটি গাছ গাছালি, পাহাড়, নদী, সাগরের প্রতি যতটুকু অধিকার আমাদের তা থেকে কেউ বন্চিত করতে পারবেনা ।৭১ -এ হায়েনারা পারে নাই ৭৫-এর পরের জারজরা পারে নাই এখনও পারেন নাই ভবিষ্যতেও কেউ পারবেনা......না,না, না।

বারো ভাষায় ২১শের সেই বিখ্যাত গান-


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

খোচা বাবা বলেছেন: চালিয়ে যাও, "লীগের ভাতা " খাতায় নাম। উঠে যাবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩

রাফা বলেছেন: বাপরে- অনেক ভয় পাইছি।কি চাপাতি দলের সদস্য নাকি আপনি।ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাঠিয়ে দিতেছি আপনার ই মেইল এড্রেসটা হলেই চলবে ।নামটা আপনার খাতায় উঠিয়ে রাখেন।ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: তাদেরকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে হবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০১

রাফা বলেছেন: তারাতো এটাকেই এখনও পাকিস্তানই মনে করে।তাইতো নিজামি/মুজাহিদ/সাকা/গো.আজমরা হয়ে যায় তাদের কাছে রাজবন্দী.

তবে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে পারলে তারাও বেচে যেতো আর আমরাও রক্ষা পেতাম।

ধন্যবাদ,মহা সমন্বয়।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
ও শহীদ মিনারে গিয়ে যেন আরেকবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে, আমাদের ভাষাকে অপমান করলো

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

রাফা বলেছেন: কারন আমাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে রাজাকারদের মন্ত্রী করার পরেও বার বার তাদেরকে নির্বাচিত করি.।কাজেই তার প্রতি উপহাস করার জন্যই রাজাকার নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার স্পর্ধা দেখান।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: রাজনীতির হিসাব সবই। আজ খালেদা বলছেন তবে সুবিধা দরকার হলে যে হাসিনা বলবেন না তা না। দেশ দলের সম্পত্তি হয়ে পড়ছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯

রাফা বলেছেন: সব কিছু নিয়ে রাজনীতি চলেনা।অবশ্য এতে আপনাকে কি দোষ দিবো এটা একটা পুরো প্রজন্মেরই জানতে না চাওয়া ও সব কিছুতেই রাজনীতি খুজতে গিয়ে ঢালাও চিন্তা ভাবনার ফসল।
যদি হাসিনা এই ধরনের কোন ভুল করেন তার খেসারত অবশ্যই তিনি দিবেন।কিন্তু আপনাকে সচেতন বলেই মনে হতো এখন বুঝতে পারলাম কতটা প্রভাবিত হয়েছেন অপরাজনীতি ও ভুল ইতিহাস দ্বারা।কত সরল মেরুকরন হাসিনা ভার্সেস খালেদা।

এই দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে মিশে আছে লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্ত ।এই দেশ এত সহজেই কোন দল বা কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি কখনই হবেনা।যতদিন না শহীদের রক্ত মুছে ফেলবে এই মাটি থেকে।একদিন এই মাটিতে হাসিনা ও খালেদা কেউ থাকবেনা কিন্তু শহীদের রক্ত ও তার উত্তরাধিকারিরা ঠিকই থাকবে ।এক হাজার বছর পরেও উচ্চারিত হবে ৩০লক্ষ শহীদ ও ২লক্ষ মা /বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ।

৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



খালেদা জিয়ার ভাবনা শক্তি এত নিচু যে, উনাকে ভোট দিয়ে জাতি নিজকে অপমানিত করেছে

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৯

রাফা বলেছেন: সবচাইতে বড় দুঃখ এত ত্যাগ তিতিক্ষার পরেও এই দেশে রাজাকারেরা ভোট পেয়ে মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়।মাঝে মাঝে মনে হ্য় ৭১সালের একজন যোদ্ধা হয়ে জন্ম নিয়ে তখন কেনো মরন হোলোনা !তাহোলে অন্তত মরে বেচে থাকতাম।

৬| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগে আসি না কিছু 'নামি' ব্লগার দের মানসিকতা দেখে...।৭১ যেন উনাদের কাছে যেন একটা ইভেন্ট যেখানে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারদের এক পাল্লায় মাপা যায়। কিছু মহিলা নামের ব্লগারদের উদাসিনতায়/কমেন্টে ই বুঝা যায় উনারা আসলে কি চান। কোন ভুইফোড় সংঘটন (১০-১২ জনের দল) বলল যে বাংলাদেশে গরু জবাই বন্ধ করতে হবে আর দেখুন এখন এটাকে কিভাবে প্যাচানো হচ্ছে আর আমাদের ব্লগের 'নামি' ব্লগার দের প্রতিক্রিয়া টা ও দেখুন।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

রাফা বলেছেন: এই পোষ্টগুলো একরকমের খেলাই বলতে পারেন।কিন্তু এগুলো কেনো বুঝতে পারেননা ,আমি অবাক হলাম।এসব মেকিং গেম নিজেরাই একটা বিতর্কিত বিষয় লিখবে আবার সেটার বিরুদ্ধে লিখে তার প্রতিক্রিয়া দেখবে।এগুলো কাউন্ট করার কোন কারন নেই।

নিজের মত করে নিজের কথা ও দেশের বিষয়ে লিখে যান।

৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাজাকার আর রাজাকার প্রেমীদের কি বলবো যেখানে আধুনিক প্রজন্মের অধিকাংশই জানে না ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস না স্বাধীনতা দিবস!

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

রাফা বলেছেন: বর্তমান প্রজন্ম কেনো আমাদের সবচাইতে গৌরবের ইতিহাস জানেনা এটা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? ২১ বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলা অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ ছিলো।৩১ বছর ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বাধ্য করেছে পাকিস্তানের প্রেসক্রাইব করা ইতিহাস পড়তে। তার একটু নমুনা বলি তাহোলেই বুঝতে পারবেন।এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান স্কুলের টিচারকে বলেছে স্যার এখানে যে লেখা আছে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া এই কথাটা'তো সত্যি নয়।আমার বাবা একজন বীর প্রতিক তিনি বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের সকল ইতিহাস আমাকে।
শিক্ষক তখন উত্তর দিয়েছেন সত্যি নাহলেও পরিক্ষায় পাস করার জন্য তোমাকে পড়তে হবে।তার অর্থ সবাই আসলে সত্যটা জানে।তাই ইতিহাসকে কোন কিছূ দিয়েই আড়াল করে রাখা যায়না।সত্যিকারের ইতিহাস জানাটা শুধুই সময়ের ব্যাপার।একটা প্রজন্মের কিছু অংশকে হয়তো কিছুদিনের জন্য ভুল পথে নেওয়া যাবে।কিন্তু তার চাইতে বেশি সত্য উদ্ভাসিত হবে নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই।
কাজেই ছাগিয়তাবাদিদের আরো বেশি ঘৃণা করবে নতুন প্রজন্ম।কাজেই হতাশার কিছু নেই।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমার দ্বিমত আছে শুধু মাত্র আপনি যে কারনটির কথা উল্লেখ করলেন সেখানে। কিন্তু আপনার আবেগ ক্ষোভ সবকিছুই সমর্থনযোগ্য এবং একজন প্রকৃত বাংলাদেশী হিসেবে এই আবেগ প্রত্যেক বাংলাদেশী সচেতন মানুষের থাকা উচিত!


২১ বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলা অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ ছিলো।৩১ বছর ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বাধ্য করেছে পাকিস্তানের প্রেসক্রাইব করা ইতিহাস পড়তে। তার একটু নমুনা বলি তাহোলেই বুঝতে পারবেন।

আমার জন্ম ৮০ এর দিকে এবং স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজ ভার্সিটি পেরিয়ে যখন চাকুরীতে ঢুকি তখন ধরতে গেলে আমি জিয়া, এরশাদ, খালেদার দুই টার্ম আর হাসিনার ১.৫ টার্ম দেখছি। যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতা নেন তখন আমি নিম্ন মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে। ততকালীন ৫০০ নৈর্ব্যক্তিক নামের একটা বিতর্কিত টার্মও ছিলো কিন্তু তারপরও একটা স্কুলের প্রায় শেষের ছাত্রটিও ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এবং আমাদের ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য সবই নির্ভুলভাবে বলতে পারতো। খালেদা জিয়া যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্বর্নসময় ছিলো কারন তখন সত্যিকারার্থেই নকল মুক্ত পরিবেশ ছইলো এবং প্রশ্ন ফাস নিয়ে কেউ চিন্তাও করতে পারতো না। ক্ষমতায় থাকার শেষের দিকে তারা হয়তো পাঠ্যপুস্তকে জিয়ার নামটি যুক্ত করে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো কুকথা লেখে নাই। তবে বাকশালের ব্যাপারে কিছু লেখা ছিলো কিনা সেটা আমার জানা নাই তবে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তার জালেম রূপটা আমাদের বেশী বেশী আলোচনা দরকার।

আর এখনকার প্রজন্মের এই ইতিহাস বিভ্রান্তি যাদের তাদের প্রায় সবারই উচ্চ মাধ্যমিক স্তর কেটেছে খালেদা সরকারের পতনের পর। কারন নাহিদ শিক্ষা ব্যাবস্থা বেশ কিছু যূগান্তকারী কার্যক্রম নিয়েছেন:

১) পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস(যদিও এখন আপনারা বলবেন প্রমান নাই, কিন্তু আপনাদের প্রথম তদন্ত শুরু হয় ২০১৩ সালে এবং ২০১৪ সালে নাসিম নিজে তদন্ত করেন যদিও একজন মন্ত্রী হিসেবে তার তদন্ত করার কোনো এখতিয়ার বা নৈতিকতা নাই)।
২) সৃজনশীল প্রশ্ন পত্রে জঙ্গীবাদের উপাদান খুব সুন্দর এবং সুচারুরূপে যোগ করে দেয়া।
৩) পুরো পাঠ্যপুস্তক এখন ভারতে ছাপানো হয় যেখানে আমরা ছোটবেলা থেকেই বাংলা প্রিন্টিং এ বই পেতাম। দু্র্নীতি দূর না করে বা সিস্টেমের উন্নয়ন না করে জাতীর এত গুরুত্বপূর্ন যেখানে বাংলাদেশের প্রকাশনা এবং প্রিন্টিং প্রেস এত উন্নত এবং যেখানে তত্বাবধায়ক সরকার এবংচার দলীয় ঐক্যজোটের দুবার নজির ছিলো সময় মতো বই মুদ্রন করে সাপ্লাই দেবার সেখানে কেন ভারত? তাও আবার অজস্র বানান এবং তথ্য (বিশেষ করে বিজ্ঞান আর ইংলিশ বইতে) ভুল?

আর জিয়ার নামে স্বাধীনতার ঘোষক অবশ্যই ভুল হয়েছে এর জন্য তখনকার বইতে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস নিয়ে কোনো ভুল ছিলো না।

এই প্রজন্মের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করেছে ইংলিশ মিডিয়ামের প্রতি ঝোক যা ২০০০ সালের পর গণ শুরু হয় কিন্তু তখন এই মিডিয়ামের মানোন্নয়নে কেউ মনোযোগ দেয়নি। মনোযোগ দেয়া হয়েছিলো কিছু সমস্যা (নকল, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি) দূর করার জন্য। এবং তখন বাংলা এবং ইংলিশ মিডিয়ামের নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষকদের সরকারী করনের দাবীর কারনে তাদের ওপর চালানো অত্যাচার এজন্য দায়ী।

পরে এসব সমস্যা আরো চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে যখন আমাদের টাকলা ভজহরী নাহিদ শিক্ষাবিদদের সিলেবাসের ওপর নিজে মাথা খাটায়। এখানে বলতে চাই সৃজনশীল শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য জাফর স্যারকে সবাই তুলোধুনা করে কিন্তু এখানে স্যারের কোনো দোষ নাই। কারন এই সৃজনশীল শিক্ষা বাংলাদেশের বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যাবস্থা যেমন ডাক্তার ইন্জ্ঞিনিয়ারদের ওপর আগেই চালু ছিলো এবং তাদের অনেক পরীক্ষাই এই সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে করা। তিনি এই ব্যাবস্থা টাই মাধ্যমিক এবং নিম্নমাধ্যমিকে আর ব্যাপক ভাবে চালু করতে বলেছিলেন। কিন্তু যখন একজন শিক্ষার্থীকে ত্রিগোনোমিতি কাজে লাগিয়ে কোনো দূরের বস্তুর উচ্চতা বা অবস্থান নির্নয়ের কথা না বলে আস্তিক-নাস্তিক অথবা আখলাক বা হিজাবের মাধ্যমে সমাজ কিভাবে শুধরানো যায় (ইহা একটা বাতুল চিন্তা মাত্র কারন ইসলাম বা কড়া শরীয়া আইন দিয়া সমাজ যদি সাইজ করা যাইতো তাইলে হযরত ওসমান রা রে মুসলমান আমজনতা সাহাবীগন ফিডাইয়া মারতো না অথবা পাকনা আয়েশা রাঃ হযরত আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা কইরা আজাইরা বিদ্রোহ লাগাইতো না!) এই প্রশ্ন করে। যদিও আপনেও জানেন আমিও জানি দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নয়নের জন্য কি নিয়া গবেষনার প্রচুর প্রয়োজন!

ভালো থাকেন!

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৭

রাফা বলেছেন: আপনি এত সচেতন হয়েও মূল কৌশলটাই বুঝতে পারেন নাই এখানেই হইতেছে ইতিহাস বিকৃতকারিদের সফলতা।ঠিক যেমন গোড়া কেটে গাছের আগায় পানি দেওয়া।মুল কথাটা ভুল শিক্ষা দিয়ে বাকি গুলো সঠিক রাখাতো আরো বড় মহাপাপ।সত্য এবং মিথ্যা মলিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করা।এখানেই ওদের স্বার্থকতা।যার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই কি সুন্দর করে মস্তিস্ক ধোলাই করার কৌশল।
দুঃখিত আপনাকে বুঝাতে ব্যার্থ আমি।

ধন্যবাদ,উদাসী স্বপ্ন।আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন।এটাই বাস্তবতা কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হবেই।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জ্বী ভাইয়া, আমার মগজ ধোলাই! খুশি হইছেন বইলা?
তো একটা উদাহরন দিতে পারলেন শুধু স্বাধীনতার ঘোষক বদলানো ছাড়া! আসলে ৭ বছর ক্ষমতায় থেকেই জাতীর কি এমন শিক্ষা ব্যবস্থা বা বা ইতিহাস শিখাইলো যে এখন পুচকা পুলাপানও বই পইড়া বুঝতে পারে না ভাষা আন্দোলন কুনটা আর বিজয় দিবস কুনটা!

লীগ আসলেই একটা চীজ.....বুনো দাঁতাল শুয়োরের দল যখন শিকারে বের হয় তখন নিজের বাচ্চারেও পদদলিত কর....লীগ হলো সেই দল....আর আমরা বুনো দাঁতাল শুয়োর দিয়ে যখন ভাবি কাল কেউতে জামাতকে নির্মূল করতে হবে, তখনই দাঁতাল শুয়োর কেউটের সাথে হাত মিলিয়ে আম জনতাকে মেরে খায়!

হ্যাপী ব্লগিং!

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.