নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭৫ -এর ১৫ই আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২০০৪-এর ২১শে আগস্ট ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

আগস্ট মাসটা আসলে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি।শংকায় থাকি প্রতিটি মুহুর্ত ,এই বুঝি এলো কোন বেদনাবিধুর দুঃসংবাদ।এটা একান্তই আমার মনের ব্যাপার।লিখতে পারিনা ,পড়তে পারিনা এমনকি বলতেও পারিনা।কেমন যেনো অসংলগ্ন থাকি এই মাসটাতে।


১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট যে মিশনটা শুরু করেছিলো বাংলাদেশের শত্রুরা তা আজো অব্যাহত আছে।আসলে চক্রান্তের শুরুটা ছিলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় থেকেই।এই সময়েই চক্রান্তকারিরা বলতে শুরু করেছিলো যদি তোমরা স্বাধীনতা চাও তাহলে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে হবে তোমাদের ।আর যদি বঙ্গবন্ধুকে চাও তাহলে পাকিস্তানের কনফেডারেশন হয়ে থাকতেই হবে।১৫ই আগস্টের প্রতিপক্ষ আর ২১শে আগস্টের প্রতিপক্ষ একই এমনকি ১৭ই আগস্টেও রিহার্সেল করেছিলো সেই একই অপশক্তি।সবকিছু একই সূত্রে গাথা।



গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করুন দেখবেন ভিন্নরুপে একই পক্ষ ও বিপক্ষ~~~

বাংলাদেশটাকে যারা বার বার খুন করতে চেয়েছে তাদের লক্ষ ছিলো একটাই ।অর্থাত এই দেশটাকে যেভাবেই হোক মুক্তিযুদ্ধের ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হতে দেওয়া যাবেনা।এটাকে আইয়ুব ,ইয়াহিয়ার অপ পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে হবে।এর জন্য যা কিছু করার তাই করবে এই খুনীরা।১৫ই আগস্ট শুধু একটি পরিবার ,একটি আদর্শ ও একটি দেশকে খুন করার পরেও যখন দেখলো অসহায় এতিম একজন কণ্যা জিবন বাজী রেখে বাংলাদেশকে তার গন্তব্যের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে,তাকে শেষ না করতে পারলে তাদের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে ।ঠিক তখনি তারা জন্ম দিলো ২১শে আগস্টের ।ফুলপ্রুফ প্ল্যান ছিলো এবার যেনো কোনভাবেই ফসকে যেতে না পারে তাই রাষ্ট্রের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলো হায়েনারা।কিন্তু তারা বিসৃত হয়েছিলো যে মারনে-ওয়ালার চাইতে বাচানে-ওয়ালার মহিমা অসীম।১৫ই আগস্ট স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা দুরে রেখেছিলেন ফিরয়ে আনবেন বলে।আর ২১শে আগস্টের মহিমা দিয়ে উপলব্দী করিয়ে দিলেন ১৫ই আগস্টের ভয়াবহতাকে ।শেখ হাসিনার ভেতরের যন্ত্রণার যে উপলব্দী ছিলো তার সচল চিত্র হলো ২১শে আগস্ট।আশা করি এরপরে আর কোন ভুলের অনুকম্পা তিনি দেখাবেননা।



বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ই আগস্ট কখনই ঘটতোনা ।যদি বঙ্গবন্ধু একটু কঠোর হতে পারতেন।যদি তিনি অবারিত ক্ষমা না করে যার যা প্রাপ্য ছিলো কড়ায় গন্ডায় মিটিয়ে দিতেন।তাহলে এই অপশক্তি মাথা তুলে দাড়াতে পারতোনা ৫০ বছরেও।কালকেউটের সাথে একই ঘরে বসবাস যে কি নির্মম তা বঙ্গবন্ধুর আত্মহুতি আমাদের চোোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি য যখনি পেছনের নির্মমতার ইতিহাসকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি ততবারই বেঈমান মির্জাফররা তাদের স্বরুপ দেখিয়ে দিয়েছে।ছোবল হেনেছে একই কায়দায়।প্রতিটি ঘটণার মোটিভ এক।প্রতিটি ঘটণায় ম্যাসাকার একই রকম.।প্রতিটি আক্রমনের ছক এক।একটুসহজ সরল পর্যবেক্ষনেই বুঝতে পারবেন ।শত্রু /মিত্রের চেহারার কোন পরিবর্তন হয় নাই।এবং এরা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শেষ মুহুর্তেও ছোবলই দিতে চাইবে।শেখ হাসিনার নিজের জন্য নয় বাংলাদেশ"কে ব্ঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে হবে এদেশের নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষের জন্যই।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত করতে হলে কঠোর থেকে কঠোরতর হওয়ার কোন বিকল্প নেই।নিজের চারিপাশেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।মির্জাফর,উমিচাদ,রাজবল্লব ও মোহাম্মেদি বেগরা আশেপাশেই ওৎ পেতে থাকে।একটু অসতর্ক হলেই আবারো ছোবল মারবে।শুধু সততার সাথে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে লেজ গুটিয়ে পালাবার পথ খুজবে।ঠিক এখন যেমন আছে।এরা নিরাপদে থেকে বিলাসী জিবন-যাপনে অভ্যস্ত।ক্ষমতাও দখল করতে চায় সেই পন্থায়।ভাড়াটে খুনি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে যখন বুঝতে পারে যে তারা নিরাপদ তখনি মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে এদের।

একাত্তরের মতই শক্তি সাহস ও ঐক্যের বিকল্প নেই আজকে।মাননিয় প্রধানমন্ত্রী পিতার যোগ্য কণ্যার মত স্বাধীনতার স্বপক্ষ ছোট বড় একক যৌথ সবাইকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসুন।তুচ্ছতাচ্ছিল্য নয় এদেরকে সন্মান দিয়ে দেখুন এরা আপনার জন্য জিবন বাজী রেখে লড়াই করবে।ঠিক যেমন ২১শে আগস্ট আপনাকে বাচিয়ে নিয়ে এসেছে যমদুতের মোকাবেলা করে।

ধন্যবাদ,সম্পূর্ণ আমার মতের প্রকাশ ।রাজাকারে আওলাদরা দুরে থাকুক।কারো পছন্দ না হলে কিছুই আসবে যাবেনা আমার।আমার স্বাধিনতায় আমার কথাই থাকবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আজ ভয়াবহ ২১শে আগষ্ট। সুশীলদের হয়তো মনে নেই দিনটার কথা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

রাফা বলেছেন: সুশীলরা ইচ্ছে করেই মনে রাখেনা এই ইতিহাস।কিন্তু তারা জানেনা বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ।বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা বিসৃত হতে দিবেনা ।সত্যিকারের ইতিহাসকে।

ধন্যবাদ।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রতিক্রিয়াশীলরা পারেনি সেদিন হত্যা করতে। কিন্তু তাদের রক্তবীজ সারা দেশে ছড়িয়ে। তারা সুযোগ পেলে আবার ওমন করবে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাফা বলেছেন: এখনও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।মির্জাফররা খুব কাছের মানুষ হয়।শেখ হাসিনাকে আরো কঠোর হতে হবে । সাধারণ মানুষের আরো কাছে পৌছাতে যা করা প্রয়োজন ,সেই পথে চলার সময় এখন।এটাই পারে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,স.কবি।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

রাকু হাসান বলেছেন:

আপনার পর্যবেক্ষণ ,বিশ্লেষণ আমাকে মুগ্ধ করেছে । এই লেখাটি অনেক পড়ে পড়লাম ! :(
আমার মনের কথাটাই যেন আপনার পোস্টে । বঙ্গবন্ধু আরও কঠোর হলে এমনটা হত না । বেশি উদারতা এ দেশে চলে না সেটা হয়ত বুঝবে পারেনি । উদারতা খারাপ নয় তবে বঙ্গবন্ধু একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে কঠোর হওয়াও দরকার ছিল । খুব ভালো লাগলো লেখাটি ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

রাফা বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে মানুষ তার নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী নেতা নির্বাচন করে।৭১-এ মানুষ সঠিক নেতৃত্ত নির্বাচিত করেছিলো বলেই দেশটা স্বাধিন হয়েছে।
এর পরের প্রজন্ম যেমন নেতা নির্বাচন করেছে ঠিক তেমনি শাসন ব্যাবস্থা কায়েম হয়েছে।পর্যায়ক্রমে মানুষ যা চেয়েছে তাই হয়েছে এই দেশে।এটাই আমার পর্যবেক্ষন।
এখন আমি চাইবো শেখ হাসিনা বিগত দিনের শাসন ব্যাবস্থা দেখেই আগামী'তে পথ চলুক।

ধন্যবাদ,রা.হাসান।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭৫ সালের ঘাতকেরা ২০০৪ সাল অবধি পুরোপুরি সক্রিয় ছিলো

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

রাফা বলেছেন: শুধু তাই নয় ,প্রবল প্রতাপে সরকারি ছত্রছায়ায় পরিচালনা করেছে তাদের কার্যক্রম। মিশন এখনও অব্যাহত আছে।

ধন্যবাদ,চাঁদগাজী।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো লাগলো। আমিও আপনার লেখাটা পড়লাম। যদিও আজ। তবু বলবো খুনিদের বিচারে আমরা অনেক দেড়ি করে ফেলেছি।
কথায় আছে। রাক্ষস শোল মাছ পুকুরে ছোট মাছের জন্য ক্ষতিকর। আর খুনি আর অত্যাচারী রা বাহিরে বিচরণ করা মানুষের জন্য বিপদ।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

রাফা বলেছেন: আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।আমি অবাক হবোনা খুনিরা যদি আবারো আঘাত হানে ।

ধন্যবাদ,আ.আ.মামুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.