নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা ভয়ংকর ১৪ই ডিসেম্বর আজ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩১


আজ আবার ফিরে এসেছে সেই রক্তাক্ত বেদনার সাগরে নিমজ্জিত ১৪ই ডিসেম্বর।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত ২৬ শে মার্চের সুচনা লগ্নে ।রক্তের হোলি খেলায় মেতেছিলো নরপিশাচ পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এই দেশিয় দোষর আল বদর,আল শামস,রাজাকার দালালরা।প্রথম আঘাতেই তারা আমাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে হত্যা করে জাতির সূর্য সন্তানদের।তাদের মস্তিস্কের বিষাক্ত প্ল্যান ছিলো শিক্ষিত যুবক ও বুদ্ধিজিবীদের হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বাধ ধুলোয় মিটিয়ে দিবে।

তারা ভাবতে পারেনি এর বিপরীতে বাঙালী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত গর্জে উঠবে।শেয়াল কুকুরের মত ধাওয়া করে বেরাবে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই পলিমাটিতে।
আমাদের স্বাধীনতাকামি যোদ্ধারা যতই এগিয়ে যাচ্ছিলো তাদের অভিষ্ঠ লক্ষে ।ঠিক তার চাইতে দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিলো তাদের পৈশাচিকতা।পাকি হানাদার বাহিনির পদ লেহনকারি এদেশিয় দালাল রাজাকার ,আল বদররা ছিলো ভয়ংকর নিচ প্রকৃতির।তারা যখন ধীরে ধীরে টের পাচ্ছিলো পরাজয় অবশ্যম্ভাবি তখন তারা আমাদের মেধাবী শ্রেনিকে বেছে নেয় শেষ কামড় দেওয়ার জন্য।অর্থাৎ আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও যেনো আত্ম-সন্মান নিয়ে মাথা তুলে দাড়াতে না পারি।এটাতে তারা কিছুটা সফল যে হয়েছিলো তার প্রমাণ বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত আসতে অনেক বেশি সময় ব্যায় করতে হয়েছে।

তাদের আরেকটা বড় সাবজেক্ট ছিলো বাংলাদেশ‘কে হিন্দু মুক্ত করা।২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট নামক হত্যাযজ্ঞে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরি ও মৌচাকে এক সাথে ২৫০ জনেরও বেশি হিন্দু হত্যা করে ।যা ইতিহাসে কালী মন্দির ম্যাসাকার নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।একই সাথে আক্রমন করেছিলো রাজারবাগ পুলিশ লাইণ।আমরা ঢাকা মগবাজারের বাসিন্দা বিধায় ইউনিভার্সিটি,পিলখানা,রাজারবাগ,কালী মন্দির ও তৎকালীন মগবাজার চৌরাস্তার হত্যাকান্ডের কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি।

এগুলোর মাঝেই খুজতে চেয়েছি পুরো বাংলাদেশের চিত্রটা।তাই এখনও আমরা আৎকে উঠি ,এই দেশেরই কিছু নরপিশাচ কুলাঙ্গার কতটা পাষন্ড ছিলো ।আজ আবার সেই একই চিত্র দেশিয় পিশাচদের পাশে দাড়িয়েছে জেনারেল জিয়ার রাজাকার পুনর্বাসন ক্লাব বি,এন,পি।তাই শংকায় নয় ভয়কে জয় করে এদের বিনাশ চাই এই বাংলায়।

১৪ ডিসেম্বরের সকল শহিদের সাথে সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।আর বিজয়ী যোদ্ধাদের জানাই লাল সালাম।তাদের ঝান্ডা নিয়ে আমরা গড়ে তুলতে চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।

এই সেই কালী মন্দির।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ১৪ ডিসেম্বরের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা
এই সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি শহীদের পরিবার যেন ভালো থাকে তা প্রার্থনা করি ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনার শুভ কামনার জন্য।

ধন্যবাদ,স্ব.শঙ্খচিল।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা জামাত্-ছাত্রসংঘ তার প্রমাণ হিসেবে পাওয়া যায় স্বাধীনতার পর তার অফিস থেকে পাওয়া একটি ডাইরি থেকে, যেখানে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নাম ধরে তালিকা পাওয়া যায়। সেই ডাইরিতে থাকা অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীদের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যা করা হয়। এই ডাইরি যে সে নিজেই মেন্টেইন করতো সেটা স্বীকার করে একাধিক সাক্ষাৎকার দিয়েছিল ফরমান আলি। দিয়েছিল হামিদুররহমান কমিশনের কাছেও।
মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশিত হলে এসবের সমর্থনে অনেক প্রমান পাওয়া যায়।
বাঙালি হত্যার ব্যাপারে পাকিস্তানীদের কোন কালেই কোন অপরাধবোধ ছিল না।
তারা ঠিকই স্বীকার করে যে তারা হত্যা করতেই এসেছিলো।
জামাতিরা ও এদের সেকেন্ড জেনারেশনও অনুতপ্ত নয়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১১

রাফা বলেছেন: আমাদের দেশিয় এই কুলাঙ্গারদের সাহায্য না পেলে এথেনিক ক্লিনজিংয়ের মত খুন করতে পারতোনা ।বুদ্ধজিবী হত্যার মূল কারিগর জামাতের আল-বদর বাহিনি।এরা ছিলো তৎকালীন ছাত্র সংঘের সদস্য।বর্তমান ছাত্র শিবির হিসেবে পরিচিত সেই জারজরা।

ধন্যবাদ,হা.কালবৈশাখী।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

আরোহী আশা বলেছেন: সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা..........

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ ,আ.আশা আপনার শ্রদ্ধার জন্য।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

নজসু বলেছেন:







দেশের তরে যুদ্ধ করে দিল যারা প্রাণ
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গাই তাদেরই গান।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

রাফা বলেছেন: তাদের জন্যই আমাদের এই দেশ।
কখনো যেনো বিসৃত না হই।
তারা যেমন রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে,
আমরা তা রক্ত দিয়ে হলেও রক্ষা করবো।

ধন্যবাদ,নজসু।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শ্রদ্ধা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৫

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,আর্কিওপটেরিক্স।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকেই ৯ মাসের যুদ্ধকে সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি; যুদ্ধে কি ঘটতে পারে সেটা সঠিকভাবে ভাবেনি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২০

রাফা বলেছেন: যুদ্ধ যে কতটা ধংসাত্মক ও বেদনাদায়ক তা উপলব্দী করার মত শক্তি ও সাহস কারো নেই।আমাদের নয় মাসের যুদ্ধটা জোড় করে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিলো পকিস্তানিরা।এটুকু অন্তত বুঝতে পারি বঙ্গবন্ধুর শেষ দিন পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখে।
এখনও অধিকাংশ মানুষ বিচার বিশ্লেষন করে বুজতে পারছেনা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়টা আমাদের কত বড় অর্জন।কারনটা আর কিছুই নয় সময়টা "নয় মাস" বলেই সেটা ধারন করতে পারছেনা।নয় মাসের স্থলে যদি নয় বছর হতো এবং প্রতিটি পরিবরে ১জন করে শহিদ থাকতো তাহলেই বুঝতে পারতো।স্বাধীনতা যুদ্ধে কোন কোন পরিবার তাদের সবাইকে হারিয়েছে এবং তাদের কথা বলা বা শুনার কেউ নেই।এখানে আমরা সবাই ব্যার্থ।লেখাপড়া জানতোনা বলে তাদের কথা লিপিবদ্ধও করা হয় না.

ধন্যবাদ,চাঁদগাজী।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
১৪ ডিসেম্বরের সকল শহিদের সাথে সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।আর বিজয়ী যোদ্ধাদের জানাই লাল সালাম।তাদের ঝান্ডা নিয়ে আমরা গড়ে তুলতে চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

প্রথম ছবিটা মনে হয় দু'বার চলে আসছে!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৪

রাফা বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি।
ধন্যবাদ,সৈ.তা.ইসলাম।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে মরে যাই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

রাফা বলেছেন: ভয়ংকর কথা ! এই কাজ ভুল করেও করা যাবেনা । শোক’কে শক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সেই হায়েনারা যাতে আমাদের সমাজে ফিরে আসতে না পরে।

ধন্যবাদ,রা.নুর

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। তাদের প্রতি অনি:শেষ শ্রদ্ধা।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৮

রাফা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।অনিঃশেষ শ্রদ্ধার জন্য।

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

রাফা বলেছেন: আপনাকে ,ধন্যবাদ-শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য ।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০০

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: হিরু আলুম নামের নিকৃিষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারীআসন্ন সংসদ নির্বাচনে বগুরা ৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে, যেই সংসদ নির্বাচণে অংশ নেবেন শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা, যেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান সরকারের তাবত মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীগণ। কিন্তু হিরু আলুম কে ? কি তার পরিচয় - দেশে তার গ্রামে মেম্বার নির্বাচন করার যোগ্যতা সে রাখে না। চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চাইলে ভর বাজারে বিচার ডেকে হিরু আলুমকে কানে ধরে উঠ বস করানো হবে। সেই ব্যাক্তি নর্দমার কীট নোংরা অশালীন ভিডিওকারী ও ই্উটিউবে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে - তার বিরুদ্ধে আপনারা কেউ লিখেন না, আবার আপনারা সবাই ব্লগ লিখেন ! কিসের ব্লগ লিখেন বলতে পারেন ? দেশের প্রতি কি দায়িত্ব নিয়ে লিখেন যে একটা নোংরা নর্দমার কীট অশালীন ভিডিওকারীর বিরুদ্ধে লিখছেন না। আপনাদের কাছে দেশ কি আশা করে? আপনারা ব্লগে বড় বড় কলাম লিখেন এই নর্দমার কীট সম্পর্কে কেনো লিখছেন না । কি লাভ এই বড় বড় কলাম লিখে যদি আপনার-আপনাদের লিখা দেশের সমাজের পরিবেশের উপকারে না আসে।

নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে? পবিত্র সংসদ ভবন যেখানে দেশের আইন বিচার ব্যাবস্থা সংশোধন সংযোজন পরিমার্জন করা হয় সেখানে হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুমের কাজ কি?

হিরু আলুম বাংলাদেশ ইন্টারনেট সমাজে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রকাশ করে সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। সে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে ? আপনারা কেউ কিছু বলুন ? কেউতো কিছু লিখুন - এই নোংরা কীট সমাজ ছিড়ে খাবলে খাবে । সমাজ পরিবেশ দেশ রক্ষা করুন। আপনারা দেশের কাছে দায়বদ্ধ - নিজেকে কি বলে সান্তনা দেবেন ?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

রাফা বলেছেন: রাফা বলেছেন: হঠাৎ আপনি হিরো আলমের উপর খেপলেন কেনো? উনিও কিন্তু আপনার আমার মত এই দেশেরই নাগরিক। এটলিস্ট আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত কোন আসামি কিংবা দূর্ণিতীবাজ অথবা মাদক ব্যাবসায়ী বা সেবক নন।অন্য অনেকের চাইতে তার যোগ্যতা বেশি।নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকার জন্য কাজ করবে এটুকু নিশ্চিত।
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.