![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃজনশীল কাজের প্রতি রয়েছে ভীষন আগ্রহ।অসৎ লোকের সঙ্গ মোটেই বরদাস্ত করতে পারিনা।যদি কখনো অজান্তে চলে আসে তবে তৎক্ষনাত পরিবর্তন।ভালো কাজের প্রতি রয়েছ প্রবল আগ্রহ।এই ব্লগটি দেখে ভলো লেগেছে বলেই এখানে যুক্ত করেছি নিজেকে।যদি দেখি এর উদ্দেশ্য ভালো না তাহলে ছিন্ন করবো বন্ধন।বৈচিত্রের অন্বষণে এগিয়ে চলা।সম্ভবত সকল মানুষই তা খুঁজে বেড়ায়।আমিও এর থেকে ব্যতিক্রম নই।মুলতো আমি মনের বৈচিত্রই বেশী খুজে বেড়াই।আমার কাছে সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যেই বেশী বৈচিত্র নিহীত আছে বলে মনে হয় । টেলিভিশন মাধ্যমটিতেও যথেষ্ট বৈচিত্রের অনুসঙ্গ রয়েছে।যেমনটি রয়েছে চলচ্চিত্র মাধ্যমে।এই দুটি মাধ্যমটিতে যারা কাজ করেন এবং যারা এর কাজ দেখেন উভয়ই বৈচিত্রের সন্ধান করেন। দেশে এক সময় এতো প্রযুক্তির ছড়াছড়ি ছিলো না।আমার বয়স যখন সাত কি আট তখন দেখেছি টেলিভিশন দেখার জন্য কী হুড়োহুড়িই না পড়ে যেতো সবার মধ্যে।আজকের প্রজন্মের অনেকের হয়তো বিশ্বাস হবে না স্বাধীনতার পর পর অর্থাৎ '৭৫ কি'৭৬ সালে ঢাকায় হাতেগোনা কিছু লোকের বাড়িতে টিভি ছিল।আর ঢাকার বাইরেতো ছিলোই না। সারা দেশে টেলিভিশনের সংক্ষ্যা এক হাজার অতিক্রম করবে না বলে সেই সময়কার অনেকেই বলতেন।এখনতো দেশের প্রায় প্রতি ঘরেই টিভি ।এমনকি কারো কারো ঘরে একাধিক। আজকের কম্পিউটার ইন্টারনেট মোবাইল এগুলো চিন্তার মধ্যেও ছিলনা কারো।সেই সময় দেখেছি মনের বৈচিত্র অন্বেষণ করতে বিনোদন পিপাসু মানুষদের কতো উত্তেজনা।এখনো তেমনটাই রয়েছে তবে এর ধরণ বদলে অন্বেষণ পরীধির বিস্তার লাভ করেছে।নব্বই দশকের গোড়ার দিকে মুঠোফোন এসেছে এদেশে।তারও আগে আসে ভিসিআর ভিসিপি যা পরবর্তিতে ভিসিডি এবং পরে ডিভিডিতে রুপান্তরিত হয়।ঠিক একই সময় কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়।মিডিয়ার আকাশ উন্মুক্ত হওয়ার ফলে স্বাধীনতাত্তোরকাল থেকে দেখে আসা দেশের একমাধ্যম বিটিভির পাশাপাশি নুতন নুতন চ্যানেলের সূচনা হতে থাকে। পরিবর্তনের পর পরিবর্তন।এই পরিবর্তনের মূলে রয়েছে বৈচিত্রের অন্বেষণ।যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে বদলেছে প্রযুক্তির পরিবর্তন। রুচির পরিবর্তন।চাহিদার পরিবর্তন। এই পরিবর্তন চিরন্তন।আগামীতে এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে। এই পরিবর্তনের ধারা যতদিন পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারবো ততদিন পর্যন্তই বৈচিত্রের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবো।একমাত্র মৃত্যুই এর থেকে অবসান ঘটাবে।
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় দু’ডজন চ্যানেল ।এসব দেশীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলো কেমন লাগে?এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল আমার পরিচিত এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের কাছে ।নির্বিকার ভঙ্গিমায় কলেজ ছাত্র উত্তর দিল টিভি অনুষ্ঠান না টিভি বিজ্ঞাপন, কোনটির কথা বলবো।বললাম, টিভি অনুষ্ঠান। চট জলদি উত্তর, ‘অনুষ্ঠানের কথা যদি বলেন তাহলে বলবো তাতো দেখাই হয়না’।বললাম, কেন?সরস উত্তরে বলেন,লবন বেশী থাকে তাই খেতে পারিনা।বিস্মিত হয়ে আবার প্রশ্ন, মানে!মৃদু হেসে বললো এটাও বুঝতে পারছেন না!মাথা নাড়ালাম, বললাম- না।এবার কলেজ ছাত্রটি লবন তত্ত্ব বোঝাতে আরাম্ভ করেন।দেখুন,কোন সু-স্বাদু খাবারে যদি অতিরিক্ত লবন পড়ে যায় তাহলে খাবারটি নিশ্চয় সু-স্বাদু হবে না, হবে অ-খাদ্য। অর্থাৎ বেশী লবনাক্ততায় খাবারের স্বাদকে নষ্ট করে । সীমাহীন সমুদ্রে অসীম পানি থাকলেও যেমন খাওয়ার উপযোগীতা না থাকায় তা কিঞ্চিত পরিমানেও পান যোগ্য হয়না, তেমনি টিভি অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনগুলো আমার কাছে বরাবরই অতিরিক্ত লবনাক্তের মত। অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের ভারে টিভি অনুষ্ঠানগুলো একরকম পিষ্ট হচ্ছে।কলেজ ছাত্রের এমন উপলব্দীকে আরো একটু জোরালো করার প্রচেষ্টা চালায় তার সঙ্গে থাকা সমবয়সী বন্ধুটিও। ছাত্রের বন্ধুটির অধৈর্যের ব্যরোমিটার এতটাই ওঠানামা করে যে কোন চ্যানেলেই দু’মিনিটর বেশী কোন অনুষ্ঠান দেখতে পারেননা মনোযোগ দিয়ে।খবর আর টক শো ছাড়া অন্য কোন অনুষ্ঠান দেখতে গেলেই বাজে বিপত্তি।বিজ্ঞাপনের প্রপাগান্ডায় রিমোটের বাটন টেপাতে হয় অনবরত।আর ধারাবাহিক নাটকগুলোর অবস্থা আরোও করুন।নাটকের কাহিনী শুরু হওয়ার আগেই বিজ্ঞাপন।যাওবা ধৈর্য নিয়ে কিছুদুর এগিয়েছে নাটকটি দেখার জন্য কিন্ত কিছু বোঝার আগেই নাটকের পর্বের সমাপ্তি ঘটে। হরহামেশাই এমন অভিযোগ অনেক টিভি দর্শকের কাছেই শুনতে পাওয়া যায়।বিজ্ঞাপন প্রচারে কোন শৃঙ্খলা নেই কোন চ্যানেলেই।এত চ্যানেলের ভীড়ে মাত্রারিক্ত বিজ্ঞাপনের জন্যে খুব কম দর্শকই আছেন যারা নিয়মিত টিভি অনুষ্ঠান দেখেন। চ্যানেল ওয়ালারাও এসব শুনতে পান ,তবে তাদের কাছে এসব কথা অপ্রিয় লাগে। কেননা যেখানে বিজ্ঞাপনগুলোই তাদের বেঁচে থাকার রসদ যোগাচ্ছে সেখানে এমন বহুদা কথা বার্তা কার ভালো লাগে!কিন্তু এর থেকে পরিত্রানের উপায় কী?দর্শকরা এমন বিরম্বনা সহ্য করবেন আর কতকাল?
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৮
স্বপ্ন সুমন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:২৩
মাস্টার বলেছেন: বেশ ভালো অবজার্ভেইশন।
টিভি চ্যানেলগুলোতে শুধুই ব্রেকিং নিউজ। দেখতে দেখতে মনে হয় টিভিটাকেই ব্রেক করে ফেলি
আর নাটক সহও অন্যান্য শো তে বিজ্ঞাপনের ধাক্কা ছাইড়া দে মা কাইন্দা লই টাইপ অবস্থা। বাচ্চাদের জন্য অনুষ্ঠানের হাহাকার সব কয়টা চ্যানেলে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
স্বপ্ন সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সরস উক্তির জন্য।শেষের লাইনটির জন্য আমিও একমত।বাচ্চাদের নিয়ে কেউ ভাবে না ভাই ।এই বাচ্চাদের নিয়ে লেখার কিছু ইচ্ছে আছে আমার।আগামীতে লিখবো।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫
রাজশাহীর পোলা বলেছেন: @ মাস্টার : টিভি চ্যানেলগুলোতে শুধুই ব্রেকিং নিউজ। দেখতে দেখতে মনে হয় টিভিটাকেই ব্রেক করে ফেলি। ১০০% সহমত।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
স্বপ্ন সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৭
যোবায়ের বিন তারেক বলেছেন: শিরোনামে +
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯
স্বপ্ন সুমন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৩
পানকৌড়ি বলেছেন: আগে অনুষ্ঠানের মাঝে বিজ্ঞাপনের বিরতি থাকতো আর এখন বিজ্ঞাপনের ফাকে ফাকে একটু আধটু অনুষ্ঠানের বিরতি থাকে ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৬
স্বপ্ন সুমন বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।আদতে বিষয়টা তাই মনে হচ্ছে।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৯
বাউন্ডুলে শিকু বলেছেন: ভারতীয় সিরিয়াল গুলোর দিকে ঝোকার এটা একটা প্রধান কারন বলে মনে হয় আমার কাছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৭
ম দ ন বলেছেন: একেবারে সঠিক কথাটা বলেছেন।