![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।
কবি হিসাবে শেখ সাদীর মর্যাদা তখন আকাশচুম্বী।
একদা এক তপ্ত দুপুরে মসজিদের বারান্দায় বসে শেখ সাদী লিখছিলেন প্রেমের কবিতা।
কোথায় থেকে জানি অদ্ভুত এক পোষাক পড়ে সেখানে এলেন এক সন্নাসী। তিনি শেখ সাদীর পাশে বসলেন। সাদীর মানব-মানবীর প্রেম, দেশ-প্রকৃতির প্রেমের কবিতা শুনলেন।
আগন্তুক সন্নাসী শেখ সাদীর কাছে জানতে চাইলেন, আচ্ছা আপনি যে এই শত শত কবিতা লিখলেন এর একটিও কি কেয়ামতের দিন নেকীর পাল্লায় নিতে পারবেন?
তিনি শেখ সাদীকে নবীর একটি হাদিস শুনালেন।
আবু হুরায়রা বর্ণিত নবী (স.) ইরশাদ করেন, কবিতা দ্বারা উদর পূর্তি করিবার চাইতে পুঁজ দিয়া উদর পূর্তি করাটা উত্তম। ইমামা বোখারি বলিয়াছেন কবিতা হয় অশ্লীল সে-কারণে উহা শরীয়ত বিরোধী। আর সেকারণে কবিতা-চর্চা হারাম এবং না-জায়জ।
নবী (স.) এর আমলে কবিতাই যতসব অন্যায়-বিভ্রান্তি-শত্রুতা দ্রুত ছড়িয়ে দিত। কবিতার মাধ্যমে মানুষ অলীক ও অবাস্তব কথার প্রসার ঘটাত এবং সেসব শুনিয়ে মানুষকে কুরআন থেকে বিমুখ করার চেষ্টা করা হত।
তখন কবিদের ব্যাপারে সুরা বাকারায় আল্লাহ পাক বলেছেন- বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে (২২৪)
এই আয়াতের পর পরই নবী (সা.) তখন নিষিদ্ধ করেন আরবের তৎসময়ের বিখ্যাত কবি ইমরুল কায়েসকে।
জনাব সাদী সাব খুব টেনশনে পড়ে গেলেন, কারণ কবির প্রতি নবী (স.) কর্তৃক শর্ত ছিলো যে, কবিতা যদি অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ না হয়, কবিতার মাধ্যমে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রশংসা নিয়ে হয়, তাহলে সে কবিতার সাথে ইসলামের কোনো বিরোধ নেই। (বুখারী শরীফ, খন্ড ৩, ৩২৫)
একদা এক মাঝ রাতে কবি বসলেন কলম নিয়ে আজ তিনি লিখবেন নবীর সানে কবিতা। তিনি লিখলেন,
বালাগাল উলা বিকামালিহি
কাশাবাদদুজা বিজামালিহি
হাসনাত জামিউ হিসালিহি
তিন লাইন লিখার পর কবি আর কোনভাবেই চতুর্থ লাইনটা মিলাতে পারছিলেন না। কাঁদতে কাঁদতে ফজরের আযান পড়ে গেলো। তিনি নামাজ পড়লেন আবার চতুর্থ লাইনটার জন্য বার বার ব্যর্থ হয়ে নির্ঘুম চোখ কখন জানি তন্দ্রায় চলে গেল কবি ঠের পাননি।
স্বপ্নযোগে নবী (স.) কবির কাছে বললেন, হে সাদী কবি সাদী তুমি কাদছো কেন আমি জানি। এই নাও তোমার চতূর্থ লাইন। নবী (স.) তাঁর সুললিত কন্ঠে একবার শেখ সাদীর তিনটি লাইন পড়ে নিজের করা চতুর্থ লাইনটাও যোগ করে দিলেন
''বালাগাল উলা বিকামালিহি
কাশাবাদদুজা বিজামালিহি
হাসনাত জামিউ হিসালিহি
সাল্লু আলাইহ ওয়ালিহি।''
গবেষকদের মতে সেই স্বপ্নযোগের ঘটনার পর থেকে শেখ সাদী আল্লাহ নবীর শানে ব্যতিত আর কোন কবিতা লিখেননি।
আজ দেখলাম কবি নজরুলকে নিয়ে বেশ টানা হেচরা করা হচ্ছে। একদল দাবী করেন তাদের অন্যদল বলেন তাদের!! অথচ কবি নজরুলের অনেক কবিতাই ঈশ্বর বিরোধী। মানব মানবীর প্রেমবহুল। পুথি বিরোধী।
আমার ছোট্ট মাথায় এটা ধরে না যে, সেইসব কবিতাই যেখানে হালাল নয় সেখানে কবি কি করে তাদের হয়?
ফেবু লিংক
২| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
কষ্টবিলাসী বলেছেন: কবিতায় অনেক মিথ্যা কথা থাকে।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
সত্য৭৮৬ বলেছেন: এ বিষয়ে একটি পোষ্ট। দেখুনে তো এখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর মেলে কিনা-
সব কবিরাই কি পথভ্রষ্ট!? কাব্য/সাহিত্য চর্চা কি নিষিদ্ধ!?
আমার ব্লগেও আমন্ত্রণ রইল- সত্য৭৮৬
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তখন কবিদের ব্যাপারে সুরা বাকারায় আল্লাহ পাক বলেছেন- বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে (২২৪)" -- এই কথাটা সুরা আশ শু'আরা'র ২২৪ নং আয়াতে আছে, সুরা বাকারায় নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: যত্তোসব!