নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাকেও স্পর্শ করেছিলো ভয়াল ২১শে আগস্ট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪২



২১শে আগস্টের ভয়াল ছোবল আমাকেও ছুয়ে গেছে।দীর্ঘ ১৪টি বছর কেটেছে এর সমাপ্তী দেখার প্রত্যয়ে।আজ সেই প্রতিক্ষার ১০ই অক্টোবর।জানিনা রায়ে কি প্রকাশিত হবে।হয়তো অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে জন-মানুষের কাছে।কিন্তু প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এর ভুক্তভোগি যারা তারা কোন দিনই ভুলতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।

১৫ই আগস্টের বেনিফিসিয়ারিরা সরাসরি খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো।রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়, রাষ্ট্রের সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন ও মর্যাদাপূরণ পোষ্টগুলো পুরণ হয়েছিলো ঐ খুনিদের দ্বারা।আমাদের অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন উর্দি পরা উচ্চাভিলাষি ক্ষমতালিপ্সু এক জেনারেল।যার খেসারত আজো দিতে হোচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।১৫ই আগস্ট না ঘটলে মালেশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরকে উদাহারণ নয় আমরাই এগিয়ে থাকতাম ।বরং তারাই আমাদের কথা ঊচ্চারণ করতো উদাহারণ হিসেবে।৫০টি বছর পেছনে ফেলে দিয়েছে আমাদের সেই খুনিরা।এবং তাদের দোষররা।প্রতি পদে পদে দেশকে নিয়ে তারা ভয়ংকর খেলা খেলে চলেছে।কখনও পরিনত করতে চাইছে তালেবানি রাষ্ট্র ,কখনওবা অপ পাকিস্তান।

ফিরে আসি ২১শে আগস্টের ঘটণায় ,এখানে সরাসরি রাষ্ট্রিয় পুরস্কারে পুরস্খৃত করতে না পারলেও।রাষ্ট্রিয় সহযোগিতায় নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়ার সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছে।প্রথমবার আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দিয়েছিলো এদের বিচার করা যাবেনা, নামের কলংকিত ইনডেমিনিটি জারি করে।আর এবার সরকারি মদদে সকল প্রমাণ বিনষ্ট করে সুযোগ করে দিয়েছে বিচার থেকে রেহাই পাবার পথ।ধুয়ে মুছে পবিত্র করে দিয়েছে খালেদা জিয়ার সরকার।সংবাদ পত্রের পাতায় যতটুকু এসেছে ততটুকুই জেনেছে সাধারণ মানুষ।এর আড়ালে কত ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়েছিলো খালেদা জিয়ার সরকার তা উপলব্দি করলে আজো শিউরে উঠি।ভিক্টিমকেই করা হয়েছিলো এর কুশিলব।আমাদের সমাজে যেমন আমরা ধর্ষিতাকেই অপরাধী বানিয়ে ফেলি ধর্ষিত হলে।ঠিক তেমনি খালেদা জিয়ার সেই বিখ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুকিং ফর শত্রুজ এর আবিস্কারক ফুলপ্রুফ এক মিশনে নেমেছিলেন আওয়ামি লীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মিদের ফাঁসির-কাষ্ঠে ঝুলানোর বন্দোবস্ত প্রায় করে ফেলেছিলেন।রাখে আল্লাহ মারে কে ।স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার আরশও কেপে উঠেছিলো মনে হয়।তাই তাদের কু-মনোবাসনা পুরণ করেননি আল্লাহ.

এই খুনি চক্রান্তকারিরা যেনো আর ইহ জনমে বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর আশে পাশেও না আসতে পারে সেই কামনা থাকলো।









মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম ২১ আগষ্ট যেন আর না আসে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১০

রাফা বলেছেন: এখনও সংশয় কাটেনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায়।দেশ বিরোধী শক্তি যতদিন মূল রাজনিতীতে থাকবে ততদিন এই আশংকা থেকেই যাবে।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


তারেক জিয়া দেশকে দেশও মনে করতো না; ওর মগজ কোন গড় পিগমী থেকে কম ছিলো; ফাঁসিই হবে ওর উপযুক্ত শাস্তি

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

রাফা বলেছেন: ওভার কনফিডেন্ট কোথায় নিয়ে যায় তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।বিদ্যা না থাকলে যা হয় আর কি।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

হাঙ্গামা বলেছেন: এই বিচার নিয়ে আম্লীগ, বিম্পি সবাই ই রাজনীতি করছে.......ছ্যাচড়া মার্কা রাজনীতি।
শয়তানে শয়তানে লড়াই। কিন্তু কোন শয়তান হারবে না। হারব আমরা।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

রাকু হাসান বলেছেন:

এখন পরিস্তিতি কি খারাপ হবে ?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

রাফা বলেছেন: কিছুই হবেনা।আমরা ধিরে হলেও বিচার হীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।আরো সময় লাগবে।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ২১শে আগস্টের বোমা হামলা যে বছর হয় তার পরের বছর ৯ জুন বিরিকোট গ্রাম থেকে জজমিয়াকে আটক করা হয়। যারা আটক করেন, আটকের পূর্বে স্থানীয় বিএনপির এক নেতার বাগানবাড়িতে রাত কাটায়। গ্রেফতারের পর সিআইডি পুলিশ তাকে প্রথম প্রথম স্বীকারোক্তি দিতে বলে যে সেই হামলা চালিয়েছিলো ৫০০০ টাকার বিনিময়ে এবং তাকে এই নির্দেশ দিয়েছিলো সুব্রতবাইন স হ আরো কয়েকজন। যখন সে অস্বীকার করে তখন তাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পায়ের পাতায় পেটানো হয় যে দাগ গুলো এখনো বিদ্যমান। পেটানোর সময়বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, স হকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমান পালা করে থাকতেন এবং একজন ম্যজিস্ট্রেট ও আসতেন। মূলত পেটানোর সময় জিজ্ঞাসাবাদের পুরো ব্যাপারটা ম্যাজিস্ট্রেটের ফোনের মধ্যে কাউকে শোনানো হত এবং জজমিয়া স্বীকার করেছে সেটা জানতে হতো। তখন জজমিয়ার মা কিডনি সমস্যায় ভুগতেছিলেন। তাকে টোপ দেয়া হলো যে স্বীকারোক্তি দিলে টাকা নিয়ে বাকী জীবন কোনো সমস্যায় থাকতে হবে না। শোনা যায় সেই টাকার পরিমান ছিলো ৩ হাজার টাকা মাসিক এবং চার দলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতা ছাড়লে ২০০৭ সালে বিএনপি থেকে সিলেক্ট করা ইয়াজুউদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় তখন এই ৩০০০ টাকার সু্ত্র ধরেই জজমিয়ার ঘটনা ফাস হয়।

পরে এই মামলার সাক্ষী হয় পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, স হকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমান এবং জজমিয়া নিজে।

ওদিকে ২০০৫ সালের পহেলা অক্টোবর মেরুল বাড্ডা থেকে র‌্যাব বিশেষ অভিযানে মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করে ততকালীন আইজি আব্দুল কাইয়ুম ও স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বাবরে অব হিত করা হয়। বাবর তখন বেশ বিরক্ত হন।

এমনকি টিএফআই সেলে র‌্যাব প্রশ্ন করলো তখন মুফতি হান্নান হাসিনার গ্রেনেড হামলার কথা স্বতঃস্ফুর্তভাবেই বলে, কারন তার মনে ছিলো স হী ইসলামী চেতনা এবং জিহাদী বাইয়াত। সেটাও বাবরকে জানানো হললে। বাবর তখনই সরাসরি নির্দেশ দেয় যে এই জিজ্ঞাসাবাদ সেখানে থামাতে এবং এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ যেনো না নেয়া হয়। এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন সিআইডির বিশেস সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।

ঘটনার টাইম লাইন যদি খেয়াল করি ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয় এবং ২০০৫ সালের কিছু আগে ও পরে জজ মিয়া ও মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। জজমিয়া আটক হবার সময় মুফতি হান্নানের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত হবার কথা জেনেছিলো কিন্তু তারা সব জেনে শুনেই ধামাচাপা দেয়। এবং প্রতিটা ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছেন ততকালীন কর্মকর্তারা।


এমন নিখুত কেস আমার মনে হয় বাংলাদেশের আদালতে কখনো হয়েছিলো বা হবে। প্রতিটা ঘটনার সাক্ষ্য আছে।

আমার মনে হয় এই কেসের রায় নিয়ে লীগের অখুশী হবার কারন আছে সেটা হলো তারেক জিয়ার ফাসী হলো না কেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমিও অসন্তুস্ট।

যারা বিএনপির পক্ষ নিয়ে লীগের জন্য দোয়া করছেন, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং তার চিকিৎসার জন্য এই যে এত আয়োজন এবং তাকে কোন হাসপাতালে নেবে কি না নেবে না তা নিয়ে ফখরুলের পিচকি পুলাপানের মতো আব্দার, আপনাদের কি লজ্জা করে না?
কেউ কি এই প্রশ্নটা দেবেন?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

রাফা বলেছেন: এটা হোচ্ছে এই মামলার অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ।এর বাইরে তখনকার চার দলিয় সরকার ও বি,এন,পি/জামাত মিলে যে চক্রান্তের জাল বিছিয়েছিলো তা কেউ জানেনা।জানে শুধু এর স্বিকার আও্য়ামি লীগের নেতা কর্মিরা।ঘটণার আড়ালে যে ঘটনা তা কেউ জানেনা।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

কে ত ন বলেছেন: রাজনৈতিক হামলা, তার রাজনৈতিক মামলা, রায়টাও রাজনৈতিক, মাঝখান থেকে বিচারকদের 'অমর বাণী' হজম করে জ্ঞানের কলসী কিঞ্চিৎ পরিপূর্ণ হল।

নির্বাচনের আগে নাটক ভালোই জমেছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:১৮

রাফা বলেছেন: এরকম কমেন্ট করে শুধু এক জাতির প্রণী।সব কিছুতেই গয়রাহা কমেন্ট বলে এটাকে।বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হইতো বাশের কেল্লা ও সোনার বাংলা নামক ব্লগে।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এসব ফাঁস করেও লাভ নাই। বিএনপির অবস্থা ধ্বজভঙ্গদের থেকেও খারাপ। আর তাই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছাগলাটা জোট বাধে। আচার আচরন বৃহত্তর জামাতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখা। বেজি চুরির দায়ে জেলে, তারেক জেলের আসামী হইয়া পলাতক, কোকো হেরোইন আর মদের পিছে জীবনটা দিয়া দিলো। আর কত শাস্তি চান কন? ফেরাউন নমরুদেরও এত শাস্তি হয় নাই যতটা না হইছে বেজির পরিবারের

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রাজনৈতিক হামলা, তার রাজনৈতিক মামলা, রায়টাও রাজনৈতিক, মাঝখান থেকে বিচারকদের 'অমর বাণী' হজম করে জ্ঞানের কলসী কিঞ্চিৎ পরিপূর্ণ হল।

নির্বাচনের আগে নাটক ভালোই জমেছে। (২)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২১

রাফা বলেছেন: হুমম...সেই একই প্রজাতি মনে হইতেছে.../ যথার্থ স্থান হোচ্ছে বাশের কেল্লা।সেখানে এগুলো খুব খায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.