নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কঠোর পরিশ্রম করতে ভালবাসি, নম্র থাকি নম্রতা পছন্দ করি, সুখ ছড়িয়ে দিতে ভাল লাগে, যা হবার তা হবেই হবে চেষ্টার ত্রুটি কেন রবে, BG: A+(ve)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির সহযোগী সংগঠন হচ্ছে নয়টি। যা দলের গঠনতন্ত্রের ২৫-এর (২) ধারাতে ‘সহযোগী সংগঠন’ শিরোনামে উল্লেখ রয়েছে। সে নয়টি সংগঠন হচ্ছে (গঠনতন্ত্রের ধারায় ক্রমানুসারে) : বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। আর জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের স্ব-স্ব সংগঠনের গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের উক্ত ২৫-এর ২ ধারাতে এভাবেই উল্লেখ রয়েছে।
হ্যা আমি তৃণমূলের একজন কর্মি হিসেবে মুটামুটি জ্ঞান দিয়ে চিন্তা করে দেখলাম আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি ৭ টি সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতীলীগ ও যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ'র তৃণমূল পর্যায়ে কোন কর্মকাণ্ড চোখে পড়ার মত নয়!
প্রথম কারন হচ্ছে, আমি যতদূর জেনেছি
রাজনীতির মাঠে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করা এবং দক্ষ ও যোগ্য এবং ক্লিন ইমেজ ও জনপ্রিয়তা আছে এমন নেতাকর্মীদের কে সাইজ করে রাখা ।
দ্বিতীয় কারন হচ্ছে, যাদের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে তারা অনেকে আবার সুন্দর করে বক্তব্য দিতে জানে না, কেউ কেউ প্রযুক্তিতে অজ্ঞ , অধিকাংশ নেতা স্মার্টলি সবকিছু মেন্টেন করতে পারেন না , কারও কারও সিক্স সেন্স অনেক কম।
আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকার ৫ যোগ্যতার যাচাই-বাছাই করা হলে আমরা তৃণমূল কর্মিরা বিশ্বাস করবো তৃণমূলের নেতারা আমাদের প্রিয় নেত্রীর নির্দেশ মান্য করেন!
৫ যোগ্যতা
---------------
আওয়ামী লীগ সভাপতি ইতিমধ্যেই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এবং সম্পাদক মণ্ডলীর সঙ্গে বৈঠকে সুস্পষ্ট গাইডলাইন দিয়েছেন যে এই কমিটিগুলোতে কারা স্থান পাবেন। সেই বিবেচনা থেকেই এই কমিটিগুলোতে কাউকে স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচটি যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথমত; ২০০৮ এর আগে থেকে আওয়ামী লীগ করতে হবে
যারা কমিটিতে স্থান পাবেন, তাদের প্রথম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে যে, ২০০৮ এর আগে তাদেরকে আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কোসহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। ২০০৮ এর পরে যারা আওয়ামী লীগের কোন সহযোগী সংগঠন বা আওয়ামী লীগে পদ নিয়েছেন তাদেরকে কোন কমিটিতে পারতপক্ষে রাখা হবে না। তবে সেক্ষেত্রে যদি বিশেষ বিবেচনা করা হয় তবে তা করবেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
দ্বিতীয়ত; প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে
আগে যারা ছাত্রলীগ করতেন তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকুক, জেলা কমিটিতে থাকুক, উপজেলা কমিটিতে থাকুক না কেন তাদেরকে জেলা কমিটি, উপকমিটি এবং সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে। যারা এখন কোথাও নেই তাদেরকেই এই সহযোগী এবং আওয়ামী লীগের উপকমিটিগুলোতে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, উপকমিটি করাই হবে মূলত প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাদের জন্যে। যেসব নেতারা বিভিন্ন সময়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, এখন তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার যোগ্যতা রাখেন, কিন্তু নানা কারণে তাদেরকে রাখা যাচ্ছে না। এ ধরনের সাবেক ছাত্রনেতাদের এবার উপকমিটিতে দেখা যাবে।
তৃতীয়ত; যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির অভিযোগ নেই
যদি কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির কোনো অভিযোগ বা মামলা থাকে তাহলে তারা কমিটিতে থাকার যোগ্যতা হারাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র।
চতুর্থত; মাদকের সঙ্গে জড়িতদের স্থান হবে না
মাদকাসক্ত, মাদকের সঙ্গে জড়িত বা মাদক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় নাম থাকলে সে কোনভাবেই আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কোনো কমিটি বা উপকমিটিতে থাকতে পারবে না।
পঞ্চমত; ফৌজদারি মামলার ইতিহাস
কমিটিতে যাদের জায়গা দেওয়া হবে তারা কোনো ফৌজদারি মামলায় জড়িত কিনা, তা দেখা হবে। কারও নামে ফৌজদারি মামলা থাকলে বা দণ্ডিত হয়ে যদি জামিনে মুক্তি পায় বা দন্ড শেষ হওয়ার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়নি- এমন কেউ কমিটিতে থাকতে পারবে না।
অর্থাৎ এখন থেকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কোনো কমিটি বা উপকমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাহেদ-পাপিয়াদের মতো কোন অনুপ্রবেশকারী যেন না ঢোকে সেজন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পাঁচ নেতা এই নীতিমালা চূড়ান্ত করছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই নীতিমালা চূড়ান্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতির গাইডলাইন অনুযায়ী এই পাঁচটি শর্তের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
সাগর শরীফ বলেছেন: নেত্রী সবসময়ই জনগণের কথা ভাবেন। ভাবেন না আমাদের নেতা কর্মীরা। এখানেই নেত্রীর আদেশের খেলাফ হয়। তবে নেত্রী সবসময় জনগণের কথা ভাবেন। তাই আশা করি তার আদেশের বাইরে গেলে তাদের ব্যবস্থা নেত্রী করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: সব ধরনের ''লীগ'' করে সমাজের লাভটা কি হয়? না সমাজের লাভ হয় না। দেশের কোনো উপকার হয় না। লাভ হয় লীগের কতিপয় লোকজনদের।
এই ধরনের সমস্ত লীগ বন্ধ করে দেওয়া দরকার। পুরো বাংলাদেশে একটাই লীগ থাকবে- সেটা হলো, আওয়ামী লীগ।
যদি সত্যিকারভাবে দেশকে ভালোবাসেন, তাহলে কোনো দল করার দরকার হয় না। চোখ বন্ধ করে মানুষের জন্য কাজ করে যান।