নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রত্যাশা করি কুসঙ্গের চেয়ে সৎ সঙ্গ

স্বপ্ন সুমন

সৃজনশীল কাজের প্রতি রয়েছে ভীষন আগ্রহ।অসৎ লোকের সঙ্গ মোটেই বরদাস্ত করতে পারিনা।যদি কখনো অজান্তে চলে আসে তবে তৎক্ষনাত পরিবর্তন।ভালো কাজের প্রতি রয়েছ প্রবল আগ্রহ।এই ব্লগটি দেখে ভলো লেগেছে বলেই এখানে যুক্ত করেছি নিজেকে।যদি দেখি এর উদ্দেশ্য ভালো না তাহলে ছিন্ন করবো বন্ধন।বৈচিত্রের অন্বষণে এগিয়ে চলা।সম্ভবত সকল মানুষই তা খুঁজে বেড়ায়।আমিও এর থেকে ব্যতিক্রম নই।মুলতো আমি মনের বৈচিত্রই বেশী খুজে বেড়াই।আমার কাছে সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যেই বেশী বৈচিত্র নিহীত আছে বলে মনে হয় । টেলিভিশন মাধ্যমটিতেও যথেষ্ট বৈচিত্রের অনুসঙ্গ রয়েছে।যেমনটি রয়েছে চলচ্চিত্র মাধ্যমে।এই দুটি মাধ্যমটিতে যারা কাজ করেন এবং যারা এর কাজ দেখেন উভয়ই বৈচিত্রের সন্ধান করেন। দেশে এক সময় এতো প্রযুক্তির ছড়াছড়ি ছিলো না।আমার বয়স যখন সাত কি আট তখন দেখেছি টেলিভিশন দেখার জন্য কী হুড়োহুড়িই না পড়ে যেতো সবার মধ্যে।আজকের প্রজন্মের অনেকের হয়তো বিশ্বাস হবে না স্বাধীনতার পর পর অর্থাৎ '৭৫ কি'৭৬ সালে ঢাকায় হাতেগোনা কিছু লোকের বাড়িতে টিভি ছিল।আর ঢাকার বাইরেতো ছিলোই না। সারা দেশে টেলিভিশনের সংক্ষ্যা এক হাজার অতিক্রম করবে না বলে সেই সময়কার অনেকেই বলতেন।এখনতো দেশের প্রায় প্রতি ঘরেই টিভি ।এমনকি কারো কারো ঘরে একাধিক। আজকের কম্পিউটার ইন্টারনেট মোবাইল এগুলো চিন্তার মধ্যেও ছিলনা কারো।সেই সময় দেখেছি মনের বৈচিত্র অন্বেষণ করতে বিনোদন পিপাসু মানুষদের কতো উত্তেজনা।এখনো তেমনটাই রয়েছে তবে এর ধরণ বদলে অন্বেষণ পরীধির বিস্তার লাভ করেছে।নব্বই দশকের গোড়ার দিকে মুঠোফোন এসেছে এদেশে।তারও আগে আসে ভিসিআর ভিসিপি যা পরবর্তিতে ভিসিডি এবং পরে ডিভিডিতে রুপান্তরিত হয়।ঠিক একই সময় কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়।মিডিয়ার আকাশ উন্মুক্ত হওয়ার ফলে স্বাধীনতাত্তোরকাল থেকে দেখে আসা দেশের একমাধ্যম বিটিভির পাশাপাশি নুতন নুতন চ্যানেলের সূচনা হতে থাকে। পরিবর্তনের পর পরিবর্তন।এই পরিবর্তনের মূলে রয়েছে বৈচিত্রের অন্বেষণ।যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে বদলেছে প্রযুক্তির পরিবর্তন। রুচির পরিবর্তন।চাহিদার পরিবর্তন। এই পরিবর্তন চিরন্তন।আগামীতে এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে। এই পরিবর্তনের ধারা যতদিন পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারবো ততদিন পর্যন্তই বৈচিত্রের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবো।একমাত্র মৃত্যুই এর থেকে অবসান ঘটাবে।

স্বপ্ন সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তায় পথচারী নিষিদ্ধ :দূর্বল প্রচারনার কবলে নগরবাসী

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

গণসচেতনতা কিভাবে তৈরী করা যায় তা বাস্তবায়নে প্রথম দ্বায়িত্ব বর্তায় রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রের ওপর।কিন্ত্ত রাষ্ট্রের প্রশাসনে যারা এ দায়িত্ব পালন করেন তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হয় তারা মনে করেন দেশের সকল মানুষই তাদের অধিনস্থ কর্মচারী।একটি ঘোষণা ----আগামী মঙ্গলবার থেকে কেউ হেটে রাস্তা পার হবেন না।যদি হাটেন তাহলে জরিমানা করা হবে।এই ঘোষণাটা যেভাবে দিলেন তা যে অনেকে জানতেই পারেননি তা জেনে প্রশাসনের কেউ কেউ আকাশ থেকে গড়িয়ে পড়লেন।বলেন কী ?পত্রিকায় দেয়া হলো, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় দেখানো হলো...তারপরেও জানেন না।কেউ বললেন ভাই জানতে পারিনি ,কেউ বললেন আপনারা আমাকে জানাতে পারেননি।আমিতো আর আপনার কর্মচারী নই , যার কর্মচারী তিনি আমাকে এ ক’দিন টিভি দেখা বা পত্রিকা পড়ার সময় দেননি।প্রশাসনের একজন বললেন আপনি এদেশের নাগরিক।নাগরিক হলে এমন ঘোষণা শুনতে হবে ,জানতে হবে, না জানলে জরিমানা গুনতে হবে। উত্তরে একজন বললেন দেশের নাগরিক ঠিকই প্রশাসনের কর্মচারী নই। গণসচেতনতা তৈরীর কিছু নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে এমন উত্তর নিশ্চয় কোন নাগরিকের কাছ থেকে পেতে হতো না।‘রাস্তা পারাপারে পথচারী নিষিদ্ধ ’করা হলে পথচারী রাস্তা পার হবে কোথায় দিয়ে। কেন ওভারব্রীজ দিয়ে। ওভারব্রীজেতো পথচারী বান্ধব নয়।একজন বললেন পথচারী বান্ধব করা হবে।কবে নাগাদ পথচারী বান্ধব হবে? প্রশাসনের এ উত্তর অবশ্য ঘোষণা হয়নি। যেহেতু এটি আমলা তান্ত্রিক ব্যাপার সেহেতু প্রশাসনের কোন নিন্মতম কর্মচারীর এখতিয়ারও নেই এর উত্তর দেয়ার।

নাগরিকরা আইন মানবে দেশের স্বার্থে সমাজের স্বার্থে।প্রশাসনের দ্বায়িত্ব নাগরিক স্বার্থ বজায় রেখে আইন প্রনয়ন করা।এবং তা হওয়া বাঞ্ছনীয় যথাযথ গণসচেতনতা তৈরীর পরেই ।নচেৎ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েও নাগরিকের মনে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।তিলোত্তমা নগর গড়ে ওঠুক এটা দেশের সু-নাগরিক হিসেবে সবার মত আমিও প্রত্যাশা করি।একইভাবে প্রত্যাশা করি রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করার জন্য ভাল প্রশাসন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অশিক্ষিত অদক্ষ প্রশাসন হলো বাংলাদেশের প্রশাসন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

স্বপ্ন সুমন বলেছেন: সহমত পোষণ করি।যারা প্রশাসনে আছেন তারা কী তা অনুধাবন করেন ?আমরা নাগরিক বান্ধব প্রশাসন প্রত্যাশা করি।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১১

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: সর্বোচ্চ সচেতনতা জনগণের মাঝে সৃষ্টি না করে সরকার যতই হামলা মামলা জরিমানা যাই করে না কেনো সুফল পাওয়ার আশা করতে পারেনা তার জন্যে প্রয়োজন মিডিয়ার জোরালো প্রচেষ্টা জন সচেতন মূলক অনুষ্ঠান করে সাধারণ পাবলিককে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যেখানে সেখানে রাস্তা পারাপারের কারণে কি কি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে কি ভাবে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারি দেশের রাজনীতি নিয়েই মিডিয়া ব্যস্ততার মাঝে থাকে জাতির কল্যাণে তাঁরা কি ভূমিকা রাখবে ? সরকার চাইলে দৈনিক পাঁচ ঘন্টা বাংলাদেশ টেলিভিশনে এই সমস্যাসমাধান করার জন্যে প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারে কিন্তু সরকার জোর করে মানুষকে আইন শিক্ষা দিচ্ছে এটি কোনো মতেই কাম্য নয় ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

স্বপ্ন সুমন বলেছেন: মিডিয়া এখন আপাদমস্তক ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে নিজ নিজ কর্মকান্ড পরিচালনা করে।কিছু কিছু বেসরকারী মাধ্যমে গণসচেতনতা মূলক কিঞ্চিত কর্মকান্ড দেখা গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।টক শোতে এসে দেশের বিশিষ্টজনেরা বারবার এর তাগিদ দিলেও তা তাদের অন্য কোন অনুষ্ঠানমালায় এর প্রতিফলন দেখা যায় না।ভাবখানা এমন যে টকশোতে সুশীল সমাজ যা বলে যান তা দেখে সরকার কিংবা রাষ্ট্টের প্রশাসন সে মোতাবেক কাজ করবেন।কিন্ত্তু তাদেরও ভুলে গেলে চলবে না যে তারাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে থেকে গণসচেতনতা তৈরীর নৈতিক দ্বায়িত্বের কথা।বিটিভি সরকারের মুখপাত্র হিসেবে বিগত আমল থেকেই কাজ করছে।যেহেতু এটি রাষ্ট্টের অসংখ্য অর্গানের মধ্যে এটিও একটি অর্গান মাত্র।সরকার ব্যর্থ হলে এটিও যে ব্যর্থ হবে সেটাই স্বাভাবিক।কিন্ত্তু বেসরকারী মাধ্যমগুলো এর দ্বায় এরাতে পারেনা।যখন কোন দূর্ঘটনা ঘটে তখন এইসব গণমাধ্যমগুলো বারংবার প্রমানিত ব্যর্থ প্রশাসনের দিকেই আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরেন সেসব দূর্ঘটনার দ্বায় নেয়ার জন্যে।কিন্ত্ত নিজেদের দ্বায় অবলিলায় এড়িয়ে যায়। তাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব থেকে কোন গণসচেতনতামূলক প্রমোশনাল অনুষ্ঠান প্রচার করতে দেখা যায় না।কারণ এধরণের প্রমোশনালমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের কোন স্পেস খালি নেই তাদের। বিজ্ঞাপন ছাড়া একটি অক্ষরও প্রচার করার মানসিকতা পোষণ করেন না তারা।জনস্বার্থে একটি অলাভজনক অনুষ্ঠান তৈরী করার যেখানে মানসিকতা পোষণ করেন না সেখানে এক তরফা রাষ্ট্টযন্ত্র'র ব্যর্থ অদক্ষ অর্গানগুলোকে দোষারূপ করা কতটা ন্যায়সঙ্গত তা ভাববার অবকাশ রয়ে যায়। আমাদের দেশের জনগণের দোষ দিয়ে লাভ নেই।কারণ দেশের বৃহৎ একটা অংশ নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেনি কিংবা পারছে না।এই না পারার কারণ বহুমাত্রিক।অন্তত যাদের প্রত্যক্ষ দ্বায়িত্ব এই নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার, তারা যদি নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে এর দ্বায়ভার গ্রহণ না করে, তাহলে আমরা ক্রমান্বয়ে আরো অসভ্য জাতিতে পরিনত হবো।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অশিক্ষিত অদক্ষ প্রশাসন হলো বাংলাদেশের প্রশাসন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

স্বপ্ন সুমন বলেছেন: আমরা নাগরিক বান্ধব প্রশাসন প্রত্যাশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.