| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের শোকগাঁথা: পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়।
------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ নাম শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়, এটি এক জাতির জন্ম, ত্যাগ, রক্ত ও বেদনার ইতিহাস। পৃথিবীর রাজনীতিতে এমন কোনো দলের উদাহরণ বিরল, যারা বারবার নেতৃত্বহীনতা, হত্যাযজ্ঞ ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েও জনগণের বিশ্বাস হারায়নি। আওয়ামী লীগের শোক তাই শুধু দলের নয়, এটি সমগ্র জাতির এক অনন্য অধ্যায়।
১৯৭১: রক্ত ও ত্যাগে গড়া স্বাধীনতা।
--------------------------------------
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি পৃথিবীর ইতিহাসে এক ভয়াল অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল, সেই স্বপ্নের বীজতলা সিক্ত হয়েছিল রক্তে ও অশ্রুতে।
১৯৭৫: জাতির পিতার স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ড।
-----------------------------------------------
স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পর, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে। এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারের নয়, বরং গোটা জাতির বিবেককে রক্তাক্ত করে দেয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল, যেখানে স্বাধীনতার মহানায়ক নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন।
৩ নভেম্বর: জেল হত্যাকাণ্ড বিশ্বে নজিরবিহীন।
-----------------------------------------------
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর বন্দি অবস্থায় জাতির চার নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান কে গুলি ও বেয়োনেট দিয়ে হত্যা করা হয়। একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের এই চার শীর্ষ নেতাকে রাষ্ট্রীয় বন্দিশালায় হত্যা করা মানব ইতিহাসের এক জঘন্যতম অধ্যায়। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের রাজনীতিতে এরকম নৃশংসতা দেখা যায়নি।
২১ আগস্ট: গ্রেনেড হামলা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের চূড়ান্ত রূপ।
--------------------------------------------------------------
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন বহু নেতা-কর্মী। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। এই হামলা ছিল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
২০২৪: আবারও রক্তে ভেজা রাজপথ।
----------------------------------------
সাম্প্রতিক সময়ে, ২০২৪ সালে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা নতুন করে ভয়াবহ রূপ নেয়। বিভিন্ন সংঘাতে ৩,০০০ এরও বেশি পুলিশ সদস্য এবং হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত হন। এটি শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, বরং একটি রাষ্ট্রীয় সংকটের প্রতিফলন, যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
পৃথিবীতে তুলনাহীন এই ত্যাগ।
---------------------------------
বিশ্বের অনেক দল বা আন্দোলন ইতিহাসে রক্তপাত ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে তবুও এমন কোনো দল নেই, যাদের নেতৃত্ব ও কর্মীরা বারবার একইভাবে রক্তাক্ত হয়েছেন অথচ হার মানেননি। রাশিয়ার বলশেভিক পার্টি, দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস, চিলি বা মিয়ানমারের গণআন্দোলন সব ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব টিকে গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো বারবার হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মধ্যে থেকেও নেতৃত্বের পুনর্জন্ম বিশ্বে বিরল।
উপসংহার।
----------
আওয়ামী লীগের ইতিহাস কেবল একটি দলের নয় এটি এক জাতির আত্মত্যাগ, শোক ও পুনর্জাগরণের ইতিহাস। এই দল রক্ত, অশ্রু ও ত্যাগের পথ পাড়ি দিয়ে আজও টিকে আছে বাংলাদেশের জনগণের বিশ্বাসে। পৃথিবীর অন্য কোনো রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন শোক, ত্যাগ ও স্থিতিশীলতার সম্মিলন পাওয়া যায় না।

২|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: এই শোক পুরো জাতির।
৩|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:
৪|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মেট্রোরেলে নাকি ডিশের ক্যাবল ব্যবহার করা হয়েছে? ![]()
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: "যারা বারবার নেতৃত্বহীনতা, হত্যাযজ্ঞ ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েও জনগণের বিশ্বাস হারায়নি। আওয়ামী লীগের শোক তাই শুধু দলের নয়, এটি সমগ্র জাতির এক অনন্য অধ্যায়।"
৩রা নভেম্বর এর বিনম্র শ্রদ্ধা....জামাত-শিবির শ্বাপদ দের দল আর তার সাপোর্টার (এই ব্লগে) দাড়িয়ে আছে এই ষড়যন্ত্র করেই।