![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বিশ্বমিডিয়ায় শেখ হাসিনা ও সহযোগীদের দুর্নীতি ফাঁস: একে একে বেরিয়ে আসছে থলের বেড়াল অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের দুর্বৃত্তায়নের থলের বেড়াল একে একে বেরিয়ে আসছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, আল জাজিরা, বিবিসি, South Asian Policy Initiative (SAPI), The New York Times, Hindustan Times, এবং Transparency International UK-এর মতো আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং গবেষণা সংস্থার তদন্তমূলক প্রতিবেদন ও তথ্যচিত্রগুলো এই চক্রের লুটপাট, অর্থপাচার এবং দেশের সম্পদ আত্মসাতের চিত্র অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে। এই প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষ্য বহন করে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্যচিত্র: Bangladesh’s Missing Billions, Stolen in Plain Sight
২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্যচিত্র Bangladesh’s Missing Billions, Stolen in Plain Sight শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার অর্থপাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছে। প্রতিবাদকারী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কীভাবে ওভার-ইনভয়েসিং, আন্ডার-ইনভয়েসিং, হুন্ডি, হাওয়ালা এবং যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি ক্রয়ের মতো পদ্ধতিতে এই অর্থ পাচার করা হয়। এতে শেখ হাসিনার বোনের কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নাম উঠে এসেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো প্রধান জন রিড এবং Spotlight on Corruption-এর ডেপুটি ডিরেক্টর হেলেন টেইলর অর্থপাচারের জটিল প্রক্রিয়া এবং এর পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘটনাকে “বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থ লুণ্ঠন” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তথ্যসূত্র: Bangladesh’s missing billions, stolen in plain sight
আল জাজিরার তথ্যচিত্র: All the Prime Minister’s Men
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার তদন্তমূলক তথ্যচিত্র All the Prime Minister’s Men শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে। এতে সরকারি প্রকল্প, ব্যাংক ঋণ এবং ব্যবসায়িক চুক্তির মাধ্যমে বিপুল অর্থ লুণ্ঠনের তথ্য প্রকাশিত হয়। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর ভূমিকা এবং ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও উঠে আসে। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার পরিবারসহ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিদেশে সম্পত্তি অর্জনের তথ্য ফাঁস হয়। এই তথ্যচিত্র বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সরকারের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। তথ্যসূত্র: All the Prime Minister’s Men
বিবিসির প্রতিবেদন: ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি
২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর বিবিসির তদন্তমূলক প্রতিবেদন শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে আলোকপাত করে। এতে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সরকারের বিশেষ সুবিধা পেয়ে একাধিক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এবং প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এটিকে “বিশ্বের সবচেয়ে পরিকল্পিত ব্যাংক ডাকাতি” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তথ্যসূত্র: What sparked the protests that toppled Bangladesh's PM? , Minister named in Bangladesh corruption probe , আওয়ামী লীগ আমলের অর্থপাচার ও দুর্নীতির যে চিত্র উঠে এসেছে শ্বেতপত্রে
South Asian Policy Initiative (SAPI) এর তথ্যচিত্র: Thieves of Dhaka: A Tale of Grand Corruption in Bangladesh
২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর South Asian Policy Initiative (SAPI) ইউটিউবে প্রকাশিত তথ্যচিত্র Thieves of Dhaka: A Tale of Grand Corruption in Bangladesh শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির বিশ্লেষণ তুলে ধরে। এতে ব্যাংকিং খাত, সরকারি প্রকল্প এবং অর্থপাচারের প্রক্রিয়াগুলোর বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দ্বারা সরকারি সম্পদের অপব্যবহার এবং বিদেশে অর্থ পাচারের নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়। তথ্যচিত্রটি বিশেষভাবে এস আলম গ্রুপ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ভূমিকা এবং তাদের সরকারের সঙ্গে সংযোগের উপর আলোকপাত করে। এটি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দুর্নীতির প্রভাব এবং তা মোকাবিলায় স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
তথ্যসূত্র: The Thieves of Dhaka by South Asia Policy Initiatives SAPI
The New York Times এর প্রতিবেদন: How Bangladesh’s Economy Was Siphoned Dry
২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর The New York Times এর প্রতিবেদন How Bangladesh’s Economy Was Siphoned Dry শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার লুণ্ঠনের তথ্য প্রকাশ করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বরাত দিয়ে বলা হয়, এই অর্থ লুণ্ঠনের পেছনে সরকার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি জটিল আর্থিক নেটওয়ার্ক কাজ করছিল। প্রতিবেদনে এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলমের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়, যিনি শেখ হাসিনার শাসনকালে ব্যাংকিং খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। এই অর্থ ব্যাংক থেকে অপরিশোধিত ঋণ হিসেবে পাচার করা হয়, যা দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছে। অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের মতে, লুণ্ঠিত অর্থের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।
তথ্যসূত্র: How Bangladesh’s Economy Was Siphoned Dry
Hindustan Times এর প্রতিবেদন: Bangladesh Launches $5 Billion Corruption Probe
২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর Hindustan Times এর প্রতিবেদন Bangladesh Launches $5 Billion Corruption Probe Against Sheikh Hasina’s Family শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে আলোকপাত করে। এতে শেখ হাসিনার ছেলে সাজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাইঝি তুলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে এসেছে, যারা রাশিয়ার অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (ACC) এই তদন্ত শুরু করেছে, যা মালয়েশিয়ায় অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গঠিত। তথ্যসূত্র: Bangladesh launches $5 billion corruption probe against Sheikh Hasina's family
Transparency International UK এর প্রতিবেদন: UK Property Investments by Corrupt Bangladeshi Figures
২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি Transparency International UK এর প্রতিবেদন Investigation Finds £400 Million Worth of UK Property Owned by Bangladeshi Investors Accused of Corruption শেখ হাসিনার শাসনামলে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করে। এতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নাম উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সম্পত্তি ক্রয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যাংক, আইনজীবী এবং সম্পত্তি ব্যবসায়ীদের ভূমিকা ছিল, যারা পর্যাপ্ত অর্থপাচার-বিরোধী যাচাই না করে এই লেনদেনে সহায়তা করেছে। তথ্যসূত্র: Returning Bangladesh’s missing billions , Investigation finds £400 million worth of UK property owned by Bangladeshi investors accused of corruption
দুর্নীতির প্রভাব ও শাসনব্যবস্থার ধ্বংস
শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা তাদের অপকর্ম নির্বিঘ্ন করতে দেশে সন্ত্রাস ও খুনখারাবির রাজত্ব কায়েম করেছিল। আইন, আদালত এবং বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। নির্বাচন ও ভোটাভুটিকে প্রহসনে পরিণত করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে মুখ থুবড়ে ফেলেছিল। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ২৪.২১ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় ও অতিমূল্যায়িত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে। এই ১৬ বছরে এই চক্র দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ও পাচার করে অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিচার ও ভবিষ্যৎ শিক্ষা
এই তথ্যচিত্র ও প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই বিপুল অর্থ পুনরুদ্ধার একটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রয়োজন। এই দুর্বৃত্তদের এমন কঠোর বিচার হওয়া উচিত, যা ভবিষ্যৎ ফ্যাসিবাদী শক্তির জন্য চিরস্থায়ী শিক্ষা হিসেবে রয়ে যায়। শুধু অর্থ পুনরুদ্ধার নয়, বরং দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশের জনগণের ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা এখন দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলেরই কর্তব্য।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জেনারেশন একাত্তর,
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন বিশ্বমিডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তখন আপনার চোখে সেটাও নাকি “ইসলামিক মৌলবাদের প্রশংসা”! আসলে এটাই সেই পুরোনো কৌশল—দুর্নীতির প্রশ্ন উঠলেই আলোচনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা।
আমার লেখার মূল বিষয় ছিল শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের ব্যাপক দুর্নীতি, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একের পর এক প্রকাশ পাচ্ছে। এখন এ তথ্যকে ঢাকতে গিয়ে হেফাজত-জামায়াত-শিবির টেনে আনার মানে দাঁড়ায়, দুর্নীতি নিয়ে আপনার বলার কিছু নেই।
বিশ্বমিডিয়া দুর্নীতির দলিল হাজির করছে, তাদের রিপোর্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা। এটাকে “মৌলবাদ প্রচার” বলা মানে হচ্ছে বাস্তবতা অস্বীকার করা। আপনার মতো ফ্যাসিস্টদের অন্ধ ভক্তদের কাছে প্রশ্ন—দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা লুটপাট হয়ে বিদেশে পাচার হবে, আর আমরা মুখ বন্ধ রাখব—এটাই কি গণতন্ত্র?
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
পোষা বানরের জন্য মনিব থাকতে হয়, এসব মিডিয়া বানর পুষছে; আপনার জন্য সুদিন এসেছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
কিছু বলার থাকলে পোস্টের বিষয়ে বলুন। ফালতু কথা শোনার ইচ্ছে নেই। ধান ভানতে শীবের গীত আর ভালো লাগে না।
শেখ হাসিনা ও তার দোসরগণ বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা দেশ থেকে পাচার করেছেন, মিডিয়াগুলো তা প্রমানসহ তুলে ধরছে, এই বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী???
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর কোনভাবেই আওয়ামী বিরোধী কথা শুনতে রাজি নয়। উনি আবার বাকশাল ও রক্ষীবাহিনীর সদস্য।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনি ঠিক বলেছেন। অবস্থা দেখে সেটাই মনে হয়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু বলা হলে—তা যত সত্যই হোক না কেন—উহার আঁতে ঘা লেগে যায়। উহা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু মেনে নিতে পারেন না। উহা সম্ভবতঃ এই ২০২৫ সালে এসেও পুরাতন বাকশালের স্বপ্ন দেখে রোদন করে, হাহাকার করে করে রাতের ঘুম হারাম করে।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা যাতে পাওয়ারে থাকে সেটার পিছে পশচিমারাও ছিলো। ভালো একটা বিরোধি দলের কারনে এতো বছর টিকে গেলেন। ২০১৮ সালের পর কোনোভাবেই শেখ হাসিনার পাওয়ারে থাকা ঠিক হয় নি । ২০১৮-২০২৪ এই সময়কালে বেশি আকাম কুকাম করেছে লিগ ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন সেগুলোর বাস্তবতা রয়েছে। কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিরোধি দল না থাকার কারণে*
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: ৪. ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা যাতে পাওয়ারে থাকে সেটার পিছে পশচিমারাও ছিলো। ভালো একটা বিরোধি দলের কারনে এতো বছর টিকে গেলেন। ২০১৮ সালের পর কোনোভাবেই শেখ হাসিনার পাওয়ারে থাকা ঠিক হয় নি । ২০১৮-২০২৪ এই সময়কালে বেশি আকাম কুকাম করেছে লিগ ।
অবৈধ সরকারের দ্বারা অকাম কুকাম হবে এটাই স্বাভাবিক।শেখ হাসিনা নাকি এগুলো চাননাই।তার দলিয় লোকেরা জোড় করে এগুলো করেছে।
আমার কথা হলো,আপনার সামনে তারা অকাম কুকাম করলো কিভাবে?
অকাম কুকাম দেখেও নিরব থাকা মানে তো অকাম কুকামকে সমর্থন করা।
রাজনীতিতে বিজয়ী যারা ই হবে,তাদের দ্বারা কিছু না কিছু অকাম কুকাম হবেই।কিন্তু তার একটা সীমা বা লিমিট তো থাকা উচিত।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ সুলাইমান ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। আপনি যে বিষয়গুলো তুলেছেন, সেগুলো সত্যিই গভীরভাবে ভাবার মতো। বিশেষ করে, আওয়ামীলীগ এর অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনের শক্তি, দলটির দোসরদের ব্যাপক লুটপাটের পরেও শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্বহীনতা আর সীমাহীন "অকাম কুকাম"-এর প্রসঙ্গগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
চমৎকার বিশ্লেষণ কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করা হলো। আপনার সুচিন্তিত মতামত ভবিষ্যতের আলোচনায় অনেক দিক নির্দেশনা দেবে বলে মনে করি। অনেক অনেক শুভকামনা।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সুলাইমান হোসেন@শেখ হাসিনার চেয়ে তার রিলেটিভেরা বেশি হারামি। শেখ রেহানা , শেখ সেলিম, এগুলো ডাকু মহারাজ। এদের কে কিছু বলা মানে শেখ হাসিনার নিজের লাইফ নিয়ে টানাটানি। তাই খোদ শেখ হাসিনার উচিত ছিলো লিগ থেকে রিজাইন করা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আপনি যে বিষয়গুলো তুলেছেন, সেগুলো সত্যিই বাস্তবতার সাথে মিলে যায় এবং গভীরভাবে ভাবার মতো। সরেজমিনে লুটপাট তো রিলেটিভ মিলেটিভ এরাই করেছে, হাসিনা তো নিজে গিয়ে গিয়ে এসব করেননি, তিনি ছিলেন সকল অপকর্মের নাটের গুরু। তাকে দেখিয়েই সব ডাকাতি আর পাচারকার্যগুলো নির্বিঘ্ন করা হয়েছে। জায়েজ করা হয়েছে।
আপনার সোজাসাপ্টা বিশ্লেষণ ও মতামত ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: সৈয়দ কুতুব ভাই।সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।শেখ হাসিনা মূলত একটা পুতুলের মতো ছিলো।তাকে দিয়ে লুট করেছ দলিয় রাজাকাররা।রাজাকাররা হাসিনার দলে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গিয়ছিলো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ সুলাইমান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। ঠিকই বলেছেন, ক্ষমতার আড়ালে লুটপাট আর পরিচয়ের ভেতরকার দ্বিচারিতা—আপনার বিশ্লেষণ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: এসব খবর দেখলে আজকাল খুব হতাশ লাগে। বিচারতো হচ্ছে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার হতাশা একেবারেই স্বাভাবিক—বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই আমাদের বড় সংকট। কিন্তু এই সময়ে বিচার প্রত্যাশা করা রীতিমত জটিল। এখন কার বিচার? করবেটা কে? একচুয়ালি এখন দেশ কে চালাচ্ছেন? কারা চালাচ্ছেন? ক্ষমতা কার হাতে? আমি সব কথা উম্মুক্ত প্লাটফর্মে বলতে চাচ্ছি না। আশা করি, বাকিটা বুঝে নিবেন।
দেশের প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা, ভালোবাসা মিশ্রিত অনুভূতি এবং পর্যবেক্ষণের জন্য কৃতজ্ঞতা।
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১
মেঘনা বলেছেন: কেউ বলছে ২৩৪ বিলিয়ন আবার কেউ বলছে ১৭ বিলিয়ন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও ৮-১০ মাস খাটাখাটি কইরা কত বিলিয়ন যেন বলছিল। কিন্তু সমস্ত হিসাবই মৌখিক তথ্যের উপরে, কোন গাণিতিক হিসাব নাই। সমস্যাটা এখানেই, এই হিসাব গুলো সবই হাসিনাকে গালি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে, তার অপরাধের শাস্তির জন্য হবে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় মেঘনা, আপনার মূল্যবান পর্যবেক্ষণের জন্য। আপনি একদম ঠিকই বলছেন — ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যার উত্থান-পতন যদি শুধুমাত্র মৌখিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে হয়, তাহলে সেগুলো বিচার বা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কাজে ব্যবহার হওয়া কঠিন; এগুলো শুধু গালি-গরমাগরমি ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
দোষ প্রমাণ করার জন্য গণিতসম্মত হিসাব, স্বতন্ত্র অডিট ও নথিভিত্তিক প্রমাণ থাকা অপরিহার্য। তবে মাথায় রাখতে হবে—লুটেরা-ডাকুরা সচরাচর হিসাব নথিভুক্ত রাখে না; তাই সঠিক চিত্র বের করে আনতে সময় ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। আমরা মনে করি, কোন ব্যক্তি বা মিডিয়ায় প্রচারিত অসংলগ্ন তথ্যের ভিত্তিতে নয়, রাষ্ট্রের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের মত এইসব গুরুতর বিষয়ের বিচার নিশ্চিত করা উচিত স্বচ্ছতা ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
মাথা পাগলা বলেছেন: আপনাদের বয়ানগুলা সবই মৌখিক আর বিশেষজ্ঞদের রাজনৈতিক কৌশলগত মতামতের উপর নির্ভরশীল। জুলাইয়ের পর যে পরিমান টাকা পাচারের কথা শুনেছিলাম তার পরিমান যোগ করলে বাংলাদেশের ১৫ বছরের রিজার্ভ ব্যাংকের টাকার সমান হয়।
এখন তো টাকা পাচার হয় না, তাহলে দেশে টাকার পরিমান বাড়ে না কেন? ইউনুসের আমলে - অভাবে মানুষ সুইসাইড করছে, হাসিনার আমলে এসব হয়েছিলো কি?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় মাথা পাগলা, আপনার প্রশ্ন খুবই যুক্তিযুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ঠিকই বলেছেন যে জুলাই ২০২৪-এর পরবর্তী সময়ে (শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর) বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের পরিমাণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, এবং সেগুলোকে কখনো কখনো বিশেষজ্ঞদের মতামত বা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেখা হয়। আমি এখানে যতটা সম্ভব ডেটা-ভিত্তিক এবং নিরপেক্ষভাবে ব্যাখ্যা করব, যাতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। আমি সাম্প্রতিক রিপোর্ট, সরকারি ডকুমেন্ট এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। চলুন ধাপে ধাপে দেখি-
১. জুলাই ২০২৪-এর পরে আওয়ামীলীগের ১৬/১৭ বছরে পাচারকৃত টাকার পরিমাণ কত বলা হয়েছিল এবং এটি কতটা বাস্তবসম্মত?
আপনি উল্লেখ করেছেন যে জুলাইয়ের পর শোনা পরিমাণ যোগ করলে বাংলাদেশের ১৫ বছরের রিজার্ভ ব্যাংকের টাকার সমান হয়। এটি সত্যিই একটি বড় অভিযোগ, এবং এর পিছনে আছে ইন্টারিম গভর্নমেন্টের (ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন) প্রকাশিত "হোয়াইট পেপার অন দ্য স্টেট অফ দ্য ইকোনমি" (ডিসেম্বর ২০২৪)। এই রিপোর্ট অনুসারে:
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে (২০০৯-২০২৪) বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি টাকা) টাকা পাচার হয়েছে। মোট ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৮ হাজার কোটি ডলার) দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে।
এই পাচারের প্রধান উপায় ছিল: ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের মিসইনভয়েসিং (দাম অতিরিক্ত বা কম দেখানো), ব্যাংক লোনের অপব্যবহার, হুন্ডি সিস্টেম, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং অফশোর কোম্পানি দিয়ে রিয়েল এস্টেট কেনা (যেমন দুবাই, লন্ডন, কানাডা)।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের মতে, বছরে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হতো, যার মধ্যে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এর রিপোর্টও এই পরিমাণকে সমর্থন করে।
এখন, ১৫ বছরের রিজার্ভের সাথে তুলনা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেটা অনুসারে, ২০০৯-২০২৪-এ ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ গড়ে বছরে প্রায় ২৫-৩০ বিলিয়ন ডলার ছিল (মোট ১৫ বছরে ৩৫০-৪০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি)। পাচারের ২৩৪ বিলিয়ন ডলার এর একটা বড় অংশ (প্রায় ৬০%) রিজার্ভের গড় পরিমাণের সমান। এটি অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে, কারণ এই টাকা যদি দেশে থাকতো, তাহলে ইনভেস্টমেন্ট, জব ক্রিয়েশন এবং রিজার্ভ বাড়াতো। কিন্তু এই অনুমানগুলো অডিট-ভিত্তিক নয়, বরং ট্রেড ডেটা, ব্যাংক রেকর্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট থেকে অনুমান করা। ইউনূস সরকার এখন এই টাকা ফেরত আনার জন্য আইন তৈরি করছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছে।
২. এখন টাকা পাচার কমেছে কি না, এবং দেশে টাকার পরিমাণ কেন বাড়ছে না?
হ্যাঁ, জুলাই ২০২৪-এর পর টাকা পাচার অনেকটা থেমে গেছে। ইন্টারিম গভর্নমেন্টের পদক্ষেপ:
ব্যাংকগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন (যেমন ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ইত্যাদি)।
ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) এবং অ্যান্টি-করাপশন কমিশন (এসিসি) দিয়ে তদন্ত।
এক্সচেঞ্জ রেট স্ট্যাবিলাইজ করা (ক্রলিং পেগ সিস্টেম) এবং রেমিট্যান্স ফ্লো বাড়ানো।
কিন্তু দেশে টাকার পরিমাণ (অর্থাৎ অর্থনৈতিক লিকুইডিটি বা মানি সাপ্লাই) কেন বাড়ছে না? এর কয়েকটা কারণ:
পাচারের টাকা ফেরত আসছে না: যে টাকা বাইরে গেছে (যেমন দুবাইয়ে ৫৩২ জনের ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের প্রপার্টি), সেগুলো ফেরত আনতে সময় লাগবে। এখনও শুধু কয়েকশ কোটি টাকা ফ্রিজ বা সিজ করা হয়েছে (যেমন হাসিনার ফ্যামিলির ৬৩৫ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট)। ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক চুক্তি দরকার, যা চলছে।
অর্থনীতির অন্যান্য সমস্যা: পাচার থামলেও, হাসিনা যুগের উত্তরাধিকার আছে—ব্যাংকে নন-পারফর্মিং লোন (ডিফল্ট লোন) ১০ গুণ বেড়েছে (২০১০ থেকে ২০২৪), যা ব্যাংকগুলোকে লোন দেওয়া থেকে বিরত করেছে। রিজার্ভ এখনও কম (২০২৫-এর জুলাই মাসে ২৯.৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১-এর ৪৪.৬ বিলিয়ন থেকে কম)। ইনফ্লেশন ৯-১১% (ফুড ইনফ্লেশন ১৪%), যা দরিদ্রদের কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা: জুলাই বিপ্লবের পর অর্থনীতিতে ৫.২% গ্রোথ (২০২৪-২৫), যা আগের ৫.৮% থেকে কম। রিফর্ম চলছে (যেমন ট্যাক্স সিস্টেম, ব্যাংকিং), কিন্তু ফল পেতে ১-২ বছর লাগবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং আইএমএফ সাহায্য দিচ্ছে, কিন্তু লোনের বোঝা আছে।
সামগ্রিক প্রভাব: পাচার থামলে টাকা বাইরে যাওয়া কমে, কিন্তু দেশের অর্থনীতি 'টুথলেস' (দাঁতহীন) হয়ে গেছে—অর্থাৎ প্রোডাকশন, এক্সপোর্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট কমেছে। উদাহরণ: রেমিট্যান্স বেড়েছে, কিন্তু ইমপোর্ট বিলের জন্য রিজার্ভ কমছে।
সংক্ষেপে, পাচার থামা ভালো, কিন্তু পুরনো ক্ষতি পূরণ করতে সময় লাগবে। যদি এই রিফর্ম চলতে থাকে, তাহলে ২০২৫-২৬-এ ইমপ্রুভমেন্ট দেখা যাবে।
৩. ড. ইউনূসের আমলে মানুষ সুইসাইড করছে কি না, হাসিনার আমলে হয়েছিল কি না?
সুইসাইড একটা সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যা, যা অভাব, মানসিক চাপ, বেকারত্ব, শিক্ষাগত চাপ এবং সামাজিক অস্থিরতার সাথে যুক্ত। বাংলাদেশে সুইসাইড রেট বিশ্বের তুলনায় উচ্চ (প্রতি ১ লক্ষ মানুষে ৬-৯ জন), কিন্তু এটি কোনো নির্দিষ্ট সরকারের আমলে হঠাৎ বাড়েনি বা কমেনি—বরং ধীরে ধীরে বাড়ছে, বিশেষ করে পোস্ট-প্যান্ডেমিক যুগে।
হাসিনার আমলে (২০০৯-২০২৪): সুইসাইড রেট ছিল স্থিতিশীল কিন্তু উচ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, ২০১১ সালে বাংলাদেশে ১৯,৬৯৭ জন সুইসাইড হয়েছে, যা প্রতি ১ লক্ষ মানুষে ৮-১০ জনের হার।barnaly.org ল্যানসেট জার্নালের ২০২৩-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে দিনে গড়ে ৫৬ জন সুইসাইড করেছে (বছরে প্রায় ২০,৪৪০ জন), যা প্রতি ১ লক্ষে ৩+ জনের হার।en.prothomalo.com
কারণ: দারিদ্র্য, কর্মচাপ, মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অভাব, ইনফ্লেশন এবং বেকারত্ব। পোস্ট-প্যান্ডেমিক (২০২২-২৩) স্টুডেন্ট সুইসাইড বেড়েছে—আচল ফাউন্ডেশনের সার্ভে অনুসারে, ২০২২-এ ৪৪৬ জন এবং ২০২৩-এ ৫১৩ জন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী-ছাত্র সুইসাইড করেছে (মোট ৯৫৯ জন, যার মধ্যে ৬১% মেয়ে)।dhakatribune.com
হ্যাঁ, অভাব এবং চাপে অনেক সুইসাইড হয়েছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং মেয়েদের মধ্যে (হ্যাঙ্গিং এবং পয়জনিং সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি)।
ইউনূসের আমলে (২০২৪-২০২৫): সাম্প্রতিক ডেটা সীমিত (২০২৫-এর আগস্ট পর্যন্ত), কিন্তু কোনো প্রমাণ নেই যে সুইসাইড রেট তীব্রভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যাটিসটিকস ব্যুরো এবং সাম্প্রতিক স্টাডি (যেমন ল্যানসেট, ২০২৫) অনুসারে, সামগ্রিক সুইসাইড অ্যাটেম্পট রেট ৪.২৫% (জীবনকালে ৭%), কিন্তু নতুন টোটাল সংখ্যা এখনও পুরোপুরি রিপোর্ট হয়নি।sciencedirect.com, pmc.ncbi.nlm.nih.gov
রাজনৈতিক অস্থিরতা (জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের পর) এবং অর্থনৈতিক চাপ (ইনফ্লেশন, ল অ্যান্ড অর্ডারের অবনতি) মানসিক চাপ বাড়াতে পারে—উদাহরণস্বরূপ, হোমিসাইড (মার্ডার) রেট ২০২৫-এর প্রথম মাসে ২৭% বেড়েছে (জানুয়ারিতে ২৯৪ কেস vs আগের বছর ২৩১), যা পরোক্ষভাবে সুইসাইড ঝুঁকি বাড়াতে পারে।aljazeera.com
তবে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০২৫ রিপোর্ট অনুসারে, হাসিনা যুগের এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স (জোরপূর্বক গুম) কমেছে—ইন্টারিম সরকার আগস্ট ২০২৪-এ একটি কমিশন গঠন করেছে এবং এর মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা নতুন কেস কমাতে সাহায্য করছে।hrw.org
যদি অর্থনীতি না স্থিতিশীল হয়, তাহলে সুইসাইড বাড়ার ঝুঁকি আছে, কিন্তু এখনও কোনো তীব্র বৃদ্ধির সংখ্যাগত প্রমাণ নেই।
উপসংহার: হাসিনার আমলে সুইসাইড হয়েছে অভাব এবং চাপে, ইউনূসের আমলেও চলছে—কিন্তু এটি সিস্টেমিক সমস্যা (মেন্টাল হেলথ সাপোর্টের অভাব, দারিদ্র্য, সামাজিক স্টিগমা)। সরকারকে এখন মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম (যেমন হেল্পলাইন, স্কুল কাউন্সেলিং) বাড়ানো এবং সুইসাইড ডিক্রিমিনালাইজেশন (যাতে ভয় না থাকে রিপোর্ট করতে) দরকার।
মূলকথা, আপনার বয়ানগুলো মৌখিক বলে মনে হলেও, এগুলোর পিছনে ডেটা আছে—কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এগুলোকে ওভার-এস্টিমেট করা হয়। পাচার থামা একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ, কিন্তু অর্থনীতি রিকভার করতে সময় লাগবে। ইউনূস সরকার রিফর্ম করছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জ অনেক।
১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাথা পাগলা বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: এসব খবর দেখলে আজকাল খুব হতাশ লাগে। বিচারতো হচ্ছে না। [/sb
ভেতরের গোপন কথা বেরিয়ে যাবে, তাই হচ্ছে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
পুরো সিস্টেম অকার্যকর করা হয়েছিল। এটি রিফর্ম করতে অনেকটা সময় দিতে হবে। হুট করেই কোন পরিবর্তন আশা করা অর্থহীন।
১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
Spirit বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাইকে। সত্য তুলে ধরার জন্য। এতে জেনারেশন একাত্তর নামের product of indian proxy-এর গায়ে চুলকানি শুরু হলে আমাদের কিছু আসে যায় না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বুঝাই যাচ্ছে, এই পোস্ট দর্শনে উহার পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে। এসব পোস্ট হজম করতে সাংঘাতিক বেগ পেতে হয় উহাকে। আওয়ামীলীগের অপকর্মের ফিরিস্তি দেখলে উহার সাধারণ চেতনা ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। মাথার কাছে ১০০০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে দিলে যে অবস্থা হয়, উহার সম্ভবতঃ সেই অবস্থাই হয়। উহার সাঙ্গপাঙ্গদেরও।
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: আপনি সহ অন্যদের পোস্টে এসে খুব বেশি কথা বলতে পারি না। খুব অল্প সময়ের জন্য ব্লগে আসতে পারি। তাই দুই একটি শব্দ বলে চলে যাই।
শুভকামনা রইল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি সজ্জন ব্যক্তি। আপনার উপস্থিতি সবসময়ই আনন্দদায়ক। পোস্টে হৃদয়ের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন দেখে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ তাআ'লা আপনার ইহকাল এবং পরকালে অধিক কল্যান দান করুন। আপনি যাতে আরও বেশি এখানে বিচরণ করতে পারেন, সেটাও কামনা করি।
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: তবু্ও ওদের ওদের দোসর গং বলবে- এগুলো সাজানো ঘটনা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। আপনি ঠিক বলেছেন। ওরা মিথ্যাচার করবেই। ওদের মিথ্যাচার থামার লক্ষণ দেখা যায় না। ওরা নিজেদের দোষ স্বীকার করতে নারাজ। হাতে নাতে ধরা পড়ার পরেও অস্বীকার করার প্রবনতা ওদের মাঝে ভয়ঙ্কররকমভাবে বেশি।
আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে বিচারের মাধ্যমে প্রমান হোক, কে দোষী আর কে নির্দোষ। আমরা সেটাই দেখতে চাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চাওয়া এখন এই একটাই।
শুভকামনা জানবেন।
১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনারাআ আসলে ম্যাজিক জানেন।
বাক্স খালি, কিন্তু আপনারা খালি বাক্সে হাত দিলেই অনেক কিছু পেয়ে যাচ্ছেন। নাকি নিজেকে শান্ত্বনা দিচ্ছেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় রাজীব নুর,
ধান ভানতে শীবের গীতের দরকার নেই। আওয়ামীলীগের মেগা পাচারের বিষয়ে আপনার পরিষ্কার মতামত দিন। আপনার গুরু আর আপনি তো সবসময়ই আওয়ামীলীগের গুনকীর্তন করেন আর বলে বেড়ান যে, "আওয়ামীলীগ একেবারে ফেরেশতার মত নিষ্পাপ। তারা দুধে ধোয়া তুলসি পাতার মত।"
আপনাদের মিথ্যা বয়ান দেখে মনে হয়, আপনারা হয়তো বলতে চান যে, "চাঁদের কলঙ্ক থাকতে পারে কিন্তু আওয়ামীলীগের কোন কলঙ্ক নেই।"
কথা হচ্ছে, বিশ্বমিডিয়ায় প্রকাশিত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের এসব রিপোর্ট আপনাদের চোখে পড়ে না? না কি, এসব রিপোর্ট সামনে আসলে তখন চোখ বন্ধ করে রাখেন?
১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
লুধুয়া বলেছেন: 238 বিলিয়ন।1 বিলিয়ন কতো হয় জানেন তো?বাংলাদেশ এর টোটাল ফরেইন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে। বাংলাদেশ কি পেট্রোল/সোনার খনি আসে যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার=২৮ লাখ কোটি টাকা পাঁচার হয়ে গেলো। বাংলাদেশ কি টাকা গাছে ধরে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রশ্নের উত্তর আগেই দেওয়া হয়েছে। সম্ভবতঃ পরিমানটা "বিলিয়ন, বিলিয়ন" দেখে আপনার মাথা খানিকটা বিগড়ে গেছে। থাক, আপনি এত বেশি টেনশন নিয়েন না। পাছে আপনাকে নিয়ে আবার ডাক্তারের কাছে যেতে না হয়।
ধন্যবাদ।
১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
লুধুয়া বলেছেন: 238 বিলিয়ন।1 বিলিয়ন কতো হয় জানেন তো?বাংলাদেশ এর টোটাল ফরেইন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে। বাংলাদেশ কি পেট্রোল/সোনার খনি আসে যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার=২৮ লাখ কোটি টাকা পাঁচার হয়ে গেলো। বাংলাদেশ কি টাকা গাছে ধরে।
১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪০
Spirit বলেছেন: হাসিনাপুত্র নমরুদ ওয়াজেদ জয়ের ৬০হাজার কোটি টাকার সম্পদ, পলাতক ভূমি মন্ত্রীর ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ৫০০+ বাড়ি, কানাডার বেগমপাড়া, আওয়ামী বড়নেতা-ছোটনেতা-উপনেতা-পাতিনেতাদের ঘরে ঘরে বস্তার বস্তা টাকা আর দেশ-বিদেশের সম্পদের পাহাড় কি তাহলে মোদি দান-খয়রাত করছে।
ফরেইন রিজার্ভের সাথে পাচারের কী সম্পর্ক? এখানে তো বলা হয় নাই, তারা ফরেইন রিজার্ভের ডলার পাচার করছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সত্য তথ্য যথার্থভাবে তুলে ধরার জন্য। কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা জানবেন।
২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
এই পোস্টে আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরটা দেখলেন না?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
এসব মিডিয়া একই সাথে ইসলামিক মৌলবাদের সুনামও করছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ইসলামিক মৌলবাদের হাতে যাওয়ায় তারা আনন্দিত!
তারা হেফাজত, জামাত, শিবির, এনসিপি, হিজুদের প্রশংসা করছে।