![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
অবশেষে ফ্যাসিবাদে লাগাম... ছবি, অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটি শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাষ্ট্রের নৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন এবং জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের প্রতি এক প্রতীকী জবাবদিহিতা।
এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে জনগণের ক্ষোভ এবং হাসনাত আব্দুল্লাহদের মতো সংগ্রামী তরুনদের তুমুল আন্দোলন। যখন রাষ্ট্রযন্ত্র দলীয় দখলে বন্দী ছিল, তখন এই গণআন্দোলনই হয়ে উঠেছিল আশার শেষ প্রদীপ। ২০২৪ সালের গণজাগরণ একটি নতুন রাজনৈতিক চেতনার জন্ম দেয়।
আওয়ামী লীগের শাসনকাল ছিল নিপীড়ন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের দীর্ঘ অধ্যায়। বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুট, এবং বিদেশে অর্থপাচার—এসব অভিযোগ কেবল বিরোধী পক্ষের নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও দেশের জনগণের স্পষ্ট ভাষ্য।
এই নিষেধাজ্ঞা কোনো প্রতিশোধ নয়; এটি জনগণের ওপর নিপীড়নের বিচারের সূচনা। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়: ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, এবং একদিন না একদিন জনগণের রায়ই বিজয়ী হয়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের নামে দেশে দলীয় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল—নির্বাচনের নামে প্রহসন, বিচার বিভাগের দলীয়করণ, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ও ভিন্নমতের দমন—এসবই তার প্রমাণ।
এই নিষেধাজ্ঞা হোক সুবিচারের সূচনা, প্রতিহিংসার নয়। অন্তর্বর্তী সরকার যেন একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং জনমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিত্তি গড়ে তোলে। বাংলাদেশের জনগণ বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। এখন সময় এসেছে একটি সত্যিকারের জনগণের রাষ্ট্র গড়ার, যেখানে ক্ষমতা থাকবে জনগণের হাতে—গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষীর নয়।
১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি যাকে পাগলের সুখ বলছেন, তা আসলে জনগণের ন্যায্য প্রত্যাশার প্রতিফলন। ইতিহাস সাক্ষী, অন্যায়ের প্রতিবাদে যারা উঠে দাঁড়ায়, একসময় তারাই বিজয়ী হয়।
২| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
ইয়া আমিন বলেছেন: আপনি স্পষ্ট ও জোরালো ভাষায় একটি রাজনৈতিক সত্যকে তুলে ধরেছেন। লেখাটিতে রাষ্ট্রচিন্তা, নৈতিকতা ও গণআন্দোলনের শক্তি সুচারুভাবে ফুটে উঠেছে। এটি একজন সচেতন নাগরিকের অবস্থান এবং সাহসিকতার পরিচায়ক।
১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উৎসাহজনক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জনগণের পক্ষে সত্য ও ন্যায় তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
৩| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গোয়েন্দা তথ্য আছে যে ঢাকা শহরে ববস্তিগুলোতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জমায়তে হচ্ছে। জুন/জুলাই মাসে বড়ো শো ডাউন হতে পারে। তার জন্য আগে থেকেই কিছুটা লাগাম টেনে ধরেছে।
১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
গোয়েন্দা তথ্য যদি সত্য হয়, তাহলে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের দায়িত্বের অংশ। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় এমন সতর্কতা প্রয়োজনীয়।
৪| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
ইয়া আমিন বলেছেন: সৈয়দ কুতুব ঃ আপনি যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা স্পষ্টতই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অনুমান বা গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ। যদি এটি সত্য হয়, তবে তা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য স্পষ্ট এক সতর্ক সংকেত। সরকার বা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পক্ষে এ ধরনের সম্ভাব্য অস্থিরতা ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া বোধগম্য। তবে "লাগাম টেনে ধরা" যদি হয় পক্ষপাতদুষ্টভাবে কেবল একটি দলকে লক্ষ্য করে, আর বাকিদের ছাড় দেয়—তাহলে সেটা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
নতুন বলেছেন: আয়ামীলীগকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা দরকার ছিলো। কারন এটা অনুসুচনা না করে দেশের বিরুদ্ধে লেগেছে।
কিন্তু সেটা যদি জামাতী শিবিরের গানে স্লোগানে করা হয় সেটা খুবই দুখ:জনক।
১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
আয়ামীলীগকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা দরকার ছিলো। কারন এটা অনুসুচনা না করে দেশের বিরুদ্ধে লেগেছে।
-সহমত। দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্তি চেয়ে পথে নেমেছে। জামাত শিবিরও তাদের সহযোগী হয়েছে।
আচ্ছা, জামাত শিবির বিগত ১৬ বছরে কী পরিমান নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
৬| ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
কথামৃত বলেছেন: ব্লগে এই রকম লেখা এখন আসেই না। ধন্যবাদ
১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখাটি ভালো লাগায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:২৫
মাহফুজ ই এলাহী জামি বলেছেন: আমরা সবাই বিচারের মাধ্যমে লীগের শাস্তি চাই। কিন্তু গতকাল দেখলাম কিছু রাজাকার শাবক স্লোগান দিচ্ছে (গোয়াজমের বাংলায়....)। আরেকদল জাতীয় সংগীত বন্ধ করে দিচ্ছে...!
এদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এদের এইসব ষ্টুপিডটির জন্য লীগ ফেরৎ আসবে।
১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উদ্বেগ যথার্থ—দুষ্কর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি কেউ রাষ্ট্রবিরোধী বা উগ্র আচরণে জড়ায়, তা আন্দোলনের নৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করে। এতে সত্যিই ফ্যাসিবাদীদের ফিরে আসার পথ সহজ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং প্রতিবাদ হোক যুক্তিসংগত, শালীন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে কেন্দ্রিভূত এবং সুনিয়ন্ত্রিত। ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৫
নতুন বলেছেন: আচ্ছা, জামাত শিবির বিগত ১৬ বছরে কী পরিমান নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
যারা ১৯৭১ এর হত্যার দোসরদের আদর্শে বড় হয়েছে এবং তাদের ভক্তি করে। তাদের জন্য কোন কস্ট লাগেনা।
আর জামাত/শিবিরের বাংলাদেশে রাজনিতি করার কোন অধিকার নাই।
আপনি সম্ভবত ১৯৭১ এর হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতনের ঘটনাগুলির কথা শুনেন নাই নতুবা ভুলে গেছেন। মনে থাকলে সেই দলের সমর্থন যারা করে তাদের জন্য করুনা করতেন। এবং সেই আদর্শের অনুসারীদের ঘৃনা করতেন।
১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রথমেই একটি মূলনীতি পরিষ্কার করি—যে কেউ যদি যুদ্ধাপরাধ করে, মানুষ হত্যা, ধর্ষণ বা নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত থাকে—তার বিচার হওয়া উচিত, কঠোরতম আইনের আওতায় আসা উচিত। এটা রাজনৈতিক আদর্শ নয়, এটা মানবতার প্রশ্ন।
তবে প্রশ্নটা যখন "জামাত-শিবির রাজনীতি করতে পারবে কি না?"—তখন বিষয়টা দাঁড়ায় আইনি ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নে। যদি কোনও সংগঠন নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে তারা সংবিধান অনুযায়ী মতপ্রকাশ ও রাজনীতির অধিকার রাখে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় যদি জামায়াত ইসলামী যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে প্রমাণিত হয়, তবে তাদের নিষিদ্ধ করা আইনগতভাবেই সম্ভব। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, ততদিন কেউ তাদের “রাজনীতি করার অধিকার নেই”—এমন মন্তব্য করলে সেটা আইনি ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।
১৯৭১ সালের ইতিহাস আমাদের জাতিসত্তার অংশ। কিন্তু সেই ইতিহাসকে রাজনৈতিক বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করাও উচিত নয়। যারা সত্যিই ৭১ এর অপরাধে যুক্ত ছিল—তাদের বিচারের দাবি করুন, কিন্তু কেবল ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলের সবাইকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে ঘৃণা ছড়ালে—তা ইতিহাসের অপব্যবহার হয়ে যায়।
একটি উদার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ঘৃণার ভিত্তিতে রাজনীতি নয়, যুক্তি, আইন ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে মত প্রকাশ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন।
৯| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭
নতুন বলেছেন: মাহফুজ ই এলাহী জামি বলেছেন: আমরা সবাই বিচারের মাধ্যমে লীগের শাস্তি চাই। কিন্তু গতকাল দেখলাম কিছু রাজাকার শাবক স্লোগান দিচ্ছে (গোয়াজমের বাংলায়....)। আরেকদল জাতীয় সংগীত বন্ধ করে দিচ্ছে...!
এদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এদের এইসব ষ্টুপিডটির জন্য লীগ ফেরৎ আসবে।
বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত বন্ধ করতে বলতেছে যেই সব বরাহ সাবক তারা যদি আয়ামীলীগের নিষেধের পেছনে থাকে তবে বুঝতেই পারছেন সামনে কি ঘটতে যাচ্ছে।
১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
জাতীয় সংগীত প্রশ্নবিদ্ধ করা যেমন দুঃখজনক, তেমনি কারো উসকানিমূলক কথায় পুরো রাজনৈতিক দলকে দায়ী করাও অন্যায়। যারা সত্যিই রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছে, দল নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়াই উচিত। দায়িত্ববান নাগরিক কখনো গুজবে বিভ্রান্ত হয় না, যুক্তি ও প্রমাণের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলে।
১০| ১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৪ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি বারবার এসে মন্তব্য দেখছেন, এটা ভালো—মনোযোগের পরিচয়। তবে যুক্তির নামে যদি শুধু ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে মুসলিম বিশ্বাস ও অনুভূতির অবমাননা হয়, তাহলে সেটা গঠনমূলক আলোচনা নয়, একপেশে বিদ্বেষ। বাস্তবতাকে মেনে নিলে তবেই সঠিকভাবে মানুষকে মানুষ ভাবা সম্ভব হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
পাগলের সুখ মনে মনে।
কিছুদিন পর হাসনাত মাসনাতদের এই দেশের জনগন রাস্তায় ন্যাংটা করে পেটাবে। তখন কি আপনি ঘরে চুপ করে বসে থাকবেন না। অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন।