![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।
ভাবনার পথ হারিয়েও কখনো ভাবিনী বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটসের মতো লোক আমার সন্ধানে বাংলাদেশে আসবে।
বিমান থেকে নামার পর বিমান বন্দরের মূল ফটকে এক দারোয়ানের কাছে জানতে চাইলেন গেটস।
: ভাইজান আমনে কি মুবারাক রে চিনেন?
দারোয়ান প্রশ্নের উত্তর দিলনা। কিন্তু গেটস দৌড়াতে লাগলেন। কারণ, মোবারক নামটা বলার পর দারোয়ানের মেজাজ নাকি নব্বই ডিগ্রিই উঠেছিল। উঠবেই বা না কেন? আমি কি বিখ্যাত কেউ যে সবাইকে আমায় চিনতে হবে! ফালতু প্রশ্ন যারা করে তাদের কপালে দৌড় ছাড়া আর কি থাকতে পারে!! অবশ্য এ দোষ বেচারা গেটসের না। কারণ কোন এক সময় ফোনালাপে আমিই গেটসে বলেছিলাম, বিমান বন্দরে এসে আমার নামটা বললে যে কেউ চিনবে!!
ঘট ঘট করে রিকসা চলছে। বাসের কালো ধোয়া। একবার টিভিতে নাকি গেটস এসব দেখেছিলেন। এবার দেখলেন বাস্তবে। রিকসা ড্রাইভার তরুণ, হ্যান্ডসাম। গেটস ভাবলেন হয়তো কোন শিক্ষিত ছেলে। আচ্চা তাকে কি জিঞ্জাসা করা যায়, মোবারাক কে? কোথায় থাকে?
: ভাই আমনে কি মোবারাকরে চিনেন?কই থাহে? কৈতারেন?
বেচার রিকসাচালক বুঝতে পারলো এ তো দেহি আবুল! অনেকদিন পরে এমুন একজন কাষ্টমার (!) পেয়ে রিকসা চালক দারুন আনন্দিত।
> হুম মুই মোবারাকরে ছিনি। আমনে ঠিকমতোন বহেন। আমি হেইয়ের কাছে নিয়া যাইতেছি।
গেটস খুব খুশি হলেন। বাঙলাদেশের মানুষের অনেক দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছিলেন। কই না তো তারা তো অনেক ভালো। যার সন্ধানে বাংলাদেশে আসা তার কাছে যাওয়ার জন্য একজন রিকসা ড্রাইভার গেটসকে সাহায্য করছে। এতো বিরাট কিছু। গেটস মনে মনে ভাবলেন, এই রিকসা চালক যদি মোবারাকের সন্ধান দিতে পারে তাহলে তাকেও আমার সম্পত্তির অর্ধেক দিয়ে দেব।
প্লাষ্টিক পোড়ার গন্ধ আসছে। বিশ্রী একটা গন্ধে বেচারা গেটসের গিয়ান ফিরে এলো। এ আমি কই আইলামরে। আমার টেহা? মানিব্যাগ? কেডিট কাড? ক্যামেরা? আইপোন? গেটসের বুঝতে বাকি রইল না যে, সেই রিক্সাড্রাইভার তাকে মলম মেরে হাইজ্যাক করেছে।
//মোবারাকের সন্ধানে বাংলাদেশে এসে হাইজ্যাকের কবলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটস।// পত্রিকার শিরোনামটা আমার চোখে পড়ল।
বেড নং ১৭, চতুর্থ তলা। ঢিএমসি। কক্ষে প্রবেশ নিয়েই এক গাল মৃদু হেসে বললাম আই এম মোবারাক। যাকে আপনি খুঁজছেন। গেটস নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না যে এই কি সেই মোবারাক!! যে কিনা সৃষ্টিকর্তার মতো মহান কর্তাকে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছে। গেটস আমাকে ছুয়ে দেখলেন।
গেটসে খুব রেগে গিয়ে আমাকে বললেন, তুমি মিয়া যত প্যাচ লাগাইলা। তুমারে নিয়া আমার বউয়ের লগে বাজি ধরছিলাম। আমিও জিতি নাই, বউও জিতে নাই। জিতছো তুমি!
আমি জিতছি মানে? গেটস আমাকে বিস্তারিত বললেন। কিন্তু আমি এক বাক্যে অনড়। তার অর্ধেক সম্পত্তি আমি নিতে অনিচ্ছুক। অবশেষে গেটস আত্মহত্যার হুমকী দিলেন। বাধ্য হয়ে তার অর্ধেক সম্পত্তির মালিক আমি হয়ে গেলাম। এত্ত এত্ত টাকা জীবনেও দেখিনি। তাই গেটসকে জিজ্ঞাসা করলাম এত্ত টাকা দিয়ে আমি কি করব? গেটস বললেন তোমার দ্যাশের প্রধান সমস্যার দিকে নজর দাও।
ভেবে দেখলাম আমার দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ধর্ম। ৯০ভাগ মুসলমানের দেশের ৯৫ ভাগই শুনে কিবা জেনে জেনে মুসলমান। কয়জন বুঝে শুনে মুসলমান? কয়জন কুরান পড়ে মুসলমান? তাই তাদের নিজ ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে, কুরান হাদিস সম্পর্কে প্রকৃত শিক্ষা দিতে, নবী (স এর জীবনি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে দেশের প্রতিটি জেলা সদরে একটি করে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে তুলাটাই আমার আপাত: লক্ষ্য।
গেটস মুচকী হেসে বললেন আরে বেটা বেকুব। তারা কি আমার মতো নাছারার টাকায় পড়তে চাইবে? উল্টো আমার ফাসি চেয়ে রাজপথে বোমা ফাটায় যদি?
ফেবু লিংক
©somewhere in net ltd.