নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের দিক অন্যায়ের প্রতিবাদী

আমি একজন বাঙালি

মো. আলী রেজা

সত্যের পথে

মো. আলী রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্বত্য ভূমিকমিশনের ১৩টি আইন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৩

১৩টি সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে : ১। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০১১ (সংশোধিত ২০১২) নামে অভিহিত হবে।

২। আইনের (২০০১ সালের ৫৩ নম্বর আইন) তৃতীয় অনুচ্ছেদে ‘পার্বত্য জেলাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য জনসংহতি সমিতির স্থলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়কজাতীয় কমিটি এবং পার্বত্যচট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিস্থাপিত হবে।

৩। ৩(২)(ঘ) ধারায় সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ, পদাধিকারবলে এর স্থলে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ বাতত্কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি প্রতিস্থাপিত হবে।

৪। ৬(১)(ক) ধারায় পুনর্বাসিত শরণার্থীদের ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন

ও রীতি অনুযায়ী নিষ্পত্তিকরা এর স্থলে পুনর্বাসিত শরণার্থীদের জমিজমাবিষয়কবিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও অবৈধভাবে বন্দোবস্ত ও বেদখল হওয়া জায়গাজমি ও পাহাড়ের মালিকানা স্বত্ব বাতিলকরণসহ সমস্ত ভূমিসংক্রান্ত বিরোধের পাশাপাশি চুক্তির পরিপন্থী নয় এমন সকল বিষয়ে চুক্তির ধারা ঘ ৪ মতে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন,রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা প্রতিস্থাপিত হবে।

৫। ৬(১)(খ) ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি অনুযায়ী শব্দাবলির স্থলে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী হবে।

৬। ৬(১)(গ) ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইনবহির্ভূতভাবেকোনো বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েথাকলে তা বাতিল এবং বন্দোবস্তজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি হতে বেদখল হয়ে থাকলে তার দখল পুনর্বহাল-এর স্থলে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতিবহির্ভূতভাবে ফ্রিজল্যান্ড (জলেভাসা জমি)সহ কোনো ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান বা বেদখল করা হয়ে থাকলে তা বাতিল এবং বন্দোবস্তজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি হতে বেদখল হয়ে থাকলেতার দখল পুনর্বহাল প্রতিস্থাপিত হবে।

ধারা ৬(১)(গ) এর শর্তাংশ তবে শর্ত থাকে যে, প্রযোজ্য আইনের অধীনে অধিগ্রহণকৃত ভূমি এবং রক্ষিত বনাঞ্চল, কাপ্তাই জলবিদ্যুত্ প্রকল্প এলাকা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পকারখানা ও সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডকৃত ভূমির ক্ষেত্রে এই উপধারা প্রযোজ্য হবে না শব্দাবলিবিলুপ্ত হবে। (এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা ব্যাখ্যা চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আইনে একই বিষয় উল্লিখিত থাকায় এখানে বিষয়টির আর দরকার নেই)।

৭। ৭(৩) ধারায় কমিশনের কোনো বৈঠকে কোরামের জন্য চেয়ারম্যান এবং অপর দুইজনসদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হবে এবং চেয়ারম্যান কমিশনের সকল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এর স্থলে কমিশনের কোনো বৈঠকে কোরামের জন্য চেয়ারম্যান এবং অপর তিনজনসদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হবে এবং চেয়ারম্যান কমিশনের সকল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন শব্দাবলি প্রতিস্থাপিত হবে।

৮। ৭(৪) ধারায় কোনো বৈঠকে বিবেচিত বিষয় অনিষ্পন্ন থাকিলে তা পরবর্তী যে কোনো বৈঠকে বিবেচনা ও নিষ্পত্তি করা যাবে এবং সংশ্লিষ্ট পূর্ববর্তী বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা কাহারও অনুপস্থিতির কারণে বিষয়টির নিষ্পত্তি বন্ধ থাকবে না বা নিষ্পত্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম অবৈধ হবে না-এরস্থলে ‘কোনো বৈঠকে বিবেচিত বিষয় অনিষ্পন্ন থাকলে তা পরবর্তী যে কোনোবৈঠকে বিবেচনা ও নিষ্পত্তি করা যাবে, তবে এরূপ বিবেচনা ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কমিশনের সকল সদস্যকে নোটিশ প্রদান করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পূর্ববর্তী বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের কারও অনুপস্থিতির কারণে বিষয়টির নিষ্পত্তি বন্ধ থাকবে না বা নিষ্পত্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম অবৈধ হবে না’ প্রতিস্থাপিত হবে।

৯। ৭(৫) ধারায় ‘চেয়ারম্যান উপস্থিত অন্যান্য সদস্যদের সহিত আলোচনার ভিত্তিতে ৬(১) বর্ণিত বিষয়াদিসহ এর এখতিয়ারভুক্ত অন্যান্য বিষয়ে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তইকমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে-এর স্থলে চেয়ারম্যান উপস্থিত অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ৬(১)-এ বর্ণিত বিষয়সহ এর এখতিয়ারভুক্ত অন্যান্য বিষয়ে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, তবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে-শব্দাবলি প্রতিস্থাপিত হবে।

১০। ৯ ধারায় ‘কমিশনের আবেদন দাখিল’-এর স্থলে ‘কমিশনের নিকট আবেদন দাখিল’ শব্দাবলি প্রতিস্থাপিত হবে।

১১। ধারা ১০(৩)-এর পরে নতুন উপধারা ১০(৪) নিম্নবর্ণিতভাবে সন্নিবেশিত হবে : (৪) কমিশন কর্তৃক আবেদন নিষ্পত্তির পূর্বে যে কোনো সময় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আবেদনকারী তার আবেদন সংশোধন করতে পারবেন।

১২। ধারা ১৩(২)-এর পরে নতুন উপধারা ১৩(৩) নিম্নবর্ণিতভাবে সন্নিবেশিত হবে : ১৩(৩) এইধারার অধীন কমিশনের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ওকর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলায় উপজাতীয়দের অগ্রাধিকারেরভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

১৩। ১৮ ধারায় এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, এই আইন বলবত্ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিবে-এর স্থলে ‘এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, এই আইন বলবত্ হওয়ার পর যথাশীঘ্রই সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিবে’ শব্দাবলি প্রতিস্থাপিত হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.