নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Run for mankind...

মোবারক হোসেন রুবেল

অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।

মোবারক হোসেন রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছাগলের মৃত্যুচিন্তা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫

কথায় আছে, ‘যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই।'



এথিষ্টদের মৃত্যুর পর তাদের লাশ কি হবে এই নিয়ে স্বয়ং এথিষ্টদের চিন্তা না থাকলেও থিষ্টদের এই নিয়ে চিন্তার শেষ নাই। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী হলে যেমনটি হয় আর কি। সুযোগ পেলেই থিষ্টগণ এই প্রশ্নটি করে-মৃত্যুর পর এথিষ্টদের লাশ কি করা হবে?



দিন তিনেক আগে এই রকম একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম আমি।



আমার এক ছাত্রী আমার কাছে জানতে চাইলো মৃত্যুর পর এথিস্টদের লাশ কি করা হবে? মাথাটা নিচু করে বললাম, এথিষ্টদের লাশ কি করা হবে জানিনা। তবে আমার লাশটাকে আমি কাধে করে নদীতে ফেলে আসব!!



তার খুব করে হাসল। হাসার মানেটা এই যে, স্যার খুব বোকা। আর এথিষ্টরা প্রধানত বোকাই হয়।



: আপনি মারা গেলে আপনার লাশ আপনি বইবেন ক্যামনে স্যার?

- হায় হায় আমার তো মনেই ছিলনা। আচ্ছা ধর, তোমাদের বাসায় একটা বিড়াল মারা গেল, তখন সেটাকে তোমরা করবেটা কী?

: দূরে কোথাও ফেলে আসব স্যার

-কেন দূরে কেন? বাসায় থাকলে সমস্যাটা কী?

: মৃত বিড়ালটা পঁচে গিয়ে সমাজের কতটুকু ক্ষতি সাধন করবে তার ব্যাপক গিয়ান আমাকে শুনিয়ে দেওয়া হলো।



একটা জীব যখন জীবন হারায় তখন জীবিত জীবের বিশেষ করে মানুষের নিজের প্রয়োজনেই সেই নির্জীবটাকে সমাহিত করতে হয়। মানুষ যখন মারা যায়, সে তখন আর মানুষ থাকে না। সে হয়ে যায় একটা লাশ। মানুষের ভালো আছে, মন্দ আছে, পাপ হয়, পূন্য হয়, সোয়াব হয় , গোনাহ হয়। কিন্তু লাশ তো নির্জীব। লাশের কোন ইনপুট, আউটপুট নেই। তার পাপ করার যেমন ক্ষমতা নেই তেমনি পূণ্য করারও ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা নেই চলাফেলার।



তার মানে বেঁচে থাকা মানুষগুলোরই দায়িত্ব পড়ে সেই লাশটার পূর্ণ মর্যাদা নিশ্চিত করা। এই মর্যাদা নিশ্চিত করতে কেউ পুড়ায়, কেউ মাটি চাপা দেয়, কেউ নদীতে ভাসিয়ে দেয়, কেউ পাহাড়ের গুহায় ফেলে রাখে, কেউ বা আবার মমি করে রেখে দেয় পরবর্তী প্রজন্মের জন্য... অর্থাত জীবিত মানুষগুলোই নির্ধারণ করে দেয় যে, লাশটাকে কিভাবে সমাহিত করা হবে।



একজন এথিষ্ট কখনো চায়নি বা বলেও যায়নি যে, তাকে ধর্মীয় প্রক্রিয়ায় তাকে সমাহিত করা হোক। অনেকে আবার জীবিত মানুষগুলোর উপর দায়িত্ব দিয়ে যান, যেন মৃত্যুর পর কোন ধর্মীয় রীতিতে তাদের সমাহিত করা না হয়। তবুও বেঁচে থাকা থিষ্টরা সেই এথিষ্টদের মৃত্যুর পর এক প্রকার জোর করে তার লাশটাকে দাফন/দাহ করে নিজ দলে বেড়ানোর এক প্রকার অপচেষ্টা চালান।



তারপর আবার তারাই বেশ ঘটা করে প্রচার করেন এই বলে যে, অমুক এথিষ্টকেও তো দাফন/দাহ করা হয়েছে ধর্মীয় বিধিমতে!!!



আমার বিশ্বাস প্রকৃত এথিষ্ট যারা তারা মৃত্যুর পর এ নিগৃহ মর্যাদা কখনো চাইতে পারেন না।



বাচ্চা মানুষ। এথিষ্ট এবং তাদের কর্মকান্ডকে ঘৃণা করতে হবে এই শিক্ষা তারা ছোট থেকেই পেয়ে আসছে। পারিবারিকভাবে তাদেরকে এই বলে বুঝানোর উপক্রম করানো হয় যে, এথিষ্ট মানেই সমাজের নিকৃষ্ট একটি জীব। অথচ তারা বিখ্যাত এথিষ্টদের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানে না। তারা জানে না লালন সাই, ব্রুনোর ইতিহাস তারা জানেনা, তারা জানে না গ্যালেলীয়র কারাবাস। তারা জানে না বিশ্বের দশজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর কেহই এথিষ্ট নন বরং সবাই থিষ্ট।



যাই হোক ধান ভানতে শীবের গীত। আরো কোন প্রশ্ন?



: জি, স্যার আপনার লাশটা আমরা কি করব? মানে মাটি চাপা দেব না আগুনে পুড়াব?



- কিছু্ই করতে হবে না। তোমরা বরং একটু কষ্ট করে আমার লাশটাকে কোন এক জংগলে ফেলে আসো। তবে, হ্যা আমার হাতে একটা লাঠি দিয়ে এসো।



: লাঠি কেন? লাঠি কেন? হিহিহিহি



- অরি বাপরে, শিয়াল কুকুর যদি আসে তবে তাড়াতে হবে না ?!



তারা আরো এক গাল হেসে দিল। এবারের হাসার কারণটাও ছিল স্যার খুব বোকা। আর এথিষ্টরা বোকাই হয়।



: শিয়াল কুকুর কামড় দিলে আপনিতো বুঝতেই পাবেন না। তাহলে তাড়াবেন কি করে স্যাআআআর?

-নাইবা যদি বুঝতে পারি তবে আগুনে পুড়ালেই কি, আর মাটি চাপা দিলেই কি?



- আরো কিছু?

: জি, না স্যার

- এশার নামাজ পড়েছো?

: জি, না স্যার

-যাও নামাজটা পড়ে এসো। এক ওয়াক্ত নামাজ মিস করলে ৭০ লক্ষ বছর দোজখের আগুনে পুড়তে হবে। আগে নিজেকে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করো। পরে না হয় এথিষ্টদেরকে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করার চিন্তা করবে।



বেষ্ট অব লাক।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩২

সজীব আকিব বলেছেন: :D

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: চরম্বাস!

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

আপেক্ষিকতাবাদী বলেছেন: সুন্দর লেখেছেন!

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এথিস্ট-থিস্ট এর ব্যাপারটা নিজের মাঝে রাখাই ভালো । কে কি বিশ্বাস করবে তা তার একান্ত নিজের ব্যাপার, নিজের বিশ্বাস ঢালঢোল দিয়ে পেটানোর অপর নাম মৌলবাদিতা ।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫১

মহসিন আহমেদ বলেছেন: Lalon shah ke eto boro ekta opobad dilen?!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.