নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
ভারত ইদানীং ভিসা দিচ্ছেনা; তারা ভিসা না দিয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিতে চায়! তাদের করদ রাজ্য হাতছাড় হওয়া খুবই নাখোশ, এতোই নাখোশ যে মোদী মিডিয়া দিনরাত বয়ান দিচ্ছে এই দেশে একটি হিন্দুও অবশিষ্ট নেই, তারা কোন না কোন ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে অর্থাৎ হিন্দু বলতে বাংলাদেশে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। জোঁকার ময়ূখ রঞ্জন নেচেকুদে পেটের বর্জ্য মুখ বের করছে, ওদিকে আবার গেরুয়ারা সেই বর্জ্য গোগ্রাস গিলছে! কেন গিলবেনা (?) কারণ গোবর ও গোমূত্রেই তাদের বিশ্বাস অন্য কিছুতে নহে!
হিন্দুরা ভগবানের সান্নিধ্য পেতে মন্দিরে যেতো ইদানীং ভারতীয় হিন্দুরা (সবাই না) মসজিদের নীচে, মাজারের নীচে ভগবান খুঁজছে। কোর্টের ঘাড়ে বন্দুর রেখে মুসজিদ ও মাজারের নীচে ভগবান খুঁজেও পাচ্ছে, কী আশ্চর্য? তাদের বিশ্বাস করে গরু তাদের মাতা। গরু তাদের দুধ দেয়, গোবর দেয়, মূত্র দেই যা সবই তারা খায়; এটা তাদের বিশ্বাসের ব্যাপার কিন্তু অন্য সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস থাকতে নেই যেমন মুসলিমরা গরুর মাংস খায় সেটা তারা মানবেনা। গো পরিবহণ, গোমাংস রাখা, গোমাংস খাওয়ার জন্য তারা শত শত মানুষকে পিটিয়ে, পুড়িয়ে মেরেছে। তে মানুষ মেরেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই কারণ সেগুলোর সঠিক তথ্য আসেনা, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবি, বিচারক সবাই একই বিশ্বাসে বিশ্বাসী।
আসার কথা হলো এখনো অনেক ভারতীয় আছেন যারা অনেক উদার, প্রতিবেশীর সংগে বন্ধসুলভ এবং অন্ধ বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয়। তারা ছোট প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সম্মান করে মর্যাদা দেয় এবং তাদেরকে করদ রাজ্য মনে করেনা।
ভারত ভিসা বন্ধ করায় আমাদের লাভই হয়েছে ক্ষতি হয়েছে কম। ভারতের পর্যটন খাতের প্রায় ২২ শতাংশ বাংলাদেশী পর্যটক। ভারত পর্যটনখাত থেকে প্রতি বছর আয় করে প্রায় ২ লাখ কোটি রুপি যার একপঞ্চমাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪০ হাজার কোটি আয় করে বাংলাদেশ থেকে। এই বিশাল অংকের টাকা বেঁচে যাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন হবে। অভ্যান্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন হবে।
সুতরাং ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে। এবিষয়ে আপনাদের ভাবনা মন্তব্যের ঘরে তুলে ধরুন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারতই বাণিজ্যে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। পিঁয়াজ চাল ডাল অনেকে দেশ থেকেই আনা সম্ভব কিন্তু ওদের এমন ভাব যেন আমাদেরকে ফ্রি খাওয়াচ্ছে?
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করা ভুল হবে। বিরাট ভুল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সম্পর্ক তো আমরা নষ্ট করছিনা ভারতই নষ্ট করছে। বিভিন্ন ভুয়া মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে। নতজানু বাদ দিয়ে সাম্যের কথা ভাবেন।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫
নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ ভাবে যে,, ভারতীয়রা নিজেদের ফায়দার জন্য আমাদের ব্যাবহার করেছে। এটা কি সত্যি?
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য শাপে বর।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৮
নতুন বলেছেন: ভারত বাংলাদেশে ১৯ বিলিওন ডলার রপ্তানি করে । এটার বিকল্প বাজার দ্রুত সৃস্টিকতা কঠিন।
আমাদের সরকার উচিত দ্রুত ভারতের পন্যের বিকল্প বাজারের ব্যবস্থা করা।