নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমাদের কথা বলতে এসেছি। আমি বাংলাদেশের কথা বলবো।আমি পৃথিবির অবহেলিত মানুষের পক্ষে ।জয় বাংলার প্রতিটি শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। ৭১-এর স্বাধীনতা রক্ষায় জিবন বাজী রেখে লড়াই করে যাবো জিবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে ।\nজয়বাংসা, জয় বঙ্গবন্ধু॥\n

ক্লোন রাফা

আমি নিরপেক্ষ নই । আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

ক্লোন রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭২-এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র ২০২৪-এর অর্জন না

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৩৯


৭২-এর রক্তস্নাত সংবিধান বাতিল করে । নিজেদের আদর্শের সংবিধান রচনা করতে চায় এরা‼️বাংলাদেশের পতাকা বদলে দিতে চায়! বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ভালো লাগেনা এদের!জাতিয় শ্লোগানে গায়ে ফোস্কা পরা প্রজন্ম এই অতি জ্ঞানী প্রাণী গুলো!

এদের প্রিয় শ্লোগান হলো, তুমি আমি সবাই রাজাকার, পাকিস্তান পায়েন্দাবাদের আদলে বাংলাদেশ পায়েন্দাবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়‼️রাষ্ট্র কাঠামো তালেবানি গুহায় নিয়ে যেতে চাওয়া হিংস্র গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার এরা!

এদের এতটাই দুঃসাহস ৭১-এর প্রক্লোমেশনের যায়গায় ২০২৪/এর লাল বিপ্লবকে প্রতিস্থাপন করার স্পর্ধা দেখায় ‼️৩০লক্ষ শহীদের এক সাগর রক্তের অবমাননা করাকে সমর্থন করে । ৩ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম নিয়ে ফান করতে চায়! বিজয় দিবস পালন করে পাকিস্তানি নর্তক নর্তকীদের নিয়ে উপহাসে । কোন কোটায় পাকিস্তানি গায়ক/গায়িকা আসে !আমাদের কোন মেধাবী শিল্পী নেই । কি প্রমান করতে চায় এরা⁉️

বাংলাদেশের ‘ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’। লিপিবদ্ধ করা আছে আমাদের সংবিধানে । যদি নতুন কোন ঘোষণাপত্র কিংবা সংবিধান রচনা করতে হয় । তাহলে কোন ভুখন্ড দখল করে । নতুন মানচিত্রের সৃষ্টি করে । জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা । যা যা দরকার তারা করুক । ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। এই মাটি আমার পুর্ব পুরুষের রক্তে রঞ্জিত । আমার মত শত সহস্র কোটি মানুষের আপন জনের ত‍্যাগের বিনিময়ে অর্জিত ।যদি প্রয়োজন হয় আমারা আমাদের রক্ত দিয়ে তা রক্ষা করবো ইংশাআল্লাহ্।



বাংলাদেশের মাটিতে পরাজিত হায়েনাদের কোন স্থান নেই। পরাজিত অপশক্তির আদর্শ ধারন করা নব‍্য রাজাকারদের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবেনা। এই ব‍্যাপারে কোন আপোষ নাই। সর্বশক্তিমান আমাদের সহায় ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ॥

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরা এমনিতেই বিতর্কিত হয়ে পড়েছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

ক্লোন রাফা বলেছেন: এই অপদার্থ সমন্বয়করা,জামাত/শিবিরের সমর্থনে নতুন সংবিধান চায়। এদের ধারণা শুধু ছাত্রলীগ আর আওয়ামী লীগই আছে ৭১ -এর পক্ষে‼️ বাংলাদেশের ৭০% মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভাবে। ৩০% মানুষ স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। তাদের পরবর্তী প্রজন্মই এরা ।
ধন্যবাদ,সৈ.কুতুব প্রথম মন্তব্যে।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২১

কামাল১৮ বলেছেন: ৭১ রে একবার যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি,প্রয়োজনে রক্ষা করতে আবার যুদ্ধে যাবো।তবু শকুনের হাতে ছেড়ে দিবনা মাতৃভূমিকে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩২

ক্লোন রাফা বলেছেন: এবারের লড়াই হবে কঠিন এবং বুদ্ধিদীপ্তভাবে এগিয়ে যাওয়া খুব বেশি প্রয়োজন ॥

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: এরা ঠিক কি চায় পরিস্কার ছিলাম না । আস্তে ধীরে এখন পরিস্কার হচ্ছে এদের উদ্দেশ্য । কুলাঙ্গার গুলারে জেল খানায় ঢুকাইয়া দেওয়া দরকার ।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের মেধাবী শিল্পী আছে তো। ফ্যাসিস্ট সমর্থক শমী কায়সার, রিয়াজ, ফেরদৌস, মমতাজ, অপু বিশ্বাস, শাকিব খান, সুবর্ণা মোস্তফা, চঞ্চল চৌধুরী, মাহিয়া মাহি, তারিন প্রমুখ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: আপনাদের মেধাবী এরা অবশ্যই না। আপনাদের মেধাবী গ্রুপ হইলো শিবিরের সাইমুম গ্রুপ। আরএকটু উন্নত মানের হইলে হিরো আলম কিংবা আসিফ আকবর।।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১০

বাকপ্রবাস বলেছেন: গণমানুষের রাষ্ট্রবিধান কি সোনার পাথরবাটি?

তরিকুল হুদা

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৩১

আমাদের রাষ্ট্রবিধান বা সংবিধান রাষ্ট্র ও নাগরিকের সুসম্পর্কের মূলনীতি হওয়ার পরিবর্তে বিষাক্ততার খতিয়ানে পরিণত হলো কীভাবে, তার উত্তর খুঁজতে হলে উজানে তাকাতে হবে। মুসলিমবিদ্বেষী মোদি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের বাবা বিখ্যাত নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞ কৃষ্ণস্বামী সুব্রামানিয়াম ১৯৭১ সালে ইন্ডিয়াকে আক্রমণাত্মক হতে তাগাদা দিয়েছিলেন। অভিযানের ন্যায্যতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে সক্রিয় ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর আস্থাবান ব্যারিস্টার সুব্রত রায় চৌধুরী, যিনি সম্পাদনা করেন ৭১-এর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। মুসাবিদাকারীর তালিকায় ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, এমনকি বিএসএফের আইনবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা কর্নেল এনএস বেswইন্সও আছেন। ঘোষণাপত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের ভিত্তি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। কিন্তু পাকিস্তানের সংবিধান সভায় গৃহীত অবজেকটিভ রেজল্যুশনের প্রস্তাব সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়, কারণ সেই প্রস্তাবে প্রথমে মহান আল্লাহর সর্বময় সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হয়েছিল। সভার সদস্যদের ভেতর অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের। ফলে মুসলিম ভূমিতে মুসলিম আত্মসত্তা বাস্তব রাজনৈতিক রূপ লাভ করে। পাকিস্তানের সংবিধান ছিল মর্যাদাগত দিকে ইসলামি, কাঠামোগতভাবে আধুনিক রিপাবলিকান, কার্যকারিতায় ইসলামি অগ্রগণ্যতাসম্পন্ন গণতান্ত্রিক।

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের সেতু হিসেবে ৭১-এর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে উপযোগী করাই ছিল নিরাপত্তা স্বার্থে ইন্দিরা গান্ধীর আস্থাভাজন ব্যারিস্টার সুব্রত চৌধুরীর মূল মিশন। ১৯৭২ সালের সংবিধান সম্পূর্ণ অর্থে ৭১-এর ঘোষণারই প্রতিফলন। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার হলো সেই ত্রিভুজের তিন বাহুর সমাহার, যাকে সেক্যুলারিজম বলে। এর অন্যতম অর্থ সব ধর্ম সমান। ধর্মকে রাজনীতিতে না টানলেই এমন আন্তঃধর্মীয় সাম্যাবস্থা বিরাজ করবে। তাই সাম্যাবস্থার খাতিরে ধর্ম বরং ব্যক্তিগত পরিসরেই শ্রেয়। ‘সাম্য’ ধারণার উৎস ফরাসি বিপ্লব। ফরাসি বিপ্লবের অন্যতম স্থপতি বিপ্লবী কামি ডেমুলাঁ এক ভাষণে লিবার্টি-ইক্যুয়ালিটি- ফ্রেটার্নিটি ধারণাত্রয় উল্লেখ করেছিলেন। পরে ডেমুলাঁর বন্ধু বিখ্যাত বিপ্লবী ম্যাক্সিমিলিয়া রবিস্পিয়া শব্দগুলোকে জনপ্রিয় করে তোলেন। আবার আমরা ১৯৫০ সালে ভিমরাও রামজি আম্বেদকারের খসড়া করা ইন্ডিয়ার সংবিধানে সরাসরি ‘সাম্য’ ধারণা পাই, যিনি ফরাসি বিপ্লবের সুরে বলেছিলেন, ‘I like the religion that teaches liberty, equality, and fraternity।’

কাজেই ৭১-এ মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঘোষণা বাদ দিয়ে নিছকই সাম্য, মানবিক মর্যাদার ধারণার ভিত্তিতে স্বাধীনতার ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল, সেক্যুলার রিপাবলিকানিজমকে ইসলামের আয়ত্তে রাখার জনগণের ম্যান্ডেডপ্রাপ্ত বন্দোবস্ত খারিজ করে, সমগ্র ও পূর্ণমাত্রায় ফরাসি বা ইন্ডিয়ার কায়দায় সেক্যুলারিজমের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামি রাজনৈতিকতাকে উচ্ছেদ করা। অতএব এর অবশ্যম্ভাবী ফলাফল ও বিকশিত রূপ হলো ৭২-এর সংবিধান। কারণ এই ক্ষমতার প্রয়োগেই নিষিদ্ধ করা হলো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। ইতিহাসের এই স্পষ্ট সত্য উপেক্ষা বা গোপন রাখার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে আইনগতভাবেই নিষিদ্ধ রাখতে চান, তারা যেকোনো মূল্যে ৭২-এর সংবিধান বহাল রাখতে চান। উনারাই ‘ব্যাড সেক্যুলার’। অন্যরা চান সরাসরি ‘সেক্যুলার’ শব্দ ব্যবহার ছাড়াই এর উপাদান ‘সাম্য’, ‘মানবিক মর্যাদা’, ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’কে সংবিধানের মূলনীতিতে পরিণত করার মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আধিপত্য তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করতে। উনাদের ভাষায়, ৭১-এর ঘোষণায় সেক্যুলারিজম ছিল না, কিন্তু ৭২-এর সংবিধানে আছে। কাজেই ৭১-এর ঘোষণা অনুযায়ী নয়া সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। এভাবে তারা ভাষাগত শঠতার মাধ্যমে ইসলাম ও রাজনীতির কৃত্রিম ফারাক বহাল রাখতে চান।

৪৭-এ উপনিবেশ বিদায় হলেও ঔপনিবেশিকতা রয়ে যায় রাষ্ট্রব্যবস্থার অভ্যন্তরে। পাকিস্তান আধুনিক ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার ভেতর দিয়ে উপনিবেশী ক্ষমতার বি-উপনিবেশীকরণে সচেষ্ট হয়। কিন্তু ইন্ডিয়া মোটামুটি সার্বিকভাবেই ইউরোপীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আবার লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক মুসলিম ভূমি ও ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা সত্তাগতভাবেই ইন্ডিয়ার ব্রাহ্মণ্যবাদী রাষ্ট্রচিন্তার বিরোধী। আধিপত্য খর্ব হওয়ার আশঙ্কায় ইন্ডিয়া স্বাভাবিকভাবেই চাইবে না নতুন বাংলাদেশ ১৯৪৭-এর ইসলামি রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তিতে হোক। এরই প্রমাণ ৭১-এর ঘোষণাপত্র, যা পর্যায়ক্রমে রূপ নেয় ৭২-এর সংবিধানে। এটাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মাহেন্দ্রক্ষণে তৈরি হওয়া মৌলিক সংকট, যার ফলাফল ইসলাম বনাম সেক্যুলারিজম দ্বন্দ্ব। কিন্তু এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা কীভাবে?

ইতিহাসে এই দ্বন্দ্বের স্বতঃস্ফূর্ত জাতীয় মীমাংসা ও ফয়সালার নজির আছে। ৪৭-এর অর্জনকে প্রগতির পরিপন্থী ভেবে নয়া আধুনিক সেক্যুলার মধ্যবিত্ত ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ৭১-এর ঘোষণাপত্রকে গ্রহণ করেছিল। অথচ আবুল মনসুর আহমেদ মতো অনেকেই মনে করতেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা খুবই ন্যায্য কিন্তু এতে লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক ৪৭-এর চেতনার কোনোই হেরফের ঘটেনি। ৭১ কোনো অর্থেই ৪৭-এর এন্টি থিসিস নয়। এক পাকিস্তানের জায়গায়, এখন দুই পাকিস্তান তৈরি হয়েছে। অবশ্যই বলতে হবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা। যিনি সংবিধানের মূলনীতিতে না রেখেছেন সেক্যুলারিজম, না রেখেছেন সাম্য-মানবিক মর্যাদা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদভিত্তিক সংবিধানের মূলনীতির অংশে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ঈমান’ স্থাপন করায় এবং সেক্যুলারিজম অথবা সেক্যুলারিজম সমার্থক যেকোনো ধারণা মূলনীতি থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে সরকার পরিচালনা এবং নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে আবার সেই ধারণাগুলো যথাযথভাবে সন্নিবেশিতও হয়। এ কারণেই ইসলামি আত্মচৈতন্যভিত্তিক রাজনীতি আবারও বিকশিত হতে পেরেছিল, যা অনিবার্যভাবেই ইন্ডিয়াকে বিব্রত ও বিচলিত করেছিল। যার ফলেই হয়তো প্রাণ দিতে হয়েছিল শহীদ জিয়াকে।

এরপর আমরা দেখি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে আবারও ৭১-৭২-এর ইসলামি রাজনীতিবিরোধী প্রকল্পে যুক্ত করা হয়। এর স্পষ্ট প্রভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। আমরা ইন্ডিয়ার প্রভাবের নানা দিক উল্লেখ করলেও সাংবিধানিক ক্ষমতার কেন্দ্রে কীভাবে ইন্ডিয়ার আধিপত্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে, তা লক্ষ করি না। এখানেই রাষ্ট্রের অর্গানিক ক্রাইসিস বা মর্মব্যাধি নিহিত। আজকে পুনর্লিখন নাকি পরিবর্তন এমন হঠকারী বিতর্ক তৈরি হয় এই সংকটকে আড়ালে রেখেই। বিদ্যমান সংবিধানে ইন্ডিয়ার সংবিধানের বেসিক প্রিন্সিপালের নকল করে এমন ধারা সন্নিবেশিত হয়েছে, যাতে মূলনীতি পরিবর্তন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেই বিশাল পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে, তাকে বিপ্লবে পরিণত করতে হলে অবশ্যই আমাদের জনগণের নয়া সংবিধান বা রাষ্ট্রবিধান রচনা করতে হবে। কাজেই জনগণের সংবিধান সোনার পাথরবাটি নয়, জনগণেরই স্বতঃস্ফূর্ততার বাস্তব প্রকাশ। আল্লাহপাক আমাদের সেই তৌফিক দান করুন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬

ক্লোন রাফা বলেছেন: আপনার মাথা কি ঠিক আছে ⁉️যখন কোনো বিপ্লব কিংবা গণঅভ্যুত্থান হয় ।সেটা কি সাংবিধানিক নিয়ম মেনে হয়? সংবিধান ভায়োলেট করেই এগুলো হয়। সংবিধানে তো ১৫ই আগস্টের হত্যার দায়মুক্তি দিয়েছিলো । কিন্তু শেখহাসিনা সেই সংবিধানের মূল ভিত্তি থেকেই বিচার করেছে।
সংবিধান হাতের মোয়া না প্রতি আন্দোলনে একটি করে লেখা হবে! তাহলে ৭৫ সালে ১টা ৮১ সালে ১টা ৯০ সালে ১টা ৯৬ সালে ১টা ২০০৮ সালে এবং ২৪শে আরেকটা হবে । মামার বাড়ির আবদার আর কি! জামাত আর জঙ্গিরা পরিবর্তন চাইবে স্বাভাবিক কারণ এই সংবিধানে তাদের কোনো অধিকার নাই। আপনার সমস্যা ভারতের সাথে মিল কেনো এখানে মনে হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ভারতে কখনো সামরিক শাসন নেই ।এবং নির্বাচন নিয়েও কোন ঝামেলা নেই । আমরাও ঠিক তেমনি তো চাই‼️

কাজেই আপনার কোনো যুক্তি ধোপে টেকে না ।
এরপরে কমেন্ট করবেন পোষ্টের বিষয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে ।

ধন্যবাদ,বাঁকা প্রকাশ॥

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরো সংবিধান পাল্টাতে চাচ্ছে ছাত্ররা। আমার সংবিধান সম্পর্কে তেমন ধারণা নাই। তাই এটার বিপক্ষেই ছিলাম এতদিন। কিন্তু গতকাল পিনাকির একটা ভিডিও দেখে ধাক্কা খেলাম। ভিডিওটা দেখার পরে মনে হল সংবিধানে কিছু জায়গায় এমন কিছু বলা আছে যে, তাতে স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা এবং চালিয়ে যাওয়া সহজ হয়। অনেক গাল ভরা কথা থাকলেও সকল ক্ষমতা আসলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। দলের বিরুদ্ধে কোন এম পি কথা বললে সে এম পি পদ হারাবে। কিছু কথা এসেছে ১৯৫৬ সালের আয়ুব খানের নির্দেশে যেন স্বৈরাচার চালিয়ে নেয়া যায়। আরও কিছু কথা ঢোকানো হয়েছে যেন আম জনতাকে ছাগলের বাচ্চা বানানো যায়। হয়তো এই কারণেই বিএনপি চায় না সংবিধান পরিবর্তন করা হউক। ভিডিও লিঙ্ক নীচে দিলাম। তবে এই বিষয়ে বেশী কিছু জানি না তাই চূড়ান্ত কোন কথা বলতে পাড়ছি না।

সংবিধান কেন পাল্টানো দরকার

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪১

ক্লোন রাফা বলেছেন: স্বৈরাচারী হোতে হলে সংবিধানের প্রয়োজন নেই । কোন সংবিধানের দোহাই দিয়ে বঙ্গবন্ধু’কে হত‍্যা করা হয়েছিলো!সংবিধান নয় আমাদের হত‍্যার রাজনীতি, ধ্বংসের রাজনীতি, নিশ্চিহ্নের রাজনীতি স্বৈরাচার বানাতে বাধ্য করে ।২১শে আগস্টের ঘটনা আজকের শেখ হাসিনা সৃষ্টি’তে ভুমিকা রেখেছে ।
পিংকি ভট্ট একজন প্রকৃত দেশদ্রোহী। এই কুলাঙ্গার স্ববিরোধিতায় লিপ্ত ক্রিমিনাল। ডাক্তার হয়ে আটার গুঁড়া দিয়ে ঔষধ বানিয়ে বাঙালিদের হত্যা করেছে ।সেই কারনে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে । সেখানে গুজবের ফ‍্যাক্টরি খুলে জামাত/শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে ‼️
সরল স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে লেখা পড়া করুন। সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে ।
ধন্যবাদ,সা.৭৪

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: বাকশাল জিন্দাবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: বাকশালের পুরো ফর্মেশন বলেন দেখি। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে কোন লাভ হয় কি‼️

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।
সারজিস, হাসনাত এরা মূলত ছাগল। জাস্ট ছাগল।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: জাস্ট ফ্রেন্ডের মত জাস্ট ছাগল। তারা জাস্ট ছাগল না। তারা প্রকৃত পক্ষেই পাকিস্তানি পাঠা জাতিয় ছাগল ।
ধন্যবাদ, রা.নুর॥

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৮

Ruhin বলেছেন: কিন্তু পাকিস্তানের সংবিধান সভায় গৃহীত অবজেকটিভ রেজল্যুশনের প্রস্তাব সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়, কারণ সেই প্রস্তাবে প্রথমে মহান আল্লাহর সর্বময় সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হয়েছিল। সভার সদস্যদের ভেতর অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের। ফলে মুসলিম ভূমিতে মুসলিম আত্মসত্তা বাস্তব রাজনৈতিক রূপ লাভ করে। পাকিস্তানের সংবিধান ছিল মর্যাদাগত দিকে ইসলামি, কাঠামোগতভাবে আধুনিক রিপাবলিকান, কার্যকারিতায় ইসলামি অগ্রগণ্যতাসম্পন্ন গণতান্ত্রিক
কাজেই ৭১-এ মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঘোষণা বাদ দিয়ে নিছকই সাম্য, মানবিক মর্যাদার ধারণার ভিত্তিতে স্বাধীনতার ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল, সেক্যুলার রিপাবলিকানিজমকে ইসলামের আয়ত্তে রাখার জনগণের ম্যান্ডেডপ্রাপ্ত বন্দোবস্ত খারিজ করে, সমগ্র ও পূর্ণমাত্রায় ফরাসি বা ইন্ডিয়ার কায়দায় সেক্যুলারিজমের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামি রাজনৈতিকতাকে উচ্ছেদ করা। অতএব এর অবশ্যম্ভাবী ফলাফল ও বিকশিত রূপ হলো ৭২-এর সংবিধান। কারণ এই ক্ষমতার প্রয়োগেই নিষিদ্ধ করা হলো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি।


ভাই,এত কিছু যে লিখলেন, তখনকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর অবস্থা জানেন? । তখন সোভিয়েত পন্থী দেশগুলো কট্টর স্যাকুলার ও পশ্চিমা সংস্কৃতির ছিল । মিশর, সিরিয়া,ইরাক,ইরান, লেবানন যেগুলো‌ই বলেন না কেন,ঐসব দেশেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল পুরোপুরি। আর তখন ঐসব দেশ তখন অনেক উন্নত ও ছিল । এজন্য ওই মডেল গ্রহণ করতে চেয়েছে। তখন ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অনেক বেশি পশ্চিমা সংস্কৃতির ছিল । মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের স্ত্রী,মা,বোন,মেয়ে থেকে শুরু করে সাধারণ মেয়েরাও মিনি স্কার্ট পড়তো , অথচ ভারত উপমহাদেশ তখন প্রচন্ড রক্ষনশীল ছিল । তখনকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো গুটিকয়েক ছাড়া সবগুলোই স্যাকুলার ও পশ্চিমা সংস্কৃতির ছিল । আর বাংলাদেশ শুধু নামে স্যাকুলারিজম ছিল, পশ্চিমা সংস্কৃতির কালচার , ড্রেস ১% প্রভাব‌ও বাংলাদেশে ছিলনা ,এমনকি ভারত, পাকিস্তানে ছিলনা । যা মধ্যপ্রাচ্যে একেবারে কমন বিষয় ছিল ১৯৪০-৮০ দশক পর্যন্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.