নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
হিটলার তখনো ক্ষমতায় আসীন হননি তখন তিনি খেয়াল করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা প্রচারণায় এগিয়ে পক্ষান্তরে জার্মানরা প্রচারণায় অনেক পিছিয়ে। শুধুমাত্র প্রচারণা দিয়েই ব্রিটিশরা আড়াল করেছিল অনেক কিছু, তারা মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে জার্মানদের বিভ্রান্ত ও নাস্তানাবুদ করেছিল। তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার তৈরি করেন বিশেষ মন্ত্রণালয় যার নাম দেন মিনিস্ট্রি অব পাবলিক এনলাইটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রোপাগান্ডা সোজা কথায় বলতে গেলে বলা যায় গুজব মন্ত্রণালয়। হিটলার এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন গোয়েবলসকে। গোয়েবলস দিনকে রাত বানাতে পারতেন। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই এমন সব আজগুবি খবর সৃষ্টি করতেন। মানুষ যা কল্পনা করত না তা-ই বাস্তব বানিয়ে ছাড়তেন। এমন নিখুঁতভাবে করতেন সবকিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে হতো। গোয়েবলসের বিখ্যাত উক্তি ছিল একটি মিথ্যাকে বার বার বলতে থাকলে তা মানুষের কাছে সত্যে পরিনত হয়।
ঠিক একই তত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারত আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বলতে গেলে ভারতের প্রায় সব মিডিয়াই বাংলাদেশের ব্যাপারে দিনকে রাত বানাতে উঠেপরে লেগেছে। তারা বাস্তবতার সঙ্গে কোন মিল নেই এমন সব আজগুবি খবর প্রচার করছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে কেয়ামত সৃষ্টি হয়েছে, হিন্দুরা মাটিতে মিশিয়ে গেছে কোন হিন্দু অবশিষ্ট নেই। মানুষ যা কল্পনাও করছেনা তারা তা-ই বাস্তব বানিয়ে প্রচার করছে ভারতের মোদী মিডিয়া।
ভারতীয় এই মিডিয়া আগ্রাসনকে মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশী মিডিয়াকে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে হবে তা না হলে আজ হতে ৫০ বছর বা ১০০ বছর পর ভারতের এই সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যগুলোই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ইতিহাসে ঠাঁই পাবে। ভারতীয় আগ্রসনে বাংলাদেশী গণমাধমের ভূমিকা আছে, সেটা কী? সেটা হবে তাদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো। সত্যটাকে বোল্ডলি তুলে ধরা। ভারতীয়রা যে মিথ্যা বলছে সংগে সংগেই তার প্রতিবাদ করা। বিশ্বব্যাপী তাদের মিথ্যাগুলো তুলে ধরা।
সেই সংগে অলটারনেটিভ ফ্যাক্টস বা বিকল্প তথ্য উপস্থাপন করা অর্থাৎ ভারতের কোথায়? কখন? কোন খানে? কি কারণে? কি প্রক্রিয়া? সংখ্যালঘু নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তা বেশি বেশি প্রচার করা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এগুলো কাউন্টার না দিলে এরা দিনের পর দিন মিথ্যা চালিয়েই যাবে।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এগুলো কাউন্টার না দিলে এরা দিনের পর দিন মিথ্যা চালিয়েই যাবে।
এই ভাবে মিথ্যাচার করে তাদের ইমেজ নস্ট হয় না?
একটা সংবাদ মাধ্যম এমন মিথ্যাচার কিভাবে করতে পারে?
এটা ঠিক এটার কাউন্টার নি দিলে অনেকেই এদের মিথ্যাচার বিশ্বাস করবে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা ইমেজ নস্ট হওয়ার চিন্তা করেনা কারণ ওগুলো মোদী মিডিয়া।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ইন্ডিয়ান মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে হলে বাংলাদেশকে মাল্টি-লেভেল ক্যাম্পেইন করতে হবে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইন্ডিয়ার মিথ্যা গুজবগুলোকে হাইলাইট করতে হবে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন। তা না হলে ওদের মিথ্যাই সত্য হয়ে যাবে।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব আওয়ামী লীগের টাকায় করছ্র। আমাদের উচিত বিবিসি ও আল জাজিরা কে টাকা দিয়ে সঠিক সংবাদ প্রচার করা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার কথা মন্দ নয়। আমাদের এটা করা উচিত।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
অরণি বলেছেন: ওদের প্রচারণার তুলনায় বাংলাদেশের মিডিয়া কিছুই করছেনা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের মিডিয়ায় এখনো আওয়ামীভুত কাজ করছে।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশ মিডিয়ায় এখনও স্বৈরাচারের ভুতেরা বসে আছে। এদেরকে সরাতে হবে। বিশেষ করে প্রথম আলোর পুরো সেটাপ পরিবর্তন করতে হবে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের কোন মিডিয়াই তাদের মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জোড়ালো কন্ঠে সোচ্চার হচ্ছে।
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেশের স্বার্থে এবং দেশপ্রেমের দিক দিয়ে ভারতীয়রা একজোট, তারা সবাই একই সুরে এবং সমস্বরে কথা বলে। কিন্তু আমাদের মধ্যে মীর জাফরের সংখ্যাই বেশি। এজন্য দেখবেন, ভারতীয়দের সাথে তুলনা করে কেউ বাংলাদেশীদের প্রশংসা করলে কোনো কোনো বিশ্বাসঘাতক ক্রিমিনাল এসে বলা শুরু করবে, ছি ছি, এত কুরুচিপূর্ণ পোস্ট আপনি লিখতে পারলেন? এই ব্লগেই দেখেন, কত জনে কীভাবে ভারতের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন, পারেন তো তারা পুরো বাংলাদেশটাই ভারতকে গিফট করে দেন।
আমাদের জাতীয় মিডিয়াগুলোর এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডার ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেখানেও সর্ষের মধ্যে ভূত লুকাইয়া আছে, এজন্য কার্যকর কোনো কাউন্টার-প্রোপাগান্ডা দেখা যায় না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দেশপ্রেমের দিক দিয়ে ভারতীয়দের প্রশংসা করতেই হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা সামন্য স্বার্থের জন্য জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করিনা। মীর জাফরের বংশধরদের মধ্যে দেশের চেয়ে তাদের দলীয় নেতাকর্মী উর্দ্ধে; এই হলো আমাদের চরিত্র।
আমাদের জাতীয় মিডিয়াগুলোর এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডার ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন তা না হলে এদিন সবাইকে কাঠগড়ায় জবাবদিহি করতে হবে। ইতিহাস কাউকেই ছাড় দেয়না কথাটা তারা যেন মনে রাখে।
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামিলীগ ভারতের কাছে যেভাবে নতজানু হয়েছে, প্রতিটি কর্মী সমর্থককে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে যেভাবে ভারতের গোলামে পরিনত করছে, তাতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। ভারতের হয়ে তাদের অনুগত সারমেয় গুলোই তাদের সকল পারপাস সার্ভ করে দিবে। আপনি ভারতের দিকে আঙ্গুল উচুঁ করলে এরাই প্রথম ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে। দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার জন্য ভারতে কোন দালাল নেই। কিন্তু ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় দালাল রয়েছে। হাস্যকর বিষয় হলো দিল্লীর গোলামি করা এই নতজানু পা চাটা দালাল গুলো আবার নিজেদেরকে 'স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি' বলে দাবী করে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এদম ঠিক কথা বলেছেন, ভারতের দিকে আঙ্গুল উচুঁ করলে বাংলাদেশের দালালরাই প্রথম ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে। এই তেড়ে আসা প্রাণিগুলো দিল্লীর গোলামি করে। এরাই নতজানু পা চাটা দালাল। এরাই আবার নিজেদেরকে 'স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি' বলে দাবী করে।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা আওয়ামী চেতনা ব্যবসায়ীদের কাছে গোয়েবলস ফেল মারবে।
অনেক হিন্দু বিশ্বাস করে যে ভারত সারজিকাল স্ট্রাইক করবে। এই টাও ভারতের একটা প্রোপাগান্ডা। ভারতের বিজেপি বাংলাদেশের হিন্দুদের লিপ সার্ভিস দেবে।
বর্তমান যুগে তথ্য সুলভ। তথ্য যাচাই করাও সহজ। তবে সমস্যা হল জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ গুজব এবং এই ধরণের প্রোপাগান্ডার খবর বিশ্বাস করে মজা পায়। এটা একটা বড় সমস্যা। তাই আমাদের মিডিয়াকে শক্ত হতে হবে। কিন্তু তারা তো আওয়ামীলীগের দালাল। তারা যে ভারতের মিডিয়াগুলির সাথে সুর মেলাচ্ছে না সেই জন্য আপাতত তাদের উপরে সন্তুষ্ট থাকতে পারি। কারণ নতুন এবং নির্ভেজাল মিডিয়ার আগমন না ঘটলে সাংবাদিকতার জগতে পরিস্থিতি বদলাবে না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বিগত ১৫ বছরে সবাইকে গোলামে পরিনত করেছে সবাই জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করতেই ব্যস্ত! এরা দেশ ও জাতির চেয়ে নিজেদের আখের গোছাতেই সিদ্ধহস্ত। যে যত বেশি আওয়ামীলীগার সেজেছে সে তত বেশি ডাকাতি করেছে এই এখন প্রমানিত সত্য এদের কাছ থেকে ভারতীয় মিথ্যাচারের কাউন্টার আশা করা বাতুলতা। তেবে হ্যাঁ এরা যে ভারতের মিডিয়াগুলির সাথে সুর মেলাচ্ছে না সেই জন্য আপাতত তাদের উপরে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এদেরকে মনে রাখতে হবে সময় কাউকে ছাড় দেয়না।
১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেকেই বলে "র" হতে আমাদের মিডিয়া নিয়মিত মাসোহারা পায় তাহলে তার কীভাবে তাদের কাউন্টার দেবে?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নিন্দুকেরা অনেক কিছুই বলে তবে যেটা রটে কিছুটা বটে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮
নতুন বলেছেন: রিপা্লিক বাংলার জোকারের মলম বিক্রি দেখি মাঝে মাঝে...