![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।
তারা ছোট্ট কৃত বিদ্যার্থী। নিজ অধিকার আদায়ে তারা রাজপথে আন্দোলন করতে পারেনা। ভিসি/প্রোভিসিকে তারা তালাবদ্ধ রেখে দাবী আদায় করতে পারে না। তাই বলে তাদের উপর যখন তখন যা ইচ্ছে তাই নীতি প্রয়োগ করে দেওয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্তি তা কেউ ভেবে দেখবেন?
১.
বলছিলাম জে, এস, সি, পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারটা।
ইতোমধ্যে তারা পরীক্ষার রুটিন হাতে পেয়ে গেছে। এই পর্যন্ত (গত ৩ মাসে) ইংরেজির সিলেবাস পরপর ৪ বারের মতো পরিবর্তণ হয়েছে। প্রতিবার সিলেবাস পরিবর্তণ হয় প্রতিবার তাদের নতুন বই(বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত) কিনতে হয়। হয় অর্থের অপচয়। অনেক ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকের কাছে ধমকের ভয়ে নতুন বই কেনার আবদার পর্যন্ত করতে পারে না।
আর স্কুলের ৪৫ মিনিটের ক্লাসের উপর কতটুকু নির্ভর করা যায়? কোচিং গাইড বন্ধ করে যে পদ্ধতি চালু হয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।
কিন্তু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সৃজনশীল পদ্ধতি বুঝার জন্য অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই দৌড়াচ্ছে কোচিং ও গাইডের পিছনে। এর পিছনে অবশ্য যৌক্তিক কিছু কারনও আছে। স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে প্রায় ৫০/৬০ জন শিক্ষার্থী যেখানে শিক্ষক মাত্র একজন। এত শিক্ষার্থীর মাঝে এককভাবে কোন শিক্ষার্থী কোন শিক্ষকের কাছে কোন বিষয়ে স্পশ্ট ধারনা পেতে পারে কি?
২.
তাদেরকে বাচ্চা পেয়ে তাদের সাথে এক প্রকার জোচ্চুরি করা হচ্ছে। গণিতের ব্যাপারটা খেয়াল করেন। আগে জ্যামিতিতে ছিল ২৪ মার্ক। এখন পরিবর্তণ করে করা হয়েছে ৩৬ নম্বর। মে বি গত বছরের তুলনায় এ বছর শিক্ষার্থীরা একটু বেশিই মেধাবী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ছাত্রই জ্যামিতিতে দুর্বল তা কি কর্তৃপক্ষের মনে আছে? জ্যামিতিতে লেখা-আঁকা সময় একটু বেশীই যায়, তাহলে পূর্ণমান উত্তর দিতে সময় কিছুটা বর্ধিত করা হয় না কেন?
৩.
ইংরেজি প্রথম পত্র, সমাজ ও বিজ্ঞান বিষয়ের আগে কোন বন্ধ নেই কেন? অন্তত প্রতিটা পরীক্ষার জন্য একদিন করে হলেও গ্যাপ রাখা উচিত ছিল কি?
কর্তৃপক্ষ বাচ্চাদের ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন কি?
©somewhere in net ltd.