নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, www.priyobarisal.com , প্রিয় বরিশাল ডট কম।

সোহেল ওয়াদুদ

কঠোর পরিশ্রম করতে ভালবাসি, নম্র থাকি নম্রতা পছন্দ করি, সুখ ছড়িয়ে দিতে ভাল লাগে, যা হবার তা হবেই হবে চেষ্টার ত্রুটি কেন রবে, BG: A+(ve)

সোহেল ওয়াদুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনি সব সময় সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বিভিন্ন পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের সময় প্রচারণা ও টাকা খরছের হিড়িক দেখলে বোঝা যায় এসব পদ কত লোভনীয়। পোস্টারে আর ব্যানারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। চলে দেদারছে টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রতিযোগিতা। আমার পরিচিত একজন বরিশাল আন্তঃজেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সস্পাদক সুলতান মাহামুদ । যিনি গত ২০ বছর আগেও কষ্টে জীবন যাপন করেছেন। তবে এখন তার কাড়ি কাড়ি টাকা। আছে নিজের ও পরিবারের নামে প্রচুর সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স। তার দৃশ্যমান কোন পেশা/ব্যবসা নেই। তিনি নিজেকে বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসেবে পরিচয় দেন। রাজনীতিও করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট কোন দলের সাপোর্টার নন, তিনি সব সময় সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের বড় নেতার আশীর্বাদে বহাল থাকে তার পদ/পদবী।।
এ পদে তিনি আছেন সুদীর্ঘ ২০ বছর।১৯৯৭ সাল থেকে রুপাতলীর ঐ ইউনিয়ন নানা ছলে বলে কৌশলে নিজের আয়ত্বে রেখেছেন।আওয়ামীলীগার পরিচয় দিয়ে ৯৭ এ এ পদ বাগিয়ে নেয়ার পর ২০০১ এ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পল্টি দিয়ে বিএনপির একনিষ্ট একজন নেতা বনে যান।এভাবেই কাটিয়ে দেন টানা ৬ বছর।তখনকার    সময়ে সাবেক হুইপ ও মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের আস্থাভাজন যে কয়জন নেতা ছিলেন সুলতান তাদের অন্যতম।পরবর্তীতে আবারো ভোল পাল্টান এ চালাক নেতা।২০০৮ এ তিনি আওয়ামীলীগের মেয়র শওকত হোসেন হিরনকে ফুল দিয়ে রাতারতি আওয়ামীলীগার বনে যান।সেই সময়ে পুরষ্কার সরুপ হিরন আবারো তাকে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মনোনীত করেন।সেই থেকে রুপাতলী এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে সরকার যায় সরকার আসে সুলতান থাকে বহাল তবিয়্যতে।শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হলেও সুলতানকে কেউ শ্রমিকগীরি করতে দেখেনি।একথাটি রুপাতলীতে ওপেন সিক্রেট যে দেশে পুনরায় যদি সরকার পরিবর্তন হয় তাহলে আবারো পল্টি নেবেন এ সুলতান।এভাবে দলবাজি করলে কোন সমস্যা ছিলনা কিন্তু সমস্যাটা অন্যখানে ,রুপাতলীতে এ সুলতানের নামে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি গ্রুপ।সুলতানের ভাতিজা মানিকের দ্বারা বাসস্টান্ডে যত ধরনের অবৈধ দোকনপাট তার থেকে হপ্তা উঠানো।রুপাতলি হাউজিং ও সওজ এর জমি দখল করে তাতে বাজার বসনো সহ বাসস্টান্ড এলাকায় চলে সুলতানের রামরাজত্ব।আর কেউ তার কথার বিরুদ্ধে গেলে কিংবা তাদের সাথে মতানৈক্য হলেই কথিত শ্রমিক আন্দোলনের নামে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় সুলতান। এই নেতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলার করেছেন

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমার পরিচিত একজন আন্তঃজেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আছেন। যিনি গত ২৩ বছর আগেও ছিলেন বাসের হেল্পার। পড়াশুনার হাতে খড়ি নাম দস্তখত পর্যন্ত। তবে এখন তার কাড়ি কাড়ি টাকা। শহরে আছে চার-পাঁচটি বহুতল ভবন। আছে নিজের ও পরিবারের নামে প্রচুর সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স। তার দৃশ্যমান কোন পেশা/ব্যবসা নেই। তিনি নিজেকে বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসেবে পরিচয় দেন। এখন তিনি নিজে ড্রাইভ করেন না। দামী প্রাইভেট কারের সাথে আছে নিজস্ব ড্রাইভার। রাজনীতিও করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট কোন দলের সাপোর্টার নন, তিনি সব সময় সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের বড় নেতার আশীর্বাদে বহাল থাকে তার পদ/পদবী।।

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: পরিবহন নেতারা এখন জিরো থেকে হিরো।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: পরিবহন খাতে অনিয়মই হলো নিয়ম। সুলতান মিয়া তো দেখা যায় বেশ চালাক ব্যক্তি। আবার ক্ষমতাশালীও। এদেশে যার ক্ষমতা আছে আইন তো তার পক্ষ হয়েই কথা বলে।

৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: মনে রাখতে হবে, এই বাংলাদেশে জঙ্গি ছেলেদের লাশ তাদের বাবা-মায়েরা নেয়নি। মর্গে পড়েছিল দিনের পর
দিন। অার টেকনাফের একরামুল হকের জানাযায় শরিক হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। মানুষের চোখ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অায়না। একরামুলের চোখ বলছে সে মাদক চোরাকারবারি নয়। তবু তাকে হত্যা করেছে রাষ্ট্রের লাঠিয়াল বাহিনী। পাপ! ঘোরতর পাপ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.