নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাহিম এনকাউন্টার !(এভাবেই আড়ালে থেকে যায় মূল হোতারা)

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩



মানুষ নিজের জিবন বিপন্ন করে খুনিদের আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করবে রহস্য উন্মোচন ও মূল হোতাদের দৃষ্টান্তমুলক সাস্তির আশায়।এবং এই সুত্র ধরেই পুলিশ বা অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনি জঙ্গীদের শেকড় উপড়ে ফেলবে সেই প্রত্যাশাই করে।কিন্তু পক্ষান্তরে দেখতে হয় একটি অনাকাংখিত এনকাউন্টার নাটক।যা কোন সাধারন মানুষই প্রত্যাশা করেনা।আইনের শাসনকে ধুলিস্যাত করার অপচেষ্টাই মনে হয় এই এনকাউন্টার এনকাউন্টার খেলা।এতে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থার সৃষ্টি হয় নিয়মিত সুশৃংখল বাহিনিকে ঘিরে।এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় একজন সত্যিকারের দেশপ্রমিক নাগরিকের কাছে।

আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো সঠিক বিচার হোলে সুস্পষ্টভাবেই সর্বোচ্চ সাস্তিতে ফাঁসির আদেশ হইতো এই ফাহিমের।এর অন্যথা হওয়ার কোন সুযোগই ছিলোনা।কারন স্বয়ং ভিকটিমই স্বাক্ষি ছিলো এখানে।এর চাইতে বড় কোন স্বাক্ষ হোতে পারে বলে আমার অন্তত জানা নেই।কাজেই চাক্ষুস স্বাক্ষে ফাঁসির আদেশ অবধারিত।

তেজগাঁও-এ আশিকুর বাবুর খুনিদেরকে ধরেও আইনের হাতে সোপর্দ করেছিলো তৃতিয় লিঙ্গের কয়েকজন নাগরিক।পুলিশের কোন কৃতিত্বই ছিলোনা ঐ জঙ্গীদের গ্রেফতারে।এখানকার ফলাফলও দেশের মানুষের জন্য নৈরাস্যজনক।এ যেনো বজ্র আটুনি আর ফস্কা গেড়োর প্রত্যক্ষ দর্শন।এখানে আরেকটু এগিয়ে যারা জঙ্গীদের আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করেছিলো তাদের জিবনই বিপন্ন হলো।তাদের কোন নিরাপত্তাতো দেওয়া হলোইনা বরং হঠকারি সিদ্ধান্তই প্রত্যক্ষ করলাম আমরা।

এরপরেও কি পুলিশ বা অন্যান্য বাহিনির আশা করা উচিত জনসাধারণ তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে নিজের জিবন বিপন্ন করার জন্য।এই অযাচিত এনকাউন্টার করতে করতেই আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনির মধ্যেই সৃষ্টি হয়ে যায় সাত খুন করার মত খুনি।জনসাধারণ যখন আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করছে আইনের সাশনে ফিরে যেতে।তখন কতিপয় আইনের লোকই বেআইনিভাবে এনকাউন্টারের নামে খুন করে বাধাগ্রস্থ করছে আইনের শাসনে। এখন যদি সাধারণ মানুষের মনে ধারনা জন্ম নেয় কিছু কিছু আইনের লোকই সহায়ক জঙ্গী কার্যক্রমে সেটা কি খুব ভুল হবে?

বৃটেনে যেখানে অপরাধিদের জন্য মৃত্যুদন্ডই নেই ।সেখানেও পার্লামেন্টের সদস্যের খুনিকে এনকাউন্টার নয় আইনের হাতে সোপর্দ করেছে মূল ঘটণা উন্মোচনের সার্থে।তারা ইচ্ছা করলেই হত্যা করে এনকাউন্টার বলে চালিয়ে দিতে পারতো।কিন্তু তারা আইনের লোক হয়ে কখনই বেআইনি পথে যেতে পারেনা।এভাবে হাজারটা উদাহারণ টানা যায়।

আশুলিয়ায় জঙ্গীরা আক্রমণ করলো পুলিশের উপর অথচ যে লোকটা পুলিশকে সাহায্য করলো ।বলতে গেলে নতুন জিবন দিলো তাকেই গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে গেলো।এবং তাকে জামিন নিয়ে বের হতে হলো জেলখানা থেকে।এভাবেই হয়রানির চুড়ান্ত করে থাকে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে।পুলিশ কমিশনারের স্ত্রীকে হত্যার পরে পুলিশের মুখেই শুনলাম সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসলোনা তারা নাকি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্যই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।এখানে কি নিশ্চয়তা ছিলো যে সাহায্যকারিকেই আসামি বানিয়ে ফেলার সম্ভাবনা ছিলোনা।মিতু হত্যাকান্ডে সন্দেহজনক আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।আর উপরে উল্লেখিত ঘটণায় সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত খুনিদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার পর অন্তসারশুন্য ফলাফল দেখতেছি এনকাউন্টারের নামে।এনকাউন্টার করে যদি অপরাধ নির্মুল করা যেতো তাহোলে এদেশের সবচাইতে সফল সরকার হইতো বিএনপি/জামাত জঙ্গী সরকার।কারন তখন সরাসরি সরকারি সহায়তায় চালানো হতো জঙ্গী কার্যক্রম।এবং তার সবচাইতে বড় ভিকটিম ছিলো বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং শেখ হাসিনা।২১শে আগষ্ট ছিলো এদেশের ইতিহাসে সবচাইতে বড় জঙ্গী আক্রমণ।

দিনের পর দিন একই ঘটণা ঘটতে থাকলে মানুষ একদিন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে বর্তমান সরকারের উপর থেকে।তাই সরকারের ভেতরে যারা সত্যিকার অর্থেই জঙ্গী দমন করতে চায় বর্তমানে তারাই বেশি বিপদে আছে বলে আমার বিশ্বাস।আমার ধারণা প্রেক্ষাপট তৈরি করা হোচ্ছে সরকার আইন শৃংখলা রক্ষায় ব্যার্থ এটা প্রমাণ করার জন্য।এনকাউন্টারে যারা জঙ্গীকে ছিনিয়ে নিতে আসে তাদের কেউ হতাহত হয়না ।পুলিশের কেউ হতাহত হয়না।শুধু প্রান যায় হাতে হাতকড়া পড়িহিত পুলিশের কাস্টডিতে থাকা আসামি বা জঙ্গীর।অথচ মূল রহস্য উন্মোচনের জন্য ধৃত জঙ্গী বা খুনিকে নিরাপত্তা দেওয়াও আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনির উপরই বর্তায়।

একটা ব্যাপার কোনভাবেই ভুলে গেলে চলবেনা একটানা ২০ বছর দেশ পরিচালনা করেছিলো জঙ্গী সহায়ক শক্তি।কাজেই প্রশাসনে যে সেই শক্তির বীজ নিহিত নেই তার কোন নিশ্চয়তা কি আছে শতভাগ? কাজেই সময়ের একফোড় আর অসময়ের দশ ফোড়ের পার্থক্যটা বুঝতে হবে বর্তমান সরকারকে।বিশেষ করে শেষ বিচারে সকল দ্বায় বর্তায় সরকার প্রধানের উপরই।কিন্তু আখের গুছিয়ে নেয় মির্জাফরেরাই।কাজেই সাধু সাবধান।

প্রশ্ন শুধু একটাই ফাহিম এনকাউন্টার কাদেরকে রক্ষা করার জন্য ???

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




দেখা যাক, স্বরাস্ট্র মন্ত্রী থেকে শুরু করে, নাসিম, ইনু, টুকু, মায়া, ড: হাছান মাহমুদরা কি ব্যাখ্যা ও ফর্মুলা দেয়!

২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

রাফা বলেছেন: এরা একেকজন সর্ব বিষয়ে বিষেষজ্ঞ।এরা কি আর আমাদেরকে মানুষ মনে করে ।সেই একই জপ জপতে থাকবে কোন সন্দেহ নেই।

ধন্যবাদ ,চাঁদগাজী।

২| ২০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রাফা এই ঘটনার কোন সহি ব্যাখ্যা নেই। এইভাবে চলতে থাকলে লাভ হবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র বিরোধীদের। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি, ক্ষমতা ইত্যাদির জন্য যারা দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করে তারা ইতিহাসে ঘৃণিত হয়েই থাকে। এখনও সুযোগ আছে, পরিস্থিতির উন্নয়ন করার।

তাদেরকে অনেক মানুষ সৎ আবেগ দিয়ে সমর্থন দিয়েছে। মানুষের সেই সৎ আবেগকে যারা সম্মান করতে পারে না, তারা হারিয়ে যায় খুব গভীরে।

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

রাফা বলেছেন: বাংলাদেশেই সম্ভব অযৌক্তিক সব কিছুকে জোড়-জবরদস্তি করে হোলেও যৌক্তিক প্রমাণ করার।সেই অপচেষ্টাই পরিলক্ষিত হোচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে।সর্বোপরি আমরা নিজেদেরকে সর্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ মনে করি।যে যেই পদের যোগ্য নয় শুধু অনুগত বলেই তাকে যোগ্যতার বাইরে পদায়ন করা হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে সেরকম ফলাফলই প্রত্যক্ষ করতেছি প্রতিদিন।

রাস্ট্রের প্রতিটি যায়গায় কিছু না কিছু অনিয়ম হোচ্ছে প্রতিনিয়ত।আর সেটাকেই জোড় করে নিয়মের মধ্য ঢুকানোর অপচেষ্টা চলছে অনবরত।

প্রচন্ড একটা গণআন্দোলন ব্যাতিত এই অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার কোন পথ আমি দেখছিনা আপাতত।

ধন্যবাদ,কা.ভালোবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.