নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে.....

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪

কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত" (প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে).....

আমার এলাকার মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ করতে চেষ্টা করি। তবে দীর্ঘ বছরের অভ্যাসমতো আমি জুমা নামাজ আদায় করি বিভিন্ন মসজিদে। আমাদের মসজিদের নিয়মিত খতিব এবং ইমাম মাওলানা মাহাবুবুর রহমান সাহেব দুই সপ্তাহ জুমার নামাযে ইমামতী করেন গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে। যেহেতু আমি জুমা নামাজে আমাদের মসজিদে নিয়মিত নই, তাই মাওলানা মাহাবুবুর রহমান সাহেবের সাথে জুমা নামাজ আদায় করার সুযোগ তেমন হয় না। ছয় জুমা পর আজ মাওলানা মাহাবুবুর রহমান সাহেবের ইমামতীতে নামাজ আদায় করতে পেরেছি।

আজ তিনি "কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত"- আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এই আয়াতটি কোরআনের সূরা আল-ইমরান (১৮৫ নম্বর আয়াত) এবং সূরা আল-আম্বিয়া (৩৫ নম্বর আয়াত) সহ বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতটির মাধ্যমে জীবনের নশ্বরতা এবং মৃত্যুর অনিবার্যতা সম্পর্কে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। আয়াতটির প্রসঙ্গ ও তাৎপর্যঃ

(১) জীবনের নশ্বরতাঃ
এই আয়াত আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। ক্ষমতা, ধন-সম্পদ, সৌন্দর্য কিংবা খ্যাতি কিছুই স্থায়ী নয়। মানুষ যত বড়ই হোক না কেন, মৃত্যুর কাছে সবার সমাপ্তি ঘটবেই।

(২) আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনঃ
কুরআনের অন্য আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেখা যায়, মৃত্যুর পর সবাইকে আল্লাহর দরবারে ফিরে যেতে হবে। সেখানে মানুষকে তার জীবনের কর্মের হিসাব দিতে হবে। অর্থাৎ, মৃত্যু কোনো সমাপ্তি নয়, বরং এক নতুন যাত্রার শুরু।

(৩) অহংকার বর্জনঃ
যারা ধন-সম্পদ, পদ-মর্যাদা বা ক্ষমতা নিয়ে অহংকার করে, তাদের জন্য এটি এক কঠিন সতর্কবাণী। মৃত্যুর সময় সবকিছু পেছনে পড়ে থাকবে। মানুষের সাথে যাবে শুধু তার সৎকর্ম বা অসৎকর্ম।

(৪) কর্ম ও পরিণতিঃ
এই আয়াতের মূল বার্তা হলো- মানুষ যা করে, তারই প্রতিফল সে পরকালে ভোগ করবে। তাই দুনিয়ার প্রতিটি কাজকেই বিবেচনা করে করতে হবে, কারণ মৃত্যুর পর সংশোধনের সুযোগ আর নেই।

“কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত” শুধু একটি আয়াত নয়; এটি মানব জীবনের চিরন্তন সত্য। যা জীবনের বাস্তবতা এবং মৃত্যুর অনিবার্যতা উপলব্ধি করতে শেখায়। মৃত্যু সবকিছুর সীমারেখা টেনে দেয়, আর মানুষকে মনে করিয়ে দেয়- এই দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা, আর আসল জীবন হলো আখেরাত। তাই আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য হলো মৃত্যুর আগে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ব্যয় করা।

মানুষের মৃত্যু অবধারিত- এটাই জীবনের নির্মম সত্য। কিন্তু সেই মৃত্যু কবে, কোথায়, কীভাবে আসবে- তা জানার ক্ষমতা কারও নেই। তাই মৃত্যু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, বরং মৃত্যুর চিন্তা মাথায় রেখে আমাদের উচিত পরোকালের কথা ভেবে ইহকালের প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্যবান করে তোলা, নিজেকে পরিশুদ্ধ করে প্রাণীকুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যের জীবনে আলো জ্বালিয়ে যাওয়া। কারণ শেষ নিশ্বাসের আগে আমরা যে ভালো কাজগুলো রেখে যাবো, সেটাই হবে আমাদের প্রকৃত পরিচয় ও অমরত্বের পথ।

আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমীন।

(ইমাম সাহেবের বক্তব্য ফোনে রেকর্ড করে নিয়েছিলাম। আরবি বাক্যগুলো বাদ দিয়ে নিজের মতো লিখেছি)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



এটা আজকে ১ম শুনলাম! আরবীতে যখন বলা হয়েছে, ইহা সত্য হতে পারে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: তুই শুনবি কিভাবে, এগুলো তো মানুষের জন্য। তোর মতো দ্বিপদী জানোয়ারদের জন্য নয়।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি জানাতে মানব জাতি ইহা বুঝতে পারলো।
এসব গার্বেজ কি মানুষ জানে না? ইহা কি ব্লগের বিষয়?

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: কুত্তারও মানসম্মান থাকে, কিন্তু তোর নাই। থাকবে কি করে- তোরতো জন্ম পরিচয় নাই।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেফতার সন্ত্রাস দমন আইনে সমর্থন করেন? ৮৭ বছর বয়সে উনার পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র করা কতটা সম্ভব? ৫ই আগস্টের পর যদি কোনো অভিযোগ থাকত, তখন তো তাকে গ্রেফতার করা যেত। তাহলে এভাবে মব করে কেন গ্রেফতার করা হলো?

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্লগের রামছাগলটার মতো কোন পোস্টে, কোথায় কি প্রশ্ন করতে হয় তাও শিখেননি।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: হুম মৃত্যু চিরন্তন সত্য

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সুবহানআল্লাহ! খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা। আপনি ফোনে জুমুআর খুতবা পূর্ব আলোচনা ধারণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে মৃত্যু অনিবার্য—এই বাস্তবতা আমাদের অহংকার ভেঙে আল্লাহর দিকে ফিরতে শেখায়। সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তাওফিক দিন। আমীন।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেকের দেখাদেখি আমিও কয়েক বছর যাবত ফোনে বয়ান / খুতবা রেকর্ড করি।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ঢাকার লোক বলেছেন: উল্লেখিত অংশটুকু আয়াতের প্রথম অংশ, বাকি অংশও এরই সাথে সম্পর্কিত এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, পুরো আয়াতটুকু নিচে দিলাম, কেউ জানতে চাইলে,
"প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে পরিপূর্ণ বদলা দেয়া হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফল। আর দুনিয়ার জীবন ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়।" (আল ইমরান :১৮৫)

৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৫:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কথামৃত বলেছেন:

আপনার উল্লেখিত বাক্যাংশটি হলো

كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ

উচ্চারণঃ কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত। অর্থ:প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।

এটি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত। এটি সূরা আল-ইমরান (সূরা নং ৩), আয়াত নং ১৮৫-এ অবস্থিত। আয়াতটির পূর্ণাংশ হলো:

كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ

বাংলা অনুবাদঃ "প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।আর কিয়ামতের দিনই তোমাদেরকে পুরোপুরি প্রতিদান দেওয়া হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই সফলকাম হয়েছে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার সামগ্রীমাত্র।"

আয়াতের তাৎপর্য ও শিক্ষাঃ

১. মৃত্যুর সার্বজনীনতাঃ এই আয়াতটি একটি চিরন্তন সত্যের কথা বলেছে—মৃত্যু是一切 জীবনের অপরিহার্য পরিণতি। ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, কারোই মৃত্যু থেকে রেহাই নেই।

২. পরকালের প্রতি বিশ্বাসঃ আয়াতটি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে প্রকৃত প্রতিদান বা ফলাফল দেওয়া হবে পরকালেই (কিয়ামতের দিন)। এ দুনিয়া কেবলই একটি পরীক্ষাস্থল এবং ক্ষণস্থায়ী জীবনের স্থান।

৩. সফলতার সংজ্ঞাঃ প্রকৃত সফলতা হলো জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করা। দুনিয়াবি সম্পদ, পদমর্যাদা বা সাফল্য প্রকৃত সাফল্য নয়; বরং তা 'মাতাউল গুরুর' বা 'প্রতারণার সামগ্রী'।

৪. জীবনের প্রকৃত লক্ষ্যঃ এই আয়াত মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে দুনিয়ার জীবনই চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। এর পিছনে ছুটতে গিয়ে যেন মানুষ আখিরাত কে ভুলে না যায়। এটি মানুষকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলতে এবং পরকালের জন্য প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করে।

এই আয়াতটি মানুষের জন্য একটি গভীর চিন্তা ও introspection (আত্মসমালোচনা)-এর উপলক্ষ্য তৈরি করে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৫:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার! গুগলে পেয়েছেন?

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

ঢাকার লোক বলেছেন: জুল ভার্ন আর জেনারেশন ৭১, আপনারা কি বাল্যবন্ধু, দোস্ত ? বেশ তুই তোকারি চলছে দেখছি ! ;) ;)

৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৫:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.