![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।
আলবদরের ৩য় নেতা হলেন মীর কাসেম আলী,অর্থাৎ ১'টি ফোর্সের ৩য় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তি কি করে সিভিলিয়ান হয় !বদর বাহিনি ছিলো পাক বাহিনির তত্ত্বাবদানে প্রশিক্ষিত একটি সমরিক বিহিনিকে সহায়তাকারি আরেকটি বাহিনি । মতিউর রহমান নিজামি ,আলি আহসান মুজাহিদ-এর পরের অবস্থানটিই ছিল মীর কাসেম আলীর ।পাকিস্তানি বাহিনির সৃষ্ট বদর বাহিনিতে।এই মীর কাসেম আলী হোচ্ছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বদর বাহিনির প্রধান।অর্থাৎ চট্টগ্রাম অঙ্চলের বদর বাহিনির প্রতিটি কার্যকলাপের দায় তার উপরেই বর্তায়।চট্টগ্রাম টেলিগ্রাফ অফিস সংলগ্ন হিন্দু মালিকানাধীন 'মহামায়া" ভবনটি দখল করে গড়ে তোলা হয় "ডালিম হোটেল" নাম সম্বলিত নির্যাতন কেন্দ্রটি।এর পুরো তত্ববদানে ছিলেন এই মীর কাসেম আলী।এই হোটেলেই মুক্তিযোদ্ধা "জসিমকে" নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে লাসটি ভাসিয়ে দেওয়া হয় কর্ণফুলি নদিতে।প্রতিটি সাক্ষির স্বাক্ষে সেটা দিবালোকের মতই প্রমাণিত হয়েছে।এবং নরপিশাচ মীর কাসেম আলীর উপস্থিতিও প্রমাণিত হয়েছে।কোন বাহিনির না হলেই সুপিরিয়র ক্ষমতা থাকতে পরেনা বা সেই অপরাধের জন্য সাস্তি দেওয়া যাবেনা এটা আইনের কোন কিতাবে লিখা আছে ? পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালি দেশের সুপ্রিম কমান্ডার যদি ১'জন সিভিলিয়ান হয় তাহোলে তার দ্বারা সংঘঠিত অপরাধের জন্য তাকে দায়ি করা যাবেনা কেনো!
১২ নম্বর অভিযোগেও তার মৃত্যুদন্ড বহাল থাকতো বলেই আমার বিশ্বাস।প্রসিকিউশনের উপর দোষ না চাপিয়ে তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে।স্বাক্ষিদের নিরাপত্তা না দিয়ে বিচার করাটা কতটা ঝুকিপুর্ণ তা আমরা উপলব্দি করতে ব্যার্থ হয়েছি।আজ পর্যন্ত স্বাক্ষিদের সুরক্ষা আইনিটিই পাশ করা হলোনা।যেখানে স্বাক্ষিরা স্বাক্ষ দিতে ভয় পায় সেখানে প্রসিকিউসন কিইবা করতে পারে।বিচার মূলত পরিপূর্ণতা পায় স্বাক্ষির স্বাক্ষের ভিত্তিতেই।আমার বিশ্বাস প্রসিকিউশনের আন্তরিকতা বা দেশপ্রেমের কোন অভাব ছিলোনা বলেই ৪৫ বছর পুর্বের অপরাধ তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন।বিচারে কিছু প্রমাণ না করা গেলেও ইতিহাসে অক্ষয় থাকবে যে এই অপরাধগুলো ঘটেছিলি।এবং এর অপরাধিরাও চিহ্নিত হয়েছে।ইতিহাস থেকে কোনদিনই কেউ মুছে ফেলতে পারবেনা তাদের কৃত অপরাধগুলো।
"সুপ্রিম পাওয়ার" সামরিক,বেসামরিক বা কোন বাহিনি ব্যাতিত যে কারোই থাকতে পারে।এবং তার দ্বারা বা তার অনুগত বা তার আয়ত্বাধিন কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তার দায় অবশ্যই তাকে নিতে হবে।এবং যদি কোন অপরাধের সাস্তি হয় তাকে সেই সাস্তি প্রদানে কোন বাধাই নেই বলেই মনে করি আমি।
আশা করি আমার এই বক্তব্য বিচারাধিন বিষয়ে মন্তব্য বা আদালত অবমাননা বলে গণ্য হবেনা।যেহেতু প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষন দিয়েছেন ।সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ১'জন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতেই পারি।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
রাফা বলেছেন: মীর কাসেম আবার নেতা নাকি..! গোলামে আওলাদ ও রাজাকারে আওলাদদের কাছে নেতাই এই নরপিশাচ।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
নীল আশরাফ বলেছেন: আপনার ক্তহার সূত্র ধরেই বলছি, মীর কাশেম যে নরপিশাচ -এটা আপনি নিশ্চিত হলেন কি করে? তাকে কি আপনি নিজে কোন অন্যায় করতে দেখেছেন? সরকার আর লীগের যৌথ প্রযোজনায় মঞ্চস্থ করা নাটকের উপর আপনার এত আস্থা কেন? যেসব সাক্ষীরা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে, তাদের প্রতি আপনার এত বিশ্বাস এলো কি করে?
এই বিচারের উপর যদি আপনার এতটাই আস্থা থাকে, তবে নিশ্চিতভাবে আপনআকে একটা দলবাজ ছাগু ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছিনা।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩১
রাফা বলেছেন: হা...হা...হা...হা মন্তব্য দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম রাজাকারের রক্ত প্রবাহিত হইতেছে শিরা-উপশিরায়।বিচারের উপর শতভাগ আস্থা আছে।
আল্লাহ'কে দেখি নাই আমি ,কিন্তু দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি তিনি আছেন।৭১-এ লক্ষ লক্ষ প্রান ঝড়ে গেছে এটা দিবালোকের মতই সত্য ।তার চাইতে বেশি সত্য মির্জাফরের বংশধর মইত্যা রাজাকার ,দৈল্যা রাজাকার,নরাধম মুজাহিদ ও মীর কাশেমরা ছিলো বলেই এত রক্ত দিতে হয়েছে শহজ, সরল নিঃস্পাপ বাঙালীদের।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
নীল আশরাফ বলেছেন: প্রধান বিচারপতির কোন মন্তব্যে কিছু এসে যাবেনা। ওপার থেকে দাদারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা বাস্তবায়নের জন্যই এই বিচারপতি, এই সরকার এই পুলিশ প্রশাসন। মীর কাশেমের ফাঁসি হবেই - এটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। তার মত এরকম প্রো এ্যাক্টইভ নেতাকে বাচিয়ে রাখার রিস্ক এ সরকার নেবেনা।