নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Run for mankind...

মোবারক হোসেন রুবেল

অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দা্উ দাউ দাউ করে জ্বলুক। অন্নগুলো কেড়ে নাও ক্ষুধার জালা বুঝুক।

মোবারক হোসেন রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরের মাথায় কাঠাল ভেংগে খাওয়ার মজিজা

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪২

মোটামোটি পরিচিত এক ফেবু বন্ধুর সাথে প্রায়ই দেখা হয়। দেখা হলেই তিনি বরাবরের মতো বলেন, চলেন রুবেল ভাই আপনাকে কিছু খাওয়াই। খাওয়াই বললেও বিলটা প্রতিদিনই আমাকে বহন করতে হয়। শেষ যখন আমি খাবার বিল পরিশোধ করি তখন প্রাণপণে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম বেটাকে একদিন জাম্বুরা দিয়া ধরুম।



আইজ পাইলাম ভাইস্তারে



: আরে রুবেল ভাই, চলেন আপনারে কিছু খাওয়াই



মনে মনে ভাবিলাম, আমি তো সেইদিনের অপেক্ষায় ছিলাম রে ভাইস্তা। খাবার হোটেলে ঢুকলাম।



বরাবরের মতো তিনি তার ইচ্ছামতো খাবার অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। এক কাপ চা খেলেই যেখানে যথেষ্ট সেখানে তিনি অর্ডার দিলেন রুটি-হালিম। আমিও খাইতে থাকলাম। খাওয়ার সাথে সাথে কথা চলছিলো। তিনি জানতে চাইলেন আমার মান্থলি ইনকাম কত? যতনা ইনকাম হয় তার চেয়ে ৪ গুন বর্ধিত করে হিসাবটা দিলাম। বেশী বেশী বলার কারণটা হচ্ছে, ভাইস্তা তুমি খাইতে থাকো...বিলের লাইগা টেনশন নিও না।



খাওয়ার মাঝে হঠাত করে তিনি বললেন, রুবেল ভাই হালিমটা ততটুকু ভালো লাগে নাই। একটা কাবাব নিমু? আমিও সানন্দে বলে দিলাম, শিওর হোয়াই নট। ওরে মামু, দুইহাফ কাবাব দিয়েন...



খাওয়া শেষ এখন চায়ের পালা। এক কাপ চা দুজনে খাওয়া যাবে স্বত্তেও আমি দু কাপের অর্ডার দিলাম। তিনি অর্ডার দিলেন, চায়ের সাথে আরেকটা রুটি। আমার অনিচ্ছা স্বত্তেও আমিও আরেকটা রুটি নিলাম।



সারা জীবন দুটাকা দামের সিগারেট খাইলেও তিনি অর্ডার দিলেন বেনচনের। দুইটা বেনচন। আমি ওপেনে স্মোকিং অপছন্দ করি তা বলা স্বত্তেও তিনি দুটা সিগারের অর্ডার দিলেন কেন বুঝলাম নে। বাকি একটা পকেটে রেখে দিলেন।



এবার বিল দেবার পালা। নিত্যকারের মতো বলে উঠলেন রুবেল ভাই, বিল দিয়া দেন। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অভিনয় করে বললাম, হায় হায় আমি তো মানিব্যাগ নিয়ে আহি নাই। ওনার চেহারায় একটা ফ্যাকাশে ভাব দেখা দিলো। কপালে ঘাম দেখতে পাচ্ছি।



পকেট থেকে পার্স বের করে তিনি বললেন, আমার কাছে তো এই টাকাগুলোই আছে। ছাত্তি কিনার জন্য.....



আমি মুচকি হেসে বললাম, ছাত্তি পরে কিইনেন। মনে মনে কহিলাম, বাড়তি কাবাবের অর্ডার দেবার সময় কি ছাত্তি কিনার কথা মনে আছিলো না?



তিনি তার পকেট থেকে একটা বেনচন ফেরত দিয়ে টাকার অংকটা ১০ টাকা কমালেন।



পরের মাথায় কাঠাল ভেংগে খাওয়ার মজিজা তিনি বুঝি আজ টের পেলেন।



ফেবু লিংক

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: চ্রম হৈসে ভাইজান।
=p~ =p~ =p~ :-B :-B :-B B-)) B-)) B-))

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

এমএম মিন্টু বলেছেন: ভালো লাগলো ।
অনেক দিন পরে হাঁসলাম । =p~ =p~ =p~ =p~

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১ ।২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

এমএম মিন্টু বলেছেন: ভালো লাগলো । অনেক দিন পরে হাঁসলাম ।
Amio ....

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৯

ব্লগার রানা বলেছেন: oshadharon ekta shotto ghotona(possibly).

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.