![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্সে এমবিএ করছি— স্বপ্ন দেখছি। একসময় প্রচুর বই পড়তাম, বইয়ে ডুবে থাকতাম। গল্প নামক হাবিজাবি লিখতাম। তারপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিতর্ক করে বেড়িয়েছি কিছু কাল।
আবদুর রহমান সাহেব চাকরী করেন। খুব বড় কোন পদ নয়; কেরানীর চাকরী। অফিসে লেখালেখিই তাঁর একমাত্র কাজ। বার্লি কাগজে বাঁধাই করা মোটামোটা টালি খাতায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নির্ভুল ভাবে লিপিবদ্ধ করা, ব্যালেন্সশীট মিলানোর জন্য মাস শেষে সাড়ে সতের হাজার টাকা বেতন পান তিনি। তা দিয়েই দুই মেয়ে, এক ছেলে আর স্ত্রী সহ মোট পাঁচ জনের সংসারটা টেনে যাচ্ছেন।
একটু ভুল বলা হল। সংসারে এখন মানুষ পাঁচজন নয়। বড় মেয়ে রিতার বিয়ে হয়েছে বছর তিনেক আগে। এর ফলে সংসারের মানুষ সংখ্যা এখন কমে চারে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে খরচের দিক দিয়ে খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। বরং ক’দিন পর পর মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকদের এটা সেটার আবদার মিটানো ও উৎসব পার্বনে দাওয়াত দিতে গিয়ে বেশ ভালোই টাকা খরচ হচ্ছে। বেতনের হিসাবের টাকা আর গ্রামের সামান্য জমি বর্গা দিয়ে পাওয়া টাকা থেকে এতো সব খরচ মিটাতে গিয়ে প্রতি মাসেই বেশ হিমশিম খেতে হয় তাঁর। তবুও কোন রকমে টেনেটুনে দিন রাত কাটিয়ে দিচ্ছেন।
কয়েক বছর ধরেই কাঁধের ডান পাঁশে টিউমারের ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছেন আব্দুর রহমান সাহেব। ইদানীং চিনচিনে ব্যথাটা বেশ ভোগাচ্ছে তাঁকে। একটানা বেশীক্ষণ লিখতে পারেন না। হাতে ব্যথা শুরু হয়ে যায়, চোখে ঝাপসা দেখেন। গত কয়েক বছর ধরেই শরীরের ভেতরে এটাকে বয়ে বেড়িয়েছিন কিন্তু খুব একটা পাত্তা দেন নি। তবে এখন মনে হচ্ছে আর পাত্তা না দিয়ে উপায় নেই।
লেখালেখি করাই যার কাজ, সে যদি হাতের ব্যথার কারনে লিখতে না পারে তাহলে কি চাকরীতে তাঁর আর কোন মূল্য আছে?
আজ বৃহস্পতিবার। সাধারণত বৃহস্পতিবার অফিস একটু তারাতারি ছুটি হয়ে যায়। হাতে একটু বাড়তি সময় থাকে। তাই আজ ফেরার পথে পরিচিত এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন।
ডাক্তার উনার সব কিছু দেখে ব্যথা কমার জন্য কিছু ঔষধ লিখে দিলেন। বললেন,
‘আপাতত ব্যথা কমার জন্য কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি। এগুলো খেলে ব্যথাটা থাকবে না। তবে আপনাকে তো বারবার বলছি এটা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য খুব দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন। অপারেশনটা করিয়ে ফেলুন।’
‘করব,’ বলে আবদুর রহমান সাহেব ধীর কন্ঠে ডাক্তারের কাছে অপারেশনের খরচের পরিমাণটা আবারও জানতে চান। ডাক্তার তাঁর জবাবে ঔষধ-পথ্য মিলিয়ে খরচের যে এমাউন্টটা বললো, সেটা মোটেও তাঁর জন্য কম নয়। বরং আগের বার যা বলেছিলেন তার চেয়েও এবার একটু বেশি।
অবশ্য পিঁপড়া’র শীতকালীন সঞ্চয়ের মতো কষ্ট করে জমিয়ে রাখা কিছু টাকা ব্যাংকের সঞ্চয়ী একাউন্টে জমা আছে। তবে ওটার দিকে হাত বাড়াতে ইচ্ছে করে না তাঁর; সেটা অন্য এক কাজের জন্য জমাচ্ছেন তিনি। কিন্তু শরীরের এই অবস্থায় এবার আর হাত না দিয়ে উপায় নেই মনে হচ্ছে।
ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসানে আবদুর রহমান সাহেব। উপরে টিনের চাল আর চারপাশে ইটের দেয়াল করা আধাপাকা ঘরের দরজায় এসে কড়া নাড়েন। ছোট মেয়ে রিমি দরজা খুলে দেয়। এমনিতে সন্তানের ক্রমানুযায়ী রিমি তাঁর ছোট মেয়ে হলেও, বয়সের দিক দিয়ে মেয়েটা এখন আর ছোট নেই। বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। সাধারণত নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের বিয়ের বয়সটা মনে হয় একটু দ্রুতই হয়। সেই ব্যাপারটাই ঘরে ঢুকে আরেকটু স্পষ্ট হয় আবদুর রহমান সাহেবের।
‘আজ আমার খালোতো বোন জুলেখা কল দিয়েছিল। রিমির জন্য একটা বিয়ের সম্বন্ধের কথা বলছে। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে, থাকে বিদেশে। দেখতে শুনতে খারাপ না। আপনি একবার জুলেখার সাথে কথা বলে দেখবেন নাকি?’ আবদুর রহমান সাহেবের স্ত্রী মৃদু কন্ঠে কথাটা তাঁকে জানালো – পাছে রিমি আবার শুনে ফেলে কিনা। উনি ঘামে ভেজা শার্টটা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে খাটে ফ্যানের নীচে এসে বসলেন।
‘বড় মেয়ের বিয়ের সময় যে দেনা করেছি, সেটার টাকাই তো ক’দিন আগে দিয়ে শেষ করলাম। এরই মাঝে আবার আরেক মেয়ের বিয়ের কথা চিন্তা করো কিভাবে? যাক না বছর কয়েক। মেয়েটারও আরও জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ুক।’
‘আর বুদ্ধি বাড়ার দরকার নাই। মেয়ে মানুষ হলো বাজারের মাছের মত। বিয়ে দিতে যত দেরি হয়, ততই দাম কমে। ছেলেদের নাকি দোতলা বাড়ি আছে। বহু পুরাতন খানদান।’
‘আচ্ছা, আমি জুলেখার সাথে পরে আলাপ করব। এখন ভালো লাগছে না। সামনে থেকে যাও।’
আবদুর রহমান সাহেবের স্ত্রী রাহেলা বানু আর কথা বাড়ায় না। হাতের কাজ শেষ করতে রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ান। রাত প্রায় ন’টা বেজে যাচ্ছে। খানিক পরেই খাবারের আয়োজন করতে হবে। এই পরিবারে সকাল আর রাতের খাবারটা সবাইল মিলে একসাথে বসে খাওয়া হয়।
মাটিতে মাদুর বিছিয়ে খেতে বসেছেন আবদুর রাহমান সাহেব আর তাঁর ছেলে মেয়ে – উনার স্ত্রী খাবার বেরে দিচ্ছেন সবাইকে। খেতে খেতে ক্লাস টেনে পড়ুয়া ছেলে রাতুল বলল,
‘আব্বা, আগামীকাল তো তিন তারিখ, কোচিং’এর স্যারের বেতন দিতে হবে ।’
‘আব্বা আমার স্যারেরও বেতন দিতে হবে। কাল পরশুর মধ্যে দিলে ভালো হয়।’
রিমিও রাতুলের কথার শেষে বাবাকে বলে। আবদুর রহমান সাহেব পানির গ্লাসটায় একটা চুমুক দিয়ে বলেন,
‘এখনো তো অফিসের বেতন পাই নি। বেতন পাওয়ার পরে দিয়ে দিও।’
ছেলে মেয়েরা আর কোন কথা বলে না। ডাল আর মিষ্টি কুমড়া ভাজি দিয়ে দিয়ে চুপচাপ ভাত খেয়ে উঠে চলে যায়। তাঁরা তাঁদের বাবা সম্পর্কে জানে – বাবার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কেও।
খাওয়া শেষ করে রাত এগারটাও মধ্যেই ঘুমানোর আয়োজন করে ফেলেন আবদুর রহমান সাহেব। ছেলে মেয়ে গুলো পাশের রুমে বসে এখন পড়বে কিছুক্ষন। তারপর তাঁরাও ঘুমিয়ে পড়বে।
বিছানায় শুয়ে আবদুর রহমান সাহেব চিন্তা করছেন আগামী মাসের খরচের কথা। কিভাবে এতোগুলো খরচ মিটাবেন সেটা নিয়ে প্রত্যেক মাসের শেষেই হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। বাসা ভাড়া, ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ, পারিবারিক খরচ সহ নানান দিকে শুধু খরচ আর খরচ। তাই ভাবছেন স্ত্রীর কথা মতো রিমিকে বিয়ে দিয়ে দেবেন। ক্যাশ টাকা ব্যাংকে কিছু জমা আছে। বাকীটা গ্রামের কিছু জমি বিক্রি করে জোগাড় করে ফেলবেন।
মেয়ে হয়ে জন্মেছে। আজ না হয় কাল– বিয়ে তো দিতেই হবে। শুধু শুধু পড়া লেখা করিয়ে খরচ বাড়িয়ে লাভ নেই। এদিকে নিজেরও শরীরের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। আল্লাহ না করুক, যদি কিছু হয় যায় তাহলে মেয়ে নিয়ে মেয়ের মা বিরাট ফ্যাসেদে পড়ে যাবে। সে চিন্তা থেকেই স্ত্রীকে বলেন,
‘তোমার খালাতো বোন জুলেখা যে ছেলের কথা বলেছিল, সে ছেলের বাড়ি কই? ভাই-বোন কয় জন?’
‘আপনি কি রিমিরে বিয়ে দিতে রাজি নাকি?’
‘আল্লাহ যদি সব দিকে মিল করিয়ে দেয়, তাইলে রাজি না হয়ে উপায় আছে? আসলে তোমার কথাই ঠিক! মেয়ে মানুষ হইতেছে মাছ আর দুধের মতো। সঠিক সময় সঠিক যায়গায় না পাঠাতে পারলে নষ্ট হওয়া শুরু হয়।’
আবদুর রহমান সাহেবের কথার জবাবে তাঁর স্ত্রী ছেলের বাড়ির ফর্দ শুনাতে শুরু করে। যদিও সে নিজেই শুনেছে আরেকজনের মুখে – তবুও তাঁর বর্ণনা এতোই নিখুঁত যে, মনে হয় সে নিজেই সব কিছু দেখে এসেছে!
‘শুনেন, ছেলেদের বিরাট খানদান। তিন পুরুষের খানদান। জায়গা-জমি, ধন-সম্পদ, সোনা দানায় একেবারে মিশরের বাদশাহ।’
‘মিশরের বাদশাহদের কত টাকা পয়সা ছিল তা তুমি জানো?’
আবদুর রহমান সাহেবের প্রশ্নে রাহেলা বানু জবাব দেয় না। তিনি তার মতো করে বলে যান। আবদুর রহমান সাহেবও শুনতে শুনতে ক্লান্তিতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়েন।
ক’দিন বাদেই মেয়ের বিয়ের সব ব্যবস্থা শুরু হয়ে যায়। অপারেশন করার জন্য যে টাকার কথা ভেবেছিলেন, সেটার সাথে ধারদেনা করে মিলানো টাকা আর জমি বন্ধক দিয়ে বিয়ের খরচ মিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত কয়েক মাস ব্যথা কমার ঔষধের উপর নির্ভর করেই চলে যেতে পারবেন তিনি। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে পরিবারের খরচ অনেক কমে যাবে– তখন একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে অপারেশনের। আল্লাহ পাকই করে দেবেন।
সব কিছু ঠিকমতোই এগিয়ে যায়। সুষ্ঠ ভাবে মেয়ের বিয়ে দেন আবদুর রহমান সাহেব। তবে বিয়ে দিয়ে আর হাঁফ ছেঁড়ে বাঁচতে পারেন না তিনি। বিয়ের মাস খানেকের মধ্যেই বড় মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে জানায়,
‘তোমার ছোট মেয়েকে বিয়ে দেবার সময় চার ভরি সোনার গয়না দিয়েছো। আর আমার বিয়ের সময় দিয়েছো মাত্র আড়াই ভরি। এটা নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানান কথা বলে। আমি কি ফেলনা নাকি তোমাদের কাছে?’
মেয়ের কথার সারাংশ হচ্ছে, তাকেও আরও কিছু সোনার গয়না গড়ে দিতে হবে। আবদুর রহমান সাহেব মেয়ের কথা ফেলতে পারেন না। মেয়ের কথা, মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকদের কথা চিন্তা করে বড় মেয়েকেও আরও কিছু স্বর্ণের গয়না তৈরি করে দেয়ার কথা দেন– তবে এখন নয়, কয়েক মাস পরে।
ক্যালেন্ডারের পাতা কয়েক বার উল্টে যায়। টিউমারের ব্যথার কথা ভুলে গিয়ে নিজের মেয়ের সুখের জন্য কথা মতো স্বর্ণের গয়না তৈরি করে দেন তিনি। নিজেই সেটা মেয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। জিনিস গুলো দেয়াও হবে; মেয়েকে দেখাও হবে।
প্রাপ্তি সব সময়ই আনন্দের। তাঁর মেয়ের ক্ষেত্রেও সেটার ব্যতিক্রম হয় না। বাবার কাছ থেকে পাওয়া সোনার কানের দুল পেয়ে বেশ খুশি হয়েছে সে। শ্বশুর বাড়ির লোকদের ডেকে ডেকে দেখাচ্ছে। মেয়েকে খুশি করতে পেরে তাঁর নিজেরও খুব খুশি লাগছে। সন্ধ্যার দিকে তাই খুশি মনে বাসায় ফিরে আসেন।
বাসায় এসে দেখেন ছোট মেয়ে রিমি স্বামী সহ বেড়াতে এসেছে। তাঁদের দেখে সন্ধ্যা বেলাতেই ছুটে যান বাজারের দিকে। গরুর মাংস পাওয়া যায় কিনা দেখতে হবে। মাঝে মাঝে বাজারের একটা দোকানে বিকেলের দিকে গরু জবাই করে। সন্ধ্যায় ফ্রেশ মাংস পাওয়া যায়। ভাগ্য ভালো থাকলে আজও পাওয়া যাবে। না পাওয়া গেলে মুরগী কিনে ফিরবেন। বড় দেখে একটা রুই মাছ কিনতে পারলে বেশ হতো। নতুন জামাই শ্বশুর বাড়ি এসেছে বলে কথা।
বাজার থেকে দ্রুত বাসায় ফিরে আসেন আবদুর রহমান সাহেব। মেয়ের সাথে বসে তাঁর স্বামীর বাড়ির কি অবস্থা – লোকজন কেমন সেই সম্পর্কে কথা বলছেন তিনি। তখনই মেয়ে জানালো; তাঁর স্বামী আর বিদেশ যাবে না। নতুন একটা ব্যবসায় নামবে। কিন্তু টাকার সমস্যায় পড়ে গেছে। হাজার পঞ্চাশ টাকার ঘাটতি। এখন এই টাকা চাইতেই বউ সমেত শ্বশুর বাড়িতে এসেছে সে। রিমি হচ্ছে চাহিদার কথা বাবার কান পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দূত!
আবদুর রহমান সাহেব মেয়ের কথায় অসম্মতি জানায় না। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে টাকা জোগাড় করে দেয়ার কথা দেন তিনি।
রাতের খাবারের শেষে বিছানায় শুয়ে, কোথায় টাকা পাবেন, কিভাবে এতো টাকা যোগাড় হবে সেটা ভাবছনে আবদুর রহমান সাহেব। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আরেক খণ্ড জমি বন্ধক রাখবেন কীনা ভাবছেন। ভাবতে ভাবতেই ক্লান্তিতে চোখ বুঝে আসে তাঁর।
আগামী কাল অফিস আছে। নয়টার মধ্যেই অফিসে পৌঁছোতে হবে তাঁকে। তারপর শুরু হবে সেই চিরচেনা টালি খাতায় তথ্য লিপিবিদ্ধ করার কাজ।
লিখতে লিখতে হয়তো একসময় টিউমারের ব্যথা শুরু হয়ে যাবে ডান হাতে । ব্যথা কমানোর জন্য সাথে করে নিয়ে যাওয়া দুপুরের খাবারের শেষে ট্যাবলেট খেয়ে নিবেন তিনি। তারপর আবার বসে যাবেন লিখতে। নিজের শরীরের দিকে না তাকিয়ে সন্তানের কথা চিন্তা করে বছরের পর বছর ধরে ব্যথা সহ্য করে যাবেন আবদুর রহমান সাহেব। কারন তিনি যে একজন বাবা।
নভেম্বর ২১, ২০১৪
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভাল লাগলো পড়ে; পোস্টে +++