নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, www.priyobarisal.com , প্রিয় বরিশাল ডট কম।

সোহেল ওয়াদুদ

কঠোর পরিশ্রম করতে ভালবাসি, নম্র থাকি নম্রতা পছন্দ করি, সুখ ছড়িয়ে দিতে ভাল লাগে, যা হবার তা হবেই হবে চেষ্টার ত্রুটি কেন রবে, BG: A+(ve)

সোহেল ওয়াদুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিতর্কিত করলো কারা? | প্রিয় বরিশাল

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০১


উপ কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের বিতর্ক যেন কাটছেই না। গত উপ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারক সাহেদকে। সাহেদ ধরা পড়ার পর এটি নিয়ে লুকোচুরি খেলাও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কয়েকটি ছবিতে দেখা গেল যে, সাহেদ আন্তর্জাতিক উপ কমিটির বিভিন্ন বৈঠকে যোগদান করেছেন। এমনকি বিভিন্ন টকশোতেও তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। তখন আন্তর্জাতিক উপ কমিটির পক্ষ থেকে এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এটি অস্বীকার করা হয়নি এবং কোন প্রতিবাদও জানানো হয়নি ।

এসব বিতর্কের প্রেক্ষিতে এবার উপ কমিটি গঠন নিয়ে অনেক সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সংগঠনের একবছরেরও বেশি সময় পর এই উপকমিটিগুলো ঘোষিত হচ্ছে। কিন্তু উপ কমিটি নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে, এমন সব ব্যক্তিকে উপ কমিটিতে রাখা হয়েছে যাদেরকে রাখার কোন প্রয়োজন ছিল না। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন ব্যক্তিকেও রাখা হয়েছে। আবার এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে, যে ব্যক্তিরা স্পর্শকাতর সরকারি দায়িত্ব পালন করেন, যাদের সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকা উচিৎ নয়। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে এডভোকেট আমিন উদ্দিনকে নিয়ে। এডভোকেট মাহবুব আলমের মৃত্যুর পর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আমিন উদ্দিন অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশের একজন আইন কর্মকর্তা। এধরণের দায়িত্বে থেকে কেউ সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা অনুচিত এবং অনৈতিক। অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিনকে কেন উপ কমিটিতে রাখা হলো, তিনিই বা কেন রাজি হলেন তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একধরণের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিৎ ছিল না এই উপ কমিটিতে থাকা।

উপ কমিটিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নাম দেখে বিএনপি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন যে, অ্যাটর্নি জেনারেলের রাষ্ট্রের একজন প্রধান আইন কর্মকর্তা এবং সাংবিধানিক পদের ব্যক্তি যখন আওয়ামী লীগে যোগ দেন তখন তা অবিশ্বাস্য। এরপর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এটির পাল্টা জবাব দেন এবং তিনি প্রমাণের চেষ্টা করেন যে, অ্যাটর্নি জেনারেল পদটি কোন সাংবিধানিক পদ নয়। কিন্তু এটি সাংবিধানিক পদ হোক কিংবা না হোক, শেষ বিচারে এই পদটি একটি নিরপেক্ষতার প্রতীক। দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে কেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মন হবে?

এইরকম বিতর্কের মুখে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেই উপ কমিটিতে থাকতে অস্বীকৃতি জানালেন। কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতি হলো আওয়ামী লীগের নাকি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদটির। এর ফলে অ্যাটর্নি জেনারেল পদটিকে বিতর্কিত করা হলো এবং ভবিষ্যতে এটিকে একটি ইস্যু করা হবে। আবার আওয়ামী লীগও এই মানুষকে রাখতে পারলেন না। তার পরিবর্তে অন্য একজনকে দিলেন। পুরো ব্যাপারটা একটি লেজে-গোবরে করা হলো এবং যার জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো সরকার। আওয়ামী লীগের ভিতর এই অতি উৎসাহী কারা, কারা এভাবে সরকারি চাকুরী বা অ্যাটর্নি জেনারেলের মত স্পর্শকাতর ব্যক্তিদেরকে উপ কমিটিতে রাখে, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। আর এই সমস্ত অযথা বিতর্কে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৩৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আওয়ামিলীগ এর কমিটি তে ১ টা পদ মানে- আরেক জন কোটি পতির জান্ম।
ক্ষেত্র বিশেষে- হাগার কোটি টাকার মালিক।

অ্যটর্নিজেনারেল আর কত টাকা কামায়, আপনে ই বলেন।
আর উচিত অনুচিত রে ... মাইরা চৌরাস্তায় টাঙ্গায়া রাখতে হইবেক।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন।
মাহবুবে আলমকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। আমরা একই সক্রিয় সংগঠন একসাথে করেছি। ওনি সহসভাপতি ছিলেন, আমি সদস্য। ওনার ব্যক্তিত্ব কাছ থেকে দেখেছি। প্রলোভন কিভাবে ধমকে তাড়াতে হয় তা দেখেছি। প্রভাব বিস্তারের ব্যক্তিত্ব দেখেছি। এমনটার অভাবের কথাই শুনছি।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আর রাজনীতিবিদ দুটাই ক্ষতিকর।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: দেশে রাজনীতি এখন সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.