![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্সে এমবিএ করছি— স্বপ্ন দেখছি। একসময় প্রচুর বই পড়তাম, বইয়ে ডুবে থাকতাম। গল্প নামক হাবিজাবি লিখতাম। তারপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিতর্ক করে বেড়িয়েছি কিছু কাল।
১.
ঝড়ের রাত। বাইরে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। শহরে গাছপালা এমনিতেই কম; তাও দু-চারটে যা আছে, সেগুলোও আজ ভেঙে পড়বে বলে মনে হচ্ছে। কাল সকালে সিটি কর্পোরেশনের কাজ আরেকটু বাড়িয়ে দেবে এই ঝড়।
শহুরে বস্তিটিতে আশেপাশের দালানের কারণে খুব বেশি ঝড়ের হাওয়া লাগছে না; তাই ঘর বাড়ি উড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা এক ধাক্কাতেই নাকচ করে দেয়া যাচ্ছে। সেকারণেই সবাই দরজা-জানাল এঁটে কুম্ভকর্ণ ঘুম ঘুমুচ্ছে। জেগে আছে শুধু রহিম মিয়া। ফুটপাত থেকে কেনা ব্যাটারিচালিক ছোট্ট লাইটের মিনমিনে আলোতে সাত বছরের ছেলে রঞ্জুর মাথায় জলপট্টি দিচ্ছে সে। গত চারদিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনিতে ভুগছে রঞ্জু। ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনে খাওয়ানো হয়েছে। তবে রোগ কমছে না। যা ছিল তাই আছে।
রহিম মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। হাওরভাঙ্গনে সব হারিয়ে বছর দশেক আগে দাদন আর দেনার পাহাড় মাথায় নিয়ে শহরে এসেছিল সে। শহরে এসে এর কাছে, তার কাছে ঘুরে ঘুরে ভাড়ায় রিকশা চালানোর ব্যবস্থা করেছে। রিকশা চালিয়েই মাথা গোঁজার জায়গা করেছে। বিয়ে করেছে। নিজের টাকায় পুরাতন একটা রিকশা কিনেছে। বছর ঘুরতেই ফুটফুটে ছেলের বাবা হয়েছে।
নিজের সাথে মিলিয়ে ছেলের নাম রেখেছিল রঞ্জু। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পেতেছিল সুখের সংসার।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তা একই সাথে সদয় আবার একই সাথে নির্দয় কথাটি আবারও প্রমাণ করতে চাইলেন। ছেলের বয়স যখন আড়াই, তখনই ছেলের মা মারা যায়! চাইলেই সে আরেকটি বিয়ে করতে পারত, কিন্তু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে করেনি।
রঞ্জু গতকাল দুপুর থেকে কিছু খাচ্ছে না। রহিম মিয়া ছেলের মাথায় জলপট্টি দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাবা রঞ্জু, তুমি তো কাইল থেইক্ক্যা কিছুই খাও নাই। ভাত খাইবা নি? তোমার পছন্দের ডিমের ছালুন রানছি।’
‘না। আব্বা, ভাত খাইতে মন চায় না।’
‘তাইলে কী খাইবা আব্বা? তোমার লাইগ্যা সাগু আইন্যা রাখছি। সাগুর শিন্নী রাইন্ধ্যা দেই?’
রঞ্জু কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে নীচু গলায় বলল, ‘আব্বা, জিলাপি খাইতে মন চায়।’
রহিম মিয়ার কপালে ভাঁজ পড়ে। অসুস্থ ছেলেকে একা ফেলে চার দিন রিকশা চালাতে যায়নি সে। নিজের রিকশা অন্য কাউকে ভাড়া দিয়ে ভরসা পাওয়া যায় না বলে কাউকে ভাড়াও দেয় নি। পকেট এখন একদম ফাঁকা। জিলাপি কী দিয়ে আনবে? তার উপর আবার ঝড়-বৃষ্টির রাত! জিলাপি কি এখন পাওয়া যাবে?
এতশত ভেবে সময় নষ্ট করতে চায় না রহিমা মিয়া। ছেলেটা গত চার বেলা কিচ্ছু মুখে তুলেনি। এখন অসুস্থ শরীরে জিলাপি খেতে চেয়েছে। জিলাপি তাকে এনে দিতেই হবে।
মিটসেফের কোনা থেকে মাটির ব্যাংকটা বের করে ভাঙলো রহিম মিয়া। ৩২৭ টাকা জমেছিল। সেখান থেকে ১০০ টাকার কয়েন পলিথিনে ভরে শার্টের বাঁ পাশে থাকা বুক পকেটে নিল। বুকের বাঁ পাশটা ভারভার লাগছে এখন খুব। এটা কি পয়সার ব্যাগের কারণে নাকি মাতৃস্নেহের অভাবে থাকা রোগে ভোগা ছেলের কষ্টে— তা বুঝতে পারে না সে!
রাত প্রায় দেড়টা বাজে, ঝড় এখন আরো বেড়েছে। রহিম মিয়া ছেলেকে ঘরে রেখে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বেরিয়ে পড়ল। যে করেই হোক তাকে জিলাপি কিনে আনতেই হবে। কারণ, সে যে একজন বাবা। বাবাদের যে অনেক দায়িত্ব!
২.
চট্রগ্রামের আকাশ এখন মেঘলা। বৃষ্টি হবো হবো করছে। আকাশ মেঘলা হলেই শামিমের মাথায় সবার আগে যে গানটা বাজতে থাকে সেটা সুধীন দাসগুপ্তের সুরে শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গান— ‘আকাশ এত মেঘলা যেও নাকো একলা, এখনি নামবে অন্ধকার।’
কিন্তু শামীম জানে তাঁর জন্য এখন এই গান প্রযোজ্য নয়। কারণ তাঁর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু বছর আগে লিখে গেছেন— ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।’
একলা চলতে চাওয়ার কারণ আছে। সেটি হচ্ছে— আগামীকাল নিশাতের জন্মদিন। নিশাত শামিমের সদ্য বিয়ে করা বউ। ও এখন ঢাকায় ফাঁকা বাসায় একাএকা বোর হচ্ছে। এদিকে শামীমও চট্রগ্রামে হোটেলের রুমে একাএকা বসে বোর হচ্ছে।
অফিসের তিনদিনের একটা ট্রেনিং করতে চট্রগ্রামে এসেছিল সে। আজ দুপুরে সেটা শেষ হয়েছে। কাল সকালে অফিসের ব্যবস্থাপনায় বাস ছাড়বে। নিশাতের জন্মদিনে তাঁর পাশে না থেকে হোটেলের রুমে বসে থাকার কোন মানে হয় না। তাকে চমকে দেয়ার জন্য হলেও ঢাকা যাওয়া উচিৎ। একলা একলাই যাওয়া উচিৎ!
শামীম একলা চলার জন্য সন্ধ্যা ছয়টার ঢাকাগামী বাসে চেপে বসল। তাঁর ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। হাইওয়েতে কোন জ্যাম নেই! বাস বৃষ্টির মধ্যেও প্রায় উড়িয়ে এনে সায়েদাবাদ ফেলল তাকে। হাত ঘড়িটা বলছে এখন রাত একটা বাজে। শামীম দরদাম করে একটা সিএনজি নিল। যাবে কাদেরাবাদ হাউজিং। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবল। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এসেই সিএনজি হঠাৎ থেমে গেল। শামীম জিজ্ঞেস করল,
‘কী হলো? থামালে কেন?’
‘গাড়ি নষ্ট। ইঞ্জিনে পানি ঢুকছে লাগে।’
‘পুরো রাস্তা ভালো ভাবে চলে এখন হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে গেল কেন?’
‘গাড়িরে জিগান কেন নষ্ট হইছে। আপনে ভাড়া দিয়ে নাইম্যা যান। বাসার কাছে তো আইয়াই পড়ছেন, একটা রিকশা লইয়া যান গা। আমি ধাক্কাইয়া গাড়ি গ্যারেজে নিমু।’
শামীম ভাড়া মিটিয়ে কোন রকমে বৃষ্টি থেকে শরীর বাঁচিয়ে একটা বন্ধ দোকানের সামনে থাকা ছাউনীর নীচে গিয়ে দাঁড়ালো। শরীর বাঁচানোর পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে সাথে থাকা জিনিসপত্রও বাঁচানো জরুরী। তাঁর ডান হাতে ট্র্যাভেল ব্যাগ আর বাঁ হাতে রসমলাইয়ের গোল পাত্র। গাড়ি যখন কুমিল্লায় ব্রেক দিয়েছিল তখন কিনেছে। ব্যাগের ভেতর একটা সুতির শাড়ী। সবুজ জমিনের মধ্যে লাল পাঁড়।
ছাউনীর নীচে দাঁড়ানোর ত্রিশ সেকেন্ডের মাথায় নষ্ট সিএনজি ঠিক হয়ে গেল। লোকটা সাঁ করে টান দিয়ে চলে গেল। যাওয়ার সময় একটু দুষ্ট হাসি তাঁর মুখে লেগে রইল। শামীম সেটা দেখতে পায়নি। সৃষ্টিকর্তা পেয়েছে।
লোকটার কুটিলতায় শামীমের মনটা খারাপ হয়ে গেল। গলির ভেতর যাবে না বললেই হতো! এভাবে ভণ্ডামো করার দরকার ছিল? অবশ্য মানুষের স্বভাবই খানিকটা কেমন যেন— সৎ ভাবে যে কাজ করা সম্ভব সেটাও বাঁকা পথে করতে পছন্দ করে তাঁরা; শুধু মাত্র একটু খানি সাশ্রয়ের লোভে। শামীম লোকটাকে গালাগাল দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখে অন্যভাবে চিন্তা করতে লাগলো আচ্ছা এমনও তো হতে পারে যে লোকটার স্ত্রীর আজ জন্মদিন। স্ত্রীর সাথে সময় কাটানোর জন্য একটু আগেভাগে বাড়ি ফিরে গেল। ঠিক যেমন ভাবে এসেছে শামীম।
শামীম রাস্তায় রিকশার জন্য চোখ রেখে পকেট থেকে সিগারেট বের করে লাইটার দিয়ে ধরালো। বৃষ্টিতে খানিকটা ভেজাভেজা হয়ে গেছে; তবে খাওয়া যাচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে না।
নিশাতকে একটা কল দেয়া প্রয়োজন। মেয়েটার সাথে সেই সন্ধ্যায় কথা হয়েছে তারপর আর কথা হয়নি। বাসে উঠে ফোন বন্ধ হয়ে গেছে; চার্জ নেই।
শামীম বাসার বাইরে থাকলে গভীর রাত পর্যন্ত নিশাত শামীমের সাথে কথা বলে। তাঁর নাকি একাএকা লাগে। গভীর রাত পর্যন্ত ফোনে মেয়েটার পাগল পাগল কথা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তে বড্ড ভালো লাগে তাঁর। অবশ্য মেয়েটা শুরু থেকেই পাগল। প্রথম মেয়েটার সাথে যেদিন দেখা হয়েছিল সেদিনটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগে তাঁর কাছে। ভেজা সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে একটু স্মৃতিচারণ করে ফেলে শামীম।
“বছর দুই আগের বর্ষা। রাত প্রায় বারোটা। বাইরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ নেই। চার্জিংলাইটটা গত কয়েকঘন্টা আলো দিয়ে এখন ব্যাটারি ফুঁড়িয়ে নিভে গেছে। আমি ঘরের জানাল ধরে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎবিহীন শহরের আলো-ছায়ার খেলা দেখছি। দেখছি শহরটা কীভাবে ভিজে ভিজে যাচ্ছে।
দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হল— শহরটা প্রেমিকবিহীন তরুণীর মত একাএকা ভিজবে কেন? আমিও যাই, শহরের সাথে ভিজে আসি। গভীর রাতেই হোক বৃষ্টি বিলাস।
আমি আমার ঘরের দরজা খুলে ছাঁদে নেমে এলাম। ওহ আচ্ছা, তার আগে বলে নেই আমি কোথায় থাকি! আমি চারতলা একটি দালানের চিলেকোঠার ঘরে একাই থাকি। বুয়া এসে সারাদিনে একবার রান্না করে দিয়ে যায়। সেটাই দুই বেলা গরম করে খাই; চাকরীর জন্য বইয়ে মুখ গুঁজে পড়ি আর চাকরীর লিখিত পরিক্ষা দেই। পরিক্ষা দেয়াই সাড়, কোন চাকরীর দেখা এখনো পাইনি। মাঝে মাঝে দু-একটা ইন্টার্ভিউ দেয়ার মেসেজ আসে ফোনে। আমি প্যান্টের ভেতর শার্ট গুঁজে হাতির শুঁড়ের মত লম্বা টাই পরে যাই। হাসিহাসি মুখ করে ‘Introduce yourself’, ‘Difference between money market and capital market’, ‘What is intrinsic value?’ টাইপ এক পাল প্রশ্নের জবাব দিয়ে মাথা নিচু করে বের হয়ে আসি। কাজের কাজ কিছুই হয় না।
বাথরুমে আমরা যখন শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে গোসল করি, তখন আমাদের শরীরে যেভাবে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ে ঠিক তেমন ভাবেই বৃষ্টির পানি আমাদের শরীরে পড়ে। তবুও আমরা শাওয়ারকে ভালো না বেসে বৃষ্টিকে বাসি কেন? কারণ শাওয়ারের পানি আসে এক ফুট উঁচু থেক, আর বৃষ্টির পানি... ‘ছাদের অত কিনারে যাবেন না, বৃষ্টিতে ছাদ পিছল হয়ে আছে। পড়ে যাবেন।’, নারী কন্ঠের উৎকণ্ঠা শুনে পিছনে তাকালাম। বৃষ্টিতে ভিজে জবজবে হয়ে যাওয়া এক তরুণী দাঁড়িয়ে। এত রাতে কোন মেয়ে ছাঁদে এসে বৃষ্টিতে ভিজবে সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। ভূত নয় তো? আমি এক চিমটি ভয় আর দুই চিমটি কৌতূহল নিয়ে জানতে চাইলাম, ‘আপনি?’
‘আমি নিশাত। দোতলায় থাকি। আপনি সামি?’
‘না আমি শামীম।’
‘কিন্তু আপনার বুয়া জরিনার মা তো আপনাকে সামি ভাই সামি বলেই ডাকে। যাই হোক— ছাঁদের অত কিনারে যাবেন। বৃষ্টির সময় তো মোটেই না। কোনদিন পা পিছলে পড়ে যাবেন আর পুলিশ এসে আমাদের ঝামেলায় ফেলবে। আমাদের ভাই অত বিপদে পড়ার ইচ্ছে নেই। এমনিতেই অনেক বিপদে আছি।’
‘কীসের বিপদ?’
‘আগামী মাসে আমার থিসিস জমা দেয়ার তারিখ। কিছুই রেডি করিনি। একটু কাজ নিয়ে বসলেই হয় মাথা গরম হয়ে জট লেগে যায় অথবা ঘুম পায়। এই তো— একটু আগেও বসেছিলাম কাজ নিয়ে। মাথায় গেল গরম হয়ে। তাই মাথা ঠাণ্ডা করতে বৃষ্টিতে ভিজতে এলাম। নইলে এত রাতে কোন পাগলে বৃষ্টিতে ভিজে? বৃষ্টি বিলাস মিষ্টি বিলাস টাইপ কিছু ন্যাকা মেয়ে অবশ্য করে— আমি অত ন্যাকা নই। আমি খুবই প্রগ্রেসিভ। প্রায়ই সিগারেট খাই। নিয়ম করে মাতাল হই!’
নিশাতের কথায় জাদু আছে। প্রথম দেখায় প্রেমের মত প্রথম কথায় প্রেমে পড়ে গেলাম আমি। সে প্রেম ব্ল্যাকহোলের মত! শুধু হারিয়েই যেতে ইচ্ছে হয় এতে।
নিশাতের সাথে প্রেম হবার পড়ে বুঝেছি সে আসলে কতটা আদুরে একটা মেয়ে। বৃষ্টি হলেই সে বৃষ্টিতে ভিজতেই হবে তাঁকে! জোছনা হলে ছাঁদে আসতেই হবে তাঁর!
মাস তিনেক পর আমার চাকরী হয়ে গেল। তাঁর মাস ছয় পরেই নিশাতের সাথে আমার বিয়ে। সে বিয়েও সাধারণ বিয়ে নয়। অনেক ঝক্কিঝামেলা আছে। পরে বলব। আপাতত একটা খালি রিকশা দেখেছি; সেটা ডাকতে হবে।”
৩.
রহিম মিয়ার রিকশার সিটের নীচে আধা কেজি জিলাপি। ফুরফুরে মনে রিকশা চালাচ্ছে সে। বৃষ্টিতে তাঁর শার্ট লুঙ্গি ভিজে জবজব করছে। সেদিকে মনোযোগ নেই তাঁর। ছেলের জন্য জিলাপি কিনতে পেরেই খুশী সে।
‘মামা যাবেন? কাদেরাবাদ হাউজিং? ভাড়া বাড়িয়ে দেব।’
রহিম মিয়া রিকশা থামায়। স্মিত হেসে বলে, ‘আসেন মামা, উঠেন। আপনারে নামাই দিয়া আসি। আমিও হেদিকেই যামু। ভাড়া বাড়াই দিতে হইব না। খালি দোয়া করবেন, আমার পোলাটা যেন ভালা হইয়া উঠে।’
শামীম ‘আচ্ছা’ বলে রিকশায় উঠে পলিথিনে নিজেকে প্যাঁচিয়ে নেয়। রহিম মিয়া রিকশা চালাতে শুরু করেছে। রিকশায় বসে আছে শামীম। বৃষ্টি ভেজা পথে রিকশা ছুটে চলছে, চলছে রহিম মিয়া, চলছে শামীম, ভালোবাসার টানে!
২২ আগস্ট, ২০১৭
©somewhere in net ltd.